ঢাকা ২৪ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

নতুন উদ্যমে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
নতুন উদ্যমে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন ফের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। সরকারি নানা সেক্টর থেকে শুরু করে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এর বাইরে নেই দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। ক্যাম্পাসের নানাবিধ কার্যক্রমে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের হাওয়া ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের কতটুকু ছুঁতে পেরেছে? নতুন উদ্যমে নিজ ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষার্থীরাই বা কী ভাবছে? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন মাহমুদ শাকিল


আল মাহামুদ
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা যেভাবে মন খুলে পড়াতে পারছেন আগে তেমনটা আমরা দেখিনি। নানা কারণে তারা অনেক কিছুই পড়ালেখার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে গিয়েও বলতে পারেননি। অধিকাংশ শিক্ষক নতুন এই প্রেক্ষাপট ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

এই নতুন স্বাধীনতা ক্যাম্পাসে মুক্তচিন্তা চর্চা করার একটি বড় পথ খুলে দিয়েছে। আন্দোলনের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা কিছুদিন পিছিয়ে গেলেও ডিপার্টমেন্ট যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীরা যেন সেশন জটে না পড়েন। যদিও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি থাকলেও প্রশাসন নির্বাক। এ ছাড়া আমার প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের মৌলিক অধিকার বুঝিয়ে দেবে।

মাহির শাফিন
মার্কেটিং বিভাগ

আন্দোলনের পর ক্যাম্পাসে পা রাখা যেন অজানা এক জগতে প্রবেশ করা। সবকিছু একই, তবু ভেতরের শক্তি আর দৃষ্টিভঙ্গি একদম নতুন। ক্লান্তি, ভয় আর দীর্ঘ রাতের যুদ্ধের পর শিক্ষার্থীরা যেন আরও বেশি সাহসী ও সচেতন হয়ে উঠেছেন। দেশপ্রেম আর একাত্মতা তাদের মননে গাঁথা।

সব বর্ষের শিক্ষার্থীরাও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী, নিজেদের অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরছেন। যদিও আন্দোলনের দুঃসহ স্মৃতি এখনো আমাদের মনে বিদ্যমান। আর ছাত্র রাজনীতির পুরোনো প্রভাব তো এখনো কোথাও কোথাও টিকে আছেই। তবু সবার মনে একটাই আশা- এই পরিবর্তন স্থায়ী হোক। আপন স্বকীয়তায় এগিয়ে যাক প্রাণের জবি।

মো. তৌহীদুল ইসলাম
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

একটা আন্দোলন; অনেক কষ্ট-ক্লান্তি, দিনের পর দিন নির্ঘুম রাত, ভীতি, অফুরন্ত সাহস আর দেশের প্রতি এক অভিন্ন ভালোবাসার পর ক্যাম্পাসকে নতুন করে দেখার ইচ্ছা সবারই। ছাত্র রাজনীতির অনুপস্থিতিতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। শিক্ষকদেরও আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে না পারায় অনুশোচনা করতে দেখা যায়। প্রত্যেক শিক্ষকই আগের তুলনায় অনেক কোঅপারেটিভ আচরণ করছেন, যেটা খুবই ইতিবাচক। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ইস্যুসহ জাতীয় সব ইস্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এখন অনেক বেশি সচেতন। রক্তক্ষয়ী আন্দোলন আমাদের অধিকার সচেতনতা বাড়িয়ে দিয়েছে বটেই তবে বিপ্লবী শিক্ষার্থীদের মাঝে এক আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। স্বাধীনতার এই সুবাস চিরকাল থাকুক।


রাকিব হাসান
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ

এখন নতুন প্রত্যাশায়, অতীতের অপূর্ণতা যেন স্পর্শ করতে না পারে সেজন্য ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা নতুন উদ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই বন্যা মোকাবিলায়ও শিক্ষার্থীদের অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশংসনীয়। শিক্ষার্থীরা তাদের মত প্রকাশের জন্য বিভিন্ন কৌশল ও মাধ্যম (বিক্ষোভ ও মিছিল, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সেমিনার বিতর্ক, সাংস্কৃতিক আন্দোলন, সংবাদমাধ্যম, গণস্বাক্ষর অভিযান ও স্মারকলিপি প্রদান) ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে যাওয়া শিক্ষার্থীরা রাজনীতিমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ক্যাম্পাস জীবন উপভোগ করছেন। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণসহ স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে পারছেন, যা তাদের চিন্তার বিকাশে সহায়তা করছে।


আরাফাত খন্দকার
দর্শন বিভাগ

২৪-এর বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন উদ্যম এবং উদ্দীপনায় লেখাপড়াসহ অন্যান্য সৃষ্টিশীল ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল চর্চার সংগঠনগুলো রাজনৈতিক বলয় থেকে বেরিয়ে এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। শিক্ষকদের ইতিবাচক চিন্তা ও কার্যক্রমও বর্তমান সময়ে বেশ লক্ষণীয়। বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে নতুনভাবে মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলন-পরবর্তী ক্যাম্পাস দিনে দিনে আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখন অন্যতম দাবি, লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক মুক্ত ও অনিয়মমুক্ত ক্যাম্পাস। আমার প্রত্যাশা থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও মুক্ত চিন্তা চর্চার জায়গা হিসেবে অভূতপূর্ব হয়ে উঠুক। ক্যাম্পাস থাকুক নিরাপদ ও সুস্থ ধারার।

মো. তৈয়বুজ্জামান তালুকদার
ফিন্যান্স বিভাগ

বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক নতুন উদ্যম জাগিয়ে তুলেছে। এই আন্দোলনের পর থেকে শিক্ষার্থীরা আরও সচেতন, সংগঠিত এবং সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বন্যাসহ নানা ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দায়িত্ববোধের এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।

ক্যাম্পাসে নতুন ভিসি স্যারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন না তুললেই নয়। কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসন আগের মতোই নিষ্ক্রিয় বলে মনে হচ্ছে, তবে সময়ের সঙ্গে প্রশাসনের কার্যকারিতা হয়তো আরও পরিষ্কার হবে। আমি আশা রাখি, সামনের দিনগুলোয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই মুক্ত মনের পরিচয় রাখবে।

কলি

চবি শিক্ষার্থীকে মারধর, মূল ফটকে তালা

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
চবি শিক্ষার্থীকে মারধর, মূল ফটকে তালা
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নুরুল করিম সাদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের সামনে থেকে মুখ বেঁধে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় মুখোশধরী দুর্বৃত্তরা। পরে জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনের নির্জন এলাকায় নিয়ে মারধর করা হয়। প্রক্টরিয়াল বডি জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চবি মেডিকেলে নেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় জিরো পয়েন্টের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কর্তৃপক্ষের বিচারের আশ্বাসে ফটক খুলে দেন তারা।

এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী হিসেবে সোহরাওয়ার্দী হলে থাকতেন বলে জানা গেছে। তবে ছাত্রদলের নেতারা সাদকে তাদের কর্মী বলে দাবি করেছেন। আগে ছাত্রলীগ করার জেরে তাকে মারধর হয়েছে বলেও অনেকে দাবি। তবে হামলাকারীদের শনাক্ত না করতে পারায় বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। 

এ বিষয়ে চবি মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসক কেএম আতাউল গনি বলেন, ওই ছাত্রকে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চবি মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়েছিল। ডান পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া পিঠে ফুলে যাওয়া একটা আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাথা বা বুকে কোনো আঘাত ছিল না, তিনি নিজেই বলেছিলেন। পায়ে এক্স-রে করার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন বলেন, সাদ ছাত্রদলের কর্মী। তবে, তারচেয়ে বড় পরিচয় সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সন্ত্রাসীরা একজন শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মারধর করাটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, রাতে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার শিকার সাদ। যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে দোষীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পিছপা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সবার একযোগে কাজ করার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যেই ফ্যাসিবাদের সময় নষ্ট করে ফেলা সিসিটিভি মেরামত ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংযোজনের কাজ শুরু হয়েছে। সিসিটিভি মেরামত, প্রতিস্থাপন ও সংযোজন প্রক্রিয়া শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি আরও নিরাপদ হবে।

মাহফুজ শুভ্র/জোবাইদা/অমিয়/

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২০ এএম
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞান, গবেষণা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি)-২০২৪’।

কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটির ক্যাম্পাসে শুরু হবে। শেষ হবে ১০ নভেম্বর। সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের ২১টি দেশের শিক্ষক-গবেষকরা অংশ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কলা ও সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অলিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদস্যসচিব ড. শামিম মণ্ডল।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য ইতোমধ্যেই চার শতাধিক গবেষণাপত্র জমা পড়েছে; যার মধ্য থেকে নির্বাচিত গবেষণার সংখ্যা ৩০৬টি। দুই দিনের সম্মেলনে ৬২টি সেশনে এই গবেষণা প্রবন্ধগুলো উপস্থাপন করা হবে। নির্বাচিত গবেষণাগুলোয় চিন্তার নতুন গতিপথ, সমাজ-রাষ্ট্রের যোগাযোগ, পরিবর্তিত সাংবাদিকতার ধারা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি, নয়া গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ এবং বাংলাদেশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামাজিক গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করা হবে।

ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগ যৌথভাবে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, একটি বিশ্ববদ্যিালয় তখনই পূর্ণতা পায়, যখন সেখানে জ্ঞান চর্চা হয়। মূলত এই উদ্দেশ্য সামনে রেখেই আইটিডি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যত বেশি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়, জ্ঞান-গবেষণায় সেই বিশ্ববিদ্যালয় তত বেশি এগিয়ে যায়। ছাত্র-শিক্ষকরা জানা-বোঝার সুযোগ পান।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু জ্ঞান দেওয়া হয় না; জ্ঞান সৃষ্টিও করা হয়। যেহেতু একার পক্ষে গবেষণা করা কঠিন, তাই এই সম্মেলনের আয়োজন। এর মধ্য দিয়েই জ্ঞান সৃষ্টি হবে, নতুন নতুন উদ্ভাবন সামনে আসবে।
 
কলা ও সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, পৃথিবী আজ ক্রান্তিকাল পার করলেও উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ধারা থেমে নেই। সীমাবদ্ধতা শুধু নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে। আইটিডি সম্মেলনে সেই জায়গা উন্নয়নের চেষ্টা করবে। এ সময় তিনি দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের নানা দিক আলোচনা করেন।

সম্মেলনটির উদ্বোধন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (ব্যাক) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

ইবিতে কক্ষসংকটের মধ্যেই অ্যালামনাইদের কক্ষ বরাদ্দ দিলেন ডিন

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ এএম
ইবিতে কক্ষসংকটের মধ্যেই অ্যালামনাইদের কক্ষ বরাদ্দ দিলেন ডিন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

বিভিন্ন বিভাগে শ্রেণিকক্ষের সংকট নিয়েই চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে একাডেমিক কার্যক্রম। শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। এর মধ্যে কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লোক প্রশাসন বিভাগের অ্যালামনাইদের জন্য কক্ষ বরাদ্দ দিয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২৩১ নম্বর কক্ষ লোকপ্রশাসন বিভাগের অ্যালামনাইদের জন্য বরাদ্দ দেন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এ বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগ অ্যালামনাই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি চিঠিও দেন তিনি। চিঠিতে কক্ষ বরাদ্দের বিষয়টিকে ‘আনন্দ সংবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করে কক্ষটির ডেকোরেশনসহ অন্যান্য সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের আর্থিক বিষয় অ্যালামনাই কমিটিকে বহন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই কক্ষটি আগামীকাল শনিবার উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে।
 
এদিকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেছেন, যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ পাচ্ছে না, সেখানে এসব সিদ্ধান্ত বিলাসিতা ছাড়া কিছুই না।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, ‘এমনিতেই আমাদের শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা নেই, শিক্ষকরাও একেক রুমে দু-তিনজন করে বসতে হয়। শ্রেণিকক্ষের সংকটকালে কোনো কক্ষ যদি অপ্রয়োজনে পড়ে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই দৃষ্টিকটু। কক্ষগুলো যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।’

লোকপ্রশাসন অ্যালামনাই কমিটির সভাপতি শামীনুর রহমান বলেন, ‘কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া কমিটি কিংবা এর প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমাদের কক্ষ দেওয়া হচ্ছে, আমরা সেটি নিচ্ছি। কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে কক্ষ বরাদ্দ হয়েছে এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মতিনুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’ শনিবার তিনি ক্যাম্পাসে এলে এ বিষয়ে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ জানান।

ইবিতে কক্ষসংকটের মধ্যেই অ্যালামনাইদের কক্ষ বরাদ্দ দিলেন ডিন

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
ইবিতে কক্ষসংকটের মধ্যেই অ্যালামনাইদের কক্ষ বরাদ্দ দিলেন ডিন

বিভিন্ন বিভাগে শ্রেণিকক্ষের সংকট নিয়েই চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে একাডেমিক কার্যক্রম। শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। এর মধ্যে কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লোক প্রশাসন বিভাগের অ্যালামনাইদের জন্য কক্ষ বরাদ্দ দিয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২৩১ নম্বর কক্ষ লোকপ্রশাসন বিভাগের অ্যালামনাইদের জন্য বরাদ্দ দেন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এ বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগ অ্যালামনাই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি চিঠিও দেন তিনি। চিঠিতে কক্ষ বরাদ্দের বিষয়টিকে ‘আনন্দ সংবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করে কক্ষটির ডেকোরেশনসহ অন্যান্য সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের আর্থিক বিষয় অ্যালামনাই কমিটিকে বহন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই কক্ষটি আগামীকাল শনিবার উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে। 

এদিকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেছেন, যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ পাচ্ছে না, সেখানে এসব সিদ্ধান্ত বিলাসিতা ছাড়া কিছুই না।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, ‘এমনিতেই আমাদের শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা নেই, শিক্ষকরাও একেক রুমে দু-তিনজন করে বসতে হয়। শ্রেণিকক্ষের সংকটকালে কোনো কক্ষ যদি অপ্রয়োজনে পড়ে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই দৃষ্টিকটু। কক্ষগুলো যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।’

লোকপ্রশাসন অ্যালামনাই কমিটির সভাপতি শামীনুর রহমান বলেন, ‘কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া কমিটি কিংবা এর প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমাদের কক্ষ দেওয়া হচ্ছে, আমরা সেটি নিচ্ছি। কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে কক্ষ বরাদ্দ হয়েছে এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মতিনুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’ শনিবার তিনি ক্যাম্পাসে এলে এ বিষয়ে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ জানান।

নিয়ামতুল্লাহ/এমএ/

বেরোবিতে মদ পান করে শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, আটক ২

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পিএম
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ পিএম
বেরোবিতে মদ পান করে শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, আটক ২
সেলুন দোকানি শিমুল ও আবির

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) মদ পান করে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের দায়ে দুই বহিরাগতকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এই বিভাগের পিকনিকে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন- স্থানীয় পার্ক মোড়ের সেলুন দোকানি শিমুল (২৫) ও আবির (২০)।

শিক্ষার্থীরা জানান, বহিরাগত দুজন মদ পান করে ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছে ফুল চায় এবং ছবি তুলতে চায়। পরে তাদেরকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাদের তাজহাট থানায় পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার দায়ে বহিরাগত দুজনকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকায় মাদক সেবনের অপরাধে তাদের নামে অবশ্যই মামলা করা হবে।’

তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহালম সরদার বলেন, আসামিদের বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাজী আজম হোসেন/নাইমুর/পপি/