ঢাকা ১৮ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

এনটিভিতে আজ ‘জোনাকির আলো’

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১১ পিএম
এনটিভিতে আজ ‘জোনাকির আলো’
‘জোনাকির আলো’ নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

ভাইবোনকে নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়ে আজ নিজ সন্তানদের জন্য কিছু করতে না পারা শামসুর সাহেব প্রায়ই আচমকা পরিবারের ওপর রেগে যান। তার বেকার ছেলে জাহিদ প্রেমিকার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার মতো একটি উপযুক্ত চাকরি পেয়েও অ্যাক্সিডেন্ট করার কারণে তা পারেনি। বিদেশগামী, গ্রাম থেকে আসা তার ভাগনে মিন্টু পরিবারের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়ে জুথির মিন্টুর প্রতি দুর্বলতা তিনি মেনে নিতে পারেন না।

শামসুর সাহেব যেন কোনোভাবেই আর সুখের নাগাল পান না, যে সুখ তিনি জীবনের শুরুতে ত্যাগ করেছিলেন, তার আপন ভাইবোনদের মানুষ করার জন্য। মাহবুব সাহেব ও তার স্ত্রীকে গ্রাম থেকে অনেকটা জোর করেই শহরে এনেছে তার ছেলে শাকিল মূলত মুগ্ধকে দেখাশোনা করার জন্য। শত বঞ্চনা আর অবহেলার মধ্যেও সে মুখ বুজে থাকে এই শহরের এক ইটের খাঁচায়। ওষুধ কোম্পানির চাকরি হারিয়ে অসহায় হয়ে যায় সদ্য বিয়ে করা মনসুর। জীবনে টিকে থাকার জন্য হাত মেলায় অসৎ হালিম কমিশনারের সঙ্গে। আর গ্রাম থেকে প্রেমিকা নিয়ে পালিয়ে আসা সুরুজ শহরের এক বস্তিতে আশ্রয় খুঁজে পেয়ে জীবিকার অন্বেষণ করে। প্রেমিকা রুম্পার ওপর কুনজর পড়ে বখাটে টুলুর। এক দিন সুরুজ হারিয়ে ফেলে তার প্রেমিকা রুম্পাকে- এভাবেই এগিয়ে যায় গল্প।

এনটিভিতে আজ রাত ৯.৩০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক ‘জোনাকির আলো’। নাটকটি প্রতি সপ্তাহের সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার প্রচার হচ্ছে। পাপ্পু রাজের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন মুসাফির রনি। এতে অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, সালহা খানম নাদিয়া, আবুল হায়াত, শহীদুজ্জামান সেলিম, শতাব্দী ওয়াদুদ, রিফাত চৌধুরী, মনিরা মিঠু, আফজাল সুজন, হোসাইন নীরব, শেলী আহসান, জয়রাজ, শিরিন আলম প্রমুখ।

 কলি

ভিন্ন আয়োজনে ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’-এর মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
ভিন্ন আয়োজনে ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’-এর মোড়ক উন্মোচন
‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করছেন আবুল হায়াত ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা। ছবি:

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার ও পরিচালক আবুল হায়াত। গত ৮ সেপ্টেম্বর নিজের ৮০ বছরে পা রেখেছেন এ গুণী অভিনেতা। এ দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি মঞ্চনাটক থেকে চলচ্চিত্র, লেখক থেকে পরিচালক সব জায়গায় বাংলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। নিজের কর্মময় ৮ দশককে গ্রন্থাবদ্ধ করেছেন এই জীবন্ত নক্ষত্র। নিজের আত্মজীবনীর নাম রেখেছেন 'রবি পথ-কর্মময় ৮০'।

শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে এক বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন হয়। অভিনেতার নানা অভিজ্ঞতা, গল্প ও ঘটনা নিয়ে ‘রবি পথ’ বইটি লেখা। প্রায় দশ বছর ধরে পরম যত্নসহকারে বইটি লিখেছেন বলে জানান তিনি। আবুল হায়াতের ডাক নাম রবি। ডাক নামেই নিজের আত্মজীবনীর নাম রাখা হয়েছে বলে জানান এ অভিনেতা।

মোড়ক উন্মোচনের আগে বইটির বিভিন্ন ভাগ থেকে অতিথিদের সামনে পড়ে শোনান নাট্যাঙ্গানের পরিচিতমুখেরা। তাদের মধ্যে ছিলেন আজাদ আবুল কালাম, অপি করিম, দীপা খন্দকার, রওনক হাসান, ইন্তেখাব প্রমুখ। 

গভীর মনোযোগসহকারে উপস্থিত সবাই আবুল হায়াতের লেখা কথাগুলো শুনছিলেন, আর গভীরভাবে মোহিত হচ্ছিলেন। গ্রামে বেড়ে উঠা থেকে শুরু করে শহরের লেখাপড়ার জীবনের গল্প শুনে মনে হচ্ছিল এ গল্প শুধু আবুল হায়াতের একার নয়। সবাই যেন কোনো না কোনোভাবে গল্পের মধ্যে নিজেদের খুঁজে পাচ্ছিলেন। 

গল্পপাঠের ফাঁকে ফাঁকে আবুল হায়াৎকে নিয়ে স্মৃতি চারণ করেন আমন্ত্রিত গুণীজনেরা। উপস্থিত ছিলেন মামুনুর রশিদ, নওয়াজিশ খান, সারা জাকের মতো পদকপ্রাপ্ত নাট্যকার ও শিল্পীরাও। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তারিক আনাম খান, নরেশে ভুঁইয়া, আবুল হায়াতের দুই কন্যা বিপাশা হায়াৎ, নাতাশা হায়াত প্রমুখ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

অভিনয় শিল্পী সঙ্গের ব্যানারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অপি করিম। 

গুণীজনদের কথা ও গল্পপাঠ শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে নিজের আত্মজীবনের মোড়ক উন্মোচন করেন আবুল হায়াৎ। এরপর জীবনসঙ্গীনি মাহফুজা খাতুন শিরিন ও দুই মেয়ে বিপাশা হায়াত ও নাতাশা হায়াতকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন আবুল হায়াত, আবেগঘন কথা বলেন দর্শকদের উদ্দেশ্যে। 

নিজের আত্মজীবনী সম্পর্কে আবুল হায়াত বলেন, ‘বইটা কেন লিখেছি, এর কোনো জবাব নেই। ১০ বছর ধরে লিখেছি, বইটা পড়লেও সবাই তা টের পাবেন। আমি নিজেও তো অনেকের বই পড়েছি। ভাবলাম, লিখি না, আমার জীবনেও তো অনেক ঘটনা আছে। বই লেখার ক্ষেত্রে যে ঘটনা আমাকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে, মুর্শিদাবাদ থেকে একটি পরিবার চট্টগ্রামে এল শুধু টেবিলে বসে একটা দাগ টানার কারণে। যখন বলা হলো, এটা হিন্দুস্তান, এটা পাকিস্তান। তার কারণে আমার মা-বাবা একটা দেশ ছেড়ে আরেকটা দেশে এলেন। বোঝালেন যে এটা তোমার দেশ না, ওটা তোমার দেশ। প্রথমত, সেখান থেকে কষ্টটা, ক্ষতটা আমি আমার লেখায় ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছি। তারপর আমি যে তিন বছর বয়সে এলাম, এরপর বড় হলাম—সেই বিষয়গুলো লিখতে লিখতে মনে হলো, বাকি জীবনটা লিখে ফেলি। এরপর অনেকবার ফেলে রেখেছি, অবহেলা করেছি। এক পাতা লিখেছি, ছিঁড়ে ফেলেছি। দশ পাতা লিখেছি। তারপরও পড়ে ছিল বহুদিন। বিপাশা নিয়মিত বলত লেখার ব্যাপারে। আমি বলেছিলাম, আমার জীবনী কে পড়বে? তখন বিপাশা বলেছিল, তুমি তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ লেখক। তোমার জীবনী তোমার চেয়ে ভালো কেউ লিখতে পারবে না। আমি চাই, তোমার জীবনীটা লেখা হোক। এটা মনে হয়েছে, হ্যাঁ, তাই তো, আমার জীবনী আমার চেয়ে ভালো আর কে লিখবে। আমিও তারপর ভাবলাম, লিখি। এরপর তিথি (বইটির প্রকাশক) যখন বলল, ‘আমি ছাপাব।’ তখন তাড়াতাড়ি লেখা শেষ করলাম। ভেবেছি আর সময় পাব কি না। এভাবেই লেখা হলো।’

গুণী এ অভিনেতা গত ৩ বছর যাবৎ ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করছেন। স্ত্রী শিরিন হায়াতকে কাছে টেনে কান্নাজড়িত কন্ঠে শোনালেন অসুস্থতা ও ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করার গল্প। 

তিনি বলেন, ‘আজ থেকে তিন বছর আগে চিকিৎসক বললেন, আমার ক্যান্সার হয়েছে। আমি জানতে পারলাম, আমি ক্যান্সার রোগী। হাসপাতাল থেকে বাসা পর্যন্ত আর কথা বলতে পারিনি। পুরো রাস্তা আসার সময় তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। রাতে খাওয়া দাওয়া করে আমি শুয়ে ছিলাম। অন্ধকারে একা কাঁদছি। হঠাৎ টের পেলাম, উনি পাশে এসে শুয়েছেন। আমি তখনো নিঃশব্দে কাঁদছি। হঠাৎ ওনার একটা হাত আমার গায়ে এসে পড়ল। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম। তখন উনি বললেন, ‘আল্লাহ তায়ালা এই রোগটা তোমাকে কেন দিল, আমাকে দেখতে পেল না?’ বলেই হাউমাউ করে কেঁদে আমাকে জড়িয়ে ধরল। সারাটা জীবন আমার সঙ্গে, আমার দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, আনন্দ সবকিছুতে সে। আজকে আমি এই যে তিনটা বছর ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছি, শুধু তাঁর কারণে। সে আমার সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা, আমাকে শিখিয়েছে, আই এম অ্যা ফাইটার।’

আবুল হায়াত যখন এসব কথা বলছিলেন তখন পুরো মিলায়তনটা কেমন জানি ভারী হয়ে উঠল। শুধু মঞ্চে আবুল হায়াতের সাথে তার পরিবার কাঁদছিলো এমন নয়, এ কান্না স্পর্শ করেছিল উপস্থিত সকলকে। সবাই দাঁড়িয়ে জীবনের এ লড়াইয়ে অভিনতাকে জানালেন অভিবাদন, করতালি দিয়ে জোগালেন সাহস। অভিনেতাও বললেন, ‘আমি শেষ দিন পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন।’
 হাসান

হাইলাইট আজ রাতে আরটিভিতে ‘চিটার অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ এনটিভিতে ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
আজ রাতে আরটিভিতে ‘চিটার অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ এনটিভিতে  ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’
‘চিটার অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

আরটিভিতে আজ রাত ১০টায় প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক ‘চিটার অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন সঞ্জিত সরকার। 

এতে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির, নাদিয়া আহমেদ, আ খ ম হাসান, উর্মিলা শ্রাবন্তি কর, সাজু খাদেম, নাবিলা বিনতে ইসলাম, আরফান আহমেদ, প্রাণ রায়, ডা. এজাজ, তাহমিনা সুলতানা মৌ, ফারুক আহম্মেদ, ওলিউল হক রুমি, রিমি করিম, শ্যামল জাকারিয়া, তারেক স্বপন, আল মনসুর, আব্দুল্লা রানা, মিলন ভট্ট, হোসনে আরা পুতুল, তন্ময় সোহেল প্রমুখ। ধারাবাহিকটি প্রতি শুক্র, শনি, রবি ও সোমবার আরটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে।

ঘরের শত্রু বিভীষণ
এনটিভিতে আজ রাত ৮টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’-এর ৬৯ পর্ব। রচনায় শফিsকুর রহমান শান্তনু। পরিচালনায় সাজিন আহমেদ বাবু। এতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, এনিলা তানজুম, সাজু খাদেম, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, আল মনসুর, সুজাত শিমুল, জয়রাজ, মিলন ভট্টাচার্য্য, রিমি করিম, রোবেনা রেজা জুঁই, শহীদুল্লাহ সবুজ, মিলি মুন্সি, উজ্জল মাহমুদ, আমানুল হক প্রমুখ।

হাসান

মেয়ের নাম জানালেন দীপিকা পাডুকোন

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম
মেয়ের নাম জানালেন দীপিকা পাডুকোন
দীপিকা পাডুকোন। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের তারকা জুটি দীপিকা পাডুকোন ও রণবীর সিং। চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর তাদের কোলজুড়ে এসেছে একটি কন্যাসন্তান। যাকে এক পলক দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন তাদের ভক্ত-অনুরাগীরা। তবে এখন পর্যন্ত মেয়ের মুখের ছবি এবং নাম প্রকাশ করেনি এই তারকা দম্পতি। এবার ভক্তদের নিজের মেয়ের নাম জানালেন দীপিকা।

গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে মেয়ের পায়ের ছবি জুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘মেয়ের নাম দোয়া। যার অর্থ ‘প্রার্থনা’। ও আমাদের সব প্রার্থনার উত্তর। আমাদের হৃদয় ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠেছে। দীপিকা ও রণবীর।’

মেয়েকে নিজ হাতেই বড় করতে চান দীপিকা। এ জন্য মেয়ের দেখভালের জন্য আলাদা কোনো সহকারীও রাখেননি তিনি। আপাতত মেয়েকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান এই তারকা অভিনেত্রী। অনেকে বলছেন, বলিউডের আরেক অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়ার পথেই হাঁটছেন দীপিকা। 

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘গোলিয়ো কি রাসলীলা: রামলীলা’ সিনেমার শুটিং করার সময় কাছাকাছি আসেন দীপিকা ও রণবীর। এরপর শুরু হয় প্রেম। ২০১৮ সালে ইতালির লেক কোমোতে গিয়ে বিয়ে করেন এ তারকা যুগল। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই রোহিত শেট্টি পরিচালিত ‘সিংহম এগেইন’-এ অভিনয় করেছিলেন দীপিকা। আর দীপাবলিতে ছবির মুক্তির পরই মেয়ের নাম জানালেন। এ ছবিটি মুক্তির একদিনেই বক্স অফিসে ৪৩ কোটি রুপি আয় করেছে। একদিকে মেয়ে, অন্যদিকে নতুন সিনেমার সাফল্য- সব মিলিয়ে সময়টা ভালোই উদযাপন করছেন দীপিকা পাড়ুকোন।

হাসান

 

আবারও অসুস্থ তৌসিফ আহমেদ

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ পিএম
আবারও অসুস্থ তৌসিফ আহমেদ
তৌসিফ আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় গায়ক ও সুরকার তৌসিফ আহমেদ। গত মাসে শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান, তৌসিফের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, সেই সঙ্গে মাইল্ড স্ট্রোক হয়ে ব্রেনের ডান পাশে রক্ত জমাট বেঁধেছে। আর এ জন্য আগামী ছয় মাস থাকতে হবে বিশ্রামে ও ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে। বর্তমানে এই জনপ্রিয় গায়ক সম্পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন। 

এ বিষয়ে তৌসিফ বলেন, ‘আগে থেকেই অসুস্থবোধ করছিলাম। মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে পড়তাম। প্রথমে চিকিৎসকরা ধরতে পারছিলেন না। গত ২৭ অক্টোবর বুকে ব্যথা অনুভব করলে হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে ইসিজি করার পর হার্টের সমস্যা ধরে পড়ে। পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, আমার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এ ছাড়া ব্রেন স্ট্রোকও হয়েছে। চিকিৎসক আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়ে জানান, সামনে বড় ধরনের অ্যাটাকও হতে পারে।’

তৌসিফ বর্তমানে এখন নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো সার্জন বিভাগের প্রধান প্রফেসর সাবের হোসেন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে আছেন।

বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে তৌসিফ বলেন, ‘প্রফেসর সাবের হোসেনের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ চলছে। ছয় মাস পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সার্জারি করতে হবে কি না। আগামী ছয় মাসের মতো বিশ্রামে থাকতে হবে। এদিকে আমার ডায়াবেটিস আছে। এ জন্য আরও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সবার কাছে দোয়া চাই। শিগগিরই যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।’

এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তৌসিফের। সে সময় ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে ৬ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাকে।

সংগীতশিল্পী তৌসিফের প্রথম একক অ্যালবাম ‘অভিপ্রায়’ প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে। ‘দূরে কোথাও আছি বসে’, ‘বৃষ্টি ঝরে যায়’, ‘এ মনের আঙিনায়’, ‘জান পাখি’সহ অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে তার।

হাসান

মধ্যরাতে শাহরুখের উড়ন্ত চুমো

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
মধ্যরাতে শাহরুখের উড়ন্ত চুমো
শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। গতকাল (২ নভেম্বর) ৫৯তম জন্মদিন ছিল তার। কিং খানের জন্মদিন মানেই ভক্তদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। প্রতিবছরের মতো এবারও ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন এ তারকা। তবে এবার জন্মদিনে ভক্তদের সামনে আসতে মধ্যরাত পর্যন্ত সময় নিয়েছেন শাহরুখ। অনেক ভক্ত আবার প্রিয় তারকা আসবেন নাকি আসবেন না, এই দ্বিধায় মান্নতের সামনে থেকে ফিরে গেছেন। কিন্তু অসংখ্য ক্ষ্যাপাটে ও পাগল ভক্তের ভালোবাসায় অবশেষে সামনে হাজির হয়ে মধ্যরাতেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রভাবশালী এই তারকা। এসেই ভক্তদের উড়ো চুম্বনে আলিঙ্গন করেছেন শাহরুখ খান। 

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যরাতেই ভক্তদের আবদার মেটাতে মান্নতের কালো জালে ঘেরা ছাদে মিলিটারি ছাপ প্যান্ট, কালো টি-শার্ট, টুপি, রোদচশমায় দেখা গেল কিং খানকে। ছাদে দাঁড়িয়ে কখনো হাত নাড়ছেন, কখনোবা ভক্তদের জনসমুদ্রে ভাসিয়ে দিচ্ছেন উড়ন্ত চুমু। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা হাজার হাজার ভক্ত কিং খানকে জানালেন জন্মদিনের অভিবাদন। সেই দৃশ্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

শাহরুখের জন্মদিনে একদিকে ছিল দিওয়ালির পার্টি, অন্যদিকে স্ত্রী গৌরী খানের আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন। এ ছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও বন্ধু রানী মুখার্জির বাড়িতে কেক কাটতে হয়েছে তাকে। 

প্রসঙ্গত, আশির দশকের শেষ দিকে টেলিভিশন সিরিয়াল ‘ফৌজি’ ও ‘সার্কাস’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন শাহরুখ খান। ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তার। এরপর দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন কিং অব রোমান্সখ্যাত এ তারকা। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে ‘টাইগার ৩’ চলচ্চিত্রে একটি ক্যামিও দৃশ্যে। সামনে মেয়ে সোহানার সঙ্গে ‘কিং’ নামের একটি চলচ্চিত্র নিয়ে আবারও ফিরবেন শাহরুখ।

হাসান