ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

গুগল আনল নতুনস্মার্টফোন ‘পিক্সেল ৯এ’

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:১২ পিএম
গুগল আনল নতুনস্মার্টফোন ‘পিক্সেল ৯এ’
পিক্সেল ৯এ। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলতি সপ্তাহে গুগল তাদের নতুন স্মার্টফোন ‘পিক্সেল ৯এ’ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে। ফোনটির দাম শুরু হবে ৪৯৯ ডলার থেকে। ডিভাইসটির সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে এর নকশায়। পেছনের ক্যামেরা বারটি সরিয়ে নতুন মডেলে গোলাকার ডিজাইনের ক্যামেরা মডিউল যুক্ত করা হয়েছে, যা ফ্রেমের সঙ্গে প্রায় মিশে গেছে। এতে ফোনটি দেখতে আরও আধুনিক ও আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে।

নতুন পিক্সেল ৯এ দুটি নতুন রঙে পাওয়া যাবে। এগুলো হলো হালকা বেগুনি ‘আইরিস’ ও উজ্জ্বল গোলাপি ‘পিওনি’। এ ছাড়া বরাবরের মতো পোরসেলিন ও অবসিডিয়ান রঙের সংস্করণ তো থাকছেই।

শক্তিশালী চিপ ও উন্নত পারফরম্যান্স
পিক্সেল ৯এ ফোনে গুগলের নিজস্ব টেনসর জি৪ চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগের মডেল পিক্সেল ৮এ-তে টেনসর জি৩ চিপ ব্যবহার করা হয়েছিল। নতুন চিপসেটটি জি৩ চিপের তুলনায় আরও উন্নত পারফরম্যান্স দেবে। যদিও আগের মডেলের পারফরম্যান্সও বেশ ভালো ছিল। ফোনটিতে থাকছে ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি বা ২৫৬ জিবি স্টোরেজ অপশন। গুগল দাবি করছে, পিক্সেল ৯এ একবার চার্জে ৩০ ঘণ্টার বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে।

ক্যামেরা ও নতুন এআই ফিচার
ক্যামেরার জন্য পিক্সেল ৮এ ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। নতুন পিক্সেল ৯এ ফোনের ক্যামেরায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফোনটির পিছনের দিকে রয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড ও ১৩ মেগাপিক্সেলের আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা। সেলফি তোলার জন্য সামনে থাকছে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। নতুন মডেলে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকলেও আগের মডেলে ৬৪ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে গুগল এই ফোনে বেশকিছু নতুন এআই ফিচার যোগ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাজিক এডিটর, ম্যাজিক ইরেজার, বেস্ট টেক ও ফটো আনব্লার ফিচার। প্রথমবারের মতো এই সিরিজে ম্যাক্রো ফোকাস ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, যা খুব কাছ থেকে ভালো ছবি তুলতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া কম আলোতে ভালো ছবি তোলার জন্য থাকছে নাইট সাইট মোড।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সীমাবদ্ধতা
তবে পিক্সেল ৯এ নিয়ে একটি আলোচনার বিষয় হলো- এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কিছু সীমাবদ্ধতা। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট আর্স টেকনিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ফোনে ৮ জিবি র্যাম থাকার কারণে গুগলের উন্নত কিছু জেমিনাই এআই ফিচার এতে ব্যবহার করা যাবে না। এর ফলে কিছু আকর্ষণীয় এআই সুবিধা এই ফোনে পাওয়া নাও যেতে পারে।

কবে নাগাদ বাজারে আসবে
গুগল জানিয়েছে, পিক্সেল ৯এ প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পাওয়া যাবে। এর পর এটি ইউরোপ এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশেও বিক্রি শুরু হবে। এপ্রিল মাস থেকে ফোনটি বাজারে পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে, যদিও নির্দিষ্ট তারিখ এখনো জানানো হয়নি।

/আবরার জাহিন

সাশ্রয়ী দামে ৫জি রাউটার আনল লেনোভো

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
সাশ্রয়ী দামে ৫জি রাউটার আনল লেনোভো
৫জি রাউটার আনল লেনোভো। ছবি: সংগৃহীত

তুলনামূলক কম খরচে ও সহজে বহনযোগ্য ডিভাইসের মাধ্যমে দ্রুতগতির ৫জি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দিতে বাজারে নতুন মোবাইল রাউটার এনেছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লেনোভো। ‘লেনোভো শাওশিন ৫জি সিপিই’ নামের এ মোবাইল রাউটারটি সম্প্রতি চীনের বাজারে এসেছে। এটির দাম ৬২৯ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ হাজার ৪০০ টাকা। আকর্ষণীয় ডিজাইন ও একাধিক ফিচার থাকায় এটি অনেকের কাছে পছন্দের হতে পারে।

রাউটারের ফিচার
এই ৫জি সিপিই রাউটারে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ইউনিসক ভি৫১০’ চিপসেট। ৬ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি এই চিপসেট আগের প্রজন্মের তুলনায় উন্নত পারফরম্যান্স দেওয়ার পাশাপাশি কম বিদ্যুৎ খরচ করে। নেটওয়ার্কের অবস্থার ওপর নির্ভর করে এটি সর্বোচ্চ ২ জিবিপিএস ডাউনলোড গতি ও প্রায় ৯০০ এমবিপিএস আপলোড গতি দিতে সক্ষম। যেখানে ৫জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে না, সেখানে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৪জি নেটওয়ার্কে কাজ করবে।

রাউটারটিতে তিনটি সিম ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ৫জি সিম (চায়না মোবাইল ও চায়না ইউনিকম) বিল্ট-ইন অবস্থায় আছে। এ ছাড়া একটি অতিরিক্ত সিম স্লট রয়েছে, যেখানে চায়না টেলিকমসহ চীনের প্রধান সব অপারেটরের সিম কার্ড ব্যবহার করা যাবে। তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের জন্য একটি গিগাবিট ইথারনেট পোর্টও রয়েছে।

রাউটারটি ২.৪ গিগাহার্টজ ও ৫ গিগাহার্টজ ডুয়াল-ব্যান্ড ওয়াই-ফাই সমর্থন করে। এর মধ্যে ২.৪ গিগাহার্টজ ব্যান্ডে আধুনিক ওয়াই-ফাই ৬ (৮০২.১১এক্স) প্রযুক্তি ও ৫ গিগাহার্টজ ব্যান্ডে ওয়াই-ফাই ৫ (৮০২.১১এসি) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। দ্রুত ডেটা আদান-প্রদানের জন্য এতে ওএফডিএমএ এবং ২x২ এমআইএমও মতো ফিচারও রয়েছে।

৫১২ মেগাবাইট র‍্যামযুক্ত রাউটারটি একসঙ্গে ২৪টি ডিভাইসে ইন্টারনেট সরবরাহ করতে পারে, যা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, স্মার্ট টিভি ও প্রিন্টারসহ নানা ডিভাইসে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করে।

রাউটারটি দেখতে লম্বা এবং এর ডিজাইন বেশ ছিমছাম। ফ্যানবিহীন ডিভাইসটি ঠাণ্ডা রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম হিটসিংক। লেনোভো জানিয়েছে, ডিভাইসটির দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে ১৫ হাজার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে একটানা চালানো ও ড্রপ টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে।

নিরাপত্তার দিক থেকেও রাউটারটি বেশ উন্নত। এতে ডেডিকেটেড এনক্রিপশন চিপ, ফায়ারওয়াল সাপোর্ট, অ্যান্টি-হাইজ্যাক প্রটোকল এবং এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনযুক্ত কমিউনিকেশনের মতো নিরাপত্তা ফিচার যোগ করা হয়েছে।

রবির ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
রবির ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

রবি আজিয়াটা পিএলসি (রবি)-এর ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আজ সোমবার রাজধানী ঢাকার একটি স্বনামধন্য হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান থায়াপারান সাঙ্গারাপিল্লাই, পর্ষদ সদস্য বিবেক সুদ, নিক রিজাল কামিল, নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম. রিয়াজ রশিদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কোম্পানি সচিব ও চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রবি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান থায়াপারান সাঙ্গারাপিল্লাই বলেন, ‘সার্বিক কারণে ২০২৪ সালটি ছিল আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বছর। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রবি আর্থিক ক্ষেত্রে যে সাফল্য দেখিয়েছে, তাতে আমি আনন্দিত। সময়োপযোগী ব্যয় ব্যবস্থাপনার কল্যাণে আমরা সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করতে পেরেছি। বছরজুড়ে নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ করেছি আমরা, যা আমাদের প্রতি গ্রাহকদের আস্থাকে আরও দৃঢ় করেছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের বিশ্বমানের ও মানসম্মত প্রযুক্তি সেবা দিতে প্রস্তুত রবি। একটি টেক-কো হিসেবে রবি বরাবরের মতো গ্রাহক ও সমাজের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। করপোরেট সুশাসনের প্রতি আমরা আপোসহীন। এই সুশাসনকে পুঁজি করে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত রবি।’

২০২৪ সালে রবির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দেড় টাকা। এ সময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

স্টারলিংকের ইন্টারনেট সিস্টেমের ত্রুটি শনাক্তে মিলবে বড় অঙ্কের পুরস্কার

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
স্টারলিংকের ইন্টারনেট সিস্টেমের ত্রুটি শনাক্তে মিলবে বড় অঙ্কের পুরস্কার
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক তাদের ইন্টারনেট সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করতে সাইবার নিরাপত্তা গবেষকদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে। স্টারলিংকের ইন্টারনেট সিস্টেমের কোনো গুরুতর দুর্বলতা চিহ্নিত করতে পারলে সর্বোচ্চ ১ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। দ্রুতগতির এই ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশেও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

স্টারলিংকের মূল সংস্থা স্পেসএক্স সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে এই ‘বাগ বাউন্টি’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে। এই বাগ বাউন্টির প্রধান লক্ষ্য ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং পুরো সিস্টেমের সার্বিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। স্পেসএক্স নিরাপত্তা গবেষকদের স্টারলিংকের সিস্টেমে সম্ভাব্য দুর্বলতা খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে, এই অনুসন্ধানের সময় কোনোভাবেই যেন স্বাভাবিক গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত না হয়। কোনো ধরনের ত্রুটি শনাক্ত হলে, তা তাদের নির্ধারিত বাগ বাউন্টি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।

স্পেসএক্স জানিয়েছে, এই কর্মসূচির আওতায় গবেষকরা এখন পর্যন্ত স্টারলিংক সিস্টেমে মোট ৪৩টি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। বিগত তিন মাসে শনাক্ত হওয়া ত্রুটিগুলোর জন্য গড় পুরস্কারের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯১৪ দশমিক ৭৫ ডলার।

পুরস্কারের পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে, শনাক্ত হওয়া ত্রুটির ঝুঁকি ও এর প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়। বিশ্লেষণ করা হয়, শনাক্ত করা ত্রুটি শুধু গ্রাহকের টার্মিনাল বা রাউটারকে প্রভাবিত করছে, নাকি এর প্রভাব স্যাটেলাইট বা মূল নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশেও পড়ছে। এছাড়া শনাক্ত করা ত্রুটি ব্যবহার করে দূর থেকে সিস্টেমে প্রবেশ বা ক্ষতি করা সম্ভব কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হয়। সবশেষে ত্রুটির প্রকৃতি এবং এর মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্ষতির ব্যাপকতা বিবেচনা করে পুরস্কারের অঙ্ক চূড়ান্ত করা হয়।

বেইজিংয়ে রোবটের হাফ ম্যারাথন

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
বেইজিংয়ে রোবটের হাফ ম্যারাথন
সম্প্রতি বেইজিংয়ের হাফ ম্যারাথনে মানুষের পাশাপাশি অংশ নেয় ২১টি হিউম্যানয়েড রোবট। ছবি: সংগৃহীত

হিউম্যানয়েড বা মানুষের মতো দেখতে রোবটগুলোর মানুষের পর্যায়ে আসতে যে এখনো অনেক পথ বাকি, তা আরও একবার স্পষ্ট হলো। সম্প্রতি বেইজিংয়ের ই-টাউন টেক হাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক অভিনব হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। যেখানে মানুষের পাশাপাশি দৌড়ে অংশ নেয় ২১টি হিউম্যানয়েড রোবট। আয়োজকদের দাবি, এটি বিশ্বের প্রথম হিউম্যানয়েড রোবট হাফ ম্যারাথন।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজয়ী রোবট ‘তিয়ানগং আল্ট্রা’ হাফ ম্যারাথন শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট, যেখানে রোবটটি দৌড়েছে প্রায় ২১ কিলোমিটার। এটি তৈরি করেছে চীনের সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এক্স-হিউম্যানয়েড। 

তবে মানুষের দৌড়ের গতির তুলনায় রোবটের এই গতি বেশ কম ছিল। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী মানব দৌড়বিদের সময় লেগেছে মাত্র ১ ঘণ্টা ২ মিনিট। এমনকি সাধারণ দৌড়বিদরাও সাধারণত দুই ঘণ্টার কম সময়ে হাফ ম্যারাথন শেষ করে থাকেন।

বিজয়ী রোবটটিকে দৌড়াতে মানুষের সাহায্য নিতে হয়েছে। একজন মানুষ সিগন্যাল ডিভাইস পিঠে নিয়ে সামনে দৌড়েছেন, যার নড়াচড়া অনুকরণ করে রোবটটি এগিয়েছে। বেশিরভাগ রোবট অবশ্য রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে চালানো হয়েছে, যেখানে অপারেটররা রোবটের পাশে থেকে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

নির্ধারিত ৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র চারটি রোবট শেষ সীমায় পৌঁছাতে পেরেছে। কয়েকটি রোবট তো শুরুর পর বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে। ‘শেননং’ নামের একটি রোবট একজন মানব সহায়তাকারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এর পর রোবটটি বেষ্টনীতে আঘাত লাগে এবং ভেঙে যায়। আর ৩০ ইঞ্চি উচ্চতার খুদে রোবট ‘লিটল জায়ান্ট’-এর মাথা থেকে একপর্যায়ে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এর পর সেটি মাঝপথে থেমে যায়।

এই ম্যারাথনে অংশ নেওয়া রোবটগুলো তৈরি করেছে চীনের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দল। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, রোবটগুলোর মানুষের মতো অবয়ব ও দুটি পা থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। দৌড়ের সময় মানুষের পথ থেকে আলাদা একটি লেনে রোবটগুলো দৌড়িয়েছে। একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ঝুঁকি কমাতে রোবটগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দৌড় শুরু করেছে। দৌড়ের মাঝে ব্যাটারি পরিবর্তনের সুযোগ ছিল। এমনকি বিজয়ী রোবটটির ব্যাটারিও তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে।

এক্স-হিউম্যানয়েডের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ট্যাং জিয়াং রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি গর্ব করতে চাই না, তবে আমি মনে করি পশ্চিমা বিশ্বের কোনো রোবট কোম্পানি এখনো তিয়ানগংয়ের ক্রীড়া সাফল্যের ধারেকাছে আসতে পারেনি।’

রোবটদের দৌড় এখনো ধীর হলেও, প্রযুক্তিগতভাবে এই আয়োজন ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশে নিজস্ব সার্ভার চালু করছে পাবজি মোবাইল

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
বাংলাদেশে নিজস্ব সার্ভার চালু করছে পাবজি মোবাইল
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় মোবাইল গেম পাবজি মোবাইল বাংলাদেশে নিজেদের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশি গেমারদের জন্য শিগগিরই চালু হচ্ছে একটি ডেডিকেটেড সার্ভার। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে ‘লো ল্যাটেন্সি’ ও আরও মসৃণ গেমিং অভিজ্ঞতা পাবেন পাবজি গেমাররা।

পাশাপাশি প্রথমবারের মতো দেশে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘পাবজি মোবাইল ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫’। এই টুর্নামেন্টের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, যা চলতি মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য কোনো ফি লাগবে না। আয়োজকরা মোট দশ লাখ টাকার আকর্ষণীয় প্রাইজপুল ঘোষণা করেছেন। রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাবজি মোবাইল বাংলাদেশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পাওয়া যাবে।

পাবজি মোবাইল কেবল একটি মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিতি নয়, বরং বাংলাদেশের গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ এবং গেমিং অভিজ্ঞতাকে উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে দেশের গেমিং অবকাঠামো উন্নয়ন, তরুণ ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় প্রতিভাদের তুলে ধরতে একাধিক উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

/আবরার জাহিন