ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেবে চীন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০২ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০২ এএম
প্রধান উপদেষ্টাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেবে চীন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে বেইজিং তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলার মধ্যে চীনের কাছ থেকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। চীনে ড. ইউনূসের প্রথম সফরে এ বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

তিনি আগামী ২৭ মার্চ হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। পরের দিন অর্থাৎ ২৮ মার্চ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। এরপর তিনি দেশটির মর্যাদাপূর্ণ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেবেন। সেখানে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হবে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলেছে, ড. ইউনূস এমন সময় চীনে যাচ্ছেন, যখন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া, সীমান্তে বেড়া নির্মাণসহ বিভিন্ন ইস্যু দুই দেশের সম্পর্কে আরও প্রভাব ফেলেছে। 

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ড. ইউনূস ও চীনা কর্মকর্তাদের মধ্যে যে বৈঠক হবে সেটির অন্যতম বড় এজেন্ডা থাকবে চীনের বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। চীন ২০০৬ সালে ভারতকে টপকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়। এর মধ্যে গত বছর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ২৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। যার মধ্যে চীনের রপ্তানিই ছিল ২২ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া ২০১৬ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভে যোগ দেয়। এরপর থেকে চীনের কাছ থেকে অনেক বড় প্রজেক্টে বিনিয়োগ পেয়েছে ঢাকা।

এ ছাড়া চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে একাধিক রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্টে কাজ করেছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং কর্ণফুলী টানেলের কাজ করেছে তারা। মোংলা বন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ এখন চীনের কাছ থেকে বিনিয়োগ চাইছে।

গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর চীন বাংলাদেশে থাকা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। যার মধ্যে আছে ৫ বিলিয়ন অপরিশোধিত ঋণ।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেয়ার ব্যাংক সেন্টারের চীনা স্টাডিজের অনাবাসিক সহযোগী আনু আনোয়ার বলেছেন, ‘ড. ইউনূস চীনকে আশ্বস্ত করবেন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে যেহেতু ড. ইউনূস ইতোমধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছেন। তাই চীনকে তার আশ্বস্ত করতে হবে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও তারা তার সরকারকে বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে ভাবতে পারে। তবে চীন হয়তো সতর্কতার সঙ্গে এগোতে পারে। তারা ড. ইউনূসকে কিছু ক্ষেত্রে আশ্বাস দিলেও সামনের নির্বাচিত সরকারের জন্য বেশির ভাগই রেখে দিতে পারে।’

চীনের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া স্টাডিজ সেন্টারের উপপরিচালক লিন মিনওয়াং বলেছেন, ‘পতনের এক মাস আগে শেখ হাসিনা চীনে গিয়েছিলেন। ওই সময় বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে ২০টি সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যার মধ্যে চীন বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউয়ান সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ড. ইউনূস তার সফরে শেখ হাসিনার করে আসা এসব চুক্তির কিছু এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘হাসিনার পতনের পর অনেক সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড থমকে ছিল। আমি মনে করি, এগুলো এখন শুরু করার সময় এসেছে।’ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছেন, ড. ইউনূসের চীন সফরে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি যৌথ নদী রয়েছে। যেগুলোর বেশির ভাগের উৎপত্তি ভারতে। আর এ বিষয়টি কাজে লাগিয়ে সীমান্ত আলোচনায় সুবিধা আদায় করে নিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু ২০১৬ সালে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও পুনরুত্থান প্রজেক্টের ঋণের জন্য চীনের দারস্থ হয় বাংলাদেশ, যা পরবর্তীকালে দিল্লিতে সতর্কতার সৃষ্টি করে।

এরপর থেকে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বড় কোনো অগ্রগতি হয়নি। যদিও এ প্রকল্পে ভারতকে সহায়তা করতে একাধিকবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন। কিন্তু ভারত জানিয়েছে, এই প্রকল্পের কাজ তারাই করবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় চীন ও ভারতের মধ্যে যে ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে এ প্রকল্পটি সেটির একটি বড় উদাহরণ। এ নিয়ে দুই দেশই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন বলেছেন, ‘তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হলে এটি শুধু টেকনিক্যাল অথবা আর্থিক বিষয় হবে না। এটি হবে একটি রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিস্তা প্রকল্প ছিল বাংলাদেশ-ভারত-চীনের ত্রিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি অন্যতম বিষয়, যা নিয়ে বড় মতানৈক্য ছিল। এবার যদি এ বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক কিছু হয়, তাহলে সেটি এই অঞ্চলে নিজেদের কৌশলগত স্বাধীনতা প্রমাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন হবে।’ সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

এসএ গেমসের ২৬ ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
এসএ গেমসের ২৬ ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য ১৪তম এসএ গেমসে ২৬ ডিসিপ্লিনে দল প্রেরণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। প্রতিযোগিতাটিতে সেফ দ্য মিশন নিযুক্ত করা হয়েছে বিওএর সদস্য সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীরকে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিওএর কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিওএ সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

এসএ গেমস ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সভায়। নভেম্বরে সৌদি আরবের বিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ১১টি ডিসিপ্লিনে দল পাঠানোর প্রথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর অক্টোবরের এশিয়ান ইয়্যুথ গেমসের জন্য ডিসিপ্লিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩টি। এ ছাড়া দশম বাংলাদেশ গেমস আগামী বছরের মার্চে আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি মাল্টি স্পোর্টস অলিম্পিক কমপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে সভায়।

এসএ গেমসে যে সব ডিসিপ্লিনে খেলবে বাংলাদেশ:

আর্চারি, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, ক্রিকেট, ফেন্সিং, ফুটবল, গলফ, হ্যান্ডবল, হকি, জুডো, কাবাডি, কারাতে, শুটিং, স্কোয়াশ, সুইমিং, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, টেনিস, ভলিবল, ভারোত্তোলন, রেসলিং, উশু, রাগবি, বিলিয়ার্ড অ্যান্ড স্নুকার।

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের ডিসিপ্লিন সমুহ:

অ্যাথলেটিকস, ফেন্সিং, কারাতে, সুইমিং, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন, রেসলিং, উশু, বাস্কেটবল ৩*৩, জুডো ও তায়কোয়ানদো।

তোফায়েল/মাহফুজ

বিএফডিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
বিএফডিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে বিএফডিসির উদ্যোগে ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় এ কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

দেশের চলচ্চিত্রের বৃহৎ বাজারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য বিএফডিসিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে।

মাহফুজ আলম বলেন, বিএফডিসির অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নেও কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, কবিরপুরে নির্মাণাধীন ফিল্ম সিটিকে ঘিরে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ রয়েছে। তিনি কবিরপুরে অত্যাধুনিক ফিল্ম সিটি নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। 

ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, শুটিংয়ের জন্য বিএফডিসির বিদ্যমান অবকাঠামোর সংস্কার করতে হবে। তিনি কবিরপুরে নির্মাণাধীন ফিল্ম সিটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বিএফডিসি কাজ করছে। বিএফডিসির সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রগ্রাহকসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আনিসুর রহমান তপন/এমএ/

দেশের সীমানা পুরোপুরি রক্ষিত আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ পিএম
দেশের সীমানা পুরোপুরি রক্ষিত আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের দেশের সীমান্ত পুরোপুরি রক্ষিত আছে। আরাকান বর্ডার ডিফিকাল্ট বর্ডার। আমরা মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। কিন্তু বর্ডারটি দখল করে আছে আরাকান আর্মি। এখন মায়ানমার থেকে কিছু আমদানি-রপ্তানি করতে হলে মায়ানমার সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়, আবার আরাকান আর্মিতে যারা আছে তারাও পয়সা নিচ্ছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, এখানে একটা সমস্যা আছে আপনাকে বুঝতে হবে। এটা সমাধানের চেষ্টা চলছে। আর আমাদের সীমান্ত পুরোভাবে রক্ষিত আছে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের দেখতে হবে আরাকান আর্মি ফাইট করতেছে অনেকদিন ধরে। এদের অনেকে এপারে বিয়ে করে ফেলছে, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু যে হারে ভিডিওতে আসছে বিষয়টা আসলে তা নয়। টিকটক ভিডিওতো অনেকভাবে করা যায়। সবটা যে সত্য তা না আবার সবটা যে মিথ্যা তা-ও না। এটার ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যালেন্স করতে হবে।

এসময় তিনি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বেড়ে যাওয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলেন, ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া এলাকাগুলো হলো পাহাড় ও সমতলের সংমিশ্রণ। এখানকার সমস্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে ভিন্ন। আমরা এই ব্যাপারে আলাপ করছি, এখানে সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। প্রকাশ্যে কেউ যদি করে থাকে আমি আপনাদের সামনে বলে গেলাম আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যৌথবাহিনীর অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযান কোনো অবস্থায় কমেনি। বরং আপনাদের সাহায্য সহযোগিতায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে ঘটনা ঘটে, সত্যি ঘটনা আপনারা অবশ্যই প্রকাশ করে দিবেন। তখন আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। কিন্তু অনেক সময় ঘটনা সত্যি না হলেও কিন্তু কেউ কেউ প্রকাশ করে দেয়। সেসময় ইনভেস্টিগেশন করে দেখা যায় যে, ঘটনা সত্যি নয় তখন অসুবিধা হয়। পাশ্ববর্তী দেশের সাংবাদিকরা এর সুবিধাটা নেয়। যেহেতু জানেন যে তারা মিথ্যা সংবাদ বেশি পরিবেশন করে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি পাহাড়ে তিনবার চাকরি করেছি। ক্যাম্প কমান্ডার ছিলাম, সিও ছিলাম ও বিগ্রেড কমান্ডার ছিলাম। পাহাড়ে অশান্ত তো আপনারা দেখেনই। এখন ওই তুলনা করতে গেলে পাহাড় এখন পুরোটাই শান্ত। এই ছোটখাটো অপহরণ আমাদের প্লেইন ল্যান্ডেও (সমতল) তো হচ্ছে। খালি পাহাড়ের কেন দোষ দেন। পাহাড় আগের থেকে অনেক ভালো অবস্থায় আছে, অনেক শান্ত আছে। আমি বাঘাইহাটে ছিলাম। সেখানে ল্যান্ডমাইন দিয়ে একসঙ্গে পিকআপ উড়াই দিছে। তিনজন, চারজন করে মারা গেছে। সেসময় এই খবরগুলো আসেও নাই প্লাস ওই এলাকায় এক্সেসেবিলিটিও ছিল না। কিন্তু এখন তো পাহাড়ের অবস্থা এতো ভালো-আল্লাহ দিলে ওই রাস্তা দিয়ে আপনারা সাজেক চলে যাচ্ছেন।

মাহফুজ/

 

 

দেশে জিনোম সিকোয়েন্সিং-ভিত্তিক ক্যান্সার নির্ণয় সেবা চালু

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম
দেশে জিনোম সিকোয়েন্সিং-ভিত্তিক ক্যান্সার নির্ণয় সেবা চালু
ছবি: সংগৃহীত

দেশে শুরু হচ্ছে অত্যাধুনিক নেক্সট-জেনারেশন সিকোয়েন্সিং (এনজিএস)-ভিত্তিক ক্যান্সার নির্ণয় সেবা। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) থেকে রাজধানীর মহাখালী, মিরপুর, মতিঝিল, ধানমন্ডি, উত্তরা, নিকেতন, গুলশান এবং বারিধারায় অবস্থিত আইসিডিডিআরবি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বুথে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

এ সম্পর্কিত তথ্যের জন্য [email protected] ই-মেইলে, বা (+৮৮০) ১৭১৩২৮৮০৮৬ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। বুধবার আইসিডিডিআরবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- দেশে সঠিক ও সহজলভ্য ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় অগ্রগতি। দেশের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিল বিদেশে না পাঠিয়ে দেশেই যেন অত্যাধুনিক নির্ভরযোগ্য জিনোম সিকোয়েন্সিং-ভিত্তিক ক্যান্সার পরীক্ষা চালু করা সম্ভব হয়। বর্তমানে অনেক রোগীকে ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য বিদেশে নমুনা পাঠাতে হয় ও রিপোর্টের জন্য ৪-৫ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়, যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। আবার অনেক ক্ষেত্রে ফলাফলও নির্ভরযোগ্য হয় না। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে- দুই সপ্তাহের মধ্যেই মানসম্পন্ন রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তিভিত্তিক চিকিৎসা ব্যাবস্থাপনায় চিকিৎসকদেরকে সহায়তা করবে। রিপোর্টে ক্যান্সার আক্রান্তদের চিকিৎসায় সম্ভাব্য কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতির নির্দেশনাও যুক্ত থাকবে। 

আইসিডিডিআরবি এর সংক্রামক রোগ বিভাগের সিনিয়র বিজ্ঞানী ও ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র পরিচালক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বাংলাদেশে নির্ভুল ও সহজলভ্য ক্যান্সার নির্ণয়ের লক্ষ্যে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও রোগীদের জন্য সময়োপযোগী ও নির্ভরযোগ্য ফলাফল প্রদান করা, যা ক্যান্সার চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি লাখে ১০০ জনেরও বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত। বিলম্বে নির্ণয় রোগীকে ঝুঁকিতে ফেলে। শুরুতে নির্ণয় হলে সুস্থ হওবার সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।

আরিফ সাওন/মাহফুজ

বিএমইউ’র গবেষণা রিপোর্ট পুরুষদের মধ্যে তামাক ব্যবহার হ্রাসের হার নারীদের তুলনায় বেশি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম
পুরুষদের মধ্যে তামাক ব্যবহার হ্রাসের হার নারীদের তুলনায় বেশি
ছবি: সংগৃহীত

দেশে ২৫-৬৯ বছর বয়সীদের তামাক ব্যবহার (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ২০০৯ সালে ৫৪ শতাংশ ছিল। সেখান থেকে ১৩ শতাংশ কমে ২০২২ সালে ৪৭ শতাংশে নেমেছে। ধূমপানের হার ২৭ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নেমেছে (১৯ শতাংশ আপেক্ষিক হ্রাস)। ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার ৩৬ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশ (১৪ শতাংশ আপেক্ষিক হ্রাস)।

‘বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের প্রবণতা ও পূর্বাভাস’ শীর্ষক বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির (বিএমইউ) গবেষণায় এসব তথ্য ওঠে এসছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ডা. মিল্টন হলে গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হ্রাস নারীদের তুলনায় কিছুটা বেশি। গ্রামীণ এলাকায় তামাক ব্যবহার কমলেও শহুরে অঞ্চলে হ্রাসের হার বেশি স্পষ্ট।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তামাক ব্যবহারের হার হ্রাস পেলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এখনও চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। তথ্য বিশ্লেষণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি (অসংক্রামক রোগ) প্রতিরোধ রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বর্তমান নীতিমালার গতি দ্বিগুণ করতে হবে। ২০০৯-২০২২ সালের প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমান হারে তামাক ব্যবহার কমলে ২০৩০ সালে হার দাঁড়াবে প্রায় ৪২ শতাংশ, যা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের চেয়ে বেশি।  

গবেষণা ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোমেনা মনি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমইউ জার্নালের এক্সিকিউটিভ এডিটর অধ্যাপক ড এম মোস্তফা জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মো. মামুনুর রশিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএমইউর প্রিভেনটিভ এ্যান্ড স্যোশাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ এ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক। 

আরিফ সাওন/মাহফুজ