ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

ত্রিমুখী দ্বন্দ্বে কাউন্সিলর টিপু হত্যা, আটক ২

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫২ এএম
ত্রিমুখী দ্বন্দ্বে কাউন্সিলর টিপু হত্যা, আটক ২
গোলাম রব্বানী টিপু

ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের কারণে খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার শিকার হতে পারেন বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আর এই তিন সূত্র ধরে এগোচ্ছে র‌্যাব ও পুলিশ।  

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন হোটেল সি গালের সামনে টিপুকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে টিপুর বোনের স্বামী ইউনূছ আলী শেখ কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। এদিকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে আটক করেছে র‍্যাব-১৫। 

তারা হলেন খুলনার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইফতেখার হাসান চালু এবং কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া এলাকার নুরুল কবির ভুট্টু। টিপু ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। টিপু ও চালু ভালো বন্ধু বলে জানা গেছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের দিন থেকে তারা আত্মগোপনে ছিলেন। 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

র‍্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ইফতেখার ও টিপু কক্সবাজারে আসেন। তারা কক্সবাজার শহরের কলাতলী সড়কের হোটেল গোল্ডেন হিলে ওঠেন। তবে হোটেলের ‘অতিথি লিপিবদ্ধ বই’-এ দেখা গেছে, সকাল ৭টায় ইফতেখার ও টিপুর সঙ্গে রুমি (২৭) নামের এক নারীও হোটেলে ওঠেন। 

হোটেল গোল্ডেন হিলের ম্যানেজার মোহাম্মদ শফিক বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে টিপুসহ তিনজন হোটেল আসেন। টিপু হোটেলটির দুই কক্ষবিশিষ্ট ৭০০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে ওঠেন। একটি কক্ষে টিপু এবং অপরকক্ষে দুজন অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যার পর টিপু হোটেল থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।

র‍্যাব-১৫-এর অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে আসা হোটেলটির অভ্যর্থনা কক্ষের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ওই নারীসহ টিপু হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে হোটেল সি গালের সামনের ফুটপাতে টিপু দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন। রাত ১২টার পর ইফতেখারকে ওই হোটেল থেকে আটক করে র‌্যাব। তবে রুমি পলাতক রয়েছেন।

টিপু হত্যার তিন কারণ

স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন ও আন্ডারওয়ার্ল্ড সম্পৃক্ততা, যা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শরিফুল আনাম ও তার ছেলে আশিকুল আনামসহ একটি পক্ষ গোলাম রব্বানী টিপুর প্রতিপক্ষ প্রার্থী মো. কবির হোসেন কবু মোল্লাকে সমর্থন করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। ৫ আগস্টের পর গোলাম রব্বানী টিপুর বাড়িতে হামলার সঙ্গে এদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া টিপু দৌলতপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহীদকে (৪২) হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০১৫ সালের অক্টোবরে দৌলতপুর খান এ সবুর রোডে ইসলামী ব্যাংকের সামনে শহিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, শহিদুল ইসলাম প্রাইভেট কারযোগে পাবলা চুন্নুর বটতলার নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস তার গাড়ির গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাইক্রোবাসে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তার শরীরের পেছন দিক থেকে গুলি ঢুকে ফুসফুস ভেদ করে চলে যায়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদ দৌলতপুর থানায় দেয়ানা উত্তরপাড়ার গোলাম রব্বানী টিপুসহ ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

২০২২ সালের ৩০ জুন নগরীর মুজগুন্নী এলাকায় জুলকার নাঈম মুন্নাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে জুলকার নাঈম মুজগুন্নী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় দুই দুর্বৃত্ত একটি মোটরসাইকেলে এসে তার মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। 

আরও একটি বিষয়ে নজর দিতে হচ্ছে চরমপন্থি নেতা গাজী কামরুলের সঙ্গে গোলাম রব্বানী টিপুর দ্বন্দ্ব ছিল। গাজী কামরুলের সঙ্গে শহিদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহীদের সম্পৃক্ততা ছিল। হুজি শহীদ নিহত হওয়ার পর গাজী কামরুলের সঙ্গে গোলাম রব্বানী টিপুর দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়।

হোটেলে দুই কাউন্সিলরের সঙ্গে এক তরুণী

হোটেল গোল্ডেন হিলের ‘অতিথি লিপিবদ্ধ বই’-এ দেখা গেছে আটক ইফতেখার, নিহত গোলাম রব্বানী টিপুর সঙ্গে রুমি (২৭) নামের এক নারীও সকাল ৭টায় হোটেলে ওঠেন। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আসা হোটেলটির অভ্যর্থনা কক্ষের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ওই নারীসহ নিহত কাউন্সিলর টিপু হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন হোটেল সি গালের সামনের ফুটপাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানী টিপু। তারপর থেকে রুমি নামে ওই নারী পলাতক।

পুলিশের ধারণা, রুমির বাড়িও খুলনায়। তিনি খুলনা মেডিকেলে পড়াশোনা করছেন। রুমি ছাড়াও একাধিক নারীর সঙ্গে টিপুর যোগাযোগ থাকার তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

২০১৮ সাল থেকে কক্সবাজারে যাতায়াত টিপুর

মামলার বাদী ইউনূছ আলী শেখ বলেন, নিহত গোলাম রাব্বানী টিপু ৮ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বাসে কক্সবাজারে যান। সকাল ৭টার দিকে নেমে হোটেল গোল্ডেন হিলে ওঠেন। পরবর্তী সময়ে তার স্ত্রী নূরজাহান বেগম তাকে (ইউনূছ) রাত ১০টার দিকে জানান, তার ভাই টিপুকে কক্সাবজারে হত্যা করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, কক্সবাজারে টিপুর চিংড়ি হ্যাচারি রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে তিনি এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সেই সুবাদে এখানকার অনেকে তাকে চেনেন। ৫ আগস্ট থেকে এলাকা থেকে সরে গিয়েছিলেন টিপু। তারপর বেশ কয়েকবার বাড়ির সামনে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছিল সন্ত্রাসীরা।

টিপু হত্যায় যে অস্ত্রের ব্যবহার

র‍্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ধারণা, ঘটনাস্থলে পড়েছিল টিপুকে লক্ষ্য করে করা গুলির খোসা। সে খোসা ৯ এমএম ইউএসএর প্যারাবলিয়াম ৯.৯ মিলিমিটার পিস্তলের। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এটি প্রশিক্ষিত কোনো কিলার এ হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে।

কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, ইফতেখারকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সড়কের হোটেল গোল্ডেন হিল থেকে রাত ১২টার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ ছাড়া নুরুল কবির ভুট্টু নামে একজনও হেফাজতে নিয়েছে র‍্যাব। এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।

হরিণাকুণ্ডে স্ত্রীর লাথিতে প্রাণ গেল স্বামীর

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০২ এএম
হরিণাকুণ্ডে স্ত্রীর লাথিতে প্রাণ গেল স্বামীর
ছবি : খবরের কাগজ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রানা মণ্ডল (৩০) নামে এক যুবক স্ত্রীর লাথিতে নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফলসী ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রানা ওই গ্রামের মঈন উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
 
নিহতের মা জানান, রানা এ তার স্ত্রী শম্পা খাতুনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লাথি মারলে ঘরের মেঝেতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, শম্পা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

মাহফুজুর রহমান/জোবাইদা/

স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মসমর্পণ!

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৪ এএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৯ এএম
স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মসমর্পণ!
ছবি : খবরের কাগজ

বরগুনায় স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুলকে কুপিয়ে হত্যা করার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী আবুল কালাম।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বরগুনা পৌরসভার বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

আত্মসমর্পণকারী আবুল কালাম বরগুনা শহরে গ্যাস সিলন্ডার ও জালানি তেলের ব্যবসা করতেন। তিনি বরগুনা শহরের শহীদ স্মৃতি সড়কের আব্দুল করিমের ছেলে। আবুল কালামের স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুল বরগুনার চান্দখালীর বকুলতলীর মো. ইউনুসের মেয়ে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে আবুল কালাম ও আসমা আক্তার পুতুলের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাগানবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া আসেন তারা। সেখানেও তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। এর জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুতুলকে কুপিয়ে হত্যার করে বরগুনা সদর থানার এসে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী আবুল কালাম। পরে তাকে নিয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

পুতুল ও আবুল কালাম দম্পতির সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে রাকা মনি বলে, আমার বাবা ও মায়ের মধ্যে স্বর্ণালংকার বানানোর টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। কয়েকবার তাদের মধ্যে মারামারিও হয়। আমার বাবা দুপুরে আমাকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু একটা মিশিয়ে খাওয়ালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছোট ভাই কান্না করছে, আর মা রক্তাক্ত অবস্থায় পাশের রুমে পড়ে আছে। 

এ বিষয় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, 'স্ত্রীকে হত্যা করে আবুল কালাম নামের একজন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা জানতে তদন্ত চলমান রয়েছে। আত্মসমর্পণকারী আবুল কালামকে সোমবার আদালতে উঠনো হবে।'

মহিউদ্দিন অপু/জোবাইদা/

দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য হত্যা

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য হত্যা
কুমিল্লা

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাত্র দেড় হাজার টাকার জেরে হাবীব তালুকদার (৬০) নামে একজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের তালুকদার বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

এজহারনামীয় আসামিরা হলেন উপজেলার নয়ানগর গ্রামের চারু ভূঁইয়ার ছেলে মিজান ফকির (৫০) এবং একই এলাকার বাবুল ছয়ালের ছেলে শিপন মিয়া (২৪)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি গ্রাম্য সালিশে দেড় হাজার টাকা ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে হাবীব তালুকদার নামের এক বৃদ্ধকে ওই এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতকারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে নিহতের স্ত্রী মাকসুদা বেগম মাসু বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এজহারনামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (গতকাল) দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।’

দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জনি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জনি গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর লালবাগ এলাকায় দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি মো. জনিকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)।

গতকাল শনিবার র‌্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১টার দিকে আসামি মো. জনি (৩১) ও তার ৬-৭ জন সহযোগী ওই বাড়ির কেয়ারটেকারকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশির নাম করে ভিকটিমের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে। তল্লাশিকালে কোনো কিছু না পেয়ে জনিসহ অপর আসামিরা ভিকটিমকে তার নিজ কক্ষে এবং বান্ধবীকে রান্না ঘরে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। 

তাপস কর্মকার বলেন, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গত শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ রোডে অভিযান চালিয়ে জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

শেরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ এএম
শেরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শেরপুর

শেরপুরে ধানের চাতালে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করায় এক যুবককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহত হাবিবুর রহমান লেমন তালুকদার (৩৪), শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লার ধানচাল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা তালুকদারের ছেলে। তিনি বাবার রাইস মিলের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।

নিহতের পরিবার, অভিযোগের কপি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে দিঘারপাড় মহল্লায় হাবিবুর রহমান লেমনের মালিকানাধীন ধানের চাতালে ক্রিকেট খেলতে যায় কয়েকজন যুবক। এ সময় লেমন তাদের চাতালে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করলে স্থানীয় ফজু মিয়া, তার তিন ছেলে নাজমুল ইসলাম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও লিখনসহ কয়েকজন তাকে ক্রিকেট ব্যাট ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় লেমনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে লেমন মারা যান।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, 'লেমনের স্বজনরা জানিয়েছে সে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মরদেহ শেরপুরে আনার পর ময়নাতদন্তে শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

শাকিল মুরাদ/জোবাইদা/