ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

মেটা ও এক্সবক্স যৌথভাবে আনছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
মেটা ও এক্সবক্স যৌথভাবে আনছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রযুক্তিতে নিজেদের ভিন্নভাবে প্রকাশ করতে যাচ্ছে এক্সবক্স। ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফটের গেমিং প্ল্যাটফর্ম এক্সবক্স মূলত গেমিং কনসোল হিসেবেই পরিচিত। তবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রযুক্তিতে নিজেদের ভিন্নভাবে প্রকাশ করতে যাচ্ছে এক্সবক্স। সম্প্রতি এটি আসুসের তৈরি গেমিং হ্যান্ডহেল্ডে এসেছে। খুব শিগগিরই এটি ভিআর হেডসেট হিসেবেও বাজারে আসতে পারে, যার নাম হতে পারে ‘এক্সবক্স কোয়েস্ট থ্রিএস’।

জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ফাঁস হওয়া এক ছবিতে দেখা গেছে, কালো রঙের এক্সবক্স ব্র্যান্ডযুক্ত একটি ‘মেটা কোয়েস্ট ৩এস’ হেডসেট।

সম্ভাব্য ফিচার ও দাম
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন হেডসেটটি হবে ‘মেটা কোয়েস্ট ৩এস’-এর বেস মডেলের অনুরূপ। এতে থাকবে ১২৮ গিগাবাইট স্টোরেজ, সঙ্গে এক্সবক্স ওয়্যারলেস কন্ট্রোলার, মেটা কোয়েস্ট অ্যাকসেস এবং তিন মাসের এক্সবক্স গেম পাস সাবস্ক্রিপশন।

এখনো পর্যন্ত মাইক্রোসফট বা মেটা কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিভাইসটির ঘোষণা দেয়নি। তবে ২০২৪ সালে প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে জানানো হয়েছিল, দুই প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে এক্সবক্স-অনুপ্রাণিত সীমিত সংস্করণের মেটা কোয়েস্ট তৈরি করতে কাজ করছে।

গেম স্যান্ডউইচের তথ্য অনুযায়ী, হেডসেটটির মূল্য ধরা হতে পারে ৩৯৯ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৮ হাজার ৮৫০ টাকা। এটি বাজারে আসতে পারে ২৪ জুন। যদিও এটি এখনো নিশ্চিত নয়।

এই ডিভাইস মূলত এক্সবক্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে পরিচিত এবং ভিআর গেমিংয়ে নতুনভাবে আগ্রহীদের জন্য বাজারে আনা হচ্ছে। যারা ইতোমধ্যে কোয়েস্ট থ্রিএস ব্যবহার করছেন, তাদের জন্য এটি নতুন কিছু নয়। তবে যারা এক্সবক্স ও ভিআর একসঙ্গে ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য এটি আকর্ষণীয় হতে পারে।

এর আগে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা আসুসের সঙ্গে যৌথভাবে ‘আরওজি অ্যালাই’ নামে গেমিং ডিভাইস এনেছে এক্সবক্স। এটি ছিল অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হার্ডওয়্যারে মাইক্রোসফটের অংশীদারত্বের একটি ইঙ্গিত। নতুন ভিআর হেডসেট সেই ধারাবাহিকতার সম্প্রসারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ভিআর দুনিয়ায় এক্সবক্সের উপস্থিতি প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে নতুন কৌতূহল তৈরি করেছে।

ইউটিউবে পুরোনো ভিডিও থেকে আর আয় নয়

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
ইউটিউবে পুরোনো ভিডিও থেকে আর আয় নয়
ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে অনেকেই মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করা হয়, যার অনেকগুলোতে দেখা যায় মিলিয়নেরও বেশি ভিউ।

এই ভিউ থেকেই মূলত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় হয়। তবে এবার ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নতুন একটি নিয়ম নিয়ে এসেছে, যা অনেকের জন্য দুঃসংবাদ হতে পারে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইউটিউবাররা আর আগের মতো তাদের পুরোনো ভিডিও পুনরায় আপলোড করে আয় করতে পারবেন না।

এই নিয়মটি আজ থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল ইউটিউব? এর পেছনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। মূলত যারা ইউটিউবে সৎভাবে ভালো কনটেন্ট তৈরি করছেন, তাদের সুরক্ষা দিতেই এবং প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে ইউটিউব।

সম্প্রতি দেখা গেছে, অনেক ইউটিউবার তাদের আগের ভিডিওগুলো বারবার আপলোড করে অনৈতিকভাবে আয় করছেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ অন্য ইউটিউবারদের ভিডিও কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ভিডিও নিজেদের চ্যানেলে আপলোড করে টাকা রোজগার করছেন।

এই ধরনের অনিয়ম রুখতেই ইউটিউব এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে যেমন প্ল্যাটফর্মটির গ্রহণযোগ্যতা ও গুরুত্ব বাড়বে, তেমনি সৎ কনটেন্ট নির্মাতারা লাভবান হবেন।

ইউটিউব জানিয়েছে, ‘ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম’ সব সময়ই কনটেন্ট নির্মাতাদের নিজস্ব তৈরি ভিডিও আপলোড করার আহ্বান জানিয়ে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি সেই নীতিমালার লঙ্ঘন বাড়ছে। তাই আজ থেকে আপলোড হওয়া প্রতিটি ভিডিও পর্যালোচনা করা হবে এবং তার ভিত্তিতেই আয় নির্ধারণ করা হবে। এতে মূল কনটেন্ট নির্মাতারা যেমন ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবেন, তেমনি অন্যের কনটেন্ট চুরি করে যারা এতদিন আয় করছিলেন, তাদের সেই পথ বন্ধ হয়ে যাবে।

দুবাইয়ে চালু হচ্ছে বিশ্বের প্রথম এআই শেফের রেস্তোরাঁ

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৩০ এএম
দুবাইয়ে চালু হচ্ছে বিশ্বের প্রথম এআই শেফের রেস্তোরাঁ
দুবাইয়ে চালু হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম এআই চালিত শেফের রেস্তোরাঁ। ছবি: সংগৃহীত

আসছে সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে চালু হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত শেফের রেস্তোরাঁ। ‘ডাইনিং ইন দ্য ফিউচার’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাওয়া এই রেস্তোরাঁর নাম ‘উহু’। বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফার কাছে অবস্থিত এই রেস্তোরাঁয় অন্দরসজ্জা থেকে শুরু করে মেনু ও সেবার পরিকল্পনা করবে ‘শেফ আইমান’ নামের একটি এআই মডেল।

যদিও খাবার তৈরির চূড়ান্ত কাজটি আপাতত মানুষের হাতেই থাকছে, তবে পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হবে এআইয়ের নির্দেশনায়। রেস্তোরাঁটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আহমেত ওয়তুন চাকির জানান, ‘এআই’ ও ‘ম্যান’ শব্দ দুটি মিলিয়ে এআই মডেলটির নাম রাখা হয়েছে ‘আইমান’। কয়েক দশকের খাদ্যবিজ্ঞান গবেষণা, বিভিন্ন খাবারের আণবিক গঠন ও বিশ্বের হাজারেরও বেশি রান্নার রেসিপির ডেটা দিয়ে এই এআইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সাধারণ শেফদের মতো স্বাদ বা গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা শেফ আইমানের নেই। এটি খাবারের গঠন, অম্লতা বা উমামি স্বাদের মতো বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করে নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করে। এর পর অভিজ্ঞ রাঁধুনিরা সেই ধারণাগুলো বাস্তবে রূপ দেন এবং স্বাদ পরীক্ষা করে এআইকে আরও নিখুঁত করতে সহায়তা করেন। এ প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করছেন দুবাইয়ের প্রখ্যাত রাঁধুনি রেইফ ওথমান।

চাকির বলেন, ‘মানব রাঁধুনিদের বিকল্প হিসেবে নয়, বরং তাদের সৃজনশীলতা ও ভাবনার পরিধি বাড়াতে আইমানকে তৈরি করা হয়েছে।’

এই এআই এমনভাবে রেসিপি তৈরি করতে পারে, যাতে রেস্তোরাঁয় ফেলে দেওয়া মাংসের ছাঁট বা চর্বির মতো উপাদানগুলোও ব্যবহার করা যায়। দীর্ঘমেয়াদে এই প্রযুক্তি বিশ্বের অন্যান্য রেস্তোরাঁয় লাইসেন্সের মাধ্যমে সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা খাবারের অপচয় কমাতে ও টেকসই রান্নাব্যবস্থা গড়তে সাহায্য করবে।

রান্নাঘরে রোবট বা এআইয়ের ব্যবহার অবশ্য নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কনজিউমার ইলেকট্রনিকস শো (সিইএস ২০২৪)-এ ককটেল তৈরির মেশিন থেকে শুরু করে মানুষের অনুকরণে কফি বানাতে সক্ষম রোবট বারিস্তাও প্রদর্শন করা হয়েছে।

মানুষের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে নতুন ধরনের রন্ধন অভিজ্ঞতা তৈরি করতে চান শেফ আইমানের উদ্যোক্তারা। এখন দেখার বিষয়, বাস্তবে এআই শেফ মানুষের স্বাদ-রুচি কতটা সন্তুষ্ট করতে পারে।

ওয়ানপ্লাসের নতুন স্মার্টফোন ও আইওটি ডিভাইস

ওয়ানপ্লাসের নতুন স্মার্টফোন ও আইওটি ডিভাইস
ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের নর্ড সিরিজের দুটি নতুন স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের নর্ড সিরিজের দুটি নতুন স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। ৯ জুলাই এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ‘ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫’ ও ‘ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই ৫’ স্মার্টফোন দুটি উন্মোচন করে।

নতুন নর্ড ৫ মডেলে রয়েছে কোয়ালকমের সর্বাধুনিক স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন থ্রি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম, যা নর্ড সিরিজে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রসেসর হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে নর্ড সিই ৫ মডেলে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮৩৫০-অ্যাপেক্স চিপসেট, যা দ্রুতগতির পারফরম্যান্স ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির সুবিধা দেবে।

ওয়ানপ্লাসের প্রতিষ্ঠাতা পিট লাউ বলেন, ‘ওয়ানপ্লাস নর্ড সিরিজে আমরা সাধারণ কিন্তু আকর্ষণীয় ডিজাইনের সঙ্গে উচ্চমানের প্রযুক্তির সমন্বয় করেছি। এ কারণে আমরা বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের ভালোবাসা পেয়েছি। বিভিন্ন দামের ফোনে উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করে আমরা প্রযুক্তিকে আরও সহজলভ্য করে তুলছি। আমাদের বিশ্বাস, নতুন নর্ড ৫ সিরিজ ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে।’
গেমচেঞ্জিং পারফরম্যান্স নিয়ে নর্ড ৫

নর্ড সিরিজের প্রথম স্মার্টফোন ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫, যাতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮ সিরিজের চিপ ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন থ্রি’, যা শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও গতিশীল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। ৪ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির চিপসেটটির সঙ্গে রয়েছে দ্রুতগতির এলপিডিডিআর৫এক্স র‍্যাম। এজন্য গেমিং, ভিডিও দেখা কিংবা মাল্টিটাস্কিংয়ে মিলবে মসৃণ অভিজ্ঞতা।

ডিভাইসটিতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন এলিট গেমিং সুবিধা। এ ছাড়া রয়েছে উন্নত গ্রাফিক্স প্রযুক্তি ও তাৎক্ষণিক আলো-ছায়া বিশ্লেষণের সক্ষমতা। পাবজি মোবাইল খেলা যাবে ৯০ এফপিএস গতিতে, যা বাড়ানো যাবে ১৪৪ পর্যন্ত। একইভাবে কল অব ডিউটি মোবাইলেও মিলবে সর্বোচ্চ ১৪৪ এফপিএস গতি।
সর্বাধুনিক ক্রায়ো-ভেলোসিটি ভিসি কুলিং প্রযুক্তির সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে ফ্ল্যাগশিপ মানের গ্রাফিন স্তর। ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চগতির ব্যবহারেও ডিভাইসটি থাকে ঠান্ডা, পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটে না।

নর্ড ৫-এর এআই নাইট পোর্ট্রেট প্রযুক্তি সোলো সেলফি ও প্রাণবন্ত রাতের গ্রুপ ফটোতে এনে দেবে ফ্ল্যাগশিপ মানের উজ্জ্বল ছবি। ফোনটির ক্যামেরায় আরও থাকছে রিচ এইচডিআর, বাস্তবসম্মত আলো ও স্বাভাবিক স্কিন টোন। নাইট লাইফের আলোর ঝলকানিতেও ছবি থাকবে ঝকঝকে কারণ এতে রয়েছে ওয়ানপ্লাসের এইচডিআর ও ন্যাচারাল কালার অ্যালগরিদম এবং ৫০ মেগাপিক্সেল সনি এলওয়াইটি-৭০০ মেইন সেন্সর।

ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই ৫-এ রয়েছে মিডিয়াটেকের ডাইমেনসিটি ৮৩৫০-অ্যাপেক্স চিপসেট, যা ৪ ন্যানোমিটার টিএসএমসি প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে রয়েছে শক্তিশালী আর্ম ভি৯ অক্টা-কোর প্রসেসর, যার গতি সর্বোচ্চ ৩.৩৫ গিগাহার্জ এবং মালি-জি৬১৫ গ্রাফিক্স প্রসেসর। দ্রুতগতির এলপিডিডিআর৫এক্স র‍্যামের সমন্বয়ে নর্ড সিই ৫ অ্যান্টুটু বেঞ্চমার্কে ১৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছে। ফলে গ্রাফিক্স প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতায় ৬০ শতাংশ উন্নতি ও ৫৫ শতাংশ পাওয়ার সাশ্রয় করে।

ব্যাটারি
নর্ড ৫-এ থাকছে ৬৮০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি, যা একবার চার্জে দুই দিন পর্যন্ত চলতে পারে। আর নর্ড সিই ৫ মডেলে রয়েছে আরও বড় ৭১০০ এমএএইচের ব্যাটারি এবং ৮০ ওয়াটের সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং সুবিধা। ফোনটি মাত্র ৫৬ মিনিটেই সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়। ‘ব্যাটারি হেলথ ম্যাজিক’ ও ‘বাইপাস চার্জিং’ প্রযুক্তির সাহায্যে ফোনগুলো স্মার্টভাবে শক্তি ব্যয় করে, তাপ কমায় এবং দীর্ঘ সময় গেমিং ও কাজের ব্যাকআপ দেয়। এতে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমে নতুন সংযোজন
নর্ড ৫ সিরিজের পাশাপাশি ওয়ানপ্লাস তাদের ইকোসিস্টেমে যুক্ত করেছে নতুন ডিভাইস ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৩, ওয়ানপ্লাস বাডস ৪ ও শক্তিশালী ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩।

ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৩-এ ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক ওয়্যার ওএস ৫ অপারেটিং সিস্টেম। এটিতে পাওয়ার সেভার মোডে ১৬ দিন পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। ৬০ সেকেন্ডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সুবিধায় ৬টি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক সূচক পরিমাপ করা যায়। টাইটানিয়াম ডিজাইন ও দুটি শক্তিশালী চিপসেটের সমন্বয়ে এতে রয়েছে শতাধিক স্পোর্টস মোড, যা ব্যবহারকারীর ফিটনেস ট্র্যাকিংকে করে আরও উন্নত ও নির্ভরযোগ্য।

ওয়ানপ্লাস বাডস ৪-এ পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৪৫ ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর রিয়েল-টাইম ভাষান্তর ফিচার ও সহজ স্লাইড ইশারাভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এছাড়া ব্লুটুথ সংযোগে স্থিতিশীলতার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে স্টেডি কানেক্ট প্রযুক্তি। একই সঙ্গে দুটি ডিভাইসে সংযোগের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা মসৃণ ও স্মার্ট অডিও অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩-এ ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ চিপসেট, ১৩.২ ইঞ্চির ৩.৪কে ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট ১৪৪ হার্টজ। সঙ্গে রয়েছে স্টাইলো পেন ও তিনভাঁজ ফোলিও কভার, যা ব্যবহারকে আরও আরামদায়ক করে তোলে এবং ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি বাজারে এসেছে প্যাড লাইট ও ওয়্যারলেস হেডফোন।

দাম ও কবে পাওয়া যাবে
বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫ ফাইভজি ও নর্ড সিই ৫ ফাইভজি আগামী ১৬ জুলাই থেকে অনলাইনে দারাজ, পিকাবু, ডলবেয়ার, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার-এ এবং একই সঙ্গে অফলাইনে পাওয়া যাবে। ‘মার্বেল স্যান্ড’ ও ‘প্যান্টম গ্রে’ রঙে নর্ড ৫ পাওয়া যাবে ৫৩ হাজার ৯৯৯ টাকায়, যার র‍্যাম ১২ জিবি ও স্টোরেজ ৫১২ জিবি। ‘মার্বেল মিস্ট’ ও ‘ব্ল্যাক ইনফিনিটি’ রঙে নর্ড সিই ৫ পাওয়া যাবে ৩৫ হাজার ৯৯৯ টাকায়, যার র‍্যাম ৮ জিবি ও স্টোরেজ ২৫৬ জিবি।

ডিভাইসগুলো ৯ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রি-অর্ডার করা যাবে। প্রি-অর্ডারের জন্য থাকছে এক বছরের ডিসপ্লে রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। র‍্যাফেল ড্র-তে পুরস্কার হিসেবে থাকছে একটি কিনলে আরেকটি জেতার সুযোগ অথবা প্রিমিয়াম ব্যাক কাভার।

ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩ পাওয়া যাচ্ছে র‍্যাম ১২ জিবি ও স্টোরেজ ২৫৬ জিবি সংস্করণে, যার দাম পড়বে ৭৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। এটি ‘ফ্রস্টেড সিলভার’ ও ‘গ্রে’ রঙে পাওয়া যাবে। আর ‘স্টর্ম ব্লু’ রঙে র‍্যাম ১৬ জিবি ও স্টোরেজ ৫১২ জিবি সংস্করণ পাওয়া যাচ্ছে ৭৮ হাজার ৯৯৯ টাকায়। প্যাড লাইট পাওয়া যাচ্ছে ২৯ হাজার ৪৯৯ টাকায়। পাশাপাশি ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৩ পাওয়া যাচ্ছে ৩৩ হাজার ৯৯৯ টাকায় এবং ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৪৩ এমএম পাওয়া যাচ্ছে ৩০ হাজার ৪৯৯ টাকায়। ওয়ানপ্লাস বাডস ৪ দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে ৯ হাজার ৯৯৯ টাকায়। ওয়ানপ্লাসের সব আইওটি ডিভাইসে এক বছরের ওয়ারেন্টি থাকছে।

/আবরার জাহিন

৫৭ লাখ বিমানযাত্রীর তথ্য কিশোর হ্যাকারদের হাতে

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
৫৭ লাখ বিমানযাত্রীর তথ্য কিশোর হ্যাকারদের হাতে
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ান বিমান সংস্থা কান্তাস বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। আর এই সাইবার হামলায় জড়িত হ্যাকাররা বয়সে কিশোর। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫৭ লাখ যাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে। এই হ্যাকার দলটি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত রিটেইল চেইন ‘মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার’ (এমঅ্যান্ডএস)- এ হামলা চালায়।

কান্তাস জানায়, ফিলিপাইনের ম্যানিলাভিত্তিক একটি থার্ডপার্টি কলসেন্টার হ্যাক করার মাধ্যমে হ্যাকাররা যাত্রীদের তথ্য সংগ্রহ করে। চুরি হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে ফোন নম্বর, ইমেইল আইডি, বাড়ির ঠিকানা, জন্মতারিখ ও লিঙ্গ পরিচয়। কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের পছন্দের খাবারের তথ্যও চুরি হয়েছে।

তবে প্রতিষ্ঠানটি আশ্বস্ত করেছে, যাত্রীদের পেমেন্ট কার্ড বা পাসপোর্টের কোনো তথ্য হ্যাকারদের হাতে যায়নি। এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া তথ্যগুলো হ্যাকাররা প্রকাশ করেনি বলেও জানায় তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানায়, ‘স্ক্যাটারড স্পাইডার’ নামে পরিচিত এই হ্যাকার গ্রুপের সদস্যদের বেশিরভাগ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কিশোর। তারা সম্প্রতি বিভিন্ন এয়ারলাইনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এর আগে তারা টেলিকম, ব্যাংক, গেমিং, হোটেল ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালিয়েছে।

কান্তাসের প্রধান নির্বাহী ভেনেসা হাডসন বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক যাত্রীর তথ্য যাচাই করে দ্রুত জানানো।’

তিনি আরও জানান, যাত্রীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে বেশ কিছু নতুন সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

এদিকে এই হামলার ঘটনায় যুক্তরাজ্যে স্ক্যাটারড স্পাইডার গ্রুপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল, অর্থপাচার ও কম্পিউটার আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার আনছে ওপেনএআই

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার আনছে ওপেনএআই
ওয়েব ব্রাউজার আনতে যাচ্ছে ওপেনএআই। ছবি: সংগৃহীত

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এবার নিজেদের ওয়েব ব্রাউজার আনতে যাচ্ছে। প্রযুক্তিবিশ্বে গুগলের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ব্রাউজারটি উন্মোচন করা হতে পারে।

এই ওয়েব ব্রাউজারের মূল আকর্ষণ হবে বিল্ট-ইন চ্যাটজিপিটি। অর্থাৎ ব্যবহারকারীরা ব্রাউজ করার সময়ে এআইয়ের সাহায্য নিতে পারবেন। ওপেনএআই মূলত ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নিজেদের সেবাকে আরও গভীরভাবে যুক্ত করতে চায়। এই ব্রাউজার সেই কৌশলের একটি অংশ।

গুগল তাদের ক্রোম ব্রাউজারের মাধ্যমে যেভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য সেবা উন্নত করে।  ধারণা করা হচ্ছে, ওপেনএআইও একই পথে হাঁটতে পারে। ব্রাউজারটিতে ‘এজেন্টিক এআই’ সুবিধা থাকবে, যা ব্যবহারকারীর হয়ে বিভিন্ন কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করে দেবে। যেমন- ব্যবহারকারীর পক্ষে ফ্লাইট বা হোটেল বুকিং সম্পন্ন করা। ব্যবহারকারীর ব্রাউজিং ডেটার সরাসরি নাগাল পেলে এজেন্টিক এআইয়ের এ ধরনের কাজ করা আরও সহজ হবে।

তবে এর একটি সম্ভাব্য নেতিবাচক দিকও রয়েছে। ব্রাউজারটি ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাঠানোর পরিবর্তে নিজস্ব চ্যাটবট ইন্টারফেসের মধ্যেই ধরে রাখতে উৎসাহিত করবে। গুগলের ‘এআই ওভারভিউ’ ফিচারের মতো এটিও মূল ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক কমিয়ে দিতে পারে। এর ফলে যেসব ওয়েবসাইটের তথ্যের ওপর নির্ভর করে চ্যাটজিপিটির মতো এআই মডেলগুলো চলে, সেসব ওয়েবসাইট আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

অবশ্য এজেন্টিক এআই ফিচারযুক্ত ব্রাউজার আনার ক্ষেত্রে ওপেনএআই প্রথম নয়। সম্প্রতি পারপ্লেক্সিটি নামের আরেকটি এআই নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘কমেট’ নামে তাদের নিজস্ব ব্রাউজার এনেছে। এ ছাড়া অপেরা ব্রাউজারও গত মে মাসে তাদের ‘এজেন্টিক’ সংস্করণ প্রকাশ করেছে।

ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটির প্রায় ৫০ কোটি সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে, যাদের কাছে খুব সহজে নতুন ব্রাউজারটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। তবে তাদের আসল লড়াইটা হবে গুগল ক্রোমের সঙ্গে, যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ৩০০ কোটিরও বেশি।
মজার বিষয় হলো, ওপেনএআইয়ের এই ব্রাউজারটিও গুগলের ওপেন-সোর্স প্ল্যাটফর্ম ‘ক্রোমিয়াম’-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হচ্ছে। গুগল ক্রোম, মাইক্রোসফট এজ ও অপেরার মতো জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোও ক্রোমিয়ামভিত্তিক।

/আবরার জাহিন