ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লিবিয়ায় অপহৃত নাটোরের চার যুবক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১৩

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
লিবিয়ায় অপহৃত নাটোরের চার যুবক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১৩
উদ্ধার হওয়া নাটোরের চার যুবক

লিবিয়ায় অপহরণের শিকার নাটোরের গুরুদাসপুরের চার যুবককে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় অপহরণকারীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (৯ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এক ভিডিওবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী যুবকদের একজন সোহান।

১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিও বার্তায় সোহান তার মা-বাবার উদ্যেশে বলেন, ‘মা-আব্বা, আমরা এখন ভালো আছি, সেভ আছি। সেনাবাহিনীর আন্ডারে আছি। তোমরা টেনশন করো না।’

সোহান উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের বিয়াঘাট  চরপাড়া গ্রামের কৃষক শাজাহান প্রাংয়ের ছেলে।

উদ্ধার অন্য তিন যুবক হলেন- একই এলাকার তয়জাল শেখের ছেলে সাগর হোসেন (২৪), শুকুর আলীর ছেলে নাজিম আলী (৩২) ও ইনামুল ইসলামের ছেলে বিদ্যুৎ হোসেন (২৬)।

সোহানের চাচাতো ভাই সিয়াম জানান, বাংলাদেশ সময় রবিবার সকাল ১১টার দিকে লিবিয়া সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে সোহানসহ জিম্মি চারজনকে উদ্ধার করে। ওই সময় ১২ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, দুইজন লিবিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া সেহানদের সঙ্গে অপহরণ হওয়ার পর রাস্তায় মুক্ত হওয়া ঢাকার ফরহাদকেও পরে গ্রেপ্তার করেছে লিবিয়া সেনাবাহিনী। 

গত ১ জুন শনিবার রাতে খাবার খাওয়ার সময় তারা অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। 

সালমান/অমিয়/

মালয়েশিয়ার সাবাহর গভর্নরের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
মালয়েশিয়ার সাবাহর গভর্নরের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ইস্তানা সেরি কিনাবালুতে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সাবাহর গভর্নর ড. হাজি জুহার বিন দাতুক হাজি মহিরুদ্দিন

মালয়েশিয়ার সাবাহর গভর্নর ড. হাজি জুহার বিন দাতুক হাজি মহিরুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। 

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, ইস্তানা সেরি কিনাবালুতে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান গভর্নর।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। গভর্নরের কার্যালয় এবং হাইকমিশনের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। এ সময় তারা দুজন স্মারক বিনিময়ও করেন।

বৈঠকে হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন শ্রমবিষয়ক কাউন্সিলর সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, রাজনৈতিক কাউন্সিলর ফারহানা আহমেদ চৌধুরী ও প্রথম সচিব (বাণিজ্য) প্রণব কুমার ঘোষ।

সাবাহ প্রদেশের অর্থমন্ত্রী দাতুক সেরি পাংলিমা মাসিদি মানজুনের সঙ্গেও বৈঠক করেন হাইকমিশনার। সাবাহর অর্থ উপমন্ত্রীও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বিষয় বিশেষ করে সাবাহপ্রবাসী বাংলাদেশিদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তাদের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।

হাইকমিশনার তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এবং অর্থমন্ত্রীর কার্যালয় ও হাইকমিশনের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা গড়ে তোলার উদ্যোগে সহায়তা করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। ইউএনবি

এক লটারিতে ৩৬ জন কোটিপতি

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০১ এএম
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
এক লটারিতে ৩৬ জন কোটিপতি
আরব আমিরাতের আল আইন শহরে জড়ো হন লটারি বিজয়ী চট্টগ্রামের একদল যুবক। ছবি: খবরের কাগজ

এক লটারিতেই ৩৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশি কোটিপতি বনে গেছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জনের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়। বাকি দুজন রাউজানের। ‘বিগ টিকিট আবুধাবি’ নামে ওই লটারি জয়ী হয়ে তারা ১৫ মিলিয়ন দিরহাম জিতেছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিগ টিকিট লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। 

দেশটির আল আইন শহরে বসবাসকারী প্রবাসী সোহেল মনি খবরের কাগজকে মোবাইলে জানান, তারা গত ৪ বছর ধরে বিগ টিকিট লটারি খেলে আসছেন। প্রতি মাসের ৩ তারিখ লটারির ড্র হয়। এই লটারির একটি টিকিটের দাম ৫০০ দিরহাম। এক দিরহামের বর্তমান দর ৩২ টাকা ৪৯ পয়সা। তবে ১ হাজার দিরহাম দিয়ে ৫টি টিকিট পাওয়া যায়। তারা ৩৬ জন বন্ধু মিলে এবার ১ হাজার দিরহাম দিয়ে ৫টি টিকিট কিনেন। এর মধ্যে ১০০ দিরহাম দিয়েছেন একজন। ৫০ দিরহাম করে দিয়েছেন ৪ জন। ২৫ দিরহাম করে দিয়েছেন ৩০ জন এবং ২০ দিরহাম দিয়েছেন একজন। তারা লটারিতে যে টাকা জিতেছেন তা তারা বিনিয়োগের সমানুপাতিক হারে ভাগ করে নেবেন। যিনি ২০ দিরহাম বিনিয়োগ করেছেন তিনিও প্রায় কোটি টাকা পাবেন। যিনি বেশি টাকা দিয়েছেন তিনি বেশি টাকা পাবেন।

সোহেল জানান, লটারি কিনতে হয় একজনের নামে। তারা নুর মিয়ার নামে এটি কিনেছেন। নুর মিয়ার বাড়ি ফটিকছড়ি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে।

বিগ টিকিট জেতার পরই তারা আবুধাবির আল আইন বাজারে একসঙ্গে জড়ো হন। সবাই যে যার মতো আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। কেউ কেউ রাতে পার্টি দিয়ে ভালো খাবারেরও আয়োজন করেন। 

লটারি বিজয়ী নুর মিয়া ওরফে ফারুক খবরের কাগজকে বলেন, তার কাছে অনেক খুশি লাগছে। একেক মাসে একেকজন বন্ধুর নামে টিকিট কেনা হয়। এ মাসে তার নামে কেনা হয়েছে। নিজের নামে লটারি জিতলেও লটারিতে তার আর্থিক অংশগ্রহণ ছিল অন্যদের তুলনায় কম। তবুও তিনি খুশি। 

একাধিক প্রবাসীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, লটারি বিজয়ীদের মধ্যে কারও কারও আর্থিক অবস্থা ভালো থাকলেও অনেকের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। ঋণ করে প্রবাসে এসে দিনরাত পরিশ্রম করে সেই ঋণ পরিশোধ করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। নিজের দৈনন্দিন খরচ থেকে বাঁচিয়ে পরিবারের কাছে প্রতি মাসে কিছু খরচ পাঠাতেন। এখন এক টিকিটেই তাদের কপাল বদলে গেছে।

লটারি বিজয়ীরা হলেন- ফটিকছড়ি পৌরসভার সোহেল মনি, নুর মিয়া, মহসিন, মোহছেন, সাকিল, সাদ্দাম, এমরান, সাইফু, হাসান (১), হাসান (২), সোলাইমান, রমজান, রিফাত, ইমাম, মনজু, জাহাঙ্গীর, জুয়েল, সালাউদ্দীন, নেজাম, নাছির, হাবিব, নিজাম, সাকিব, একরাম, রিপন, আমান, নাজিরহাট পৌরসভার সাইফুদ্দীন, আবদুল, নেজাম, লেলাং ইউনিয়নের জামাল, রাজ্জাক, কাঞ্চননগর ইউনিয়নের বেলাল, ভুজপুরের এমরান, রাউজনের খলিল ও অশোক। 

ফটিকছড়ি কমিউনিটি ইউকে’র নতুন আহ্বায়ক কমিটি

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
ফটিকছড়ি কমিউনিটি ইউকে’র নতুন আহ্বায়ক কমিটি
ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটেনে ফটিকছড়ি কমিউনিটি ইউকে-এর নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে । এতে আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন কাজী ফয়েজ আলম এবং সদস্য সচিব হিসেবে নির্বাচিত হন শেখ নাসের।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-নুরুল আলম, সরওয়ার হোসেন, জাহেদুল আলম মাসুদ, আজমল করিম জুয়েল এবং  ইমদাদ হোসেন। 

জানা গেছে, সম্প্রতি লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের সাধারণ সভায় এ কমিটি গঠিত হয়। 

বিশিষ্ট আইনজীবী জাগির আলমের সভাপতিত্বে এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গ্রেটার চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন (সিজিএ)র সাবেক সভাপতি ইসহাক চৌধুরী এবং কাউন্সিলার ও সিজিএ’র বর্তমান সভাপতি আকতারুল আলম এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভা সর্বস্তরের ফটিকছড়িবাসীর মিলন মেলায় পরিণত হয়। এ সময় উৎসব মুখর পরিবেশে উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় সংগঠনের সংবিধান প্রণয়নের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যগণ হলেন জাগির আলম, ব্যারিস্টার গণি উল্লাহ, অনুপম সাহা এবং সরওয়ার হোসেন।

নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক কাজী ফয়েজ আলম সংগঠনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের গ্রীষ্মকালীন সচেতনতা অনুষ্ঠান

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১১:২০ এএম
আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের গ্রীষ্মকালীন সচেতনতা অনুষ্ঠান
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি গ্রীষ্মকালীন সচেতনতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাহরাইনের সিফ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সেখানে দূতাবাসের সঙ্গে বাহরাইনের শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এলএমআরএ), ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন।

এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মহিউদ্দিন কায়েস সভাপতিত্ব করেন এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব মো. মাহফুজুর রহমান সঞ্চালনা করেন। 

মহিউদ্দিন কায়েস তার বক্তব্যে বাহরাইন সরকারের নির্ধারিত সব স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নির্দেশিকা মেনে চলার পাশাপাশি শ্রমিকদের তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেওয়ার গুরুত্বের ওপর আলোচনা করেন। 

তিনি সবাইকে পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে দুপুরের প্রখর রোদে কাজ না করার নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া বাহরাইন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচেতনতা ও নির্দেশনা বিভাগের প্রধান হুসাইন আল-হুসাইনি, এলএমআরএর প্রতিরোধমূলক পরিদর্শন বিশেষজ্ঞ রানা আল-আহমাদ এবং আওএময়ের সদস্য ফাতিমা মোহাম্মদ অংশগ্রহণ করেন।

হুসাইন আল-হুসাইনি তার বক্তব্যে কর্মীদের তাদের কর্মস্থলে কাজ করার সময় দৃশ্যমান জ্যাকেট, হেলমেট এবং সেফটি সু পরিধানসহ সব ধরনের নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলার আহ্বান জানান। 

তিনি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জুলাই ও আগস্ট মাসে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে এবং খোলা জায়গায় কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘যদি কোনো স্পন্সর বা সুপারভাইজার আপনাদের গ্রীষ্মকালীন নিষেধাজ্ঞার সময় কাজ করতে বাধ্য করেন, তা হলে বাহরাইন সরকারের হটলাইন নম্বর ৮০০০৮০০১-এ কল করে আপনার অভিযোগটি জানান। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আপনার অভিযোগের আলোকে বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।’

শেষে উপস্থিত সব কর্মীর মধ্যে দূতাবাস থার্মাস ফ্লাস্ক (যেন পানি ঠান্ডা থাকে), জুস এবং দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। 

অনুষ্ঠানে সব বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বিনামূল্যে মেডিকেল কুপনও দেওয়া হয়। 

বিদেশি অতিথি ও উপস্থিত সবাই প্রবাসী কর্মীদের জন্য এ সুন্দর আয়োজন করায় দূতাবাসকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। 

দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

কানাডার বাংলাদেশ হাইকমিশনারের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪৬ এএম
আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫৫ এএম
কানাডার বাংলাদেশ হাইকমিশনারের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি
ছবি : সংগৃহীত

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহানের নিয়োগ বাতিল চেয়ে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি। 

স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার দেওয়ান আইয়ুবের কাছে অটোয়া বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা এ দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করেন। 

এ সময় কানাডা প্রবাসীরা বলেন, ‘নাহিদা সোবহান জেনেভায় দায়িত্ব পালনকালে সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সব গুম-খুনের পক্ষে নিকৃষ্ট ভূমিকা পালনের পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিরোধীমত দমন-পীড়ন এবং পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবিসহ রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন যন্ত্রের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।’ 

প্রবাসীরা স্মারকলিপিতে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নাহিদা সোবহান জর্ডানে বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদকারী বাংলাদেশি শ্রমিকদের কারাগারে বন্দি করেছিলেন সে দেশের সরকারকে উদ্বুদ্ধ করে। আমরা নাহিদা সোবহানের মতো দলীয় সমর্থক কাউকে কানাডার হাইকমিশনার হিসেবে চাই না। তিনি একজন বিতর্কিত হাইকমিশনার।’ 

কানাডা প্রবাসীরা স্মারকলিপিতে আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের অত্যন্ত আস্থাভাজন নাহিদা সোবহানের নিয়োগ বাংলাদেশি কমিউনিটির মাঝে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সারা দেশে যখন পতিত স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ চলছে, সে মুহূর্তে কানাডার মতো দেশে এ ধরনের দালালদের পুনর্বাসন বাংলাদেশি কমিউনিটি কোনোভাবেই মেনে নেবে না।’ 

কমিউনিটির নেতারা বলেন, ‘অবিলম্বে নাহিদা সোবহানের নিয়োগ বাতিল করে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত নিতে হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের কালক্ষেপণ প্রবাসীরা মেনে নেবে না।’

তারা জানায়, তাদের এ দাবি মানা না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টির দায় বর্তমান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সচিবের ওপর বর্তাবে। 

বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন মিসবাহুল ইসলাম, মাসউদ আব্দুল্লাহ, লুতফর রহমান, নজরুল ইসলাম, মুসতাসিম বিল্লাহ, মনোয়ার হোসেন, মনজুর মোর্শেদ এবং নজরুল রহমান।

রিয়াজ/সালমান/