
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা টিনএজার হিসেবে পরিচিত কানাডিয়ান টিনএজার অলিভার রিউক্স। ৭ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার অলিভার ২০২১ সালে উচ্চতায় সবচেয়ে দীর্ঘ টিনএজার হিসেবে নাম লেখান গিনেজ ওয়ার্লড বুকস রেকর্ডে। শিগগিরই সবচেয়ে লম্বা কলেজ বাস্কেটবল প্লেয়ার হিসেবেও রেকর্ড করতে যাচ্ছেন এই বাস্কেটবল খেলোয়াড়।
অলিভার রিউক্সের জন্ম ২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কানাডার কুইবেক স্টেটের টেরেবোন শহরে। তিনি বর্তমানে পড়াশোনা করছেন আমেরিকার ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি তিনি একজন নিবেদিত বাস্কেটবল প্লেয়ার। পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা টিনএজার হিসেবে কলেজে জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ অলিভার। তাই বাসা থেকে কলেজ কিংবা বাস্কেটবল প্রাঙ্গণে পৌঁছানোর সময় কোনো কোনোদিন পথচারী ও বন্ধুরা অলিভারের ছবি দিলেন শত শত। তবে সবগুলো ছবিই হয় উল্লম্ব চিত্র। কেননা সমতল বা আনুভূমিক অন্য কোনো ফ্রেমেই ধরা যায় না অলিভারের উচ্চতাকে। তবে ছবি তোলার এই ঘটনায় মোটেই বিচলিত হন না ১৯ বছর বয়সী এই কিশোর। এর কারণ হিসেবে পারিবারিকভাবেই তিনি পরিচিত এই জনপ্রিয়তার সঙ্গে। কেননা অলিভারের পরিবারের বাবা, মা ও ভাইও উচ্চতায় বেশ লম্বা। পরিবারের সবাই একসঙ্গে বের হলে বরাবরই পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেন তারা।
অলিভার তার এই উচ্চতাকে কাজে লাগিয়েছেন বাস্কেটবল খেলোয়াড় হিসেবে। ছোটবেলা থেকেই এই খেলায় অলিভারের ছিল আলাদা আগ্রহ। কানাডিয়ান প্লেয়ার হিসেবে ২০২১ সালে অলিভার এফআইবিএ অনূর্ধ্ব ১৬ প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক জয়ী হন। ২০২৪ সালে আর্জেন্টিনায় ফিবা অনূর্ধ্ব ১৮ আমেরিকা কাপে অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয়বারের মতো ব্রোঞ্জ পদক জয়ী হন। কলেজ পর্যায়ের ক্রীড়া সংগঠন সাউথইস্টার্ন কনফারেন্সের একজন নিয়মিত বাস্কেটবল প্লেয়ার অলিভার। বর্তমানে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজিয়েট পর্যায়ে বাস্কেটবল প্লেয়ার হিসেবে খেলছেন তিনি। শিগগিরই কলেজ পর্যায়ে সবচেয়ে লম্বা বাস্কেটবল প্লেয়ারের রেকর্ডটিও যাবে অলিভারের ঝুলিতে তার অপেক্ষায় রয়েছেন খেলাপ্রেমী ভক্ত-অনুরাগীরা। তবে ক্রীড়া জগতে অন্যতম জনপ্রিয় লিগ ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ)। অলিভারের স্বপ্ন এনবিএ লিগে নিজের নাম লেখানো। এই লিগের সবচেয়ে লম্বা সাবেক খেলোয়াড়দের চেয়েও অলিভার এখন পাঁচ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা। ২০২৮ সালের সম্ভাবনাময় এনবিএ বাস্কেটবল প্লেয়ার হিসেবেও রয়েছে অলিভারের নাম।
নিজের ব্যতিক্রমী উচ্চতা নিয়ে এই টিনএজারের রয়েছে মিশ্র অনুভূতি। অনেকটা আনন্দ নিয়েই অলিভার জানান, অন্যান্য মানুষের তুলনায় উচ্চতা বেশি হওয়ায় দূরের যেকোনো কিছুও তিনি সহজে দেখতে পান। অন্যদের চেয়ে দেখার দৃষ্টিকোণটাও তাই আলাদা। তা ছাড়া নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে মিশতে ভালোবাসেন অলিভার। উচ্চতার কারণে পৃথিবীর যে প্রান্তেই তিনি যান না কেন সবার নজরে পড়েন। তখন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব পাতাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে এই উচ্চতা। তবে অনেকটা মজার ছলেই বলেন, আমার উচ্চতার আশপাশে লম্বা এমন কিশোর হয়তো কম আছে। অতিরিক্ত উচ্চতার জন্য দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে এবং পোশাক নির্বাচনে বেশ বেগ পোহাতে হয় তাকে। তবে তার এই উচ্চতাকে অহংকার কিংবা উপদ্রব হিসেবে দেখতে নারাজ এই কিশোর। বরং শারীরিক বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে ইতিবাচক কাজে ভূমিকা রেখে যেতে চান তিনি।