
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মাঝবয়সী এক নারী। নির্মাণাধীন একটি ভবনে গত সোমবর রাতভর তাকে ধর্ষণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ৯৯৯-এ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে তিনি পল্লবী থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল।
পল্লবী থানার বারনটেকের ‘গ্রিন সিটি’ এলাকায় ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী একটি পত্রিকায় কাজ করেন। মাটিকাটা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে ওই নারী রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে সোমবার রাত ১১টার দিকে সেখানে যান। তখন কয়েকজন যুবক তাকে ধরে বারনটেকের গ্রিন সিটি এলাকার একটি নির্মাণাধীন ১২ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় নিয়ে যায়। এরপর ১৬ ব্যক্তি তাকে ঘেরাও করে ফেলে। রাত ১টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই নারীকে ধর্ষণ করে তারা। চলিশোর্ধ্ব ওই নারী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
পল্লবী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষকরা চলে যাওয়ার পর ওই নারী ৯৯৯-এ ফোন করেন। তখন ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল পল্লবী থানা এলাকা হওয়ায় তারা ওই নারীকে এই থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে ওই নারী একটি মামলা করেছেন। সেখানে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে আছে আরও আটজন।
গতকাল দুপুরে পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি এনামুল হক (৩৮) ও তার এক সহযোগী হামিদুর রহমানকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ওসি নজরুল ইসলাম জানান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই দুজন ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
বুধবার (আজ) তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
জাহাঙ্গীর/