ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

‘টোনাটুনির সংসার’-এ মোশাররফ করিম-তানিয়া বৃষ্টি

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
‘টোনাটুনির সংসার’-এ মোশাররফ করিম-তানিয়া বৃষ্টি
ছবি: সংগৃহীত

আসছে ঈদের জন্য নির্মিত ‘টোনাটুনির সংসার’ নাটকে জুটি হয়ে আসছেন মোশাররফ করিম ও তানিয়া বৃষ্টি। মেজবাহ উদ্দীন সুমনের রচনায় সৈয়দ শাকিলের পরিচালনায় একেবারেই একটি ভিন্ন ধরনের গল্পে তারা দুইজন স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এরই মধ্যে রাজধানীর অদূরে পূবাইলের চটের আঁগা শুটিং হাউসে নাটকটির দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। 

পরিচালক সৈয়দ শাকিল জানান, ‘টোনাটুনির সংসার’ নাটকটি আসছে ঈদে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে। সৈয়দ শাকিলের পরিচালনায় এটা মোশাররফ করিমের দ্বিতীয় কাজ। তবে তানিয়া বৃষ্টি এর আগে সৈয়দ শাকিলের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক ‘সম্রাট’, ‘প্রেমনগর’ এবং সর্বশেষ ‘দোলনাঘর’ (খণ্ড) নাটকে অভিনয় করেছেন। তবে সৈয়দ শাকিলের পরিচালনায় প্রথম এক সঙ্গে মোশাররফ করিম ও তানিয়া বৃষ্টি ‘টোনাটুনির সংসার’ নাটকেই প্রথম অভিনয় করেছেন। 

নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, ‘দাম্পত্য জীবনে বেশ কয়েক বছর পর এসে স্বামী খেয়াল করে দেখল যে তার কোনোকিছুই স্ত্রীর ভালো লাগে না। কাপড় খাবার চলাফেরা অর্থাৎ স্বামীর সবকিছুতেই স্ত্রীর অসন্তুষ্টি। কীভাবে স্ত্রীর মনে আগের মতো ভালোবাসা ফেরানো যায় এবং সেই ভালোবাসা ফেরাতে গিয়ে এক নাটকীয় ঘটনা ঘটে। যথারীতি শাকিল ভাই ভীষণ যত্ন নিয়ে নাটকটি নির্মাণ করেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি গুণী নির্মাতা। শুরু থেকেই মনে হচ্ছিল যে বৃষ্টি খুব ভালো করবে। কারণ তার এক্সপেশন, তার কথা বলার যে স্বতঃস্ফূর্ততা, বডি ল্যাংগুয়েজ সবকিছুই আসলে জানান দিচ্ছিল যে সে ভালো করবে। এখন ভালো করছে এবং চরিত্র বুঝেই সে অভিনয়টা বেশ ভালোভাবে করতে পারে।’  

তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘মোশাররফ ভাই আমার ভীষণ ভীষণ প্রিয় একজন অভিনেতা, সহশিল্পী। তিনি এত এত বিষয়ে জ্ঞান রাখেন যে শুটিং ছাড়া তার সঙ্গে আড্ডা দিতে পারলে আরও অনেক কিছু শেখা যেত। শাকিল ভাই এমন একজন নির্মাতা- তিনি জানেন তিনি কী চান; যে কারণে কাজটা খুব সহজ হয়ে যায়। টোনাটুনির সংসার-এর গল্পটাই চমৎকার। ভীষণ ভালো লেগেছে কাজটি করে। আশাবাদীও ভীষণ।’ 

/শাকিল  

 

সিনেমার গানে হাতেগোনা কয়েক শিল্পী এটা কী সিন্ডিকেট নাকি যোগ্যতা?

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০০ এএম
সিনেমার গানে হাতেগোনা কয়েক শিল্পী
এটা কী সিন্ডিকেট নাকি যোগ্যতা?
ছবি: সংগৃহীত

বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছে সিনেমার গান। অ্যালবামে প্রকাশ পাওয়া গানের চেয়ে হিসাব করলে সংখ্যার দিক দিয়ে সিনেমার গানই বেশি কালজয়ী হয়েছে। সিনেমার গান নিয়ে শ্রোতাদের মধ্যেও উন্মাদনা বেশি থাকে সব সময়। আশি ও নব্বইয়ের দশকে সিনেমায় যেসব গান হতো বলতে গেলে প্রায় সব গানই শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরত। যুগের বিভিন্ন ডালপালা ভেঙে সেসব গানই আজ কালজয়ী গানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। 

নব্বইয়ের দশকের পর বর্তমান সময় পর্যন্ত নির্মিত অনেক সিনেমার গানও তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে সেটা সংখ্যার তুলনায় কম। আগে সিনেমার গান তৈরি করতেন খ্যাতিমান সুরকার গীতিকবিরা। আলতাফ মাহমুদ, খান আতাউর রহমান, সত্য সাহা, আনোয়ার পারভেজ, আলাউদ্দীন আলী, আলী হোসেন, আলম খান, শেখ সাদী খান, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান, কে জি মোস্তফা, নজরুল ইসলাম বাবু, খন্দকার ফারুক আহমেদ, আমজাদ হোসেন, প্রণব ঘোষ প্রমুখ।

এসব খ্যাতিমান গীতিকার সুরকার সংগীত পরিচালকদের গানেই জগৎ বিখ্যাত হয়েছেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, মাহমুদুন্নবী, সৈয়দ আব্দুল হাদী, আব্দুল জব্বার, বশির আহমেদ, নিলুফার ইয়াসমীন, আবিদা সুলতানা, রফিকুল আলম, খুরশিদ আলম, সুবীর নন্দী, তপন চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ, লাকী আখন্দ, ফেরদৌস ওয়াহিদ, শাম্মী আখতার, এন্ড্রু কিশোর, শাকিলা জাফর, কনকচাঁপা, সামিনা চৌধুরী, বেবী নাজনীন, ডলি সায়ন্তনী, মনির খানসহ আরও অনেক শিল্পী। 

দেশীয় শিল্পীদের পাশাপাশি সিনেমার গানে কণ্ঠ দিতেন ভারতের নন্দিত শিল্পীরাও। গান তৈরির ক্ষেত্রে সুরকার ও গীতিকবির সংখ্যাও যেমন বেশি ছিল, তেমনি শিল্পীর সংখ্যাও ছিল অনেক। তবে তখন একটা সিনেমার সব গান একজন সুরকার সংগীত পরিচালকই তৈরি করতেন। শিল্পী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ছিল ভিন্নতা। অর্থাৎ যে গানটির জন্য যার কণ্ঠ প্রয়োজন হতো তাকে দিয়েই সেই গানটি গাওয়ানো হতো।

কিন্তু বর্তমানে সিনেমার গানের চিত্র পাল্টে গেছে। এখন একটা সিনেমার গান একজন সুরকার ও সংগীত পরিচালক তৈরি করেন না। সিনেমায় যদি পাঁচটি গান থাকে তবে সেই গানগুলো তৈরি করেন দুই বা তিনজন সংগীত পরিচালক। শিল্পীর ক্ষেত্রেও আর নেই ভিন্নতা। ঘুরেফিরে একই কণ্ঠ ও একই মুখ। বর্তমান সময়ে তৈরি অধিকাংশ সিনেমার গানে কণ্ঠশিল্পী কনা, কোনাল, ইমরানের কণ্ঠই বেশি শোনা যায়। তবে মাঝে মাঝে বালাম, প্রীতম হাসান, ন্যানসি, আতিয়া আনিসা, অবন্তী সিঁথি, হাবীব ওয়াহিদ, হৃদয় খান ও বেলাল খানের কণ্ঠও শোনা যায়। তবে সেটাও হাতেগোনা।

কিন্তু বর্তমানে সিনেমার গানগুলো কনা, কোনাল ও ইমরানের দখলেই বেশি। এটা কী বিশেষ কোনো সিন্ডিকেট নাকি যোগ্যতা? এই প্রশ্নও মাঝে মাঝেই ওঠে সংগীতাঙ্গনে। আগের দিনে সিনেমার গানগুলোয় অনেক শিল্পীর কণ্ঠ শোনা গেলেও বর্তমানে প্রায় প্রতিটি সিনেমায় এই তিনজন শিল্পীর কণ্ঠই বেশি শোনা যায়।

অথচ একসময়ের প্লেব্যাকে নিয়মিত কনকচাঁপা, সামিনা চৌধুরী, ন্যানসি, মনির খান, আসিফ আকবর গানে সরব থাকলেও সিনেমার গানে তাদের উপস্থিতি একেবারেই হাতের কড়গুনে বের করা যাবে। এ ছাড়া ক্লোজআপ ওয়ান তারকা লিজা, সেরাকণ্ঠ বিজয়ী ঝিলিক, জিনিয়া জাফরিন লুইপা, কিশোর দাস, সাব্বির জামান, মুহিন, মৌমিতা নদী, পড়শী, খেয়ার শিল্পীদের সিনেমার গানে পাওয়া যায় না।

যখন এসব ভালো এবং জনপ্রিয় শিল্পীদের দিয়ে সিনেমার গান গাওয়ানো হয় না, তখন সিন্ডিকেটের প্রশ্ন আরও বেশি প্রবল হয় মিডিয়া পাড়ায়এ সম্পর্কে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান সুরকার ও সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন খবরের কাগজকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট ছাড়াতো এটা সম্ভব নয়। ঘুরেফিরে সব কাজ তিন-চারজনই করছে, বাকিরা কি যোগ্য না? তাদেরই সব যোগ্যতা আছে!’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমিও এক সময় অনেক বেশি কাজ করেছি, তখন যারা যোগ্য তাদের দিয়েই কাজ করাতাম। তখন সিন্ডিকেট ছিল না। এখন কাজ কমিয়ে দিয়েছি। তবে এই সিন্ডিকেট বেশিদিন টিকবে না। হয়তো এটা ভেঙে আবার নতুন কোনো সিন্ডিকেট আসবে। তবে আমরা কোনো সিন্ডিকেট চাই না। যোগ্যরা সঠিক জায়গায় পৌঁছাক। সিনেমার গান সিন্ডিকেট মুক্ত হোক।’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইমন সাহা বর্তমানে আমেরিকার ফ্লোরিডা রয়েছেন। সেখান থেকে খবরের কাগজকে বলেন, ‘সিন্ডিকেট আগেও ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কাজের জন্য কেউ কেউ হয়তো পিআর মেইনটেইন করেন, এটা আসলে দোষের কিছু নয়। আর আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সব সময় সূর্যের আলো যেদিকে থাকে সেদিকেই চলে। যারা কাজ করছেন তাদের যোগ্যতা আছে। এখন হয়তো তারা নিয়মিত কাজ করেন, এক সময় তাদের জায়গা অন্য কেউ নেবে এটাই স্বাভাবিক।’

সিনেমার গান নিয়ে সংগীত পরিচালক রিপন খান সম্প্রতি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সিনেমার গানগুলো বেশির ভাগ একইরকম! নতুনত্ব নেই বললেই চলে। একই রকম কণ্ঠ, একই টিউন এবং মিউজিক। একই নাচ, দৃশ্য!’ 

জনপ্রিয় গায়িকা লুইপা বলেন, ‘একটা সিনেমায় বিভিন্ন ধরনের গান থাকে। আগেকার দিনে যখন গুণী সংগীত পরিচালকরা গান তৈরি করতেন, তখন তারা যে গানের জন্য যার কণ্ঠ ভালো মানাবে তাকে দিয়েই গান গাওয়াতেন। এখন সেটা হয় না। এখন সিনেমায় গানের জন্য শিল্পী নির্ধারণ করেন পরিচালক ও প্রযোজক। ঘুরেফিরে দুই-তিনজন শিল্পীকেই সিনেমার গানে দেখা যায়। সিনেমার গানের জন্য পরিচালক ও প্রযোজকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হয়, মাঝে মাঝে বসতে হয় চা কফি খেতে। এই যোগ্যতা আমার নেই তাই হয়তো সিনেমার গানে আমাকে ডাকা হয় না। তবে গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছে যে ভালোবাসা পাচ্ছি সেটা অনেক।’ 

সেরাকণ্ঠ চ্যাম্পিয়ন গায়িকা ঝিলিক বলেন, ‘সিনেমার গানে যদি আমাকে কেউ না ডাকে, তাহলে আমি নিজে নিজে তো আর গান গাইতে পারব না। ঘুরেফিরে তিনজন শিল্পীই প্রায় সব সিনেমার গানেই থাকছেন। এই তিন- চারজন ছাড়া শিল্পীর নাম বলতে গেলে হিসাব করে বের করতে হয়। আমি দেশ ও দেশের বাইরে নিয়মিত স্টেজ শো করছি। দেশের বাইরে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করছি। তারপরও কেউ যদি আমাকে না ডাকে আমার তো কিছু করার নেই। হয়তো আমার নিজেরই যোগ্যতা নেই সিনেমায় গান করার। আমি তো কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারি না। তবে যেহেতু নির্দিষ্ট কয়েক শিল্পী সিনেমার সব গানে কণ্ঠ দিচ্ছেন, এটা অবশ্যই সিন্ডিকেট।’ 

কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক কিশোর দাস বলেন, ‘সিন্ডিকেট আছে এটাই আমি জানি না। আর যদি সিন্ডিকেট থেকে থাকে, তাহলে এটা ওপেন করে দেওয়া হোক, আমরাও জানতে চাই এই সিন্ডিকেটের অংশ হতে হলে কী কী যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। তখন আমরাও পরীক্ষা দেব। এ ছাড়া সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, গান তো সব ভারতে চলে যাচ্ছে। তারা তো আর জানে না বাংলাদেশের কোন শিল্পী কোন গান ভালো গাইতে পারবেন। নিশ্চয়ই তাদের কাছে বাংলাদেশ থেকে শিল্পীদের নাম ও রেফারেন্স যায়। আর গান তো সব একই রকম হচ্ছে। আমাদের দেশের সংগীত পরিচালকরা গান তৈরি করলে তারা অবশ্যই অন্য শিল্পীদের কণ্ঠ গানে ব্যবহার করতেন।’ 

জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফি বলেন, ‘আমার ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করে না। কারণ আমার সিনেমার জন্য যাকে প্রয়োজন তাকেই ডাকি। আমি অনেক নতুন শিল্পীকে দিয়েও আমার সিনেমার গান করিয়েছি এবং জনপ্রিয় হয়েছে। আমার মনে হয় যার যোগ্যতা আছে, শেষ পর্যন্ত সেই টিকে থাকবে।’

চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুন বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু রিকুয়েস্ট আগেও ছিল, এখনো আছে। তবে আমাদের মিউজিক ডিরেক্টররা নতুন কোনো শিল্পীকে দিয়ে এখন এক্সপেরিমেন্ট করতে চান না। এ ছাড়া পরিচালক এবং প্রযোজকও একটু সেইফ গেইম খেলতে চান এখন। সবকিছু মিলিয়ে এটা আসলে সময়ের চাহিদা। সিনেমায় ইমরান, প্রীতমের একটা গান লাগবেই, আবার আইটেম গান হলে সেটা কনাকে বাছাই করা হয়। আমি বলব, এটা আসলে সময়ের চাহিদা।’ 

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনা বলেন, ‘সিন্ডিকেট শব্দটার সঙ্গে আমি পরিচিত না। আমি এটা বুঝিও না। আমাকে যারা ডাকে, গান গাইতে বলেন আমি শিল্পী হিসেবে কাজ করি। এ শব্দটা আমি আপনাদের কাছেই শুনতেছি। সারা পৃথিবীতে যারা যোগ্য তারাই কাজ করেন। আমি কোনো সিন্ডিকেটে নেই।’
এ সম্পর্কে জানতে কণ্ঠশিল্পী কোনালের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার সাড়া মেলেনি। 

তবে গান-সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সিনেমার গানের ভিন্নতা আনতে অবশ্যই আরও শিল্পীর কণ্ঠ ব্যবহার করা প্রয়োজন। তাতে করে সিনেমার গান আরও বেশি মানসম্পন্ন হবে। 

/শাকিল  

অভিনয় ছাড়ার ইচ্ছা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
অভিনয় ছাড়ার ইচ্ছা
ছবি: সংগৃহীত

দুবারের একাডেমি পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট ব্লানচেট। ক্যারিয়ারে ‘অ্যাভিয়েটর’ এবং ‘ব্লু জেসমিন’-এর মতো অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই হলিউড তারকা। এবার অদ্ভুত এক কথা বলে ভক্তদের অবাক করে দিলেন তিনি। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, একদিন অভিনয় এবং চলচ্চিত্র জগত থেকে দূরে সরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা পোষণ করেছেন এই মার্কিনি। 

ডেডলাইনের উদ্ধৃতি অনুসারে, যুক্তরাজ্যের রেডিও টাইমস ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন যে, তিনি অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। কারণ তিনি জীবনে আরও নানা ধরনের কাজ করতে চান। এই সপ্তাহের শেষে প্রথমবারের মতো প্রচারিত ‘বিবিসি রেডিও ৪’-এর দ্য ফিভারের প্রচারমূলক সাক্ষাৎকারের সময় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। 

সম্প্রতি কেট ব্লানচেট অভিনীত একটি কাজের সহ-পরিচালক জন টিফানি উল্লেখ করেছিলেন যে, এক সাক্ষাৎকারে কেট নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে ঘোষণা করতে দ্বিধা করছিলেন। 

কেট এর জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি আসলে হাল ছেড়ে দিচ্ছি। আমি যখনই বলি (অভিনয় ছাড়ার ব্যাপারে) আমার পরিবার তাদের চোখ ঘুরিয়ে নেয়, কিন্তু আমি এটাই বলতে চাই। আমি সত্যিই অভিনয় ছেড়ে দিতে চাই।’ 

অভিনেত্রী আরও জানান যে, তিনি তার জীবনে আরও অনেক কিছু করতে চান। একজন তারকা হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার সময় অভিনেত্রী আরও জানিয়েছিলেন, যে প্রক্রিয়ায় সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় সেটা তিনি মোটেই পছন্দ করেন না।

‘আমার কাছে আমার চেয়ে বেশি বিরক্তিকর আর কেউ নেই এবং আমি অন্যদের অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে করি। আমার নিজেকে অনেক বেশি নিস্তেজ বলে মনে হয়। পাশাপাশি টকশোতে কথা যেভাবে বের করে আনা হয় এবং দেখানো হয় সেটাও আমার পছন্দ নয়’- ডেডলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে এমনটাই জানিয়েছেন ব্লানচেট। 

উল্লেখ্য, এ অভিনেত্রীকে সামনে জেলনার ব্রাদার্সের তারকাখচিত এলিয়েন ইনভেসন কমেডি ‘আলফা গ্যাং’-এও দেখা যাবে। 

/শাকিল  

পূজার প্রত্যাবর্তন

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম
পূজার প্রত্যাবর্তন
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি এবং বলিউড ভক্তদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় এক নাম পূজা হেগড়ে। তবে যেই তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি থেকে রুপালি পর্দায় উত্থান হয়েছিল এই তারকার, সেই তেলেগু সিনেমাতেই বেশ কিছুদিন ধরে অনুপস্থিত এ অভিনেত্রী। সম্প্রতি ‘আলা ভাইকুণ্ঠপুরামুলু’খ্যাত পূজা টলিউড সিনেমায় তার না থাকার কারণগুলো তুলে ধরে ভক্তদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে দূরে রাখার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। 

বর্তমানে অভিনেত্রী তার আসন্ন তামিল ছবি ‘রেট্রো’-এর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ছবিটিতে দক্ষিণী সুপারস্টার সুরিয়ার বিপরীতে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ছবিটির প্রচারও শুরু করেছেন। 

‘ওয়ানটুথ্রিতেলেগু’র একটি প্রতিবেদন অনুসারে তেলেগু ছবি থেকে বিরতির কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘কখনই টলিউড থেকে সরে আসার ইচ্ছা আমার নেই। বরং আমি আমার সৃজনশীল প্রত্যাশা পূরণে সঠিক চিত্রনাট্যের জন্যই আসলে অপেক্ষা করছি।’ 

যদিও তিনি সম্প্রতি বলিউড এবং কলিউডের ওপর মনোযোগ দিচ্ছেন। পূজা নিশ্চিত করেছেন, তিনি একটি নতুন তেলেগু ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। পূজা আরও জানান, সময় হলে তিনি নিজেই বাকি খবর জানাবেন। 

উল্লেখ্য, পূজার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত তেলেগু ছবি ছিল ‘আচার্য’ যেটা দুর্ভাগ্যবশত বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। পরে অন্যান্য ছবিতে তিনি মনোযোগ দেন যেখানে বেশ কয়েকটি বড় বড় কাজের অংশ ছিলেন এই তারকা। তা সত্ত্বেও তেলেগু ভক্তরা এখনো অধীর আগ্রহে তার প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছেন।

প্রসঙ্গত, কার্তিক সুব্বারাজ পরিচালিত আসন্ন ‘রেট্রো’ ছবিতে সুরিয়ার বিপরীতে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। রোমান্টিক অ্যাকশন ঘরানার এ ছবিটি চলতি বছরের ১ মে বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। 

/শাকিল  

শফিক তুহিনের নতুন গান ‘টুনটুনি’

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
শফিক তুহিনের নতুন গান ‘টুনটুনি’
ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় গীতিকার সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিন। এবার পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে এই সংগীতশিল্পীর দ্বৈত গান। গানটির শিরোনাম ‘টুনটুনি’। গানটিতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন শিল্পী রূপসা। 

সিলেটি ভাষায় রচিত গানটির সুর করেছেন শফিক তুহিন নিজেই। গানের কথা লিখেছেন বৈরাগী বকুল এবং সংগীতায়োজন করেছেন আলভী আল বেরুনী। 

মিউজিক ভিডিওটি নির্মিত হয়েছে ঢাকার ডান্স কোম্পানির ব্যানারে। রুহুল আমিনের ভিডিও পরিচালনায় পারফর্ম করেছে পরিচালক নিজে ও পায়েল খান। কোরিওগ্রাফি করেছেন তানভীর। মিউজিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে শফিক তুহিনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে। 

গানটি সম্পর্কে শফিক তুহিন বলেন, ‘সিলেটি ভাষায় রচিত এই গানটির মাঝে আলাদা একটা মজা আছে। গানটি প্রকাশের পর থেকেই শ্রোতাদের কাছে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস গানটি ধীরে ধীরে শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে। আমি গানটি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।’ 

/শাকিল  

গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি নায়ক জাভেদ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি নায়ক জাভেদ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস জাভেদ। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন এই অভিনেতা। হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উত্তরার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই অভিনেতাকে। 

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সনি রহমান দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সনি বলেন, ‘‘অভিনেতা জাভেদ ভাই ক্যানসারসহ নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। আজ (১৬ এপ্রিল) হঠাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি গত কয়েকমাস ধরেই বেশ শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। আমরা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে উনার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যে কোনো প্রয়োজনে আমরা ওনার পাশে আছি।’’

ঢাকাই সিনেমার এই কিংবদন্তি চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ শুরু করেন ১৯৬৪ সালে নৃত্য পরিচালক হিসেবে। একই বছর নায়ক হিসেবেও ঢাকাই সিনেমায় (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) অভিষেক করেন তিনি। ক্যারিয়ারে কমপেক্ষ শতাধিক সিনেমায় নৃত্য পরিচালক এবং অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন ইলিয়াস জাভেদ। এই অভিনেতার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ হলো ‘নিশান’, ‘নয়ি জিন্দেগি’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘অন্ধ প্রেম’, এবং ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’।

১৯৪৬ সালে ভারতের গুজরাটে জন্মগ্রহণ করা এই চিত্রনায়ক আশির দশকে ভালোবেসে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা ডলিকে। ক্যারিয়ারের সোনালি সময়ে অঞ্জু ঘোষসহ সব নামকরা নায়িকাদের সঙ্গেই একচেটিয়া কাজ করেছেন এই অভিনেতা। 

/শাকিল