ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
English

বিশ্বের প্রথম রোবট বক্সিংয়ের আসর বসছে চীনে

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১২ পিএম
বিশ্বের প্রথম রোবট বক্সিংয়ের আসর বসছে চীনে
বিশ্বের প্রথম রোবট বক্সিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চীনে। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের প্রথম রোবট বক্সিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চীনে। দেশটির হ্যাংজু-ভিত্তিক রোবোটিক্স প্রতিষ্ঠান ইউনিট্রি এই ব্যতিক্রমী প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। আগামী মাসে এই লড়াইয়ে দুটি শিশু আকারের হিউম্যানয়েড রোবট ‘আয়রন ফিস্ট কিং’ খেতাবের জন্য একে অপরের মুখোমুখি হবে। পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

ইউনিট্রির প্রচারিত এক ভিডিওতে ‘ইউনিট্রি জি১’ নামের রোবটকে একজন মানুষের সঙ্গে মুষ্টিযুদ্ধ করতে দেখা যায়, যার ১ দশমিক ৩২ মিটার উচ্চতা। রোবটটিকে দক্ষতার সঙ্গে প্রতিপক্ষের আঘাত এড়িয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, এই রোবট বিশেষ মোশন-ক্যাপচার ট্রেনিং সিস্টেমে সজ্জিত, যা পেশাদার মানের পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে এবং নতুন নতুন কৌশল শিখতে পারে। 

ভিডিওতে রোবটের ঘুষি মারতে, লাথি দিতে ও ভারী আঘাতের পর দ্রুত সাড়া দিতে দেখা গেলেও এর গতি মানুষের তুলনায় বেশ ধীর ছিল।

এই রোবট বক্সিং প্রতিযোগিতাটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন কিছুদিন আগে বেইজিংয়ে বিশ্বের প্রথম হিউম্যানয়েড রোবটদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ কিলোমিটারের ম্যারাথনে সেই দৌড়ে অংশ নেয় ২১টি রোবট, যার মধ্যে মাত্র ছয়টি নির্ধারিত দূরত্ব অতিক্রম করে। সেই ম্যারাথনে ইউনিট্রির একটি জি১ রোবটও অনানুষ্ঠানিকভাবে অংশ নেয়। ম্যারাথনের শুরুর দিকে পড়ে গিয়ে আলোচনায় জন্ম দেয়।

চলতি বছর ইউনিট্রিসহ চীনের ছয়টি রোবট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হিউম্যানয়েড রোবটের ব্যাপক উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে শিল্প খাতে ব্যবহৃত রোবটের দিক থেকে চীন বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ফরচুন বিজনেস ইনসাইটসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটির শিল্প রোবট বাজারের মূল্য ছিল ৬০০ কোটি ডলারের বেশি। অন্যদিকে গ্লোবালডেটার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী রোবোটিক্স শিল্পের বাজার ২০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যেখানে হিউম্যানয়েড রোবট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চীনের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও বয়স্কদের সেবা কিংবা গৃহস্থালির কাজে সক্ষম হিউম্যানয়েড রোবট প্রদর্শন করেছে। তবে এই প্রথম শিশু আকৃতির রোবটের মুষ্টিযুদ্ধের মতো ব্যতিক্রমী আয়োজন হতে যাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতা প্রযুক্তিবিশ্বে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং রোবোটিক্সের ভবিষ্যৎ বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষায় ভাইরাস স্ক্যান

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষায় ভাইরাস স্ক্যান
ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তির এই যুগে সাইবার হুমকি দিন দিন বাড়ছে। ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা ফিশিং আক্রমণে ব্যক্তিগত তথ্য, অর্থ ডিভাইস মারাত্মকভাবে ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তবে সচেতনতা নিয়মিত ভাইরাস স্ক্যানের মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

কেন ভাইরাস স্ক্যান জরুরি?

বিশ্বখ্যাত সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি জানিয়েছে, নিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিয়মিত ভাইরাস স্ক্যান করলে ডিভাইস নিরাপদ রাখা যায়। এটি শুধু সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষিত রাখে না, বরং ডিভাইসের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন অ্যান্টিভাইরাসের কাজের ধরন ভিন্ন হতে পারে। তবে ভাইরাস স্ক্যানার সাধারণত পরিচিত ম্যালওয়্যার তাদের সংশ্লিষ্ট কোড শনাক্ত করে। এমনকি কিছু উন্নত অ্যান্টিভাইরাস সন্দেহজনক আচরণও চিহ্নিত করতে সক্ষম। ক্ষতিকর প্রোগ্রাম শনাক্ত হলে সফটওয়্যারটি ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে।

ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণ কী?

ভাইরাসে আক্রান্ত ডিভাইসে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে ডিভাইসের গতি ধীর হয়ে যাওয়া, ফাইল হারিয়ে যাওয়া বা স্টোরেজ ঘাটতি, আপনার অজান্তে -মেইল বা বার্তা পাঠানো, ব্রাউজারের হোমপেজ বা সেটিংস পরিবর্তন, অপ্রত্যাশিত পপ-আপ উইন্ডো দেখা, অ্যাপ ক্র্যাশ বা ঘন ঘন ত্রুটি দেখা দেওয়া। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ভাইরাস স্ক্যান করা উচিত।

বিনামূল্যের ভাইরাস স্ক্যানার কি নিরাপদ?

অনেক বিনামূল্যের ভাইরাস স্ক্যানার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ আকারে পাওয়া যায়। তবে সব টুল নিরাপদ নয়। অনেক ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধীরা ভুয়া স্ক্যানার তৈরি করে, যা আসলে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দেয়। তাই স্ক্যানার ব্যবহারে সতর্ক থাকা জরুরি। বিনামূল্যে স্ক্যানিং টুল ব্যবহার করলে সুপরিচিত কোনো সাইবার নিরাপত্তা ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করাই ভালো। অ্যাপ স্টোর বা ব্রাউজারে ভালো রিভিউ, স্পষ্ট প্রাইভেসি পলিসি এইচটিটিপিএসদিয়ে শুরু হওয়া ওয়েবসাইট বেছে নিন। ট্রায়াল সংস্করণ ব্যবহার করাও এক ভালো উপায়। এতে কিছুটা প্রিমিয়াম সুবিধা পাওয়া যায়।

একাধিক ডিভাইস সুরক্ষায় সমন্বিত সমাধান

কম্পিউটার, স্মার্টফোন ট্যাবলেটসহ সবকিছু আলাদাভাবে সুরক্ষিত রাখা ঝামেলার হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান দিতে কিছু নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্লাউডভিত্তিক সমন্বিত সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সব ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ সুরক্ষিত রাখা যায়।

অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্বাচন

ভাইরাস স্ক্যানের বাইরে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্বাচন করার সময় কিছু ফিচার বিবেচনা করা যেতে পারে। এগুলো হলো- রিয়েলটাইম প্রোটেকশন, ডিভাইসের পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব, ফায়ারওয়াল, ভিপিএন, আইডেন্টিটি প্রোটেকশন সহজ ইন্টারফেস।

স্ক্যান প্রক্রিয়া

ভাইরাস পরীক্ষা করার প্রক্রিয়াটি ডিভাইসের ধরন এবং এর অপারেটিং সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত ভাইরাস স্ক্যানার সিস্টেমের ফাইল অ্যাপগুলো পরীক্ষা করার জন্য একটিস্ক্যানবাটন প্রদর্শন করে।স্ক্যানবাটনে ক্লিক করে ভাইরাস পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। স্ক্যান শেষে টুলটি একটি ফলাফল দেখাবে। প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সফটওয়্যারটির নির্দেশনা অনুসরণ করা। এরপর স্ক্যানারের দেওয়া তথ্য দেখে সন্দেহজনক ফাইলটি ডিলিট করে দিতে পারেন। এরপর আরেকবার স্ক্যান করুন, যেন কোনো ধরনের ভাইরাস আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়।

মেটা ও এক্সবক্স যৌথভাবে আনছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
মেটা ও এক্সবক্স যৌথভাবে আনছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রযুক্তিতে নিজেদের ভিন্নভাবে প্রকাশ করতে যাচ্ছে এক্সবক্স। ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফটের গেমিং প্ল্যাটফর্ম এক্সবক্স মূলত গেমিং কনসোল হিসেবেই পরিচিত। তবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রযুক্তিতে নিজেদের ভিন্নভাবে প্রকাশ করতে যাচ্ছে এক্সবক্স। সম্প্রতি এটি আসুসের তৈরি গেমিং হ্যান্ডহেল্ডে এসেছে। খুব শিগগিরই এটি ভিআর হেডসেট হিসেবেও বাজারে আসতে পারে, যার নাম হতে পারে ‘এক্সবক্স কোয়েস্ট থ্রিএস’।

জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ফাঁস হওয়া এক ছবিতে দেখা গেছে, কালো রঙের এক্সবক্স ব্র্যান্ডযুক্ত একটি ‘মেটা কোয়েস্ট ৩এস’ হেডসেট।

সম্ভাব্য ফিচার ও দাম
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন হেডসেটটি হবে ‘মেটা কোয়েস্ট ৩এস’-এর বেস মডেলের অনুরূপ। এতে থাকবে ১২৮ গিগাবাইট স্টোরেজ, সঙ্গে এক্সবক্স ওয়্যারলেস কন্ট্রোলার, মেটা কোয়েস্ট অ্যাকসেস এবং তিন মাসের এক্সবক্স গেম পাস সাবস্ক্রিপশন।

এখনো পর্যন্ত মাইক্রোসফট বা মেটা কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিভাইসটির ঘোষণা দেয়নি। তবে ২০২৪ সালে প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে জানানো হয়েছিল, দুই প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে এক্সবক্স-অনুপ্রাণিত সীমিত সংস্করণের মেটা কোয়েস্ট তৈরি করতে কাজ করছে।

গেম স্যান্ডউইচের তথ্য অনুযায়ী, হেডসেটটির মূল্য ধরা হতে পারে ৩৯৯ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৮ হাজার ৮৫০ টাকা। এটি বাজারে আসতে পারে ২৪ জুন। যদিও এটি এখনো নিশ্চিত নয়।

এই ডিভাইস মূলত এক্সবক্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে পরিচিত এবং ভিআর গেমিংয়ে নতুনভাবে আগ্রহীদের জন্য বাজারে আনা হচ্ছে। যারা ইতোমধ্যে কোয়েস্ট থ্রিএস ব্যবহার করছেন, তাদের জন্য এটি নতুন কিছু নয়। তবে যারা এক্সবক্স ও ভিআর একসঙ্গে ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য এটি আকর্ষণীয় হতে পারে।

এর আগে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা আসুসের সঙ্গে যৌথভাবে ‘আরওজি অ্যালাই’ নামে গেমিং ডিভাইস এনেছে এক্সবক্স। এটি ছিল অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হার্ডওয়্যারে মাইক্রোসফটের অংশীদারত্বের একটি ইঙ্গিত। নতুন ভিআর হেডসেট সেই ধারাবাহিকতার সম্প্রসারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ভিআর দুনিয়ায় এক্সবক্সের উপস্থিতি প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে নতুন কৌতূহল তৈরি করেছে।

বাংলাদেশে গুগল পে চালু: ডিজিটাল লেনদেনে নতুন দিগন্ত

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
বাংলাদেশে গুগল পে চালু: ডিজিটাল লেনদেনে নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল ওয়ালেট। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল ওয়ালেট’, যা ‘গুগল পে’ নামে পরিচিত। গুগল, মাস্টারকার্ড এবং ভিসার যৌথ সহযোগিতায় সিটি ব্যাংক পিএলসি এই অত্যাধুনিক ডিজিটাল লেনদেন সেবাটি চালু করেছে। এর ফলে এখন থেকে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা তাঁদের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড গুগল ওয়ালেটে যুক্ত করে দ্রুত, নিরাপদ ও স্পর্শবিহীন পেমেন্টের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গুগল পে-এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবস ও সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মাসরুর আরেফিন, গুগল পেমেন্টসের গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার শাম্মী কুদ্দুস, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও ভিসা বাংলাদেশের প্রধান সাব্বির আহমেদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আর্থিক সেবা আরও ডিজিটাল করতে আমরা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। লেনদেন ডিজিটাল হলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। এতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নিশ্চয়তার পাশাপাশি নগদ অর্থবিহীন সমাজ গড়ে ওঠে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গুগল পে ব্যবহারকারীরা এখন থেকে দেশে ও বিদেশে এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) সক্ষম পস টার্মিনালে শুধু তাঁদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন স্পর্শ করেই সহজে ও ঝামেলাহীনভাবে লেনদেন করতে পারবেন। গুগল পে-তে ব্যবহৃত উন্নত এনক্রিপশন প্রযুক্তি গ্রাহকের তথ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে গ্রাহকের হাতে থাকা স্মার্টফোনই একটি ডিজিটাল ওয়ালেটে রূপান্তরিত হবে, যার ফলে তাঁদের আলাদা করে প্লাস্টিক কার্ড বহনের প্রয়োজন হবে না। আকাশপথে ভ্রমণ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কেনাকাটা কিংবা সিনেমা দেখা সব ধরনের লেনদেন এখন মুঠোফোনে সম্ভব হবে।

সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘প্রকৃত অর্থেই ডিজিটালি আর্থিক লেনদেন করতে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় আমরা যুক্ত হলাম। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে এটি একটি বড় ভূমিকা রাখবে।’

জিমেইল ব্যবহারকারীদের জন্য গুগলের নতুন নিরাপত্তা নির্দেশনা

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
জিমেইল ব্যবহারকারীদের জন্য গুগলের নতুন নিরাপত্তা নির্দেশনা
জিমেইল ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। ছবি: সংগৃহীত

জিমেইল ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। প্রতিষ্ঠানটি জিমেইলের জন্য নিরাপত্তাবিষয়ক নতুন নিয়ম চালু করেছে। গুগল সতর্ক করে জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন নির্দেশনা অনুসরণ না করলে জিমেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ সীমিত হতে পারে বা অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

গুগলের তথ্যমতে, ইমেইল সেবাকে আরও সুরক্ষিত করতে নতুন কিছু আপডেট চালু করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক। অনেক ব্যবহারকারী ইতোমধ্যে গুগলের পক্ষ থেকে ইমেইল ও লগইন স্ক্রিনে সতর্কবার্তা পেয়েছেন। এসব বার্তায় ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সময়মতো নির্দেশনা না মানলে অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকার হারাবেন ব্যবহারকারীরা।

গুগল আরও জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো স্প্যাম, ফিশিং ও ভুয়া ইমেইলের মতো সাইবার হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক সন্দেহজনক মেইল প্রতিরোধ করা হলেও, সাইবার অপরাধীদের প্রতারণার কৌশল দিন দিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। তাই নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও কঠোর ও সর্বজনীন করা হচ্ছে। এ কারণে ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর তথ্য হালনাগাদ করতে হবে।

লগইন পদ্ধতি হালনাগাদ
এখন লগইনের জন্য শুধু ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড যথেষ্ট নয়। এর পরিবর্তে ‘ওঅথ ২.০’ নামের টোকেনভিত্তিক নিরাপদ লগইন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। গুগল জানিয়েছে, বেশিরভাগ আধুনিক অ্যাপ ইতোমধ্যেই এই পদ্ধতিকে সমর্থন করে।

রিকভারি তথ্য হালনাগাদ
বিকল্প ইমেইল ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর হালনাগাদ থাকলে অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার অনেক সহজ হয়। তাই ব্যবহারকারীদের অবশ্যই রিকভারি তথ্য হালনাগাদ করতে হবে।

টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন
ব্যবহারকারীদের গুগল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা ট্যাব থেকে ‘টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন’ চালু করতে হবে। এটি এসএমএস, অথেনটিকেটর অ্যাপ বা ফিজিক্যাল সিকিউরিটি কী-এর মাধ্যমে কার্যকর করা যাবে।

/আবরার জাহিন

মিডজার্নিতে এবার এআই ভিডিও তৈরির সুবিধা

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
মিডজার্নিতে এবার এআই ভিডিও তৈরির সুবিধা
ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক ছবি তৈরির জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম মিডজার্নি এবার যুক্ত করেছে এআই ভিডিও তৈরির নতুন ফিচার। এই প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভিডিও জেনারেশন মডেল উন্মুক্ত করেছে।

ব্যবহারকারীরা মিডজার্নিতে তৈরি করা ছবি ব্যবহার করে অ্যানিমেটেড ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এ ছাড়া অন্য উৎস থেকেও ছবি আপলোড করে ভিডিও তৈরি করা যাবে। প্রাথমিকভাবে ৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ তৈরি হবে, যা ব্যবহারকারী চাইলে ৪ সেকেন্ড করে ৪ বার বাড়াতে পারবেন। আপাতত শুধু ওয়েব সংস্করণে এই ফিচার চালু হয়েছে। ফিচারটি ব্যবহার করতে হলে মাসিক ন্যূনতম ১০ ডলারের সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন হবে।

এআই-জেনারেটেড স্থিরচিত্র তৈরির ক্ষেত্রে মিডজার্নির পরিচিতি থাকলেও ভিডিও তৈরির দৌড়ে প্রতিষ্ঠানটি কিছুটা পিছিয়ে ছিল। ইতোমধ্যে গুগল, ওপেনএআই ও অ্যাডোবির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো টেক্সট-টু-ভিডিও সেবা চালু করেছে। গুগলের সর্বশেষ আই/ও সম্মেলনে এআই-জেনারেটেড ভিডিওর জন্য ‘ভিও ৩’ মডেল ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য ‘ফ্লো’ নামের একটি টুল প্রদর্শন করেছে। গত বছর ওপেনএআই প্রকাশ করে টেক্সট-টু-ভিডিও মডেল ‘সোরা’। অ্যাডোবির সম্প্রতি প্রকাশিত ফায়ারফ্লাই ভিডিও মডেল ছবি বা টেক্সট প্রম্পট থেকে ভিডিও তৈরি করতে পারে।

তবে ভিডিও ফিচার যুক্ত করার ঘোষণার পরপরই বিতর্কে জড়িয়েছে মিডজার্নি। অনেক শিল্পী অভিযোগ করেছেন, মিডজার্নির এআই মডেল প্রশিক্ষণে তাদের কনটেন্ট অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই এআই ভিডিও জেনারেশন মডেল ঘোষণার পরপরই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। সম্প্রতি ডিজনি এবং এনবিসিইউনিভার্সাল কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে মিডজার্নির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, মিডজার্নি তাদের এআই মডেল প্রশিক্ষণের জন্য অনুমতি ছাড়াই কনটেন্ট ব্যবহার করেছে।

যেকোনো এআই টুলের মতো এখানেও প্রযুক্তির অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মিডজার্নি ব্যবহারকারীদের প্রতি দায়িত্বশীলভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই-ভিত্তিক ভিডিও তৈরি প্রযুক্তির বাজারে প্রতিযোগিতা দিন দিন তীব্র হচ্ছে। যেখানে প্রযুক্তির অগ্রগতি যেমন স্পষ্ট, তেমনি এর আইনি ও নৈতিক দিক নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে।

/আবরার জাহিন