ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

আরও তিনটি কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
আরও তিনটি কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের আরও তিনটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের মোট ২৪০টি কারখানা এখন পরিবেশবান্ধব সনদ পেল।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ তথ্য জানিয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ইকোটেক্স লিমিটেড, বোর্ডবাজারের এলিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও শ্রীপুরের ইউরো নিট স্পিন লিমিটেড- এই তিনটি কারখানা প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব কারখানার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পেয়েছে তারা।

বাংলাদেশের যে ২৪০টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ৯৮টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১২৮টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৪টি কারখানার মধ্যে সিলভার সদনপ্রাপ্ত কারখানা ১০টি এবং সার্টিফায়েড সদনপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।

বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৬৬টি কারখানাই এখন বাংলাদেশের।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে তিনটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।

বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো- লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।

বেনাপোল বন্দরে পাঁচ মাসে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
বেনাপোল বন্দরে পাঁচ মাসে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি
বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি: খবরের কাগজ

দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম সহনীয় রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছিল সরকার। এ ঘোষণার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত পাঁচ মাসে ভারত থেকে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি হয়েছে। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। এরপর এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ করেছে সরকার।।

বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর মামুন কবীর তরফদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়ে শেষ হয় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল)। এ সময়ে তিন লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সর্বশেষ রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আমদানি করা ২০০ টন নন-বাসমতী চালবোঝাই ছয়টি ট্রাক বন্দরের ৩১নং ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভারত থেকে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সময় স্বল্পতার কারণে চাল আমদানি করতে পারেনি। প্রথমে সরকারঘোষিত আমদানির মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ২২ ডিসেম্বর। এই সময়ের মধ্যে আশানুরূপ চাল আমদানি না হওয়ায় সময় ৪ দফা বাড়ানো হয়। যা সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন্ধ করা হয়।

যেসব চাল আমদানি হয়েছে তার মধ্যে মোটা চাল প্রতি টন ৩৯০-৪০০ মার্কিন ডলার, চিকন চাল প্রতি টন ৪৫০-৪৭০ ডলার মূল্যে আমদানি হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় এসব চাল খালাস দেয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এখন আর চাল আমদানি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা।

চাল আমদানিকারক আলাউদ্দিন জানান, সরকারি চুক্তি অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল চাল আমদানির শেষ সময় ছিল। এখনো ওপারে তার এক হাজার টন চাল দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

আরেক চাল আমদানিকারক রুহুল আমিন জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানি করা মোটা চাল প্রতি কেজি ৫২- ৫৩ টাকা, চিকন চাল ৭০-৭২ টাকা দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মঙ্গলবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। চাল আমদানির বর্ধিত চতুর্থ ধাপের সর্বশেষ সময় ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। গত ৫ মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২১ হাজার ৩৬০ চাল আমদানি হয়েছে।

নজরুল/সালমান/

আইএমএফের ঋণের বাকি ২ কিস্তির সিদ্ধান্ত জুনে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
আইএমএফের ঋণের বাকি ২ কিস্তির সিদ্ধান্ত জুনে
ছবি: সংগৃহীত

সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুটি শর্ত নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি এখনো। এর মধ্যে একটি হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং অন্যটি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা। এই দুটি ইস্যুতে আইএমএফ যা চেয়েছে তা পূরণ করতে পারেনি সরকার। ফলে চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির টাকা ছাড়ের বিষয়টি আপাতত ঝুলে গেছে। তবে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে। আলোচনা অব্যাহত থাকবে। চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড় হবে কি না, তা জানা যাবে আগামী জুনের শেষে আইএমএফের বোর্ডসভায় চূড়ান্ত আলোচনার পর।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় আইএমএফের প্রতিনিধিদল। 

চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাকি দুই কিস্তির অর্থছাড়ের আগে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের নানা দিক পর্যালোচনা করতে আইএমএফের একটি মিশন গত ৫ এপ্রিল ঢাকা আসে। এনবিআর, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার পর গতকাল তাদের সফর শেষ হয়। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আইএমএফের গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতি পাঠ করেন তিনি।

ঋণের চতুর্থ কিস্তির টাকা পাওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপর এটি পিছিয়ে নেওয়া হয় মার্চে। তখন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন এপ্রিলে মিশন আসার পর সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি, ঋণের দুই কিস্তি (চতুর্থ ও পঞ্চম) এক সঙ্গে পাব। কিন্তু গতকালের সংবাদ সম্মেলনে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, ‘২১ এপ্রিল থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে বসন্তকালীন সভা শুরু হচ্ছে। সেখানে ঋণের বাকি দুই কিস্তি নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, বাংলাদেশে রাজস্ব আদায় খুবই কম। এটি জিডিপির মাত্র ৮ শতাংশের নিচে। অথচ অনেক উন্নয়নশীল দেশে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ জিডিপির ১০ থেকে ১২ শতাংশ। কাজেই, বাংলাদেশকে রাজস্ব আয় বাড়াতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপরি বাজারভিত্তিক করা উচিত। বাজারভিত্তিক করার এখনি সময়। কারণ, বর্তমানে বাংলাদেশে রিজার্ভ সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহও ভালো। কাজেই এখন বিনিময় হারকে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে বিনিময় হার এখনি পুরোপুরি বাজারের ওপর দেওয়া ঠিক হবে না।’ 

উল্লেখ্য, এই দুটি শর্ত ছাড়া বাকি শর্তগুলো পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান সরকার রাজস্ব আদায়ে কর সংস্কার, বিনিময় হারে নমনীয়তা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন ও ব্যাংক খাত সংস্কারে জোর দিয়েছে। তবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বিষয়ে আরও জোর দিতে হবে। কর অব্যাহতি বাতিল করতে হবে। যোগ্য সবাইকে করের আওতায় আনতে হবে। রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। তবে আইএমএফ এনবিআরের করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা করার উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। 

আইএমএফের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া গেছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তিতে পাওয়া গেছে ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে মোট ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। কর্মসূচিটির আওতায় এখন বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। 

মিশনপ্রধান পাপাজর্জিও বলেন, ‘স্বচ্ছতা, সুশাসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’ ব্যাংক খাতে সুসংগঠিত সংস্কার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সুশাসন ও স্বচ্ছতা বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে ও রপ্তানি খাতের বৈচিত্র্য আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ জলবায়ু-সহনশীল অর্থনীতিতেও বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি। 

বিবৃতিতে আইএমএফ বলেছে, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫.১ শতাংশ। এর কারণ হলো, গণ-অভ্যুত্থান এবং বিনিয়োগের ওপর অনিশ্চয়তার প্রভাব। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছানোর পর, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে তা কমে ৯.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ৫-৬ শতাংশের চেয়ে এখনো অনেক বেশি। 

অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য রাজস্ব আয় বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে আইএমএফ। বাংলাদেশের জিডিপির তুলনায় করের পরিমাণ অত্যন্ত কম। এটি বাড়াতে হলে একটি ন্যায়সংগত কর কাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে এই উন্নয়ন সহযোগী। 

মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ তদন্তে দুদক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ তদন্তে দুদক
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ও এর মালিক মোস্তফা কামাল

ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ৮ এপ্রিল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এক চিঠির মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, কমিশনের অনুমোদনের ভিত্তিতে উপপরিচালক আহসানুল কবির পলাশকে দলনেতা করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক ও উপসহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন।

চিঠিতে কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে অভিযোগটি বিধি মোতাবেক অনুসন্ধান করে সুনির্দিষ্ট মতামতসহ (মতামত/সুপারিশের সপক্ষে রেকর্ডপত্র পতাকা চিহ্নিত করে) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়।

তদন্ত দল গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।

উল্লেখ্য, মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ ওঠায় এটি এখন দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। দুদকের তদন্তের ফলাফল কী হয়, তা দেশের অর্থনৈতিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাছাড়া, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী বিউটি আক্তার এবং তাদের সন্তানের ব্যাংক হিসাবও ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে।

গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠায়।

চিঠিতে বলা হয়, মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী বিউটি আক্তার ও তাদের সন্তানদের ব্যক্তি হিসাব আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখতে হবে। একইসঙ্গে এসব ব্যক্তি ও তাদের সন্তানদের লেনদেন বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসিসহ যাবতীয় তথ্য বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।

জানা যায়, মেঘনা গ্রুপের ৫৫টি প্রতিষ্ঠানে ৩১টি ব্যাংক ও তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা।

অমিয়/

মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
মেঘনা গ্রুপ


ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে  বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তাদের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। 

গত ১০ এপ্রিল বিএফআইইউ দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী বিউটি আক্তার ও তাদের সন্তানদের ব্যক্তি হিসাব আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখতে হবে। একইসঙ্গে এসব ব্যক্তি ও তাদের সন্তানদের লেনদেন বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসিসহ যাবতীয় তথ্য বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।

অমিয়/

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরিতে বাড়ল ৩০৩৩ টাকা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরিতে বাড়ল ৩০৩৩ টাকা
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম। সর্বশেষ ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। 

নতুন মূল্য আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে পিওর গোল্ড বা তেজাবি স্বর্ণের দামে ঊর্ধ্বগতির কারণে এ দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল রাতে স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা গতকাল রাত পর্যন্ত কার্যকর ছিল।

খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারেও চলছে স্বর্ণের দামের উল্লম্ফন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের প্রতি আউন্সের দাম ৩ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ।

স্বর্ণের দামে বড় ধরনের পরিবর্তন এলেও রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাজুসের নির্ধারিত দর অনুযায়ী ২২ ক্যারেট রুপা ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, নিরাপদ বিনিয়োগের ঝোঁক এবং স্থানীয় বাজারে সরবরাহ সংকট মিলিয়ে স্বর্ণের দামে এই রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। দাম আরও বাড়তে পারে এমন শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।