ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

ইউএসএইড ইস্যুতে ধাক্কা খেল ট্রাম্প প্রশাসন

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২১ পিএম
ইউএসএইড ইস্যুতে ধাক্কা খেল ট্রাম্প প্রশাসন
ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন ত্রাণ সংস্থা ইউএসএইডের কর্মীদের জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই পদক্ষেপ সাময়িকভাবে আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালত।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ট্রাম্পের নিয়োজিত ডিস্ট্রিক্ট জজ কার্ল নিকোলসের আদালত এই রায় পাঠ করেন।

এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে শ্রম ইউনিয়ন ও বিদেশে শ্রমসেবা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।

আদলতের রায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সহস্রাধিক ইউএসএইড কর্মীর স্বার্থ নিশ্চিত করেছে।

আদলতের শুনানিতে বিচারক নিকলস্‌ জানান, প্রশাসনের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হলে ‘অপূরণযোগ্য ক্ষতি হবে’।

তবে কর্মীদের জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানোর নির্বাহী আদেশ আটকে দিলেও ইউএসএইড কার্যালয় খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর পক্ষে রায় দিতে রাজি হননি তিনি।

এদিকে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ট্রাম্প প্রশাসন। আদালতে মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা প্রশাসনের সমর্থনে বলেন, ‘ইউএসএইড চরম দুর্নীতি ও জালিয়াতিতে জর্জরিত।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথসোশালে ট্রাম্পের বলছেন একই কথা। প্ল্যাটফর্মটির এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইউএসএইড দুর্নীতির অতল গহ্‌বরে হারিয়ে যাচ্ছে। এটাকে দ্রুত বন্ধ করা উচিত।’ তবে নিজের দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দাঁড় করাতে পারেননি তিনি।

গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে বিশ্বব্যাপী মার্কিন ত্রাণ কার্যক্রম আটকে দিয়েছেন ট্রাম্প। বন্ধ হয়ে আছে ইউএসএইডের কাজও। এতে বিপাকে পড়েছেন ফিলিস্তিনের গাজাবাসী ও বাংলাদেশে অবস্থানপরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

ওয়াশিংটনের এই তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়নে কাজ করছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ট মিত্র ধনকুবের ইলন মাস্ক।

এদিকে গেল বছর ইউএসএইড প্রায় ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ত্রাণ সরবরাহ করেছে সংকটাপন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

পাবনায় বাসচাপায় নিহত ৪ অটোরিকশাযাত্রী

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
পাবনায় বাসচাপায় নিহত ৪ অটোরিকশাযাত্রী
সড়ক দুর্ঘটনার প্রতীকি ছবি: সংগৃহীত

পাবনায় বাসের চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চারজন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন।


বিস্তারিত আসছে...

রুশ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের পাল্টা হামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
রুশ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের পাল্টা হামলা
রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা। ছবি: সংগৃহীত

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সাম্প্রতিক রুশ সহিংসতার জবাবে রাশিয়ার এংগেলস্‌ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেন শক্তিশালী ড্রোন হামলা করেছে। আক্রমণের কারণে ঘাঁটিতে বিরাট বিস্ফোরণ ঘটে।

বৃহস্পতিবারের (২০ মার্চ) এই ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছেন মস্কো প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

রাশিয়ার টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ঘাঁটিতে বিকট বিস্ফোরণের পর আশেপাশের বসতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। রয়টার্স এর মধ্যেই একটি ফুটেজের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১৩২টি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করেছে রুশ অ্যায়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন এংগেলস্‌ বিমান ঘাঁটি রাশিয়ার সারাতভ অঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির দূরপাল্লার বিমান অভিযানের ক্ষেত্রে এই ঘাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সারাতভের গভর্নর রোমা বুসারগিন হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিমান ঘাঁটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার তীব্রতা প্রকাশ করে অঞ্চলটির জেলাপ্রধান ম্যাক্সিম লিওনভ এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করলেও ঘটনার খুঁটুনাটি ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি।

২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে কয়েকদফা ইউক্রেন এনগেলস্‌ বিমান ঘাঁটি আক্রমণের চেষ্টা করেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই ঘাঁটির একটি তেলের ডিপোতে হামলার দায় স্বীকার করেছে কিয়েভ প্রশাসন। এই ঘটনায় তেলের ডিপোতে পাঁচদিন লাগাতার আগুন জ্বলেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবারের হামলায় মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ঘাঁটি সামরিক কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিয়েও মস্কো কর্তৃপক্ষ খোলামেলা কিছু জানায়নি। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে ৬ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ৪০

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে ৬ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ৪০
ছবি: সংগৃহীত

ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসার কাছে নৌকা ডুবে অন্তত ছয়জন প্রাণ হারিয়েছে। এ ঘটনায় এখনো ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছেন নৌকার ৫৬ অভিবাসন প্রত্যাশী।

উদ্ধারকর্মীরা ১০ জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী ল্যাম্পেডুসার একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

উদ্ধার যাত্রীদের সূত্রে জানা গেছে, তিউনিসিয়া থেকে ছেড়ে আসা নৌকাটি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে মাঝসমুদ্রে উল্টে যায়।

এ প্রসঙ্গে ইতালির ক্যাথলিক দাতব্য সংস্থা ক্যারিটাসের পরিচালক ফাদার মারকো পাগনিয়াল্লো বলেন, ‘ভূমধ্যসাগরে এ ধরনের মৃত্যু দেখলেই আমার মনে হয় এই সমাজে নিঃস্ব জনগোষ্ঠীকে একটু সচ্ছল জীবন ও নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কতটা ব্যর্থ।’

এ সময় তিনি যুদ্ধের কারণে অভিবাসীদের দেশ ছেড়ে পালানো রুখতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

অর্থনৈতিক সচ্ছলতা অর্জনের উদ্দেশে ইতালিতে অবৈধ অভিবাসনের উদ্দেশে নৌকায় করে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার ঘটনা বেশ পুরোনো। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এভাবে ইতালিতে প্রায় ৩হাজার ৩৬৮ জন অভিবাসী যাত্রা করেছেন। ঠিক এক বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ২হাজার ২৫৮। এদের মধ্যে বেশিরভাগই লিবিয়ার অধিবাসী।

সম্প্রতি লিবিয়ার কুখ্যাত সন্ত্রাস ওসামা নাজিমকে গ্রেপ্তারের কারণে দেশটিতে সৃষ্ট সহিংসতার কারণে আগের তুলনায় বেশি অভিবাসী নিরাপত্তার আশায় ইতালিতে পাড়ি দিচ্ছেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। 

এদিকে অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক জরিপে উঠে এসেছে, ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ২৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

ভারতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২২ মাওবাদী নিহত

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
ভারতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২২ মাওবাদী নিহত
ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মধ্যাঞ্চলের ছত্তিশগড় এলাকার জঙ্গলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ২২ মাওবাদী বিদ্রোহী।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ)  ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে। খবরটি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। দেশটির ইতিহাসে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীর অভিযানে এটাই সবচেয়ে সাড়া জাগানিয়া নজির। দুটো ভিন্ন বন্দুকযুদ্ধে নকশালবাদীদের মোট ২২জন প্রাণ হারিয়েছেন। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণে ভারতীয় একজন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।

মাওবাদীদের কাছ থেকে এসময় সেনারা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ২২জন নকশালবাদী প্রাণ হারিয়েছেন।’

এসময় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের রুখতে সরকারে শক্ত অবস্থান মনে করিয়ে দিয়ে অমিত বলেন, ‘মোদি সরকার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেবে। যে নকশালবাদীরা এখনো আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’

বামপন্থি চীনা নেতা মাও সেতুংয়ের আদর্শে পুষ্ট এই বিদ্রোহীরা ১৯৬৭ সাল থেকে ভারতে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য জমি, চাকরি ও প্রাকৃতিক সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। তবে ভারত সরকারের সঙ্গে এই বিরোধের জেরে এই পর্যন্ত প্রায় ১০হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

গত বছর ভারতের সেনাবাহিনীর অভিযানে মোট ২৮৭জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। চলতি বছর ইতোমধ্যেই আরও ৮০জন মাওবাদী মারা গেছেন।

এদিকে সরকারবাহিনীর অভিযান সত্ত্বেও নকশালপন্থিদের আক্রমণ চলমান। এবছর জানুয়ারি মাসে বিদ্রোহীদের বোমা হামলায় ৯জন ভারতীয় জওয়ান মারা গেছেন। তবে দিল্লি সরকার আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদ নিশ্চিহ্নের ঘোষণা দিয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি

নাইমুর/

শিক্ষা বিভাগ বন্ধের আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
শিক্ষা বিভাগ বন্ধের আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বন্ধের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এই স্বাক্ষর করতে পারেন তিনি।

মূলত নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ প্রচারণার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতিও দেন ট্রাম্প। এছাড়া ইতোমধ্যেই এই বিভাগের কর্মী সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং তহবিল কমানোর প্রচেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা ফক্স নিউজ।

ফক্স নিউজের তথ্য অনুসারে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘ-প্রত্যাশিত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিজের নির্বাচনি প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন।

অবশ্য স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই ডেমোক্র্যাটিক অঙ্গরাজ্যগুলোর অ্যাটর্নি জেনারেলদের একটি দল এই আদেশটিকে চ্যালেঞ্জ জানান। এছাড়া তারা ট্রাম্পকে বিভাগটি বিলুপ্ত করা এবং গত সপ্তাহে ঘোষিত প্রায় অর্ধেক কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ করতে মামলাও করা হয়।

এদিকে শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার এই আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর আমেরিকান রক্ষণশীলদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য পূরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে এই আদেশ স্বাক্ষরিত হবে। ইতোমধ্যেই এই বিভাগের কর্মী সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং তহবিল কমানোর প্রচেষ্টাও চলছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় শিক্ষা বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, তিনি এই বিভাগের ক্ষমতা অঙ্গরাজ্যগুলোর সরকারের কাছে হস্তান্তর করবেন। মূলত এটাই ছিল বহু দশক ধরে অনেক রিপাবলিকানের লক্ষ্য।

ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষায় ফেডারেল সরকারের ভূমিকা সীমিত। কারণ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য মাত্র ১৩ শতাংশ তহবিল ফেডারেল কোষাগার থেকে আসে, বাকি অর্থ অঙ্গরাজ্য এবং স্থানীয় সম্প্রদায় মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়ে থাকে।

কিন্তু নিম্ন আয়ের স্কুল এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ফেডারেল তহবিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকার অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।

আইন অনুসারে, ১৯৭৯ সালে তৈরি শিক্ষা বিভাগটি কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া বন্ধ করা যাবে না এবং রিপাবলিকানদের তেমনটি করার জন্য ভোট নেই।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে অন্যান্য ফেডারেল সংস্থাগুলোর মতো শিক্ষা বিভাগটি চলমান প্রোগ্রাম এবং কর্মচারীদের ওপর আরও কাটছাঁট দেখতে পাবে। আর এটিই এই বিভাগের কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সূত্র:  ফক্স নিউজ

দিনা/অমিয়/