
শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (রহ.) ট্রাস্টের বদৌলতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা আরও বাড়ছে। এতে এখন থেকে আরও নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাবেন কিডনি ডায়ালাইসিসের রোগীরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগে যুক্ত হচ্ছে আরও তিনটি নতুন ডায়ালাইসিস মেশিন। এর ফলে কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস সেবার পরিধি বাড়বে এবং অপেক্ষমাণ রোগীদের ভোগান্তিও কমবে।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (র.) ট্রাস্ট তাদের অর্থায়নে শয্যাসহ তিনটি ডায়ালাইসিস মেশিন, ডায়ালাইজার, ব্লাড লাইন এবং ডায়ালাইসিস এক্সেসরিজ প্রদান করে। যার আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।
এগুলো দিয়ে এক হাজার রোগী ডায়ালাইসিস করতে পারবেন। ইতোমধ্যে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১৭ নম্বর নেফ্রোলজি বিভাগে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এসব মেশিন উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা, ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম ডি জাফর, ট্রাস্টের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিয়াসাদ শাহাবুদ্দিন, আবাসিক সার্জন ডা. মাইমুন রিদয়ান, ডা. ইব্রাহিম, ডা. মামুন, ডা. সামিউল করিমসহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
বর্তমানে চমেক হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে ১৯টি ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি সচল। বাকি চারটি মেশিনের ত্রুটি মেরামতের কাজ চলমান। নতুন এই তিনটি মেশিন যুক্ত হওয়ায় ওয়ার্ডটিতে মোট ডায়ালাইসিস মেশিনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২টিতে। তবে বর্তমানে নতুন মেশিনসহ সচল আছে ১৪টি। নতুন তিনটি মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ২৫ জন রোগী অতিরিক্ত সেবা পাবেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন জানান, রোগীদের চাপ অনেক বেশি। নতুন মেশিন যুক্ত হওয়ায় অপেক্ষমাণ রোগীদের সেবা দিতে আরও সক্ষম হব। জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (র.) ট্রাস্টের এই মহতী উদ্যোগের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফর বলেন, মানুষের সেবাই আমাদের লক্ষ্য। কিডনি রোগীরা অনেক কষ্টে দিন পার করেন। অনেকে অর্থাভাবে ডায়ালাইসিস করাতে পারেন না। তাই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। সামর্থ্যবান সবাই এগিয়ে এলে আরও অনেকের উপকার হবে। এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা থাকবে।
অমিয়/