ঢাকা ২৯ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশে ভিভো ও এসওএস-এর যৌথ উদ্যোগ

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশে ভিভো ও এসওএস-এর যৌথ উদ্যোগ
ক্যাপচার দ্য ফিউচার - ২০২৫। ছবি: সংগৃহীত

শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশে ভিভো বাংলাদেশ ও এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ বাংলাদেশ যৌথভাবে আয়োজন করেছে ‘ক্যাপচার দ্য ফিউচার - ২০২৫’। ২০২৪ সালে উদ্বোধন হওয়া তিন বছরব্যাপী কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) প্রকল্পটির দ্বিতীয় বছরের উইন্টার ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে খুলনায়। যেখানে শিশুদের আধুনিক ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি শেখানোর মাধ্যমে তাদের সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

চলতি বছরের ৭ ও ৮ জানুয়ারি দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে আয়োজনের সূচনা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিশু প্রতিনিধিরা উইন্টার ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহার করে তারা খুলনা ও বাগেরহাটের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ছবি ধারণ করেন।

৯ জানুয়ারি আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে শিশুদের তোলা নির্বাচিত ছবির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে, গত বছরের ছবি নিয়ে একটি স্মৃতিপথ প্রদর্শিত হয়, যা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবেরও আয়োজন করা হয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) সাদিয়া আফরিন। এছাড়া ভিভো বাংলাদেশ ও পাঠশালা ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 
প্রধান অতিথি সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘শিশুদের সৃজনশীলতা দেখে আমি সত্যি অভিভূত। প্রযুক্তিগত দক্ষতা শেখানোর মাধ্যমে তাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। এই আয়োজনের জন্য আমি ভিভো বাংলাদেশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

ভিভো বাংলাদেশ কান্ট্রি ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজীব আহমেদ জানান, ‘ক্যাপচার দ্য ফিউচার - ২০২৫ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো শিশুদের সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করা এবং ছবি তোলার মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও কল্পনার বিকাশ ঘটানো। ভিভো বিশ্বাস করে, প্রযুক্তি সবসময় অগ্রগতির চালিকাশক্তি।’

একইসঙ্গে প্রশিক্ষক তানভীর মুরাদ তপু (হেড অফ ফটোগ্রাফি ডিপার্টমেন্ট, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট) বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এই কর্মশালার মাধ্যমে একটি প্রজন্মের ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌছে দেয়া যাবে। প্রযুক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদের গল্প তুলে ধরতে পারবে।’

ভিভো বাংলাদেশ ও এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস বাংলাদেশ একত্রে কাজ করে বাংলাদেশি শিশুদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

/আবরার জাহিন

ফ্রান্সের এআই খাতে ১০৯ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের ঘোষণা

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
ফ্রান্সের এআই খাতে ১০৯ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের ঘোষণা
এআই খাতে ১০৯ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে  ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে ফ্রান্সকে আরও শক্তিশালী করতে ১০৯ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে  ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্যারিসে আজ থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাকশন সামিট’-এর প্রথম দিনে এই ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এআই সামিটের মূল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল।

এই বিনিয়োগের মধ্যে কানাডার বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্রুকফিল্ড ফ্রান্সে এআই প্রকল্পে ২০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দীর্ঘমেয়াদে ৫০ বিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে বলে জানানো হয়েছে। 

ফরাসি প্রেসিডেন্টের দপ্তর এলিসি প্যালেস জানিয়েছে, ইউএই-এর বিনিয়োগের একটি বড় অংশ ব্যয় করা হবে ১ গিগাওয়াট ক্ষমতার ডেটা সেন্টার নির্মাণে। ফরাসি এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ব্রুকফিল্ডের বিনিয়োগের প্রধান অংশও ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হবে। 

এআই প্রযুক্তির বিকাশে প্রয়োজন হয় শক্তিশালী ডেটা সেন্টার, যাতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহৃত হয়। ইউরোপ বর্তমানে এআইচালিত ডেটা সেন্টারের বিদ্যুৎ  চাহিদা মেটাতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে। 

প্যারিসে আয়োজিত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাকশন সামিট বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি খাতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সামিটে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের নেতারা এআই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ ও নিরাপদ ব্যবহারের নীতিমালা নিয়েও আলোচনা করবেন।  তথ্যসূত্র: রয়টার্স

প্যারিসে এআই সম্মেলনে বিশ্বনেতা ও প্রযুক্তিবিদরা

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৫ এএম
আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
প্যারিসে এআই সম্মেলনে বিশ্বনেতা ও প্রযুক্তিবিদরা
প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাকশন সামিট’-এ বিশ্বনেতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা একত্রিত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) নিরাপদ ব্যবহার ও নীতিমালা নির্ধারণে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাকশন সামিট’-এ বিশ্বনেতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা একত্রিত হয়েছেন। গতকাল সোমবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এআই সামিটের মূল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে আজ।

এ সম্মেলনে একদিকে যেমন এআই প্রযুক্তির বিকাশে বাধা হতে পারে এমন কঠোর নীতিমালা আরোপ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, তেমনি বিশ্ব নেতা ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে এআই প্রযুক্তির অগ্রগতির ঢেউকে আলিঙ্গন করার আগ্রহও দেখা যাচ্ছে।

২০২২ সালে ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’ প্রকাশের পর আগের ব্রিটেন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এআই শীর্ষ সম্মেলনগুলোতে বিশ্বশক্তির মনোযোগ প্রযুক্তির ঝুঁকির দিকে কেন্দ্রীভূত হলেও, বর্তমানে এআইকে নিয়ন্ত্রণে আনার আগ্রহ কিছুটা কমেছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রশাসনের এআই নীতিমালা বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা দেশটির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে এগিয়ে নিতে সহায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও এআই নিয়ে নমনীয় নীতি গ্রহণের পথে হাঁটছে।

ইইউ সম্প্রতি ‘এআই অ্যাক্ট’ নামে নীতিমালা অনুমোদন করেছে, যা বিশ্বের প্রথম এআই বিধিমালা। তবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ও কয়েকটি দেশ এর কঠোর প্রয়োগ চায় না। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ মনে করেন, অত্যধিক নিয়মনীতি ইউরোপীয় স্টার্টআপগুলোর বিকাশ বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

এক সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, ‘কিছু দেশ কোনো নিয়ম মানতে চায় না, যা বিপজ্জনক। আবার ইউরোপ যদি অতিরিক্ত নিয়ম তৈরি করে, তবে সেটিও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। উদ্ভাবনকে ভয় পাওয়া উচিত নয়।’

এআই নীতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। চীনের এআই প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিপসিক সম্প্রতি এমন এক এআই চ্যাটবট উন্মোচন করেছে, যা এআই প্রযুক্তির বাজারে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক থিংকট্যাংক চ্যাথাম হাউস জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র এআই নীতিতে অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, অন্যদিকে চীন নতুন সক্ষমতা প্রদর্শন করছে। ফলে বিশ্বজুড়ে একটি অনিশ্চিত প্রতিযোগিতা চলছে।’

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবারের সম্মেলনে ‘এআই সেফটি ইনস্টিটিউট’ পাঠাচ্ছে না, যা বৈশ্বিক এআই ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী নীতিমালা তৈরির আশা কমিয়ে দিয়েছে।

প্যারিস সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, চীনের ভাইস প্রিমিয়ার ঝাং গুওকিংসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। অন্যদের মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসও উপস্থিত থাকবেন।

প্রযুক্তি জগতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও অংশ নিচ্ছেন এ সম্মেলনে, যাদের মধ্যে রয়েছেন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই ও ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান। তারা প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করবেন।

এআইয়ের জন্য বিশাল জ্বালানি চাহিদা ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে। বিশ্বের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এআই প্রযুক্তিকে কীভাবে টেকসই রাখা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে।

ফ্রান্স ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে একটি বড় এআই ডেটা সেন্টার নির্মাণের জন্য চুক্তি করেছে, যেখানে ৫০ বিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত বিনিয়োগ করা হবে। নতুন এআই অ্যাপ চালুর সময় ফরাসি স্টার্টআপ মিস্ট্রালের সিইও বলেছেন, ‘এখন বিশ্ব বুঝতে পারছে, ইউরোপীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও এআই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন এআইয়ের বিপজ্জনক দিকগুলো নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়ার মধ্যে ভারসাম্য খুঁজছে। এআইয়ের নীতিনির্ধারণে কঠোরতা নাকি নমনীয়তা প্রয়োজন, এ নিয়ে চলছে বিতর্ক। প্যারিস সম্মেলন কি নতুন কোনো দিকনির্দেশনা দিতে পারবে? সেটাই দেখার বিষয়। তথ্যসূত্র: রয়টার্স 

প্রশান্তির ঘুমের জন্য দরকার প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
প্রশান্তির ঘুমের জন্য দরকার প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার
প্রযুক্তির সঠিক ও পরিমিত ব্যবহার ঘুমের মানোন্নয়নে সাহায্য করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক জীবনে প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। তবে প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার ঘুমের মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাত জেগে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহারের কারণে ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে যায়। তবে প্রযুক্তির সঠিক ও পরিমিত ব্যবহার ঘুমের মানোন্নয়নে সাহায্য করতে পারে। স্লিপ-ট্র্যাকিং অ্যাপ থেকে শুরু করে আধুনিক স্মার্ট ডিভাইসের মতো নানা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার হতে পারে ঘুমের সমস্যা সমাধান। 

সানরাইজ অ্যালার্ম ঘড়ি 
স্মার্টফোনের প্রচলিত অ্যালার্ম অনেকের ঘুমের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তবে সানরাইজ অ্যালার্ম ক্লক এমন একটি ডিভাইস, যা ধীরে ধীরে কৃত্রিম সূর্যালোক ছড়িয়ে ব্যবহারকারীকে ঘুম থেকে স্বাভাবিকভাবে জাগিয়ে তোলে। অ্যালার্ম বাজার ৩০ মিনিট আগে থেকে আলো বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ঘুম হালকা হয় ও আকস্মিক জেগে ওঠার বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা কমে যায়। বিশেষ করে শীতের দিনে যখন সূর্য দেরিতে ওঠে তখন এটি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।

স্লিপ মোড
রাতে ঘুমানোর আগে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহারের অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। তবে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করতে পারে। স্লিপ মোড চালু করলে নির্ধারিত সময়ের পর ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ হয়ে যায়, যা ঘুমের প্রস্তুতিতে সহায়ক হতে পারে। আইফোন ব্যবহারকারীরা ফোকাস মোডস ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সব অ্যাপ ও নোটিফিকেশন বন্ধ রাখতে পারেন।

কনটেন্ট ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা ভিডিও মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। গবেষণা বলছে, রাতে উত্তেজনাপূর্ণ বা মানসিকভাবে ক্লান্তিকর কনটেন্ট দেখলে ঘুমের গুণগত মান কমে যায়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে থেকে ভিডিও দেখা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করা উচিত। ওপাল অ্যাপ ব্যবহার করে ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

‘গেট ইনটু বেড’ অ্যালার্ম
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ‘গেট ইনটু বেড’ অ্যালার্ম সেট করলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে থেকে ঘুমের প্রস্তুতি নিতে মনে করিয়ে দেয়। এটি মূলত অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য কার্যকর, যারা প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর রুটিন গড়ে তুলতে চান।

ব্লু লাইট ফিল্টার
ডিজিটাল ডিভাইসের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো (ব্লু লাইট) মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করে। নাইট শিফট মোড চালু করলে স্ক্রিনের আলো হলুদ বা কমলা হয়ে যায়, যা ঘুমের জন্য সহায়ক হতে পারে। এটি সানসেট টু সানরাইজ মোডে সেট করলে সূর্যাস্তের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয় এবং সূর্যোদয়ের পর বন্ধ হয়ে যায়।

প্রযুক্তি যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এটি ঘুমের জন্য সহায়ক হতে পারে। সানরাইজ অ্যালার্ম, স্লিপ মোড, ব্লু লাইট ফিল্টার ও স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণের মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ঘুমের মান উন্নত করা সম্ভব। তাই প্রযুক্তিকে শুধু সমস্যার উৎস হিসেবে না দেখে, বরং এর ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগানোর দিকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তথ্যসূত্র: মেকইউজঅব

/আবরার জাহিন

এআই সম্পাদিত ছবিতে অদৃশ্য ওয়াটারমার্ক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৫ এএম
এআই সম্পাদিত ছবিতে অদৃশ্য ওয়াটারমার্ক
ওয়াটারমার্ক প্রযুক্তির নাম ‘সিন্থআইডি’। ছবি: সংগৃহীত

ক্রমবর্ধমান এআই প্রযুক্তির যুগে ছবি তৈরি ও এডিট করার পদ্ধতিও উন্নত হচ্ছে। এ অবস্থায় এআইয়ের মাধ্যমে এডিট বা পরিবর্তিত ছবিগুলোকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ সমস্যার সমাধানে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল একটি নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। গুগল সম্প্রতি নতুন আপডেটের মাধ্যমে তাদের ম্যাজিক এডিটর সফটওয়্যারে এআই সম্পাদিত ছবিতে অদৃশ্য ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক যোগ করার ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ওয়াটারমার্ক প্রযুক্তির নাম ‘সিন্থআইডি’। ম্যাজিক এডিটরের ‘রিইমাজিন’ ফিচারের মাধ্যমে এডিট করা ছবিগুলোতে সিন্থআইডি ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করা যাবে।

সিন্থআইডি কী?

গুগল ডিপমাইন্ড ২০২৩ সালে সিন্থআইডি প্রযুক্তি চালু করে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যা জেনারেটিভ এআই দিয়ে তৈরি করা যেকোনো কনটেন্টে অদৃশ্য ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক যোগ করতে পারে। গুগল এর আগে লিরিয়া, ইমেজেন ও জেমিনাইয়ের মতো এআই-নির্ভর প্রোগ্রামগুলোতে এটি ব্যবহার করেছে।

এখন সিন্থআইডি প্রযুক্তি ম্যাজিক এডিটরেও ব্যবহার করা হবে। ম্যাজিক এডিটরের রিইমাজিন ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ছবির বিভিন্ন অংশে বিশেষ ইফেক্ট যোগ করতে, মুছতে বা সরানোসহ বিভিন্ন পরিবর্তন করতে পারেন। রিইমাজিন ফিচারটি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের যেকোনো ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এই ফিচার পিক্সেল নাইন বা তার পরের মডেলের ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীরা রিইমাজিনে ক্লিক করে ছবিটির কিছু অংশ পরিবর্তনের জন্য প্রম্পটের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারেন। এ ছাড়া গুগল নির্দিষ্ট, সহজ প্রম্পটের ব্যবহার করার পরামর্শও দেবে। ব্যবহারকারী রিইমাজিনে ক্লিক করলে সংশ্লিষ্ট ছবিতে সিন্থআইডির ওয়াটারমার্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ হয়ে যাবে।

গুগলের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য- এআইয়ের মাধ্যমে সম্পাদিত ছবিগুলোর স্বচ্ছতা বজায় রাখা। যেহেতু এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা ছবিগুলো প্রায়শই আসল ছবির মতো দেখতে হয়, তাই সেগুলোকে চিহ্নিত করা জরুরি। সিন্থআইডি ওয়াটারমার্কের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজে বুঝতে পারবেন ছবিটি এআই দ্বারা এডিট করা হয়েছে।

ওপেনএআইয়ের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের যাবে লগইন ছাড়া

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
ওপেনএআইয়ের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের যাবে লগইন ছাড়া
এখন থেকে অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ওপেনএআইয়ের সার্চ ইঞ্জিন। ছবি: সংগৃহীত

এখন থেকে অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সার্চ ইঞ্জিন। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির অ্যাকাউন্টে  আর লগইন করতে হবে না ব্যবহারকারীদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে ওপেনএআই জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা এখন চ্যাটজিপিটির ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি চ্যাটজিপিটি সার্চ ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য সাইন আপের প্রয়োজন নেই।

চ্যাটজিপিটির এই নতুন সুবিধার ফলে অনলাইনে তথ্য অনুসন্ধান আরও সহজ হবে। এর মাধ্যমে গুগলের মতো জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। দীর্ঘদিন ধরে গুগল অনলাইন সার্চ মার্কেটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ওপেনএআইয়ের এই পদক্ষেপ সেই বাজারে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।  

চ্যাটজিপিটি সার্চ কী ও কীভাবে কাজ করে? 
চ্যাটজিপিটির সার্চ ফিচারটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে চালু হয়েছে। এটি সাধারণ চ্যাটবটের মতো নয়, বরং সরাসরি আপডেট হওয়া তথ্য সরবরাহ করে। সাধারণ চ্যাটজিপিটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পাওয়া ডেটার ভিত্তিতে উত্তর দেয়, কিন্তু চ্যাটজিপিটি সার্চ ব্যবহারকারীদের সাম্প্রতিক ঘটনা, শেয়ারবাজারের তথ্য বা আবহাওয়া সংক্রান্ত আপডেট সরাসরি দিতে সক্ষম।  

এ ছাড়া, চ্যাটজিপিটি সার্চের মাধ্যমে পাওয়া উত্তরগুলোতে তথ্যের উৎস ও সংশ্লিষ্ট লিংক অন্তর্ভুক্ত থাকে। ফলে ব্যবহারকারীরা সহজে তথ্য যাচাই করতে পারেন এবং আরও বিশদ জানতে পারেন।  

এই ফিচার ব্যবহার করতে চ্যাটজিপিটির ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রম্পট বক্সে ‘সার্চ’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর তথ্য অনুসন্ধান করা যাবে।। অনুসন্ধানের উত্তরগুলোতে তথ্যের সারসংক্ষেপ এবং সংশ্লিষ্ট লিংক দেওয়া থাকবে, যা ব্যবহারকারীদের আরও বিশদ তথ্য জানতে সহায়তা করবে।  

ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নত করতে আরও কিছু নতুন ফিচার চালু করেছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ‘অপারেটর’ নামে একটি এআই এজেন্ট উন্মোচন করেছে, যা স্বতন্ত্রভাবে ওয়েবভিত্তিক কাজ সম্পাদন করতে পারে। পাশাপাশি ‘ডিপ সার্চ’ নামের আরও একটি নতুন এআই সিস্টেম চালু করেছে, যা গবেষণার জন্য আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।  

ওপেনএআইয়ের এসব উদ্ভাবন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার আরও সহজ ও কার্যকর করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ।

/আবরার জাহিন