ছয় বছরের শিশু আহনাফ। যে সময়টায় ছুটোছুটি আর স্কুলে যাওয়ার কথা, তখন সে শুয়ে রয়েছে হাসপাতালের বিছানায়। তার ছোট্ট শরীর জুড়ে রয়েছে নানা চিকিৎসার যন্ত্রপাতি। থ্যালাসেমিয়া মেজর নামক রোগে মাহিউর রহমান আহনাফ জন্ম থেকেই আক্রান্ত। তবে তারপরও তাকে সুস্থ্য করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টায় নিজেদের সবটুকু উজার করে দিয়েছেন মা-বাবা।
মা আলেয়া জানান, জন্মগতভাবে এই জটিল রোগে আক্রান্ত আহনাফকে প্রতি মাসে অন্যের রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। এই রোগ থেকে সুস্থ্য হওয়ার একমাত্র উপায় বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গত বছর ১২ ডিসেম্বর আহনাফের বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামের ফোর্টিজ হাসপাতালে ডা. বিকাশ দুয়া-এর অধীনে। ট্রান্সপ্লান্টের ১১৫ দিন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু ১১৬ দিন অর্থাৎ চিকিৎসা শেষ হওয়ার চারদিন আগে গত ৬ এপ্রিল আহনাফের শরীরে নতুন করে জটিলতা শুরু হয়, যা GVHD ও CMV ভাইরাস নামে পরিচিত।
দেশের বাইরে নিয়ে আহনাফের চিকিৎসায় এরইমধ্যে তার মা-বাবা ৮০ লাখ টাকার বেশি খরচ করেছেন। এই চিকিৎসার প্রতিটি ইঞ্জেকশন ব্যয়বহুল। আহনাফের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসক তাকে পুনরায় আইসিইউতে ভর্তি করিয়েছেন। এই চিকিৎসা চালানোর জন্য এখন আরো প্রায় ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আহনাফের পরিবারের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইঞ্জেকশন সঠিক সময়ে দিতে পারলে আহনাফ সুস্থ হয়ে উঠবে। তাই আহনাফের মা সবার কাছে আর্থিক সাহায্য ও দোয়া প্রার্থনা করছেন।
আগ্রহী সাহায্য দাতারা সিটি ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় একাউন্ট: আলেয়া ফেরদৌসী, একাউন্ট নম্বর- ২৩১১২০৮৯৮৩০০১, রাউটিং নং- ২২৫২৬২৫৩১-এ টাকা জমা দিতে পারেন।
তাছাড়া, ০১৮৯১৯৬৫৮৫৪ (আহনাফের মামা) নম্বরে নগদ ও বিকাশ করতে পারবেন।
অমিয়/