ঢাকা ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আদালতে স্বীকারোক্তি বাস ডিপোতে আগুন দিতে ৪ লাখে চুক্তি

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৪০ এএম
বাস ডিপোতে আগুন দিতে ৪ লাখে চুক্তি
চট্টগ্রামের নতুনপাড়ায় বিআরটিসি বাস ডিপোতে আগুন দেওয়ার জন্য দুই শ্রমিক লীগ নেতার মধ্যে ৪ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিল বলে স্বীকারোক্তি দেন শ্রমিক লীগ নেতা মো. সোহেল। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কের নতুনপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস ডিপোতে আগুন দেওয়ার জন্য দুই শ্রমিক লীগ নেতার মধ্যে ৪ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিল। 

বুধবার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রামে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি দেন শ্রমিক লীগ নেতা মো. সোহেল। ৪ লাখ টাকার চুক্তিতে সোহেলকে এই কাজে নিয়োগ দিয়েছিলেন আরেক শ্রমিক লীগ নেতা দিদারুল আলম। চুক্তি অনুসারে বাস ডিপোতে আগুন দেওয়ায় চারটি বাস পুড়ে যায়। এই কাজের জন্য সোহেল অগ্রিম হিসেবে পান মাত্র ৫০০ টাকা।

গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন মোহাম্মদ জুনায়েদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সোহেল। আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে সোহেল বলেছেন, নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা শ্রমিক লীগ সভাপতি দিদারুল আলমের নির্দেশেই অক্সিজেনের বিআরটিসি বাস ডিপোতে আগুন দেন তিনি। এর আগে গত সোমবার বিআরটিসি বাস ডিপোর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে হাটহাজারী থানা পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরের দিন গ্রেপ্তার করা হয় শ্রমিক লীগ নেতা দিদারুল আলমকে।

বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কের নতুনপাড়ার বিআরটিসি ডিপোতে ৯৬টি সরকারি বাস রয়েছে। গত শনিবার (২১ জুলাই) রাত ১২টার দিকে ডিপোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শেডসংলগ্ন চারটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে একটি বিআরটিসি বাসের ১৬টি আসন এবং আরেকটির ৮টি পুড়ে যায়। বাকি দুটি বাসের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় রবিবার চট্টগ্রাম বিআরটিসি ডিপোর ম্যানেজার মো. জুলফিকার বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খবরের কাগজকে বলেন, ‘ডিপোর সিসি ক্যামেরা পর্যালোচনা করে কালো শার্ট ও লুঙ্গি পরিহিত এক যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। সেই বাসে আগুন দিয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে আমরা তাকে নগরের বায়েজীদ বোস্তামী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। তার বাসস্থান থেকে একটি কালো শার্ট ও লুঙ্গিও জব্দ করা হয়। এগুলো মামলার আলামত হিসেবে কাজে আসবে।’

ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল স্বীকার করেছেন, গত শুক্রবার বিকেলে নতুনপাড়া সিএনজি স্টেশনের সামনে দিদারুল আলম তার সঙ্গে দেখা করেন। একপর্যায়ে তাকে আগুন দেওয়ার চুক্তি করে অগ্রিম ৫০০ টাকা দেন এবং বাকি টাকা অর্থাৎ ৪ লাখ টাকা কাজের পর দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। 

জানা যায়, গ্রেপ্তার দুই শ্রমিক লীগ নেতা দিদারুল ও সোহেলকে গত মঙ্গলবার আদালতে পাঠায় পুলিশ। দিদারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, দিদারুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আছে। ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীর নতুনপাড়া এলাকায় আবদুল হালিম ওরফে রুবেল নামের একজনকে ছুরিকাঘাতে খুন করার অভিযোগে দিদারুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে আছে। বিআরটিসি বাসে সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়ার দ্বন্দ্বে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে জানা গেছে।

এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে। সারা দেশে নির্বিচারে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। অথচ বিআরটিসি বাস ডিপোতে আগুন দিয়েছে শ্রমিক লীগের নেতা। যার তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রামে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
চট্টগ্রামে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার নিজাম উদ্দিন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে দুই ছেলের হাতে খুন হয়েছেন নুরুল হক চৌধুরী (৬৫)। এ ঘটনায় এক ছেলে নিজাম উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর ঘোয়াল বাপের এলাকায় ছেলেদের হাতে নিহত হন বাবা।

বড় উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড। বাবাকে খুন করা দুই ভাই প্রবাসী। কিছুদিন আগে তারা দেশে ফেরেন।

এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় নিহতের স্ত্রী ও দুই ছেলের নামে মামলা করেছেন তার ছোট ভাই মোহাম্মদ বদরুজ্জামান।

বদরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে আমার বড় ভাইকে তার স্ত্রী-সন্তানরা মিলে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

এ ঘটনায় নিজামকে গ্রেপ্তার করা হলেও পালিয়ে আছেন অপর ছেলে মিজানুর রহমান (২৬) ও স্ত্রী লুৎফর নাহার (৫০)।

আবদুস সাত্তার/অমিয়/

গজারিয়ায় কবরস্থানে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
গজারিয়ায় কবরস্থানে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ
ওযুখানায় পড়ে আছে তরুণীর মরদেহ। ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কবরস্থান থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

অজ্ঞাত এই তরুণীর বয়স আনুমানিক ২৫।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটার দিকে মুদারকান্দি ও আড়ালিয়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বুধবার রাতে মারা যাওয়া এক নারীর জন্য কবর খুঁড়তে যান কয়েকজন। এ সময় তারা খেয়াল করেন, কবরস্থানের দক্ষিণ কোনায় অজুখানায় এক তরুণীকে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে। কাপড়চোপড় ও শারীরিক অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে আমরা লাশটি দেখি। সামগ্রিক অবস্থা দেখে যেটা মনে হয়েছে, বুধবার রাতের কোনো এক সময় ওই তরুণীকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তারপর এক বা একাধিক ব্যক্তি তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। তারপর কবরস্থানের অজুখানার বসার জায়গা ও ফ্লোরের সঙ্গে তার মাথা আঘাত করতে করতে থেঁতলে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে ওড়না দিয়ে তার গলা অজুখানার পানির ট্যাপের সঙ্গে বেঁধে রেখে যায়।’

বিষয়টি সম্পর্কে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পুলিশে খবর দিলে তারা লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের আগে ধর্ষণ অথবা দলবদ্ধ ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখব। নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

অমিয়/

উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়ার ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত

কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে ক্যাম্প-৪ ও ক্যাম্প ২০-এ এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

নিহতরা হলেন- রহমত উল্লাহ ও ইমাম হোসেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন। 

নিহত রহমত ক্যাম্প-৪ ও ইমাম হোসেন ক্যাম্প ২০-এর বাসিন্দা। তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তারা কোন গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তা স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘বুধবার ভোরের দিকে পৃথকভাবে ক্যাম্প-৪ ও ক্যাম্প ২০-এ সন্ত্রাসীরা একযোগে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

লুট করা অস্ত্র বিক্রি করতে এসে র্যাবের হাতে আটক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
লুট করা অস্ত্র বিক্রি করতে এসে র্যাবের হাতে আটক
ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লার টমছম ব্রিজ এলাকায় একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও আট রাউন্ড গুলিসহ এক তরুণকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন-১১ (র্যাব)। এই পিস্তলটি রাজধানীর বাড্ডা থানা থেকে লুট হয়েছিল।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর পক্ষে অফিশিয়াল মেইলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে। 

আটক তুহিন আলম কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার খান নগর এলাকার বাসিন্দা। 

র্যাব জানায়, আটকের পর তুহিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করতো। গত ৫ আগস্ট বাড্ডা থানায় আক্রমণ করে দুষ্কৃতকারীরা। থানার ভেতরে থাকা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি লুটপাট ও ধ্বংস করা হয়। সে সেময় থানা থেকে লুট করা একটি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও কার্তুজ তার কাছে রাখে। পরে তা বিক্রির জন্য ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।  

সিপিসি-২ এর উপ-পরিচালক ও কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, পুলিশের অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

জহির শান্ত/জোবাইদা/অমিয়/

দাউদকান্দিতে যুবককে হত্যার পর বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ এএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
দাউদকান্দিতে যুবককে হত্যার পর বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা
হত্যার পর বিচ্ছিন্ন একটি হাত নিয়ে যাচ্ছেন এক যুবক। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মহিউদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর তার একটি বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মহিউদ্দিন ওই গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, শনিবার সকালে ওলানপাড়া মসজিদসংলগ্ন সড়কে দুর্বৃত্তরা মহিউদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে কোপাতে কোপাতে ডান হাতের কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে। পরে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাত নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মহিউদ্দিনকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল নাইমা খবরের কাগজকে বলেন, ‘ডান হাত ও বাম হাতে একাধিক জখম দেখা গেছে। ডান হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ ছাড়াই তাকে হাসাপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসে।’

এদিকে মহিউদ্দিনের বিচ্ছিন্ন হাতের অংশ নিয়ে হেঁটে যাওয়া এক যুবকের ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক হাতে চাপাতি আরেক হাতে মহিউদ্দিনের কাটা হাতের অংশ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এক যুবক।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার গৌরীপুর ও ওলানপাড়া গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে মাদকব্যবসা ও অপরাধীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত। মাদকব্যবসা নিয়ে স্থানীয় একটি গ্রুপের সঙ্গে মহিউদ্দিনের দ্বন্দ্ব চলছিল।

মহিউদ্দিনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। জান্নাত নামে তার এক বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল্লাহ প্রধান খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদকসংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার মহিউদ্দিনের নামে মাদক, মারামারি ও ডাকাতিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ৭-৮টি মামলা রয়েছে।’

জহির শান্ত/ইসরাত চৈতী/অমিয়/