
জিমেইল ব্যবহারকারীদের জন্য টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে এসএমএস-ভিত্তিক অথেনটিকেশন পদ্ধতি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। পরিচয় যাচাইয়ের জন্য টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে ফোনে কোড পাঠানোর পরিবর্তে কিউআর কোড ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে ফোনে কোড পাঠিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় এটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল।
গুগলের মুখপাত্র রস রিচেন্ডারফার জানান, ‘বিশ্বব্যাপী এসএমএস অপব্যবহারের প্রভাব কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসএমএসের পরিবর্তে কিউআর কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। স্মার্টফোনের ব্যবহার আগের মতোই থাকবে, তবে এসএমএসের দুর্বল নিরাপত্তা ফিচার থেকে মুক্তি মিলবে।’
কিউআর কোড কীভাবে কাজ করবে?
এখন থেকে মোবাইল নম্বর দিয়ে এসএমএসের মাধ্যমে কোড পাওয়ার পরিবর্তে ব্যবহারকারীদের কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে, যা এসএমএসের তুলনায় নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে।
এসএমএস টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একেবারে না থাকার চেয়ে ভালো হলেও, অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় এটি কম নিরাপদ। তাই আধুনিক সাইবার অপরাধীদের জন্য সহজ লক্ষ্য হয়ে উঠেছে এটি। হ্যাকাররা মোবাইল অপারেটরকে বিভ্রান্ত করে ভিকটিমের নম্বর নতুন ডিভাইসে স্থানান্তর করতে পারে। এ ছাড়া ‘ট্রাফিক পাম্পিং’ নামে পরিচিত পদ্ধতির মাধ্যমে অপরাধীচক্র অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে। ব্যবহারকারীদের যাচাই ও স্প্যাম ইমেইল পাঠানোর জন্য বাল্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি রোধে গুগল প্রচুর এসএমএস পাঠায়। তাই এসএমএস যে একটি সমস্যা, তা সহজেই বোঝা যায়।
গুগল কেবল কিউআর কোডে থেমে থাকতে চায় না। প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হলো- পাসওয়ার্ডবিহীন অথেনটিকেশন ব্যবস্থা চালু করা। বর্তমানে পাসকি প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও সুরক্ষিত পরিচয় যাচাইয়ের দিকে এগোচ্ছে গুগল, তবে ব্যবহারকারীদের অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।