
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দারিদ্র্য ও জীবন-জীবিকা পরিসংখ্যান (পিএলএস) সেল কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’-এর রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানটি গত ৩০ জানুয়ারি তারিখ বেলা ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিআইসিসিইয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিমোন লসন পার্চমেন্ট ও বিশ্বব্যাংকের হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (বাংলাদেশ ও ভুটান) বিভাগের অ্যাক্টিং অপারেশনস ম্যানেজার ও প্রোগ্রাম লিডার এস. আমের আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, জাতিসংঘ ও উন্নয়ন সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণায় বিবিএস ও এসআইডির কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিবিএসের উপমহাপরিচালক মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম। বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২ রিপোর্ট বিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করেন বিবিএসের দারিদ্র্য ও জীবন-জীবিকা পরিসংখ্যান (পিএলএস) সেলের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’ কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে জানান, বিবিএস প্রণীত এই তথ্য-উপাত্ত সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক অবদান রাখবে।
বিবিএস ১৯৭৩ সাল থেকে খানার আয় ও ব্যয় জরিপ থেকে দারিদ্র্য পরিমাপ করে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এর ১৭তম রাউন্ড পরিচালিত হয়।এই জরিপে জাতীয় ও বিভাগ পর্যায়ের তথ্য উপাত্ত উঠে এসেছে।
খানার আয় ও ব্যয় জরিপসহ জনশুমারি ও গৃহগণনার উপর ভিত্তি করে স্মল এরিয়া এস্টিমেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশের সব জেলা ও উপজেলার দারিদ্র্যহার প্রাক্কলন করে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দারিদ্র্য মানচিত্র প্রণয়ণ করা হয়। এই রিপোর্টে দারিদ্র্য ও অতি দারিদ্র্য প্রবণ অঞ্চলসমূহ মানচিত্রে উপস্থাপন করা হয়।
দারিদ্র্য মানচিত্র প্রণয়ণে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও বিশ্ব ব্যাংককে সঙ্গে নিয়ে ২০০০ সাল থেকে কাজ করছে বিবিএস। ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’ প্রণয়নে বিশ্ব ব্যাংক কারিগরি সহযোগিতা ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) আর্থিক সহযোগিতা করছে। এই ধারাবাহিকতায় প্রকাশনাটি যৌথভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিভিন্ন নীতি গ্রহণে সরকারসহ বিভিন্ন পক্ষের জন্য দারিদ্র্য পরিসংখ্যানের উপাত্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ও জনশুমারির উপাত্তের উপর ভিত্তি করে জেলা ও উপজেলার দারিদ্র্য হার প্রাক্কলন করা হয়। দারিদ্র্য পরিসংখ্যান সংক্রান্ত বিশ্ব ব্যাংক প্রেরিত গাইডলাইন ব্যবহার করে এই প্রাক্কলন করা হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে নীতি ও কর্মসূচির নকশা ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে এই রিপোর্ট সহায়তা করে।