
পঞ্চম অধ্যায় : রাসায়নিক বন্ধন
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর-৪
উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
x, y, z তিনটি মৌল যাদের পর্যায় সারণি যথাক্রমে 2, 2 ও 3 এবং গ্রুপ হচ্ছে 2, 14 ও 17।
ক. যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে?
খ. ধাতু বিদ্যুৎ পরিবাহী কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. মৌল তিনটির পারমাণবিক আকারের ক্রম বর্ণনা করো।
ঘ. y এবং z দ্বারা গঠিত যৌগ পানিতে অদ্রবণীয় হলেও সোডিয়াম এবং z দ্বারা গঠিত যৌগ পানিতে দ্রবণীয় কেন? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: ক. কোনো মৌলের পরমাণুর শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন সংখ্যাকে যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে। এই ইলেকট্রনগুলো রাসায়নিক বন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
খ. ধাতুর পরমাণুগুলোর মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন থাকে। যখন ধাতুর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করা হয়, তখন এই মুক্ত ইলেকট্রনগুলো ধনাত্মক প্রান্তের দিকে প্রবাহিত হয়। ইলেকট্রনের এই প্রবাহই বিদ্যুৎ প্রবাহ।
আরো পড়ুন : রাসায়নিক বন্ধন অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব
গ. উদ্দীপকের x, y, z মৌলগুলোর পর্যায় সারণি ও গ্রুপ অনুযায়ী মৌলগুলো হলো-
x = বেরিলিয়াম (Be), y = কার্বন (C), z = ক্লোরিন (Cl)
মৌল তিনটির পারমাণবিক আকারের ক্রম:
বেরিলিয়াম (Be) > কার্বন (C) > ক্লোরিন (Cl)
কারণ, একই পর্যায়ে বাম থেকে ডানে গেলে পারমাণবিক আকার হ্রাস পায়। কারণ নিউক্লিয়াসের চার্জ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়।
একই গ্রুপে ওপর থেকে নিচে গেলে পারমাণবিক আকার বৃদ্ধি পায়। কারণ তখন মৌলগুলো নতুন শক্তিস্তর যুক্ত হয়।
ঘ. y এবং z মৌলগুলো হলো কার্বন (C) ও ক্লোরিন (Cl)। এদের দ্বারা গঠিত যৌগটি হলো কার্বন টেট্রাক্লোরাইড (CCl₄)। এটি একটি সমযোজী যৌগ, যা পানিতে অদ্রবণীয়। এর কারণ হলো-
কার্বন টেট্রাক্লোরাইড অণুগুলো পোলার নয়, তাই পানির পোলার অণুগুলো এদের আকর্ষণ করতে পারে না।
ফলে, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড পানিতে দ্রবীভূত হয় না।
সোডিয়াম এবং z মৌল দ্বারা গঠিত যৌগটি হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। এটি একটি আয়নিক যৌগ, যা পানিতে দ্রবণীয়। এর কারণ হলো-
সোডিয়াম ক্লোরাইড পানিতে দ্রবীভূত হলে সোডিয়াম আয়ন (Na⁺) এবং ক্লোরাইড আয়ন (Cl⁻) উৎপন্ন করে।
পানির পোলার অণুগুলো এই আয়নগুলোকে ঘিরে ধরে এবং দ্রবীভূত করে।
লেখক : প্রধান শিক্ষক
হাজী রফিজুদ্দিন ভূঁইয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
কবীর