
মার্কিন ত্রাণ সংস্থা ইউএসএইডের কর্মীদের জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই পদক্ষেপ সাময়িকভাবে আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালত।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ট্রাম্পের নিয়োজিত ডিস্ট্রিক্ট জজ কার্ল নিকোলসের আদালত এই রায় পাঠ করেন।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে শ্রম ইউনিয়ন ও বিদেশে শ্রমসেবা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।
আদলতের রায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সহস্রাধিক ইউএসএইড কর্মীর স্বার্থ নিশ্চিত করেছে।
আদলতের শুনানিতে বিচারক নিকলস্ জানান, প্রশাসনের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হলে ‘অপূরণযোগ্য ক্ষতি হবে’।
তবে কর্মীদের জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানোর নির্বাহী আদেশ আটকে দিলেও ইউএসএইড কার্যালয় খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর পক্ষে রায় দিতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ট্রাম্প প্রশাসন। আদালতে মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা প্রশাসনের সমর্থনে বলেন, ‘ইউএসএইড চরম দুর্নীতি ও জালিয়াতিতে জর্জরিত।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথসোশালে ট্রাম্পের বলছেন একই কথা। প্ল্যাটফর্মটির এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইউএসএইড দুর্নীতির অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে। এটাকে দ্রুত বন্ধ করা উচিত।’ তবে নিজের দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দাঁড় করাতে পারেননি তিনি।
গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে বিশ্বব্যাপী মার্কিন ত্রাণ কার্যক্রম আটকে দিয়েছেন ট্রাম্প। বন্ধ হয়ে আছে ইউএসএইডের কাজও। এতে বিপাকে পড়েছেন ফিলিস্তিনের গাজাবাসী ও বাংলাদেশে অবস্থানপরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।
ওয়াশিংটনের এই তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়নে কাজ করছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ট মিত্র ধনকুবের ইলন মাস্ক।
এদিকে গেল বছর ইউএসএইড প্রায় ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ত্রাণ সরবরাহ করেছে সংকটাপন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে। সূত্র: রয়টার্স
নাইমুর/