ঢাকা ২৭ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
English
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

কোটালীপাড়ায় সেবাইত বুদ্ধিমন্ত সরকার হত্যার রহস্য উদঘাটন

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
কোটালীপাড়ায় সেবাইত বুদ্ধিমন্ত সরকার হত্যার রহস্য উদঘাটন
বুদ্ধিমন্ত সরকার

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পারিবারিক সম্পত্তি ও অর্থ লেনদেনের জের ধরেই সেবাইত বুদ্ধিমন্ত সরকারকে হত্যা করেছে তারই আপন ভাতিজা লিংকন সরকার (১৮)।

গত সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. মো. রুহুল আমিন সরকার।

তিনি জানান, উপজেলার পূর্ব নেয়ারবাড়ী গ্রামের সদাচার সেবাশ্রমের সেবাইত বুদ্ধিমন্ত সরকারের নামে পৈত্রিক সম্পত্তির ২০ শতাংশ জমি বেশি রেকর্ড হয়। এ নিয়ে পরিবারিকভাবে তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এছাড়া ছোট ভাই বিনয় সরকারের কাছ থেকে বুদ্ধিমন্ত সরকার ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। অতিরিক্ত জমি ও ধারের টাকা চাইতে গেলে বুদ্ধিমন্ত সরকারের সঙ্গে ছোট ভাই বিনয় সরকারের ছেলে লিংকন সরকারের মনোমালিন্য হয়।

গত ২৯ মে রাত ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে নিজেদের বাড়ির পাশে ধানের গোলা পাহারা দিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বুদ্ধিমন্ত। এই সুযোগে ঘুমন্ত বুদ্ধিমন্তর মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে মুখে গামছা চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ভাতিজা লিংকন। এরপর দেহটি টেনে পাশের পাটখেতে নিয়ে দা দিয়ে দুই পা কেটে ফেলেন। এরপর দুই পা ও শরীরের বাকি অংশ বস্তায় ভরে উপজেলার রামশীল বাজারের একটি খালের স্লুইস গেটের পাশে ফেলে দেন।

পরে রবিবার (১ জুন) গোপন সংবাদে লিংকন সরকারকে (১৮) এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরের দিন সোমবার তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের জুতা, পাঞ্জাবি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও গামছা জব্দ করে পুলিশ।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে ও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকার করেন লিংকন। 

তিনি আরও বলেন, সদাচার সেবাশ্রমের সেবাইত বুদ্ধিমন্ত সরকার একজন সাধক ছিলেন। ফলে তার হত্যাকাণ্ড এক ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বলে অপ্রপচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। বিভিন্ন মহল এই হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে সামাজিক স্থীতিশীলতা বিনষ্টের প্রয়াস নিচ্ছিল।

এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লক্ষ্মী রানী সরকার বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

বাদল সাহা/অমিয়/

ছেলের হামলায় আহত মা, স্বজনদের মারধরে নিহত ছেলে

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
ছেলের হামলায় আহত মা, স্বজনদের মারধরে নিহত ছেলে
নিহত মাহাবুবুল ইসলাম বাবু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাকে মারধর করায় প্রতিবেশী ও স্বজনদের পিটুনিতে মাদকাসক্ত ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাট বাঘাইরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।

নিহত যুবকের নাম মাহাবুবুল ইসলাম বাবু (২৮)। সে বাঘাইরপাড়া গ্রামের শীষ মোহাম্মদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে বাবু তার মাকে মারধর করেন। এতে বাবুর মা আহত হন। নিজ মাকে মারধর করায় শাসন করতে গিয়ে প্রতিবেশী ও স্বজনদের মারধরে বাবুর মৃত্যু হয়।

নিহতের মা হেনা বেগম বলেন, সকালে আমি আম কাটছিলাম বাবু টাকা চেয়ে না পেয়ে আমাকে আম দিয়ে আঘাত করে। এ সময় আমার স্বামী বাবুকে শাসন করতে গেলে তাকেও মারধর করে। পরে তাদেরকে ছুটাতে গেলে আমাকে ইট দিয়ে মেরে আহত করে। ছেলেকে শাসন করার জন্য স্বজনদের বললে এ সময় স্বজনরা বাবুকে শাসন করার জন্য মারধর করলে রাতে আমার ছেলে মারা যায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, নিহত বাবু মাদক কেনার জন্য তার মায়ের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে নিজ মাকে মারধর করে। বাবুর ইটের আঘাতে মায়ের গাল ও কানে আঘাত পায়। এ ঘটনার পর রাত সাড়ে আটটার দিকে বাবু বাড়ি ফিরে আসলে তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা শাসনের উদ্দেশ্যে বেঁধে পিটায়। এতে ঘটনাস্থলে বাবু মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। 

আসাদুল্লাহ/মেহেদী/

মিরসরাইয়ে ভাগনের ছুরিকাঘাতে মামা খুন

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
মিরসরাইয়ে ভাগনের ছুরিকাঘাতে মামা খুন
নিহত হারুন অর রশিদ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৈঠকের মধ্যে আপন ভাগনে শাহীন আলমের ছুরিকাঘাতে মামা হারুন অর রশিদ (৪৫) নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে ভাগনে শাহীন আলম পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মধ্যম তালবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হারুন ওই এলাকার মো. সেকান্দারের ছেলে এবং ভাগনে শাহীন আলম একই বাড়ির মো. হালিমের ছেলে। হারুনের দুই সন্তান রয়েছে। সে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। কিছুদিন আগে ছুটিতে দেশে এসেছেন।

নিহত হারুনের চাচাতো ভাই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার চাচা সেকান্দারের সঙ্গে আমার চাচাতো ভাই হারুন ও তার বোন শাহানার  হাঁটার পথ ও পানি যাওয়ার একটি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের মীমাংসার জন্য বুধবার আসরের নামাজের পর তাদের বাড়িতে বৈঠকে বসলে বোন ভাগনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ভাগনেকে মামা একটি চড় দেন। এরপর ভাগনে ঘরে গিয়ে চুরি এনে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মামার বুকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর আমরা গাড়ি দিয়ে তাকে দ্রুত মিরসরাই সেবা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আনোয়ার আরও বলেন, 'হারুনের বোন খুব খারাপ প্রকৃতির। সে বৈঠকের শুরু থেকে উত্তেজিত ছিল। ছেলে ছুরিকাঘাত করার পর মা কৌশলে ছেলেকে পার করে দিয়েছেন। আমরা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।'

মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রুম্মান জানান, ভিকটিমকে হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখি, হাসপাতালের নিয়ে আসার আগে মারা গেছেন। তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের তিনটি টিম আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মেহেদী/

ইমো হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ, ১২ জন কারাগারে

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
ইমো হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ, ১২ জন কারাগারে
ইমো হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ করায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের লালপুর থেকে ইমো হ্যাকিং ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ও আটজনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুন) ভোরে উপজেলার বিলমারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে দুপুরে আদালতের আদেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

দীর্ঘদিন থেকেই তারা ইমো হ্যাক করে দেশি-বিদেশি ও প্রবাসীদের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। এর পাশাপাশি কেউ কেউ চালাত মাদক ব্যবসা।

আসামিরা হলো- লালপুর উপজেলার রিয়াজ আহমেদ (২০) ও তার ভাই রাব্বি (২২), বিলমারিয়ার  সঞ্জিৎ মন্ডল (১৯), একই এলাকার প্রান্ত মন্ডল (২২), মুরাদ (৩৭), রাজশাহীর বাঘা থানার চক সাজারী এলাকার রাসেল (২৯), লালপুরের মোহরকয়া এলাকার আবির হেসেন (১৮), বিলমারিয়ার সাগর (১৮), মোহরকয়া এলাকার মোমিন (১৯), একই এলাকার কাওছার (২৪) ও রিয়াজ (২২) এবং  বড় বাধকয়া এলাকার কাইছার (২২)। 

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারের সময় আসামিদের কাছ থেকে ২৮টি মোবাইল ফোন, ৩০টি সিমকার্ড ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। বুধবার দুপুরে চালান দিলে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।

কামাল/পপি/

রূপগঞ্জে পারভেজ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, চিকিৎসক ও ব্যাংককর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
রূপগঞ্জে পারভেজ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, চিকিৎসক ও ব্যাংককর্মী গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সমকামিতার জেরে পারভেজ হাসান (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ চিকিৎসক আরমান হোসেন (৩৮) ও ব্যাংককর্মী মেহেদী হাসান ইমন (২৬) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল রবিবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর ও তারাব এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারদের নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারদের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পারভেজকে সমকামিতার সম্পর্কের জেরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে আমলাবর এলাকায় তার ভাড়া বাসার ছাদে ফেলে যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। 

গ্রেপ্তাররা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

নিহত পারভেজ হাসান পাবনা সদর উপজেলার বাসিন্দা।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, পারভেজ হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার মেহেদী কুমিল্লা মুরাদনগর থানায় আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। অপর অভিযুক্ত ডা. আরমান ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক।

তদন্তে জানা যায়, উপজেলার আমলাব এলাকায় অবস্থিত গিয়াস উদ্দিন মোল্লার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন নিহত পারভেজ হাসান। ওই বাসায় গ্রেপ্তার আরমান ও মেহেদীসহ তার সহকর্মীরা আসা-যাওয়া করতেন। এছাড়া পারভেজ হাসানের সমকামী সঙ্গী হিসেবে প্রায় সময় মেহেদী বসবাস করতেন। পাশাপাশি ডা. আরমানেরও সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্তদের সমকামিতা সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে অভিযুক্তরা পারভেজকে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। পরবর্তীতে রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পরের দিন (৪ জুলাই) পারভেজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নামে। পরে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে।

অভিযুক্তদের অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার জড়িত আরও কেউ থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

রুবেল/রিফাত/

মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: স্বীকারোক্তি দেননি বাচ্চু মেম্বার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: স্বীকারোক্তি দেননি বাচ্চু মেম্বার
ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারের কড়ইবাড়ি গ্রামে মা ও দুই সন্তানকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলেও শেষ পর্যন্ত দেননি।

রবিবার (৬ জুলাই) বিকেলে আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আটজনকে কারাগারে পাঠানো হলো।

ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া কড়ইবাড়ি গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে। তিনি এই হত্যামামলার এজহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি। এ মামলায় তার ছেলে আতিকুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।

গত ৪ জুলাই মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে বাড়িতে হামলা চালিয়ে রোকসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।  

এই ঘটনার দুই দিন পর নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

৫ জুলাই সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক নাজিমুদ্দিন বাবুল ও ছবির আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ৬ জুলাই র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন বাচ্চু মিয়া, রবিউল আওয়াল, আতিকুর রহমান, মো. বায়েজ মাস্টার, দুলাল ও আকাশ। 

রবিবার (৬ জুলাই) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ৮ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। 

জহির শান্ত/মৌসুমী