সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাইয়ের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রবিবার। ১৯৯১ সালের এই দিনে পঞ্চম জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আড়িয়াল খাঁ নদ তীরবর্তী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বিখ্যাত জমিদার পরিবারে ১৯৩৪ সালের ১৫ আগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও মা ফাতেমা বেগম। জন্মের আগেই বাবা মারা যাওয়ায় মায়ের বিচক্ষণ শাসনে তিনি একজন আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে ওঠেন।
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মা চৌধুরী ফাতেমা বেগম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করেন। বিয়ে করেন খালাতো বোন ফিরোজা বেগম মায়া চৌধুরীকে। তাদের দুজনের রয়েছে সাত সন্তান।
ইলিয়াস চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে তার মামা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন সম্মুখ সারির একজন যোদ্ধা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন দাদাভাই। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।
মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রসারে শিবচরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। দাদাভাই ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদে ফরিদপুর-১৩ (বিলুপ্ত) আসন থেকে ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন। তিনি একাধারে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন।