ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

নাইটসব্রিজে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হামিদ কোস্কুন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:০৯ এএম
নাইটসব্রিজে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হামিদ কোস্কুন
ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনের নাইটসব্রিজে তুর্কি কনস্যুলেটের সামনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এক ব্যক্তিকে ধর্মীয়ভাবে উদ্বুদ্ধ জনশৃঙ্খলার মারাত্মক লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

সোমবার (০২ জুন) আদালত রায়ে জানায়, অভিযুক্তের আচরণ আংশিকভাবে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল।

এ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি হামিদ কোস্কুন নামে পরিচিত এক ব্যক্তি কোরআনের একটি অনুলিপি আগুনে পুড়িয়ে তা মাথার ওপর তুলে ধরেন এবং উসকানিমূলক স্লোগান দেন।

তার দাবি, তিনি তু্রস্কের  প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোয়ানের ‘ইসলামপন্থি সরকারের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই কাজ করেছেন। নিজেকে আর্মেনীয়-কুর্দি বংশোদ্ভূত হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি তুরস্ক থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে এসেছেন।

তবে আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ফিলিপ ম্যাকগি বলেন, ‘এই মামলাটি কোনও ধর্মের সমালোচনা নিয়ে নয়, বরং জনসমক্ষে একটি বিশৃঙ্খল আচরণ নিয়ে। অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়া হলেও তা কারও ধর্মীয় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে না।’

তবে এই ঘটনার পর ব্রিটিশ রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। শ্যাডো জাস্টিস সেক্রেটারি রবার্ট জেনরিক মন্তব্য করেন, এই রায় যেন সংসদে বাতিল হয়ে যাওয়া ব্লাসফেমি আইনকে নতুনভাবে ফিরিয়ে আনলো।তার মতে, এটি বাকস্বাধীনতা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ভারসাম্য নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।

এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাংবাদিক মাহবুবুল করীম সুয়েদ মন্তব্য করেন, কোরআন পোড়ানোর এ ঘটনার পেছনে অভিযুক্ত ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তৈরির উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

তিনি আরও বলেন,  এই ধরনের ঘটনা ব্রিটিশ মুসলিম ও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে উদ্বেগ ও ক্ষোভের জন্ম দেয়। ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানোর পরিবর্তে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া গড়ে তোলাই হওয়া উচিত আমাদের লক্ষ্য।

সুলতানা দিনা/ 

নাসার প্রশাসক হলেন ট্রাম্পের পরিবহনমন্ত্রী

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
নাসার প্রশাসক হলেন ট্রাম্পের পরিবহনমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন মন্ত্রী শন ডাফি। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন মন্ত্রী শন ডাফিকে দেশটির মহাকাশ সংস্থা নাসার অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের একজন ঘনিষ্ঠ মিত্রের নাসার মনোনয়ন প্রত্যাহার করার পর ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নেন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পৃথক দুই প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সিএনএন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফিকে সাময়িকভাবে নাসার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার এটি ঘোষণা করেন।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমাদের দেশের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শন অসাধারণ কাজ করছেন, আধুনিক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম তৈরি থেকে শুরু করে সড়ক ও সেতু পুনর্গঠন পর্যন্ত সবকিছু তিনি দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছেন। এখন নাসার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থার নেতৃত্বও সাময়িক সময়ের জন্য তার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। অভিনন্দন ও ধন্যবাদ, শন।'

এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই শন ডাফি এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘এই দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। এখন সময় মহাকাশের দখল নেওয়ার। চলুন, উৎক্ষেপণ শুরু করি!'

এর আগে, চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে ট্রাম্প প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জারেড আইজ্যাকম্যানের নাসা প্রধান হিসেবে মনোনয়ন বাতিল করেন। অথচ অল্পদিনের মধ্যেই আইজ্যাকম্যানের নিয়োগ অনুমোদনের জন্য সিনেট ভোটে যাওয়ার কথা ছিল।

আইজ্যাকম্যান দুইবার মহাকাশে ব্যক্তিগত মিশনে অংশ নিয়েছেন এবং স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ট্রাম্প বলেন, ‘নাসা যখন ইলনের ব্যবসার এত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তখন তার ঘনিষ্ঠ কোনো বন্ধু এই সংস্থার নেতৃত্বে থাকা অনুচিত হবে।'

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, নাসার মতো সংস্থার নেতৃত্বে সাধারণত বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ বা অভিজ্ঞ সরকারি কর্মকর্তারা থাকেন, যারা দুই পক্ষের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাজেটসহ প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিয়ে যান।

শন ডাফি ছাড়াও ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার আরও কয়েকজন সদস্য একাধিক দায়িত্বে আছেন। যেমন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং জাতীয় আর্কাইভ বিভাগের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

সুলতানা দিনা/ 

উসাইন বোল্টের গতিতে দৌড়াল চায়নিজ রোবট কুকুর!

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
উসাইন বোল্টের গতিতে দৌড়াল চায়নিজ রোবট কুকুর!
চায়নিজ রোবোটিক্স স্টার্ট-আপ মিরর মি-এর তৈরি রোবট কুকুর ব্ল্যাক প্যান্থার টু (দ্বিতীয় সংস্করণ)। ছবি: সংগৃহীত

চায়নিজ রোবোটিক্স স্টার্ট-আপ মিরর মি-এর তৈরি রোবট কুকুর ব্ল্যাক প্যান্থার টু (দ্বিতীয় সংস্করণ) অনানুষ্ঠানিকভাবে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দৌড়ের রেকর্ড গড়েছে। রোবটটির হালকা ওজনের নির্মাণ এবং এআই এটি সম্ভব করেছে।

রবিবার (৬ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনে এই ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এ সময় অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে দর্শকদের সামনে রোবট কুকুরটি ১০০ মিটার স্প্রিন্টের জন্য মাত্র ১৩.১৭ সেকেন্ড সময় নেয়।

প্যান্থার টু-এর এই গতি বিশ্বের দ্রুততম মানুষ হিসেবে খেতাবপ্রাপ্ত স্প্রিন্টার উসাইন বোল্টের গতির প্রায় কাছাকাছি। 

চায়নিজ সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন এই খবর জানায়।

২০২৩ সালের পূর্ববর্তী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত গিনেস রেকর্ডটি ১৯.৮৭ সেকেন্ড এবং এটি দক্ষিণ কোরিয়ান কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (KAIST) রোবট কুকুর হাউন্ডের দখলে ছিল।

এছাড়া, এটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোস্টন ডায়নামিক্সের ওয়াইল্ডক্যাট রোবটের রেকর্ডও ভেঙেছে।

মাত্র ৩৮ কেজি ওজনের ৬৩ সেন্টিমিটার উচ্চতার রোবটটি ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই ১০ মিটার/সেকেন্ড গতিতে পৌঁছায়। যেখানে উসাইন বোল্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ৯ দশমিক ৫৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন। সে সময় তার গতি ছিল ১০ দশমিক ৪৪ মিটার/সেকেন্ড।

রেকর্ডটি তৈরি হয় চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) আয়োজিত বিশ্ব রোবট প্রতিযোগিতার রোবোটিক ডগ মিশন শো-তে। একই মঞ্চে এক্সটি৭০ নামের আরেকটি রোবট কুকুর উদ্ধার অভিযানে সক্ষমতা প্রদর্শন করে দর্শকদের চমকে দেয়।

প্রকল্পটির পেছনে রয়েছে চ্যচিয়াং ইউনিভার্সিটির হিউম্যানয়েড ইনোভেশন ইনস্টিটিউট এবং হাংচৌ-ভিত্তিক স্টার্ট-আপ মিরর-মি’র যৌথ গবেষণা। সম্প্রতি ব্ল্যাক প্যান্থারের পায়ে কার্বন ফাইবার যুক্ত করে এর শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সুলতানা দিনা/

লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজে হুথিদের হামলায় নিহত ৪, নিখোঁজ ১৫

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজে হুথিদের হামলায় নিহত ৪, নিখোঁজ ১৫
ছবি: সংগৃহীত

লোহিত সাগরে আবারও একটি পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র হুতি গোষ্ঠী। বিধ্বস্ত অবস্থায় দুই দিন ভেসে থাকার পর বুধবার (৯ জুলাই) জাহাজটি ডুবে গেছে।

হুথিদের এই হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে আরও অন্তত ১৫ জন। তবে জাহাজের ছয় ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনী। 

বৃহিস্পতিবার (১০ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই তথ্য জানায়। 

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫ জন ফিলিপাইন নাগরিক ও ১ জন ভারতীয় নাগরিক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপারেশন অ্যাসপিডেসের তথ্যমতে, জাহাজটিতে মোট সদস্য ছিল ২২ জন। হুতি হামলার শিকার লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী গ্রিস মালিকানাধীন ওই জাহাজটির নাম এটারনিটি সি।

গত সোমবার জাহাজটিতে হামলা চালানোর দায় স্বীকার করে এক বিবৃতি দেয় হুথি বিদ্রোহীরা। মানববিহীন নৌকা আর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। 

হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, জাহাজটি ইসরায়েলের দিকে যাচ্ছিল। সেকারণেই জাহাজটিতে হামলা চালানো হয় বলে জানান তিনি। তার দাবি—জাহাজের একাধিক ক্রুকে নিরাপদে সরে যেতে সহায়তা করেছে হুতিরা। এমনকি আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবাও দিয়েছে তারা।

এছাড়া, হামলার একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে হুতিরা। প্রকাশিত সেই ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার আগে জাহাজের চালক ও ক্রুদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আর তারপরই জাহাজটিকে বিস্ফোরিত হতে দেখা যায়।

এদিকে, হুতিদের বিরুদ্ধে জীবিত বেশ কয়েকজন ক্রুকে অপহরণ করার অভিযোগ তুলেছে ইয়েমেনের মার্কিন মিশন। অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে তারা।

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস সেন্টার গত মঙ্গলবার জানায়, হামলায় জাহাজটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রপালশন ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে অকার্যকর করে দিয়েছে হুতিরা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা বন্দর নগরীর উপকূলে ডুবে গেছে।

সুলতানা দিনা/ 

এত সুন্দর ইংরেজি কোথায় শিখেছেন,লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্প

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
এত সুন্দর ইংরেজি কোথায় শিখেছেন,লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার হোয়াইট হাউসে একদল আফ্রিকান নেতার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিচ্ছিলেন। আলোচনার একপর্যায়ে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই কথা বলা শুরু করলে ট্রাম্প চমকে যান এবং প্রশ্ন করেন, ‘এত ভালো ইংরেজি আপনি শিখলেন কোথায়?’

পশ্চিম আফ্রিকর দেশ লাইবেরিয়ার সরকারি ভাষা ইংরেজি হওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্প তাকে জিজ্ঞেস করেন, এত সুন্দর ইংরেজি কোথায় শিখেছেন? ট্রাম্পের এমন প্রশ্নে অপমান বোধ করেছেন অনেক লাইবেরিয়ান।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সিএনএন।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, হোয়াইট হাউসে পাঁচজন আফ্রিকান নেতাকে স্বাগত জানাতে গিয়ে ট্রাম্প বোয়াকাইকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘এত সুন্দর ইংরেজি! এটা দারুণ। আপনি এত সুন্দরভাবে কথা বলতে শিখলেন কোথায়?’ তখন বোয়াকাই তার শিক্ষার স্থান সম্পর্কে ট্রাম্পকে অবহিত করেন।

এরপর ট্রাম্প বলেন, ‘এটা খুবই আকর্ষণীয়,, এই টেবিলেই এমন লোক আছেন, যারা এত ভালো ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না।’

লাইবেরিয়া ১৮২২ সালে আমেরিকান কলোনাইজেশন সোসাইটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়, যার লক্ষ্য ছিল মুক্ত দাসদের আফ্রিকায় পুনর্বাসন করা। দেশটি ১৮৪৭ সালে ওই সোসাইটির কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। বর্তমানে লাইবেরিয়ায় বিভিন্ন ভাষা প্রচলিত হলেও ইংরেজিই দেশটির সরকারি ভাষা।

ট্রাম্পের মন্তব্যে অনেক লাইবেরিয়ান ক্ষোভ প্রকাশ করেন, বিশেষ করে অতীতে আফ্রিকান দেশগুলো নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঔপনিবেশিক প্রভাবের প্রেক্ষাপটে।

লাইবেরিয়ার যুবকর্মী আরচি টামেল হ্যারিস সিএনএনকে বলেন, ‘আমি অপমানিত বোধ করেছি, কারণ আমাদের দেশ তো ইংরেজিভাষী। প্রেসিডেন্ট যখন এমন প্রশ্ন করেন, আমি সেটাকে প্রশংসা হিসেবে দেখি না। এতে মনে হয়, পশ্চিমারা এখনো আফ্রিকানদের গ্রাম্য, অশিক্ষিত মানুষ হিসেবেই দেখে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন লাইবেরিয়ান কূটনীতিক সিএনএনকে বলেন, মন্তব্যটি ‘উপযুক্ত ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন ইংরেজিভাষী আফ্রিকান প্রেসিডেন্টের প্রতি এটা কিছুটা অবজ্ঞাসূচক আচরণ ছিল।’

সুলতানা দিনা/ 

জুলাই-আগস্টের মানবাধিকার লঙ্ঘন, আইসিসিতে বিচার চায় অ্যামেনেস্টি

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
জুলাই-আগস্টের মানবাধিকার লঙ্ঘন, আইসিসিতে বিচার চায় অ্যামেনেস্টি

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। 

গতকাল বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই আহ্বান জানায় সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া শাখা। বিবিসির ওই প্রতিবেদনে একটি ফাঁস হওয়া অডিও বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, আন্দোলন দমনে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত  বিবৃতিতে বলেছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের বিক্ষোভে প্রাণঘাতী দমন-পীড়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কথিত অডিও-প্রমাণ বিশ্লেষণের পর এই নতুন তথ্য সামনে এনেছে বিবিসি। এই তথ্যের ভিত্তিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে আবারও কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, ওই বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারেন। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহৃত প্রাণঘাতী রাইফেল ও শটগানের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণত এগুলো ব্যবহার করে। এ ছাড়া হাজারও মানুষ গুরুতর জখম হয়েছেন, যার প্রভাব আজীবন রয়ে যেতে পারে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। সরাসরি সহিংসতাকারী কিংবা নির্দেশদাতা যেই হোন না কেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং মৃত্যুদণ্ডবিহীন বিচার-প্রক্রিয়া চালাতে হবে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনের প্রস্তাব অনুসারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যেন রোম সংবিধির ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঘটনাগুলো আইসিসিতে পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোরালো আহ্বান জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।