ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

তারেক রহমানের উন্নয়ন পলিসি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পাইলট প্রকল্প

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
তারেক রহমানের উন্নয়ন পলিসি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পাইলট প্রকল্প
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পলিসি নিয়ে ‘গ্রিন গ্রোথ’ নামের একটি পাইলট প্রকল্প চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি সরকার। ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দিবে স্বচ্ছলতা’ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) বহুল আলোচিত এই স্লোগানটিকে প্রকল্পটির মূল স্লোগান হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রকল্পের গাড়ি, ব্রুশিয়ার, সদস্য ফর্মসহ সব ক্ষেত্রে স্লোগানটি ব্যবহার করা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিউজার্সি ইকোনমিক ডিভেলপমেন্ট অথরিটির (এনজেইডিএ) অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ জার্সির (বিএএসজে) তত্ত্বাবধায়নে নিউজার্সির আটলান্টিক সিটিতে দুই বছরের জন্য পাইলট প্রকল্পটি পরিচালিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সাউথ জার্সির বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএএসজে প্রেসিডেন্ট জহিরুল ইসলাম বাবুল, গ্রিন গ্রোথ এর প্রজেক্ট রাইটার ও প্রজেক্ট ইনিশিয়েটর (পিআই) আশিক ইসলাম, বিএএসজে এর সেক্রেটারি জাকিরুল ইসলাম, ট্রাস্টি চেয়ারম্যান মো. রফিক। দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সিটি মেয়রসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশনের নিয়মিত ফুড বিতরণ কার্যক্রম দেখানো হয়।

প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরে জহিরুল ইসলাম বাবুল বলেন, পিছিয়ে পড়া নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আটলান্টিক সিটির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য। প্রথম বছরে ৩০ জন নারীকে প্রজেক্টের আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হবে। যারা তাদের বাড়ির আঙিনা, খোলা জায়গা, বারান্দার টব, বাড়ির পেছনে সুবিধা অনুযায়ী জায়গা বেছে নিয়ে সবজি উৎপাদন করবে। পরবর্তী সময়ে নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সিংহভাগ সবজি গ্রিন গ্রোথের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করা হবে। ফসল উৎপাদনে বিনামূল্যে সার্বিক সহযোগিতা ও সব প্রকার সরঞ্জামাদি সরবরাহ এবং বিপননের দায়িত্ব পালন করবে গ্রিন গ্রোথ। উৎপাদকের বাসা থেকে প্রকল্পের গাড়ি ফসল সংগ্রহ করবে। ফসলের বিক্রয়মুল্যের ৬৫% ভাগ পাবে উৎপাদক এবং ৩৫% ভাগ পাবে গ্রিন গ্রোথ। প্রতি বছর সেরা ৩ জন উৎপাদনকারীর জন্য থাকবে বিশেষ আর্থিক পুরস্কার।

ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, আমাদের জানামতে, আমেরিকার অনেক স্টেটেই বাংলাদেশিদের সংগঠন রয়েছে, এর মধ্যে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশনই প্রথম যারা এমন একটি কাজের সঙ্গে নিজেদেরকে যুক্ত করতে পেরেছে। যা এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসহ বাংলাদেশিদের জন্য অত্যান্ত গৌরবের। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি সুচারুভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি তবে পরবর্তি ধাপে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। 
 
গ্রিন গ্রোথ প্রকল্পের নেপথ্যের ইতিহাস তুলে ধরে আশিক ইসলাম বলেন, গোটা বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, বাড়ছে খাদ্য মুল্য। দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রও এর বাইরে নয়। সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি তিন ধাপে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য  ৪,১৩ এবং ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। নিউজার্সির ২১টি কাউন্টির (অনেকটা বাংলাদেশের জেলার মত) মধ্যে প্রাথমিকভাবে আটলান্টিক কাউন্টির আটলান্টিক সিটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে পাইলট প্রকল্পের জন্য। আটলান্টিক সিটি মূলত ক্যাসিনো এবং পর্যটন নির্ভর শহর বিধায় এ অঞ্চলে প্রফেশনাল মানুষের সংখ্যা কম। ৪২ হাজার জনগোষ্ঠীর এই শরের ৩৯% ডাইভার্স কমিউনিটির মানুষ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশনসহ মোট ৫২টি নন-প্রোফিট প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোজেক্ট সরকারের কাছে জমা দেয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির প্রকল্পটির অনুমোদন পায়।

২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দিবে স্বচ্ছলতা’ স্লোগানের কর্মসূচিতে সারা দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আশিক ইসলাম বলেন, গ্রিন গ্রোথ প্রজেক্টের মাধ্যমে বাজারে খাদ্য সরবরাহ বাড়বে, ফলে মুল্য হ্রাস পাবে। এ্যাসোসিয়েশনের যে সকল সদস্য এ কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন তারাসহ উৎপাদনকারী সকলেই বাড়তি আয়ের সুযোগ পাবেন। তাই মার্কিন সরকারের কাছে এটি একটি ইউনিক প্রোজেক্ট হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই সরকারের ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন ও এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। গ্রিন গ্রোথ কার্যক্রমের অগ্রগতিতে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তারা।  

অনুষ্ঠানের শুরুতেই, আটলান্টিক সিটি মেয়র মার্টি স্মল সিনিয়র, ফিতা কেটে গ্রিন গ্রোথ প্রকল্পের গাড়ির উদ্ভোধন করেন। প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি ভিন্নধর্মী প্রকল্প। যা সমাজের তৃণমূল মানুষের কথা চিন্তা করে ডিজাইন করা হলেও সর্বস্তরের মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। তিনি গ্রিন গ্রোথের সাফল্য কামনা করেন

উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের তৃণমূল মানুষকে স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় দেশব্যাপী দারিদ্র বিমোচন ও নারী উন্নয়ন কর্মসূচি। একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দিবে স্বচ্ছলতা, শ্লোগানের এ কর্মসূচির আওতায় গ্রামে গ্রামে হাঁস মুরগী, গরু-ছাগল, মাছের পোনা বিতরণ, বাড়ির আঙিনায় সবজি উৎপাদন, বিনামূল্যে সার, বীজ ও কৃষি উপকরন বিতরণ করা হয়। দেশ ব্যাপী প্রায় ৩ হাজার ৯৮২টি পরিবারকে সবচ্ছলতার আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে রাজশাহীতে ৬১৩টি পরিবার, বরিশালে ৮৬৮, কক্সবাজারে ৭২০, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭০২, ঝিনাইদহে ৪৯৮, জামালপুরে ২৩৮, নোয়াখালি ২১৪, শেরপুরে ১২৯টি পরিবার।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

চাঁদপুর মেহের কলেজের সভাপতি পদে বৃটিশ নাগরিক, প্রত্যাহার চান সদস্যরা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
চাঁদপুর মেহের কলেজের সভাপতি পদে বৃটিশ নাগরিক, প্রত্যাহার চান সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মেহের ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হিসেবে বৃটিশ নাগরিক ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন কলেজটির গভর্নিং বডির ৮ সদস্য। সম্প্রতি এ বিষয়ে তারা চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করেছেন, যা অধ্যক্ষের মাধ্যমে জানাতে পারি। আমাদের জানামতে, তিনি একজন বৃটিশ নাগরিক এবং বর্তমানেও তিনি দেশ ও লন্ডন মিলিয়ে অবস্থান করছেন। গত ২০ বছরে তিনি বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকবার এসেছেন। তাও আবার বৃটিশ পাসপোর্টে। এরকম একজন ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনীত করায় আমরা চরমভাবে হতাশ এবং কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এমতাবস্থায় এই বিদ্যাপিঠটির সুনাম ও কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির মনোনয়ন প্রত্যাহার করে, কলেজ কর্তৃক দাখিলকৃত প্রস্তাব অনুসারে সভাপতি মনোনয়ন পদে নিয়োগ দেওয়ার পুনঃর্বিবেচনার দাবি জানানো হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, মূলত বিএনপির নাম ভাঙিয়ে আনোয়ার হোসেন খোকন এই কলেজের সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির নীতিমালা ৯নং অনুসারে অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিক হবেন এবং তাহারা সাধারণভাবে বাংলাদেশের বাসিন্দা হবেন। ওই হিসেবে এ নিয়োগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নীতি বহির্ভূত ও সাংঘর্ষিক।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ই মার্চ সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দীন আহমেদ ও কলেজ অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান প্রতিস্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর প্রেরণ করেন। প্রস্তাবে কলেজের সভাপতি পদে ৩ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। তারা হলেন- যথাক্রমে মো. আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ কামরুল আহসান মজুমদার এবং মো. আবদুল সাত্তার। 

গভনিং বডির সদস্য ও দাতা প্রতিনিধি মো. আয়েত আলী ভূঁইয়া বলেন, আমাদের প্রস্তাবকৃত ৩ জনের নামের তালিকায় তার নাম নেই। তারপরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি একজন বৃটিশ নাগরিককে কিভাবে নিয়োগ দিল? 

সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র আবেদনকারী সদস্যরা হলেন, মো. আবু ইউসুফ, সুফিয়া আক্তার, যদু চন্দ্র শীল, মো. জাকির হোসেন, গাজী মো. কবির হোসেন, মো. আবুল কাশেম, মো. আয়েত আলী ভূঁইয়া এবং মো. ইকবাল হোসেন। 

এই বিষয়ে বিএনপির আন্তজার্তিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

শফিকুল/সিফাত/

জনগণ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায়: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
জনগণ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায়: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনগণ একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর উত্তরা পশ্চিম থানা বনাম তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মধ্যকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

এসময় আমিনুল হক বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্রুত সময়ের ভিতরে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। কারণ বাংলাদেশের জনগণ ভোটের আশায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় ফ্যাসিষ্ট হাসিনাকে বিদায় করেছে।

একটি মহল তারা ক্ষমতার মোহে পরে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময়ে কেউ ভোট দিতে পারে নাই। মানুষ এখন ভোট দিতে চায়। মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করার জন্য পিছিয়ে দেওয়ার জন্য একটি গোষ্ঠী নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। 

পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নেমে আন্দোলন করব উল্লেখ করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মানুষের ভোটাধিকার ও দেশের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে সংগ্রাম করেছে। প্রয়োজনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবারও রাজপথে নেমে দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করব। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, আফাজ উদ্দিন আফাজ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, শামীম পারভেজ, জিয়াউর রহমান জিয়া, হাফিজুর রহমান শুভ্র, নূরুল হুদা ভূইয়া নূরু, হান্নানুর রহমান ভূঁইয়া, তাসলিমা রিতা, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা মো. আবদুস ছালাম, মিরপুর থানা বিএনপি আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান প্রমুখ।

উত্তরা পশ্চিম থানা বনাম তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মধ্যকার ম্যাচে উত্তরা পশ্চিম থানা ১-০ গোলে জয়ী হয়।

 

ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে গণসংহতি আন্দোলন

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে গণসংহতি আন্দোলন
গণসংহতি আন্দোলন

বাংলাদেশে একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে অধিকতর সমঝোতা ও ঐক্য তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় ঐক্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে তৎপরতা জোরদার করতে গণসংহতি আন্দোলন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তাকে বাস্তবায়ন করা সব রাজনৈতিক দলের কর্তব্য, এ বিষয়ে সবাই একমত। কিন্তু সেটা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, কোন কোন ক্ষেত্রে পার্থক্য কমিয়ে অধিকতর ঐক্যমত্য সৃষ্টি করা যায়, সেসব বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব।’

দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য আবশ্যক। ফলে গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে আকাঙ্ক্ষা জনগণের ভেতরে আছে তাকে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে আমরা শিগগিরই অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে বসতে শুরু করব।’

এ সময় দলটির নেতারা আশা প্রকাশ করেন যে, বর্তমান জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভেতর দিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ও মানবিক রূপান্তর সম্ভব।

সুমন/

জনগণ কারা, প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান খসরু

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
জনগণ কারা, প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান খসরু
ছবি: খবরের কাগজ


জনগণ বলতে কাদের বুঝিয়েছে? প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জনগণ বলতে যদি কোনো একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে অথবা কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধাচারণ করছে। এটা তো কারো বুঝতে সমস্যা হওয়ার কারণ নেই।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এক প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন।

আমির খসরু বলেন, কোনো মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করে নাই, ত্যাগ শিকার করে নাই। আর কোনো মহামানব কোনো দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অর্ডার ফিরিয়ে আনার জন্য। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে। সেটা যেই সরকারই হোক।

নির্বাচন প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমাদের সাথে যারা রাস্তায় ছিলো ইতিমধ্যে প্রায় ৫০টি দল পরিষ্কারভাবে বলেছে ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য এবং সঙ্গে সঙ্গে সংস্কারের যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেই সংস্কার দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার জন্য। 

এদিন বিকালে ন্যাপ ভাসানী, আমজতার দল ও পিপলস পার্টি- তিন দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমির খসরু ছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

শফিকুল/সিফাত/

ঢাকায় গ্রিসসহ সব ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস স্থাপনের দাবি ইসলামী আন্দোলনের

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম
ঢাকায় গ্রিসসহ সব ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস স্থাপনের দাবি ইসলামী আন্দোলনের
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ঢাকায় গ্রিসসহ সব ইউরোপীয় দেশসমূহের দূতাবাস স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দলটির কেন্দ্রীয় প্রবাসী ও কর্মসংস্থানবিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মো.খলিলুর রহমান ও সদস্য সচিব মুহাম্মদ হাসমত আলী যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান। 

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস না থাকার কারণে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। 

গ্রিসে বাংলাদেশিদের দুঃখের নাম ভারত। গ্রিসে বাংলাদেশি এলাকা ওমানিয়া-গেরানিয়ার পথে-প্রান্তরে শুধু ভারতের বিরুদ্ধে দুঃখগাথা। অনেকেই ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে গ্রিসের স্থায়ী নাগরিকত্ব পেয়েছেন। অথচ পরিবার নিতে পারছেন না। গ্রিসে বসবাসরত ৩০ হাজার বৈধ-অবৈধ বাংলাদেশির একটাই দাবি- গ্রিসের দূতাবাস বাংলাদেশে স্থাপন করা।

তারা বলেন, ‘গ্রিসের দূতাবাস ভারতে। বাংলাদেশিদের ভিসা তুলতে হলে অথবা দূতাবাসের যেকোনো কাজে যেতে হয় ভারতে। এখানেই শুরু হয় নানা রকম হয়রানির। এখন তো ভারতের ভিসা পাওয়া যায় না। যখন ভারতের ভিসা নিয়ে সমস্যা ছিল না, তখনো ভারতের কারণে হাজার হাজার বৈধ বাংলাদেশি তাদের পরিবার আনতে পারেননি।’

এ সময় অন্তবর্তী সরকারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন করার জোর তাগিদ দেন তারা।   

শফিকুল ইসলাম/সুমন/