ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

বই প্রকাশের ক্ষেত্রে পাঠকের চাহিদা ও রুচিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
বই প্রকাশের ক্ষেত্রে পাঠকের চাহিদা ও রুচিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত
তারুণ্য প্রকাশনের প্রকাশক মো. ইসহাক খান। ছবি: সংগৃহীত

মো. ইসহাক খান তারুণ্য প্রকাশনের প্রকাশক। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বাড়ি। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি শেষ করেছেন। স্নাতকোত্তর করেছেন শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ থেকে। তার প্রকাশক হওয়ার গল্প, কোন ধরনের বই প্রকাশে আগ্রহী তিনি, ইসলামি বইয়ের পাঠকের চাহিদা, লেখক-প্রকাশকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রায়হান রাশেদ

খবরের কাগজ: আপনি প্রকাশক হলেন কেন? 
মো. ইসহাক খান: আমি পেশায় একজন বই বিক্রেতা। বই বিক্রেতা হিসেবে আমার তখন ছয় বছর। সেবার মনে হলো নতুন কিছু বই বাজারে আনা দরকার। বিশেষ করে ছোটদের বই। বাজারে অনেক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ছোটদের মানসম্মত বই সচরাচর চোখে পড়ছিল না আমার। সেই চিন্তা-ভাবনা থেকে করোনাভাইরাসের আগ মুহূর্তেই চাকরি-বাকরি ছেড়ে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান করলাম। প্রকাশনীর নামই ঠিক করলাম ‘তারুণ্য প্রকাশন’। প্রথম প্রকাশিত বইটি ছিল জনপ্রিয় লেখক সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীরের শিশুতোষ বই ‘একটি আয়াত একটি গল্প সিরিজ’। সেই বছরই বইটি রকমারি ডটকমের বেস্টসেলার বই হিসেবে ভূষিত হয়। যা আমার এই জগতের কাজের আগ্রহ দ্বিগুণ করে দেয়। 

খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের পাঠক দিন দিন বাড়ছে বলে কি আপনি মনে করেন?
মো. ইসহাক খান: অনেকের ধারণা, মোবাইল/ইন্টারনেটের যুগে হয়তো মানুষ বই পড়ে না। আগের মতো মানুষ বই কেনে না। এই ধারণা থাকাটা স্বাভাবিক। তবে বাস্তবতাও জানা উচিত যে, এক যুগ ধরে হুহু করে বাড়ছে ইসলামি প্রকাশনা ও বইয়ের সংখ্যা। এর কারণ হচ্ছে পাঠক মহলে জায়গা করে নিতে পেরেছে ইসলামি বইগুলো। বাড়ছে ইসলামি বইয়ের মান। পাঠকের চাহিদা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত প্রকাশ হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ের নতুন নতুন বই। যা ইসলামি বইয়ের জগৎকে আরও সমৃদ্ধ এবং পাঠকেন্দ্রিক করতে সহায়তা করছে। 

খবরের কাগজ: আপনার প্রকাশনী সম্পর্কে কিছু বলুন। কোন ধরনের বই প্রকাশে আপনারা আগ্রহী? 
মো. ইসহাক খান: আমরা মূলত শিশুদের বই নিয়ে কাজ করি। পাশাপাশি বড়দেরও কিছু বই আমরা প্রকাশ করেছি। তবে আমাদের মূল টার্গেট শিশুদের কেন্দ্র করে কাজ করা। আলহামদুলিল্লাহ এবার অমর একুশে বইমেলায় তারুণ্য প্রকাশনের নিজস্ব স্টল রয়েছে। স্টল নম্বর ২২৪। এ বছর শিশুদের নিয়ে আমাদের বেশ কিছু বই প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ। এর মধ্যে ‘ছোটদের আসমাউল হুসনার গল্প সিরিজ’, ‘ছোটদের ইসলামের ইতিহাস’ ও ‘ছোটদের নবী সিরিজ’সহ বেশ কিছু বই। যা পাঠকের নতুন চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করছি। 

খবরের কাগজ: মানসম্মত বই প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা কেমন?
মো. ইসহাক খান: আমরা বরাবরই মানসম্মত বই নিয়ে কাজ করি। মানসম্মত বই প্রকাশে আমরা বদ্ধপরিকর। একটি বই প্রকাশ করার ক্ষেত্রে যতগুলো ধাপ রয়েছে, যেমন লেখক নির্বাচন, বইয়ের কনটেন্ট, বইয়ের ছাপা প্রিন্টিং, প্রোডাকশন এসব কিছুতে আমরা বিশেষ ফোকাস রেখে কাজ করার চেষ্টা করি। দক্ষতার সঙ্গে বছরের ৪-৫টি বই প্রকাশ করার চেষ্টা করি। তড়িঘড়ি করে অনেক বইয়ের কাজ একত্রে শুরু করি না। এতে করে বইয়ের মান ঠিক রাখা কষ্টকর হয়ে যায়। কোয়ালিটি সম্পন্ন বই করার জন্য আমরা যথেষ্ট সময় নিয়ে বই প্রকাশ করি। 

খবরের কাগজ: লেখক প্রকাশকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?
মো. ইসহাক খান: লেখক-প্রকাশকের পাশাপাশি পাঠক নিয়ে আমাদের একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠা উচিত। যেহেতু লেখক-প্রকাশকের চূড়ান্ত সফলতা পাঠকের মাধ্যমেই আমরা পেয়ে থাকি। লেখক-প্রকাশক সম্পর্কটা অনেক প্রকাশনীর ভালো থাকলেও পাঠকের সঙ্গে সুসম্পর্ক খুব কম প্রকাশনীর রয়েছে। এই দিকটা আমাদের আরও উন্নত করা উচিত। পাঠকের রুচি চাহিদার ওপর চিন্তাভাবনা করে বই প্রকাশ করা উচিত। এতে করে ইসলামি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো রুচিসম্মত এবং গতিশীল হয়ে কাজ করতে পারবে বলে বিশ্বাস করছি। 

২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি

আজ ২১ মার্চ, ২০ তম রোজা। শুক্রবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৪৫ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১০ মিনিট।

২১ মার্চ, শুক্রবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময়: ৪.৪৫ মিনিট
ইফতারের সময়: ৬.১০ মিনিট


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

 

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন

 

মান্নতের রোজা উদ্দেশ্যপূরণের আগে রাখা শুরু করা যাবে কি?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
মান্নতের রোজা উদ্দেশ্যপূরণের আগে রাখা শুরু করা যাবে কি?
আরবিতে রমজান কারিম লেখা ক্যালিগ্রাফির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে একটি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অনেক চিকিৎসার পরও তিনি সুস্থ হচ্ছিলেন না। তাই আমি মান্নত করেছিলাম যে, তিনি সুস্থ হলে আমি ১০ দিন রোজা রাখব। কিন্তু তার পরও তিনি সুস্থ না হওয়ায় আমি মনে মনে ভাবলাম যে, মান্নতের রোজাগুলো রাখা শুরু করলে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। এর পর আমি ১০টি রোজা রাখি এবং তার পর তিনি সুস্থ হয়ে যান। এখন জানার বিষয় হলো, আমাকে কি আবার ওই মান্নতের রোজাগুলো রাখতে হবে?

 

উত্তর : প্রশ্নোক্ত পরিস্থিতিতে আপনাকে পুনরায় ১০টি রোজা রাখতে হবে। কারণ, আপনি মান্নত করেছিলেন যে, আপনার স্বামী সুস্থ হলে আপনি ১০টি রোজা রাখবেন। কিন্তু আপনি তার সুস্থ হওয়ার আগেই রোজাগুলো রাখা শুরু করে দিয়েছেন। ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, মান্নতের রোজা তখনই আদায় হবে, যখন মান্নতের শর্তপূরণ হওয়ার পর তা রাখা হবে। 


অতএব, মান্নত পূরণের জন্য আপনাকে পুনরায় ১০টি রোজা রাখতে হবে। আপনি যে রোজাগুলো রেখেছেন তা নফল হিসেবে গণ্য হবে, মান্নতের রোজা হিসেবে নয়। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়া (৩/৪৩৩), ফাতাওয়া হিন্দিয়া (১/২১০), ইমদাদুল ফাত্তাহ (পৃ. ৭০৭), হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী (পৃ. ৩৮১)

লেখক :  সহ-সম্পাদক, দৈনিক খবরের কাগজ

 

নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে কী ?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে কী ?
খেজুর দিয়ে সাজানো খাবারের থালার ছবি । সংগৃহীত

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের মধ্যে রোজা একটি ফরজ ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন সুস্থ প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। সঠিকভাবে রোজা আদায়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধিবিধান। তাই রোজা সঠিকভাবে আদায় করতে হলে অবশ্যই মাসয়ালা মাসায়েল সম্পর্কে জানতে হবে।


নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে? এই ধরনের প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। মনে রাখতে হবে, যার ওপর গোসল ফরজ তিনি গোসল না করে খাওয়া-দাওয়া করতে কোনো নিষেধ নেই। তবে কুলি করে, উভয় হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণ করা উত্তম। গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও গোসল না করেই সাহরি খেয়ে রোজা রাখলে রোজা সঠিক হয়ে যাবে এবং এতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। 


তবে মনে রাখতে হবে, ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে সময়মতো নামাজ আদায় করতে হবে। রোজা যেমন ফরজ বিধান, ঠিক তেমনই নামাজও ফরজ বিধান। সব সময়ই একটি বিষয় স্মরণে রাখা, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া কবিরা গুনাহ। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।


কেননা একটি গুনাহই জাহান্নামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে আল্লাহ যদি ক্ষমা করেন। (মুসলিম ২৫৯২; বাদায়েউস সানায়ে, ১/১৫১)
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন। এর পর তিনি গোসল করে নিতেন। ফজর নামাজ পড়তেন। এভাবে রোজা রাখতেন। (বুখারি ১৮২৯; মুসলিম ১১০৯) 

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক 

যেভাবে রমজান কাটাতেন রাসুলুল্লাহ (সা.)—১৯ রোজাদারকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
রোজাদারকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন
আলোয় উজ্জ্বল চাঁদের ছবি । সংগৃহীত

রোজা শুধু আল্লাহর জন্য এবং তিনিই এর প্রতিদান দেবেন মর্মে হাদিসে কুদসিতে ইরশাদ করেছেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম—তা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব। (মুসলিম, ১১৫১) 
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা হলো ঢাল ও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার মজবুত দুর্গ। (মুসনাদে আহমদ, ৯২২৫)  
আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য এক দিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক খরিফ (৭০ বছরের) দূরত্বে সরিয়ে দেবেন। (মুসলিম, ১১৫৩)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে। যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন রোজাদাররাই শুধু সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। তাদের ছাড়া অন্য কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সে দিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে এবং সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে তারা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি, ১৮৯৬) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন সেই সত্তার শপথ রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মেশকের ঘ্রাণ থেকেও প্রিয়। (বুখারি, ১১৫১)


আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে রোজা বলবে, হে প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কোরআন বলবে, হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি, তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি বলেন, এরপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে। (মুসনাদে আহমদ, ৬৬২৬)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ যখন পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী ও ধন-সম্পদের কারণে গুনাহ করে ফেলে, তখন নামাজ, রোজা, সদকা সে গুনাহগুলোকে মিটিয়ে দেয়। (মেশকাত, ১৭৩)  অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে রমজান মাসে ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, পৃষ্ঠা: ৪০২)


আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা নিজের ওপর অবধারিত করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজা রাখার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন।
এ ছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইফতারের সময় রোজাদার যখন দোয়া করেন তখন তার দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ দোয়া কবুল করা হয়। (জামেউল আহাদিস, ১৮৬৮৩)

 

লেখক : আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক

২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি।

আজ ২০ মার্চ, ১৯ তম রোজা। বৃহস্পতিবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৪৬ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১০ মিনিট।


২০ মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময় : ৪.৪৬ মিনিট
ইফতারের সময় : ৬.১০ মিনিট


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

 

সূত্র :  ইসলামিক ফাউন্ডেশন