ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

জিপিটি-৪.১ উন্মোচন করল ওপেনএআই

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
জিপিটি-৪.১ উন্মোচন করল ওপেনএআই
ওপেনএআইয়ের নতুন এআই মডেল উন্মোচন। ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ এআই মডেল জিপিটি-৪.১ উন্মোচন করেছে। গত সোমবার এক অনলাইন সম্প্রচারে প্রতিষ্ঠানটি তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ মডেলটির ঘোষণা দিয়েছে। এটি আগের সংস্করণ ‘জিপিটি-৪ও’-এর তুলনায় আরও উন্নত ও কার্যকর বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ওপেনএআই জানিয়েছে, জিপিটি-৪.১ মডেলের কনটেক্সট উইন্ডো আরও বড় এবং এটি প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে জিপিটি-৪ও মডেলের চেয়ে উন্নত। বিশেষ করে কোডিং ও নির্দেশাবলি অনুসরণ করার ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।

জিপিটি-৪.১ এখন ডেভেলপারদের জন্য উন্মুক্ত। এর পাশাপাশি ‘জিপিটি-৪.১ মিনি’ ও ‘জিপিটি-৪.১ ন্যানো’ নামে আরও দুটি ছোট সংস্করণ এনেছে ওপেনএআই। এর মধ্যে জিপিটি-৪.১ মিনি ডেভেলপারদের জন্য তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হবে। অপরদিকে জিপিটি-৪.১ ন্যানোকে সবচেয়ে ছোট, দ্রুততম ও সাশ্রয়ী মডেল বলে দাবি করেছে ওপেনএআই।

এই মডেল তিনটি সর্বোচ্চ ১০ লাখ পর্যন্ত টোকেন প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। টোকেন বলতে এখানে টেক্সট, ছবি বা ভিডিওর তথ্য বোঝানো হয়েছে, যা ব্যবহারকারী ইনপুট হিসেবে মডেলকে দিয়ে থাকেন। এই সংখ্যা আগের মডেল জিপিটি-৪ও-এর ১ লাখ ২৮ হাজার টোকেন সক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি।

ওপেনএআই জানিয়েছে, ‘আমরা জিপিটি-৪.১ মডেলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি যেন এটি পুরো ১০ লাখ টোকেনের প্রাসঙ্গিক টেক্সট সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারে এবং অপ্রয়োজনীয় তথ্য এড়িয়ে যেতে পারে।’

জিপিটি-৪ও-এর চেয়ে ২৬ শতাংশ কম ব্যয়বহুল জিপিটি-৪.১। সম্প্রতি বাজারে এআই মডেলের খরচ নিয়ে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় এই দিকটি ওপেনএআইয়ের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রযুক্তিবিদরা।

চ্যাটজিপিটির এই সর্বশেষ মাল্টিমোডাল এআই মডেলটি এমন সময়ে এল, যখন ওপেনএআই তাদের পরবর্তী বড় মডেল জিপিটি-৫-এর উন্মোচনের সময় পিছিয়ে দিয়েছে।

/আবরার জাহিন

 

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আড়াই কোটি স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আড়াই কোটি স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার
ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য একটি উদ্বেগের খবর দিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়কপ্রতিষ্ঠান জিম্পেরিয়াম। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘ফ্যাটবয় প্যানেল’ নামের একটি বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার প্রায় আড়াই কোটি স্মার্টফোনে ছড়িয়ে পড়েছে।

জিম্পেরিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, প্রতারক চক্র হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ধোঁকা দিতে সরকারি কর্মকর্তা অথবা ব্যাংক প্রতিনিধির ছদ্মবেশে একটি ক্ষতিকর লিংক পাঠাচ্ছে। এই লিংকে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে একটি এপিকে (এপিকেই) ফাইল ডাউনলোড হয়ে যায়। এই ফাইলের মাধ্যমে স্মার্টফোনে ‘ফ্যাটবয় প্যানেল’ ম্যালওয়্যারটি প্রবেশ করে। এই ম্যালওয়্যারটি একবার ইনস্টল হয়ে গেলে ব্যবহারকারীর ফোনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পাশাপাশি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) সংগ্রহ করে এবং গোপনে আর্থিক লেনদেন করতে থাকে।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, ম্যালওয়্যারটি ইনস্টল হওয়ার পরপর নিজস্ব আইকনটি লুকিয়ে ফেলে এবং গুগল প্লে প্রোটেক্টের মতো নিরাপত্তা সেবা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ব্যবহারকারীর পক্ষে ম্যালওয়্যারটির উপস্থিতি শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া এই ম্যালওয়্যার একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর (কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার) সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই কাঠামোর মাধ্যমে অপরাধীরা দূর থেকে একসঙ্গে বহু স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে জিম্পেরিয়ামের প্রধান বিজ্ঞানী নিকোলাস কিয়ারাভিগ্লিও সতর্ক করে বলেন, সরকারি বা ব্যাংকের পরিচয়ে পাঠানো ভুয়া এপিকে ফাইল ডাউনলোডের মাধ্যমে অনেক ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ছেন। এখনো অনেকে প্লে স্টোরের বাইরের অ্যাপ ডাউনলোডের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন নন।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এই ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষিত থাকতে কিছু জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, অপরিচিত কোনো লিংক থেকে অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা বা এপিকে ফাইল ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া সবসময় গুগল প্লে প্রোটেক্ট চালু রাখা এবং মোবাইলে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনের অনুমতি সীমিত রাখা উচিত। পাশাপাশি ফোনে থাকা অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে কোনটি খুদে বার্তা, কল লগ বা গ্যালারির তথ্য ব্যবহারে অনুমতি নিয়েছে, তা সতর্কভাবে খতিয়ে দেখারও তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

/আবরার জাহিন

ফটোশপ শেখাবে অ্যাডোবির নতুন এআই এজেন্ট

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০২ পিএম
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
ফটোশপ শেখাবে  অ্যাডোবির নতুন এআই এজেন্ট
ছবিঃসংগৃহীত।

বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান অ্যাডোবি তাদের ফ্ল্যাগশিপ অ্যাপ্লিকেশন ফটোশপের ব্যবহার আরও সহজ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-নির্ভর নতুন এজেন্ট নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘অ্যাডোবি ম্যাক্স’ ইভেন্টে এই অত্যাধুনিক টুলটির উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একাধিক ধাপে সম্পাদন করতে হয় এমন কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ এআই এজেন্ট করতে পারে, যা ব্যবহারকারীদের ফটোশপের জটিল কাজগুলো সহজ করে দেবে।

নতুন ডিজাইন করা ফটোশপের অ্যাকশন প্যানেল থেকে এই টুল ব্যবহার করা যাবে। যারা আগে এআই চ্যাটবট ব্যবহার করেছেন, তাদের জন্য এই ইন্টারফেস বেশ পরিচিত হবে। এখানে একটি টেক্সট বক্স থাকবে, যেখানে ব্যবহারকারী লিখে জানাতে পারবেন কী করতে চান। এ ছাড়া কিছু প্রম্পটের তালিকাও সেখানে দেওয়া থাকবে। ব্যবহারকারী যখন এন্টার চাপবেন, তখন টুলটি কাজটি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধাপ প্রদর্শন করবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে।

অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের দেখানো ডেমোতে দেখা যায়, টুলটি প্রথমে টেক্সটের ওপর একটি রঙের গ্রেডিয়েন্ট প্রয়োগ করে এবং পরে ব্যাকগ্রাউন্ডেও একই কাজ করে। এমন আরও নানা ধরনের কাজ এই এআই এখন করতে সক্ষম বলে জানিয়েছে অ্যাডোবি।

একই অনুষ্ঠানে অ্যাডোবি তাদের ‘ফায়ারফ্লাই’ অ্যাপের একটি নতুন সংস্করণও উন্মোচন করেছে। এই অ্যাপ অ্যাডোবির সব ছবি, ভিডিও, অডিও এবং ভেক্টর জেনারেশন টুলকে একটি সহজলভ্য প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে। নতুন ডিজাইনের ফায়ারফ্লাই ইতোমধ্যে ওয়েবে ব্যবহার করা যাচ্ছে। এটি শিগগিরই অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে আসতে চলেছে।

ইমেজ জেনারেশনের ক্ষেত্রে অ্যাডোবি দুটি নিজস্ব এআই সিস্টেম নিয়ে এসেছে। এগুলো হলো ফায়ারফ্লাই ইমেজ মডেল ৪ এবং ফায়ারফ্লাই ইমেজ মডেল ৪ আলট্রা। এগুলো ২কে রেজল্যুশনের ছবি তৈরি করতে পারে, যা প্রিন্ট করার জন্য উপযুক্ত। অ্যাডোবি দাবি করেছে, এই মডেলগুলো মানুষের চেহারা ও অভিব্যক্তি নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে। এই মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কপিরাইটমুক্ত তথ্যের ওপর, তাই বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারেও ঝুঁকি নেই।

অ্যাডোবি জানিয়েছে, ‘এক প্ল্যাটফর্মে ছবি, ভিডিও, অডিও ও ভেক্টর সুবিধা এবং সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ থাকায় ফায়ারফ্লাই পেশাদারদের আরও দক্ষভাবে কাজ করতে সহায়তা করছে। এটি ফটোশপ, প্রিমিয়ার প্রো, এক্সপ্রেসসহ অ্যাডোবির অন্যান্য অ্যাপে একীভূত হয়ে কাজ করে।’

প্রথমবারের মতো ফায়ারফ্লাই অ্যাপে তৃতীয় পক্ষের মডেলও ব্যবহার করা যাবে। গুগলের ইমেজেন ৩ ও ভিও ২ এবং ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি ইমেজ জেনারেশন মডেল যুক্ত হয়েছে ফায়ারফ্লাইয়ে। ভবিষ্যতে আরও মডেল যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাডোবির সঙ্গে অংশীদারত্বে থাকা এসব কোম্পানি নিশ্চিত করেছে, ব্যবহারকারীদের ডেটা তারা তাদের এআই মডেল প্রশিক্ষণে ব্যবহার করবে না।

/ফারজানা ফাহমি

২ হাজার কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ লক্ষ্য মাস্কের এক্সএআইয়ের

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
২ হাজার কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ লক্ষ্য মাস্কের এক্সএআইয়ের
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক স্টার্টআপ ও সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এর সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান ‘এক্সএআই হোল্ডিংস’ বড় অঙ্কের তহবিল সংগ্রহের পথে হাঁটছে। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি ডলার সংগ্রহ করার আলোচনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল শুক্রবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিনিয়োগের মাধ্যমে এক্সএআই হোল্ডিংসের বাজারমূল্য ১২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদিও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির চূড়ান্ত মূল্য এবং অন্যান্য শর্তাবলি নির্ধারণ করা হয়নি। এমনকি বিনিয়োগের পরিমাণ ২ হাজার কোটি ডলারের চেয়েও বেশি হতে পারে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে এক্সএআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া মেলেনি।

গত মাসে এক্সএআই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স অধিগ্রহণ করেছে। ওই চুক্তিতে প্ল্যাটফর্মটির মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এর মাধ্যমে মাস্কের এআই স্টার্টআপের শেয়ার মূল্য সহবিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

/আবরার জাহিন

জেমিনাইয়ের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১০ পিএম
জেমিনাইয়ের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি
জেমিনাইয়ের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি। ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল সম্প্রতি এক আদালতের শুনানিতে তাদের এআই চ্যাটবট ‘জেমিনাই’-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রকাশ করেছে। তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত জেমিনাইয়ের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি। যদিও এই সংখ্যা চ্যাটজিপিটি এবং এমনকি মেটা এআইয়ের চেয়েও কম।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ইনফরমেশন-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রথম উঠে আসে। গুগলের বিরুদ্ধে চলমান একটি অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার শুনানিতে জেমিনাইয়ের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা সংক্রান্ত একটি স্লাইড উপস্থাপন করা হয়। সেই স্লাইড থেকে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী জেমিনাইয়ের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি এবং দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ।

এই সংখ্যা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নির্দেশ করে। আদালতে গুগলের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে জেমিনাইয়ের মাসিক ব্যবহারকারী ছিল প্রায় ৯ কোটি এবং দৈনিক প্রায় ৯ লাখ। তবে এই অগ্রগতি সত্ত্বেও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে গুগল এখনও পিছিয়ে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ যখন যুক্তি দিচ্ছে, গুগলকে যেন তাদের সার্চ ব্যবসার আধিপত্য এআই খাতে বিস্তার করতে দেওয়া না হয়, তখন গুগল এই পরিসংখ্যানগুলো উপস্থাপন করে। তবে এটা স্পষ্ট যে বর্তমানে এআই খাতে প্রতিযোগিতায় গুগল কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেটার এআই-ভিত্তিক সেবা ‘মেটা এআই’-এর মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ কোটি বলে জানিয়েছে টেকক্রাঞ্চ। অন্যদিকে ওপেনএআই সম্প্রতি জানিয়েছে, তাদের এআই চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’-এর সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে।

যদিও বিভিন্ন কোম্পানি ব্যবহারকারীর সংখ্যা গণনার ক্ষেত্রে ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকতে পারে, তবে এই তথ্য ইঙ্গিত দেয়, ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে গুগল ওপেনএআইয়ের থেকে বেশ পিছিয়ে আছে। তবে গুগল তাদের গুগল ডকস ও জিমেইলের মতো সেবাগুলোতে জেমিনাইয়ের অন্তর্ভুক্তিকে এই গণনায় ধরেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি।

/আবরার জাহিন

থ্রেডসে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞাপন সম্প্রসারণ করছে মেটা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
থ্রেডসে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞাপন সম্প্রসারণ করছে মেটা
এবার বিশ্বব্যাপী ৩০টিরও বেশি দেশে থ্রেডস ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জায়ান্ট মেটা তাদের নতুন প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসে বিজ্ঞাপন সম্প্রসারণের ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে প্রাথমিক পরীক্ষা চালানোর পর, এবার বিশ্বব্যাপী ৩০টিরও বেশি দেশে থ্রেডস ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সীমিত পরিসরে এই বিজ্ঞাপন পরীক্ষার শুরু করে মেটা। তখন কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের ফিডে দেখানো হচ্ছিল। তার আগে প্রায় দেড় বছর ধরে থ্রেডস সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপনমুক্ত ছিল। তবে মেটা আগেই জানিয়েছিল, তারা এই প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন চালুর পরিকল্পনা করছে।

বর্তমানে থ্রেডসের ৩০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ এখন থেকে থ্রেডস ব্যবহারের সময় বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। তবে এই পদক্ষেপ থ্রেডসের স্থিতিশীল বৃদ্ধিতে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা, তা দেখার বিষয়।

কোন কোন দেশে এই বিজ্ঞাপন চালু হচ্ছে, তা স্পষ্ট করেনি মেটা। তবে জানানো হয়েছে, এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। ফলে সময়ের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের পরিমাণ বাড়তেও পারে।

ব্যবহারকারীদের ফিডে বন্ধু কিংবা ফলো করা ব্যক্তির পোস্টের মাঝে স্থান পাবে এসব বিজ্ঞাপন। মেটা জানিয়েছে, এখন থেকে থ্রেডসের বিজ্ঞাপন বৈশ্বিকভাবে তাদের সব বিজ্ঞাপনদাতার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর ফলে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপনও ব্যবহারকারীদের সামনে আসবে।

/আবরার জাহিন