ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

‘নদী-আকাশ-শক্তি’ শীর্ষক হাওর ক্যাম্পেইন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
‘নদী-আকাশ-শক্তি’ শীর্ষক হাওর ক্যাম্পেইন
ছবি: খবরের কাগজ

‘পরিষ্কার নদী, স্বচ্ছ আকাশ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি’ শীর্ষক হাওর ক্যাম্পেইন করেছে তিনটি পরিবেশাবাদী সংগঠন। ‘হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি’ (হাউস), ‘ক্লিন’ ও ‘বিডাব্লিউজিইডি’ এই ক্যাম্পেইন করে। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতীরের নবীনগরে এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিবেশবাদী সংগঠন, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনগণ অংশ নেয়। ক্যাম্পেইনের মূল থিম নদী-আকাশ-শক্তির প্রকাশের মধ্য দিয়ে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে তুলে ধরে হয়। ক্যাম্পেইনটি অনুষ্ঠিত হয় সুনামগঞ্জের পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার প্রচারের উদ্দেশে।

হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরীর শুভ ক্যাম্পেইনে নেতৃত্ব দেন। পরিবেশবাদী সংগঠনের মাহিন চৌধুরী, ফারুক আহমদ, কামাল উদ্দিন, সুরঞ্জন বর্মন, শাওন আহমদ, জুবায়ের আহমদ, নোবেল আহমদ, রাব্বী হোসেন অংশ নেন। ক্যাম্পেইন চলাকালে আলোচনা সভাও হয়। এতে বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব তুলে ধরে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।

ক্যাম্পেইনে বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের সমস্যা বাড়ছে। নদী, আকাশ, বনভূমির মতো প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। যা মানুষের জীবনযাত্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই সমস্যা সমাধানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন সোলার, বায়ু এবং জলবিদ্যুৎ শক্তি একটি নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে। নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করলে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে। ফলে বায়ু ও জলদূষণ যেমন কমবে, তেমনি পৃথিবীর তাপমাত্রাও স্থিতিশীল হবে। এছাড়া, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার জনগণের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে এবং গ্রামীণ জনগণের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সহায়ক হবে।

ক্যাম্পেইনে বক্তারা সুনামগঞ্জের স্থানীয় জনগণকে আশ্বস্ত করেন যে, নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে তারা নিজেদের জীবনযাত্রা উন্নত করতে পারবে। পরিবেশকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারবে। তারা বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখি, একদিন সুনামগঞ্জের প্রতিটি ঘরে নবায়নযোগ্য শক্তি পৌঁছাবে এবং এ অঞ্চলের নদী, আকাশ পরিষ্কার থাকবে।’

ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনগণ এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার এবং এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ পান বলে জানিয়েছেন। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান।

মাহফুজ

 

রাজশাহীতে গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
রাজশাহীতে গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর একটি ভাড়া বাসা থেকে হেলেনা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা রেললাইনের পাশের বস্তির ওই বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

নিহত হেলেনা আক্তার নগরীর নামো ভদ্রা রেল লাইন সংলগ্ন এলাকার নায়েক আলীর মেয়ে এবং আলমগীর হোসেন ওরফে রয়েলের স্ত্রী। পুলিশ ওই নারীর দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, হেলেনা রয়েলকে দ্বিতীয় বিয়ে করে বস্তির এক কক্ষের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। এই বিয়ের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার চলাচল ছিল না।

এদিকে হেলানাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার মা ও ভাই।

তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে জানান, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোনো এক সময় হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, সকাল ৯টার দিকে বস্তির এক লোক থানায় ফোন করে ঘরে আগুনে পোড়া মরদেহ পড়ে থাকার কথা জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের ঘরে তেমন আসবাবপত্র নেই। মেঝেতেই ঘুমাতেন ওই নারী। আগুনে পুরো শরীর ঝলসে গেছে। পাশে শুধু একটা মশারিতে পোড়া চিহ্ন দেখা গেছে। আর কিছু পোড়েনি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হেলেনার আগের স্বামীর এক ছেলে আছে। সে একটি মাদরাসার আবাসিকে থাকে। দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে হেলেনা একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। যে ঘরে তারা থাকতেন তার পাশের ঘরে আরেক প্রতিবন্ধী নারী থাকেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন আগুন লাগলে হেলেনার চিৎকার করার কথা। এ রকম কোনো চিৎকার তিনি শোনেননি। হেলেনার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। তারা দাবি করছেন হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনার স্বামীকে খুঁজছি। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মনে করা হচ্ছে তিনি পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে নিহত হেলেনার স্বজনেরা যদি হত্যা মামলা করতে চাইলে মামলা নেওয়া হবে। তবে মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে।

মেহেদী/

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা যুবদল নেতা মারা গেছেন

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা যুবদল নেতা মারা গেছেন
নিহত যুবদল নেতা রাশেদ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠন নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত স্থানীয় যুবদল নেতা রাশেদ মাহমুদ চিকিসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মারা গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত করা হলেও শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। রাশেদ হাসান সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক।  

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিলাদুন-নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই স্কুলের কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই উপজেলা বিএনপি সভাপতি পল্লী চিকিৎসক এমএ হান্নান বাটালুর সঙ্গে বিরোধ চলছিল আরেক বিএনপি নেতা নেতা মাজেদুর রহমানে জুয়েলের সমর্থকদের। এ বিরোধের জেরে ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাকুল্লা এলাকায় রাশেদ হাসানের ওপর ১৫/২০ জন হামলা করে। গুরুতর আহত রাশেদ হাসানকে বগুড়ায় শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তিনি মারা যান।

সোনাতলা উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক মো. জিয়াউল হক লিপ্পন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার জন্য মামলা দায়ের করা হবে। রাশেদকে হত্যার ঘটনায় পাকুল্লা ইউনিয়নে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ও কর্মীরা অভিযোগ করে কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার বিষয়টি আগেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবিহিত করা হয় কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বিএনপি এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা দাবি করেন রাশেদ হাসানের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার কোনো অভিযোগ নেই।

হাসিবুর রহমান বিলু/মাহফুজ

 

দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য বৃদ্ধকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য বৃদ্ধকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জেরে একজনকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধা ৭টায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের তালুকদার বাড়িতে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি গ্রাম্য সালিশের দেড় হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে হাবীব তালুকদার (৬০) নামের একবৃদ্ধকে ওই এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাত ১১ টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুনায়েত চৌধুরীসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

ওসি জুনায়েত চৌধুরী জানান, ঘটনার দিন রাতে নিহতের স্ত্রী মাকসুদা বেগম মাসু বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এজহারনামীয় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।  

তিনি আরও বলেন, আজ শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

গ্রেপ্তার এজহারনামীয় ২ নম্বর ও ৯ নম্বর আসামিরা হলেন- উপজেলার নয়ানগর গ্রামের চারু ভূঁইয়ার ছেলে মিজান ফকির (৫০) ও একই এলাকার বাবুল ছয়ালের ছেলে শিপন মিয়া (২৪)।

লিটন সরকার বাদল/মাহফুজ

 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ৪০

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ৪০
গ্রেপ্তারদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। এদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নগর পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় নগরীর ১৬ থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তার ৪০ আসামির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা আছে।

গ্রেপ্তার ৪০ জনের মধ্যে- মো. শাহফাজ মিয়া (৩৪), মো. আবুল কালাম (৫৮), কাজী সালাউদ্দিন লাভলু ওরফে সালাউদ্দিন (২৯), ইসতেশাম আলম দোভাষ ইশরাক (২১), মো. হাবিব উল্লাহ (২৮), মো. রফিকুল ইসলাম (৫৫), ও মো. শাহাদাত হোসেন জুয়েল (৩২) কে কোতোয়ালী থানা পুলিশ, তৌহিদুজ্জামান জয় (৩২), মো. ফারুক (৩৫) কে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ, মো. রবিউল হোসেন (২৬) কে চকবাজার থানা পুলিশ, হারুনুর রশিদ (৪৫), মো. টিটু মাঝী (৪০), তোফাইল আজম তাশকার ওরফে আবিদ (২৪) ও মো. রফিক (৩৫) কে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে ফয়সাল (২১), মো. শাকিল (২২), মো. রুবেল (২০) ও মো. ইব্রাহিম (২০) কে আকবরশাহ থানা পুলিশ, মো. হাবিবুর রহমান মুন্না (৩৮) কে সদরঘাট থানা পুলিশ, মো. হৃদয় (২২), মো. রাব্বি (২৮), বিজ্ঞান কুমার নাথ (৫৬) ও মফিজ (৩২) কে হালিশহর থানা পুলিশ, মো. জাবেদ উদ্দিন (২১) ও মো. রেজাউল করিম (৩১) কে খুলশী থানা পুলিশ এবং আরমান মিয়া (২৭) ও লালন ফকির (২৮) কে ইপিজেড থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

তাছাড়া মো. রবিউল হাসান (১৭), পারভেজ (১৭), মো. ইউসুফ শান্ত (২৫) ও মো. সাদেক (৩৪) কে ডবলমুরিং মডেল থানা পুলিশ, মো. মুন্না (২০ কে পতেঙ্গা মডেল থানা পুলিশ, মো. নুর উদ্দিন (৪০) কে বন্দর থানা পুলিশ। আব্দুল মালেক বাবুল (৬৪), ও গোলজার বেগম রুবি (৫৫) কে পাহাড়তলী থানা পুলিশ, মো. নাছির উদ্দিন (৪০) কে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৮), সালাউদ্দিন রায়হান (২৫) ও মো. জুয়েল রানা (৩৪) কে বাকলিয়া থানা পুলিশ এবং সরোয়ার আলম বাপ্পি(৩৭) কে কর্ণফুলী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মাহফুজ

সাড়ে ৭ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
সাড়ে ৭ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি
নাফ নদী

প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। তবে এ ক্ষেত্রে মানতে হবে পাঁচটি শর্ত।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের সিভিল স্যুট শাখা থেকে জারি করা এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। দীর্ঘদিন পর মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয় জেলেরা। 

জেলা প্রশাসনের পত্রে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্টের জারি করা রুলনিশিতে নাফ নদীতে জেলেদের বৈধভাবে মাছ ধরার কার্যক্রম চালু করতে জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

আরোপিত শর্তগুলো হলো- সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানার অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবে। জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির পাঁচটি নির্ধারিত চেকপোস্টে টোকেন/পরিচয়পত্র দেখাবে এবং মাছ ধরা শেষে ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশী করার ব্যাপারে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে। কোনো জেলে চেকপোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবে না।

কোনোক্রমে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। মৎস্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রদান করা যেতে পারে। যাতে কোনোক্রমে নিবন্ধিত জেলে ব্যতীত কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারে। এই অনুমোদন সম্পূর্ণ সাময়িক। তিন মাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে বিভক্ত করেছে নাফ নদী। মাদকের চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট থেকে নাফ নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।

মো. শাহীন/মাহফুজ