
মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ‘মেটা সুপার ইন্টেলিজেন্স ল্যাব’ নামে নতুন একটি গবেষণাকেন্দ্র চালু করেছে মেটা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, এই ল্যাবের মাধ্যমে এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) তৈরি করা হবে, যা মানব বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতারও ঊর্ধ্বে কাজ করতে পারবে।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় সেবা পরিচালনাকারী মেটা বর্তমানে সব প্ল্যাটফর্মে এআই ব্যবহারের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এর ধারাবাহিকতায় এই সুপার ইন্টেলিজেন্স ল্যাব চালু করার সিদ্ধান্ত এল।
মেটার এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কারণ, মেটা সম্প্রতি চ্যাটজিপিটি নির্মাতা এআই প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ গবেষককে নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে। ওপেনএআই প্রধান স্যাম অল্টম্যান দাবি করেছেন, চ্যাটজিপিটির কর্মীদের ১০ কোটি ডলার পর্যন্ত প্রস্তাব দিয়েছেন জাকারবার্গ। ইতোমধ্যে শুচাও বি, হুইওয়েন চ্যাং, জি লিন, হংইউ রেন, জিয়াহুই ইউ ও শেংজিয়া ঝাও-সহ বেশ কয়েকজন ওপেনএআই ও গুগলের সাবেক গবেষক মেটায় যোগ দিয়েছেন।
গত ৩০ জুন কর্মীদের উদ্দেশে পাঠানো এক বার্তায় জাকারবার্গ বলেন, নতুন এই ল্যাবের গবেষকরা ভবিষ্যতে ‘পার্সোনাল সুপার ইন্টেলিজেন্স’ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এআই অগ্রগতির গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুপার ইন্টেলিজেন্সের বিকাশ এখন দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, এটি মানবজাতির জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।
জাকারবার্গ আরও দাবি করেন, মেটা বিশ্বকে সুপার ইন্টেলিজেন্স সরবরাহের জন্য অনন্যভাবে অবস্থান করছে। অন্যান্য গবেষণাগারের তুলনায় মেটা অধিকতর কম্পিউটিং শক্তি ও বিশালসংখ্যক ব্যবহারকারীনির্ভর অভিজ্ঞতার কারণে এই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছে। নতুন এই ল্যাবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেটার প্রধান এআই কর্মকর্তা আলেক্সান্ডার ওয়াং। তিনি এর আগে ‘স্কেলএআই’ নামের একটি স্টার্টআপ পরিচালনা করেছেন, যেখানে মেটা ১ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।
জাকারবার্গ আশা করছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে মেটা সুপার ইন্টেলিজেন্স উন্নয়নে শীর্ষ সীমায় পৌঁছাতে পারবে। মেটার বিভিন্ন অ্যাপে ব্যবহৃত লামা এআই মডেলগুলোকেও আরও উন্নত করতে কাজ করবে এই ল্যাব।