
পতৌদির দশম নবাব ও বলিউড তারকা সাইফ আলী খান। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় এক অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে সফলভাবে এই অভিনেতার দুটি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত।
ঘটনাটি নিয়ে বান্দ্রা পুলিশ ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। তদন্ত পরিচালনা করার সময়ে পুলিশ এই অভিনেতার ভক্ত ও গণমাধ্যমকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ করেছে। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে আরও তথ্য পেলে সেগুলো গণমাধ্যমকে জানাবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
এই অভিনেতার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সাইফ আলী খান টিম বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সফল অস্ত্রোপচার শেষে সাইফ এখন বিপদমুক্ত। তিনি এখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। পরিবারের সবাই নিরাপদে আছেন এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা লীলাবতী হাসপাতালের ডা. নীরজ উত্তমণি, ডা. নিতিন ডাঙ্গে, ডা. লীনা জৈন এবং তাদের দলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সাইফ আলী খানকে নিজেদের প্রার্থনায় রাখার জন্য তার সব ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীকে ধন্যবাদ।’
সাইফের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডা. উত্তমণি পিটিআইকে বলেন, ‘সাইফের ওপর আক্রমণের পর পরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সাইফকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি ক্ষত অনেক গভীর ছিল। এর মধ্যে একটি তার মেরুদণ্ডের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল।’
জানা গেছে, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি বাড়িতে ঢোকার পর গৃহকর্মীরা চিৎকার শুরু করেন। এতে ঘুম ভেঙে যায় সাইফের। ওই সময় সেই ব্যক্তি এক গৃহকর্মীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায়। এরপর সাইফ সেখানে গেলে তাকে দেখে ওই ব্যক্তি অভিনেতার ছোট ছেলের ঘরে ঢুকে পড়ে। বাধা দিতে গেলে সাইফের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয় এবং অভিনেতাকে ছুরিকাঘাত করে। হামলার পরপরই সাইফের বড় ছেলে ইব্রাহিম আলী খান ও বাড়ির কর্মীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ হামলার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে পুলিশ। তবে সিসিটিভি ফুটেজে মধ্যরাতের পর কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি অভিনেতার বাড়িতে। পুলিশের সন্দেহ, হামলাকারী আগেই সাইফের বাড়িতে প্রবেশ করেছিল এবং ভেতরে লুকিয়ে ছিল।
এদিকে সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করেছে মুম্বাই পুলিশ। ঘটনার পর কীভাবে এক যুবক বাড়ি থেকে পালাচ্ছিল, সেই ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে। ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই সেই ভিডিও প্রকাশ করেছে। ওই যুবককে খুঁজছে পুলিশ।
জানা গেছে, পরিচারিকা লিমাকে সন্দেহের আওতায় বাইরে রাখছে না তদন্তকারী দল। সুস্থ হতেই পরিচারিকার বক্তব্য রেকর্ডও করা হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে সাইফের বাড়ির তিনজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।