ঢাকা ২৯ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

জনি জনি ইয়েস পাপার আঞ্চ‌লিক ভার্সন

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ এএম
জনি জনি ইয়েস পাপার আঞ্চ‌লিক ভার্সন
আঁকা মাসুম

রাজশাহী ভার্সন


জনি জনি। 
বুলেন আব্বা।
চিনি খ্যাছিস? 
না আব্বা।
মিথ্যা কথা বুলছিস? 
না আব্বা।
মুখ খুলত মামুর ব্যাটা।
হা! হা! হা!

 

চাঁপাই ভার্সন


জনি! জনি! 
জি আব্বা? 
চিনি খ্যাছো? 
না আব্বা।
মিচ্ছ্যা কথা কহিছো? 
না আব্বা।
মুখ খুল ব্যাডা
হা! হা! হা!


বরিশাল ভার্সন


জনি জনি! 
কী অইছে আব্বা?
চিনি খাইতে আছ? 
না আব্বা।
মিত্তা কতা কইতে আছ? 
না আব্বা।
আক্কর দেহি
হা! হা! হা!


নোয়াখালী ভার্সন


এরওই জনি! 
কিয়া হইচে আব্বা?
চিনি খওরি, কেন?
না আব্বা।
মিছা হতা কওরি কিল্লাই? 
না আব্বা, কিয়া কন এগিন।
আক্কর চাই।
হা হা হা


চট্টগ্রাম ভার্সন


জইন্না জইন্না! 
ও আব্বা কী ওইয়েদে? কিল্লাই পুজর লর?
চিনি হাইয়ুচ? 
ন বাপ, আই ন হাই।
মিচা হতা কেল্লাই হদ্দি? 
ন বাপ। আই আচা হতা হইর।
আ গর
হা হা হা।


বগুড়ার ভার্সন


জনি জনি! 
কি কচ্চেন আব্বা? 
চিনি কি খাচু তুই? 
না আব্বা। 
মিছা কতা কিসোক কলু? 
না আব্বা! 
হা করেক
হা! হা! হা!

 

নাটোর ভার্সন


জ‌নি জনি! 
কি কইচ্চেন আব্বা?
চিনি খাইচ্চু নাকি রে বা? 
না আব্বা।
মিত্ত্যা কতা কচ্চু নাকি রে বা? 
না আব্বা।
মুক খুলেক তো
হা! হা! হা!


পুরান ঢাকা ভার্সন


জনি আব্বে! 
হালায় ডাকো ক্যালা?
চিনি খাইহালাইছোস? 
আব্বে না খাইনাইক্কা।
মিছা কথা কছ ক্যালা..। 
এক্টুও মিছা কইনাইক্কা।
মুখ খুল
হা! হা! হা!


সিলেটি ভার্সন


জনি জনি! 
জি আব্বা!
ছিনি খাইছছ নি রে ফুত! 
কিওর? খেগুয়ে খইছে ইতা?
মিছা মাতরে নি? 
খছম খাইছি না,
আ খর বেঈমানর ফুয়া !
হা হা হা


ময়মনসিংহ ভার্সন

জইন্যাহ্ কই তুই?
কিতা আব্বা?
চিনি খাইছস?
না, আব্বা!
মিছা কতা কছ? 
না আব্বা?
আক্কর দেহি?
হা হা হা

আজকের সেরা জোকস: পাঞ্জাবি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২২ পিএম
আজকের সেরা জোকস: পাঞ্জাবি
সংগৃহীত

১. এক প্রবীণ দর্জির কাছে পাঞ্জাবি নিয়ে গেছে এক যুবক।
যুবক: দাদু, আমার পাঞ্জাবিটা কি একটু সাইজ করে দেওয়া যাবে?
দর্জি: এখন তো আর চোখে দেখি না বাপু। শেষবার পাঞ্জাবি সাইজ করেছি ১৯৭১ সালে।

 

২. এক অফিসের কর্মচারীরা সবাই অফিসে একদম ঠিক সময়ে পৌঁছে যান।
বসকে তার এক বন্ধু জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কর্মচারীদের কী এমন জাদু করেছ যে তারা এত সময়ানুবর্তী হয়ে গেল?
বস হাসতে হাসতে বললেন, জাদু না হে, আমার অফিসে একটা চেয়ার কম। সবাই সময়মতো পৌঁছাতে চেষ্টা করে, যেন দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়!

 

৩. অফিসের বস কর্মচারীদের বললেন, আজ আমার মনটা বেশ ভালো। বলো, তোমাদের কী দাবিদাওয়া। আজ সব শুনব।
এক কর্মচারী বললেন, স্যার, আমরা ছুটি খুবই কম পাই। ছুটি একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় না?
বস: কী রকম ছুটি চাও, বলো?
কর্মচারী: ছয় মাসের ছুটি, বছরে দুই বার!

আজকের সেরা জোকস: ভিজা ও শুকনা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
আজকের সেরা জোকস: ভিজা ও শুকনা
সংগৃহীত

১. খালা: কি রে টুনু, তুই দিনকে দিন শুকিয়ে যাচ্ছিস কেন?
টুনু: চিন্তা করো না খালা, বৃষ্টি হলেই আবার ভিজে যাব।

 

২. কর্মচারী: স্যার, বাইরে বৃষ্টিতে শহর ডুবে গেছে। আজ অফিসে আসা সম্ভব না।
বস: আপনিই তো জব অ্যাপ্লিকেশনে লিখেছিলেন সাঁতার কাটা আপনার শখ! ১০টার মধ্যেই চলে আসবেন।

 

৩. আত্মীয়ের বাসায় ঈদের দাওয়াত খেতে যাওয়ার সময় স্বামী-স্ত্রীর কথোপকথন...
স্ত্রী: জলদি বাড়ি ফিরে চলো।
স্বামী: কেন?
স্ত্রী: ভুলে চুলা জ্বালিয়ে এসেছি। আগুন ধরে সব ছারখার হয়ে যাবে।
স্বামী: ছারখার হবে না।
স্ত্রী: এত নিশ্চিত হয়ে বলছো কীভাবে?
স্বামী: কারণ আমিও ভুলে পানির কল ছেড়ে এসেছি।

আজকের জোকস : বাবা ছেলে

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
আজকের জোকস : বাবা ছেলে
সংগৃহীত

১. বিল্টুর বাবা বিল্টুর ঘরে এসে কিছু একটা খুঁজছিলেন। হঠাৎ বিল্টুর একটি কোট দেখে সেটির পকেটে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পেলেন সিগারেট আর মেয়েদের ফোন নম্বর! বাবা প্রশ্ন করলেন, কবে থেকে এসব চলছে?
বিল্টু: বাবা এই কোটটা তোমার।

 

২. রোগী: আমার সমস্যা হলো ঘুমালে চোখে দেখি না। কী করা যায়?
ডাক্তার: আপনি পাকা লাল মরিচের গুঁড়া পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে চোখে লাগান। তাহলে ঘুমালেও চোখে দেখতে পারবেন।

 

৩. রঞ্জু রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। কিছুদিন পর সে একটি ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরল। এটা দেখে রঞ্জুর স্ত্রী বলল, ওই বদমাশটাকে নিয়ে এলে কেন?
রঞ্জু: বদমাশ বলছ কেন, দেখছ না এটা ছাগল!
রঞ্জুর স্ত্রী: আমি তো ছাগলকেই জিজ্ঞেস করেছি।

আজকের জোকস: সাঁতার জানে না

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
আজকের জোকস: সাঁতার জানে না
সংগৃহীত

১. জাহাজে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন এক ব্যক্তি। ইন্টারভিউয়ের ডাক এল।
বস: আপনি সাঁতার জানেন?
চাকরিপ্রার্থী: না স্যার।
বস: জাহাজে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন, আর সাঁতার জানেন না?
চাকরিপ্রার্থী: কিছু মনে করবেন না স্যার, উড়োজাহাজের পাইলট কি উড়তে জানে?


২. নতুন কয়েদি: আপনি কত বছর ধরে এই জেলে আছেন?
পুরোনো কয়েদি: ১০ বছর।
নতুন কয়েদি: আহা! নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয় আপনার।
পুরোনো কয়েদি: বললে বিশ্বাস করবে না, আমি একদিন বিল গেটসের মতো জীবনযাপন করেছি। বিলাসবহুল হোটেলে থেকেছি, দামি খাবার খেয়েছি, বউকে দামি গহনা কিনে দিয়েছি।
নতুন কয়েদি: তারপর?
পুরোনো কয়েদি: তারপর একদিন, বিল গেটস থানায় অভিযোগ করলেন, তার ক্রেডিট কার্ডটা হারিয়ে গেছে!

 

৩. ফুলের দোকানদারকে একজন জিজ্ঞাসা করল, আপনার চেহারা মলিন কেন?
দোকানদার: আর বলবেন না, প্রতিদিন যে যুবক আমার এখান থেকে ফুল কিনত, কাল তার বিয়ে!
ক্রেতা: তাতে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন কেন? আপনার তো খুশি হওয়ার কথা!
দোকানদার: আপনি কী বুঝবেন! আমি তো একজন নিয়মিত ক্রেতা হারালাম।

চাকরিজীবী ছেলে

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ এএম
চাকরিজীবী ছেলে
ছবি এআই

এলাকার সবচেয়ে বড় মুদি দোকানটা রফিকের। সুসজ্জিত দোকান। নাম রফিক জেনারেল স্টোর। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসই দোকানে পাওয়া যায়। 
ভরদুপুর। ক্রেতা নেই। রফিক বসেছিল দোকানে। তাকে কেমন মনমরা লাগছিল। ক্রেতার অভাবে মনমরা থাকার কথা না। ভরদুপুরে সাধারণ মুদি দোকানগুলোতে ক্রেতা থাকে না। 
এরকম সময় রফিকের বন্ধু মিজান এল। মিজানকে দেখে রফিক নড়েচড়ে বসল। একটা টুল দেখিয়ে বসতে বলল। তবে তার মনমরা ভাব কাটল না। মিজান বলল, এই ভরদুপুরে তুই দোকানে বসে আছিস?
- কী করব বল?
- তোর কর্মচারী কই?
- কর্মচারী চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। 
- কেন?
- বিয়ে করেছে। এখন আর মুদি দোকানে চাকরি করবে না।  
- এরই মাঝে তোর তিন-চারজন কর্মচারী চলে গেল। 
- সবার একই কেস। বিয়ে করে তারপর চলে যায়। গিয়ে নিজের মতো ব্যবসা শুরু করে। 
মিজান একটু অবাক হলো। সত্যি অদ্ভুত ব্যাপার। মিজান বলল, তোর কর্মচারীদের বিয়ে হয়ে যায়, অথচ তোর বিয়ে হচ্ছে না। 
- সমস্যা তো ওখানেই। 
- ওখানেই মানে?
- মানে তারা চাকরি করে। আমি তো কোনো চাকরি করি না। 
- ব্যবসা তো করিস।
- মেয়ের বাপ-মা সেভাবে ভাবে না। ভাবে ছেলে বেকার ছিল, ভাদাইম্যা ছিল। শেষে বাপ একটা মুদি দোকান করে দিয়েছে। ছেলে জাস্ট দোকানদার। দোকানদারের সঙ্গে তারা মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হয় না। কোনো মেয়েও দোকানদারকে বিয়ে করতে রাজি হয় না। 
- তাহলে তোর কর্মচারীদের বিয়ে হয় যে!
- কর্মচারীরা তো দোকানদার না। তারা চাকরি করে। বায়োডাটায় লিখে-ম্যানেজার, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। ‘ম্যানেজার’ শব্দটা শুনতেই কেমন ওজনদার লাগে। কেউ কেউ লেখে ‘জেনারেল ম্যানেজার’। 
- হা হা হা। 
মিজান অনেকক্ষণ হাসল। 
রফিক জিজ্ঞেস করল, চা খাবি?
হাসি থামিয়ে মিজান বলল, চা খেতেই তো এসেছি। তোদের পাশের দোকানের চা-টা সেই রকম হয়। কুচি কুচি করে আদা কেটে দেয় এই ব্যাপারটা ভালো লাগে।  
রফিক পাশের দোকানে ফোন করে দুই কাপ লাল চা দিতে বলল। 
ওরা যখন চা খাচ্ছিল তখন সেখানে এল এক যুবক। যুবকের চেহারা-সুরত বেশ সুন্দর। পোশাক-আশাকে ফিটফাট। শিক্ষিত মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে তরুণ অধ্যাপক। যুবক এসে একবার দোকানের নেমপ্লেটে তাকায়, একবার রফিক আর মিজানের মুখের দিকে তাকায়, আরেকবার পুরো দোকানটায় চোখ বোলায়। সে এরকম করছে তো করছেই। ব্যাপার কী? খারাপ কোনো মতলব নাই তো? আজকাল পাড়া-মহল্লায় লুটপাট, ডাকাতি বেড়ে গেছে। দোকান লুট করবে নাকি? হয়তো সে কোনো ডাকাত দলের লিডার। তার দলের লোক আশপাশেই আছে।
রফিক সাহস নিয়ে বলল, কিছু বলতে চান? 
- জি। 
- বলুন।  
- আপনাদের এই দোকানের ঠিকানায় একটা বিজ্ঞাপন পেয়েছিলাম ফেসবুকে। কর্মচারী নিয়োগ হবে।
- হ্যাঁ দিয়েছিলাম, তা প্রার্থী কে?
- আমি নিজেই প্রার্থী। আমি ম্যাথমেটিক্সে মাস্টার্স। 
মিজান আর রফিক বড় চোখ করে তাকালো যুবকটার দিকে। এরকম সুদর্শন, উচ্চশিক্ষিত যুবক মুদি দোকানে কর্মচারীর চাকরি করবে! রফিক বলল, আপনি এখানে চাকরি করতে চাচ্ছেন কেন? বেতন তো সেরকম দিতে পারবে না, তার চেয়ে টিউশনি করলেও...। 
- বেতন যা খুশি দেবেন। বেতন কোনো বিষয় না। চাকরিটা আমার দরকার। 
- ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন। 
যুবকটা তার ফোন তুলে ধরল মিজান আর রফিকের সামনে। স্ক্রিনে একটা মেয়ের ছবি। টানা টানা হরিণী চোখ। কানের পাশ দিয়ে ঢেউ খেলানো চুল নেমে গেছে। মেয়েটার মুখে মুচকি হাসি। তার বাম গালে টোল পড়ে আছে। খুবই রূপবতী একটা মেয়ে। 
ছবিটার দিকে তাকিয়ে রফিক কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তার মুখে যেন কোনো কথা জোগাচ্ছিল না। মিজান বলল, কার ছবি এটা?
যুবকটা বলল, এই মেয়েটার সঙ্গে আমার বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়েছে। সমস্যা হলো, একটা চাকরি হলেই আমি মেয়েটাকে বিয়ে করতে পারব। টিউশনি করে আমি ৪০-৪৫ হাজার টাকা আয় করি। কিন্তু টিউশনিকে তারা গুরুত্ব দেয় না। তারা চায় চাকরি। তাই চাকরিটা আমার খুব দরকার। ওকে বিয়ে করতে না পারলে আমার জীবনটা ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমার স্বপ্ন ছিল গালে টোল পড়া কোনো মেয়েকে বিয়ে করব। মেয়েটা হাসলে বাম গালে টোল পড়ে। 
- কিন্তু দোকানের কর্মচারী...।
- আমি বায়োডাটায় লিখব, জেনারেল ম্যানেজার-ডিপার্টমেন্টাল স্টোর।
মিজান তাকালো রফিকের মুখে। রফিক যুবককে বলল, বায়োডাটা এনেছেন?
- জি। এই যে।
- রেখে যান। এর মধ্যেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। 
যুবকটা খুশি হলো। ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেল। তারপর রফিক কেমন ঠেসে গিয়ে বসে রইল। মিজান বলল, কীরে, এমন সুদর্শন, উচ্চশিক্ষিত কর্মচারী পেলি অথচ কেমন চুপসে গেলি যেন। 
রফিক বলল, যুবকের ফোনে যে মেয়েটাকে দেখলি সেই মেয়েকে গত মাসে আমরা দেখতে গিয়েছিলাম। দোকানদার বলে তারা আমাকে পাত্তা দেয়নি। 
- বলিস কী! 
- সত্যি বলছি! 
- হা হা হা হা।
- তুই হাসছিস?
- হাসা উচিত না, তাও হাসছি। দোকানের মালিক আর কর্মচারীর জীবনের স্বপ্ন একই ছিল। তবে জিতে যাচ্ছে কর্মচারী।  
রফিকের বুক ভেঙে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে গেল।