ঢাকা ৩ ফাল্গুন ১৪৩১, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

স্বাস্থঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা ইবিতে বেহাল শৌচাগার

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৭ এএম
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
ইবিতে বেহাল শৌচাগার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শৌচাগার। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাডেমিক ভবন, হল ও বিভিন্ন দপ্তরের শৌচাগারের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ময়লা-আবর্জনায় বেহাল দশা শৌচাগারগুলোর। ব্যবহার অযোগ্য এসব শৌচাগার পরিষ্কার করার জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট থাকলেও গত ১৮ বছরেও কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে স্বাস্থঝুঁকিতে রয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক, প্রশাসনিক ভবন ও আবাসিক হলসহ মোট ১৯টি ভবন রয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, চিকিৎসাকেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে। এসব ভবনের প্রায় প্রতিটি ভবনেই নিয়মিত পরিষ্কারের অভাবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে শৌচাগারগুলো। কিছু শৌচাগারের দরজারও ঠিক নেই। পর্যাপ্ত ট্যাপ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও নেই অনেক জায়গায়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি হলে বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থী বাস করছেন। নিয়মিত শৌচাগারগুলো পরিষ্কার না করার ফলে এসব শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুমানিক ১ হাজার ৮০০-এর ওপরে শৌচাগার রয়েছে। এসব শৌচাগার পরিষ্কার করার জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন মাত্র ১২ জন। ফলে ১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ১৫০টি শৌচাগার পরিষ্কারের কাজ করতে হয়। এ ছাড়া এসব শৌচাগার পরিষ্কার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বছরে মাত্র ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ফলে এত কম বেতনে এতটি শৌচাগার পরিষ্কারের কাজ করা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য কষ্টসাধ্য। কম বেতনে দিয়ে এই কাজ অব্যাহত রাখা খুবই কষ্টকর বলে জানিয়েছে এস্টেট শাখা।

সংস্থাপন শাখা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ সংখ্যা ৫৫টি। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিয়োগ হয়েছে ৩৫টিতে। এর মধ্যে অবসর ও মৃত্যুবরণ করায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে। এসব পদে সর্বশেষ ২০০৬ সালে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পর কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী বা সুইপার নিয়োগ দেয়নি প্রশাসন। তবে নিয়োগকৃত ২৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মধ্যে কাজ করছেন মাত্র ১২ জন। বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট শাখার দাবি, বাকি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দিয়ে পিয়নের কাজ করানো হচ্ছে ।

এ বিষয়ে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী রাউফুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলো বাহ্যিক দিক থেকে সুন্দর হলেও ভেতরের অবস্থা তেমন ভালো নয়। এসব ভবনের ভেতরের শৌচাগারগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ, যা ব্যবহার অযোগ্য হয়ে আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা দেখি না। বিগত প্রশাসনের সময় তেমন কোনো উদ্যোগও ছিল না। নতুন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় ও বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’ 

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আমির ফয়সাল বলেন, ‘হলের শৌচাগারগুলো পরিষ্কার করতে দেরি করার কারণে খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। ফলে স্বাস্থঝুঁকির আশঙ্কা থাকে এবং শৌচাগারগুলোও ব্যবহার অনুপযোগী হয়। পরিষ্কারের ক্ষেত্রে রেগুলারিটি মেইনটেইন করার জন্য হল প্রভোস্টের প্রতি অনুরোধ রইল।’ 

নিয়মিত পরিষ্কার ও তদারকির অভাবে এসব শৌচাগারে জন্ম নিচ্ছে নানান রকমের রোগ-জীবাণু, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম শাহেদ হাসান বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ফাঙ্গাস বা চুলকানি জাতীয় রোগে ভুগছেন। এ রোগগুলো সাধারণত শৌচাগার অপরিষ্কার থাকার কারণে হয়ে থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের সুস্থতার জন্য শৌচাগারগুলো পরিষ্কার রাখা দরকার।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস প্রধান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের শৌচাগারগুলো বেহাল। পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় এমন পরিস্থিতি। এ বিষয়ে ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে পরিচ্ছন্নতার কাজ করানো যায় কি না, সে বিষয়ে চিন্তা আছে। তবে হলগুলোর বিষয়ে স্ব-স্ব হল এটা দেখবে। সেগুলো আমাদের আওতাধীন নয়।’

এ বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, ‘আটটি হলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রয়োজন ১৬ জন। সেখানে রয়েছেন মাত্র পাঁচজন। ফলে নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে শৌচাগারগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ। তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রতি লক্ষ্য করে এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য স্ব-স্ব হলের প্রভোস্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’

ঢাবিতে প্রশ্নপত্রের ছবি বাহিরে পাঠানোর চেষ্টা, ভর্তিচ্ছু আটক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯ পিএম
ঢাবিতে প্রশ্নপত্রের ছবি বাহিরে পাঠানোর চেষ্টা, ভর্তিচ্ছু আটক
আটক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় হল থেকে মোবাইলফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে পাঠানোর চেষ্টাকালে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আটক ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আজিমপুরের গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ) কেন্দ্রে এক শিক্ষার্থী ছবি তুলে বাহিরে পাঠানো চেষ্টা করলে, কেন্দ্র পরিদর্শক সেটি টের পান। পরে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে দুটি মোবাইলফোন পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ছবিটি তিনি বাইরে পাঠানোর মাধ্যমে উত্তরপত্র পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন।’

লালবাগ থানায় ওই শিক্ষার্থীকে হস্তান্তর করা হয়েছে উল্লেখ করে ঢাবি প্রক্টর বলেন, ‘ওই ঘটনার পরে তাকে লালবাগ থানা আটক করে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন তারা যাচাই-বাছাই করে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আশা করি, তাদের প্রক্রিয়াও শেষের দিকে।’

এদিকে রাত ১০টার পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈইনু মারমা। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এজাহার দেয়ার কথা রয়েছে। তারা এজাহার দিলে মামলা গ্রহণ করা হবে এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে বাকি পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হবে।’

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

আ.লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে অনশনে ঢাবির আরও ২ শিক্ষার্থী, অসুস্থ ১

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম
আ.লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে অনশনে ঢাবির আরও ২ শিক্ষার্থী, অসুস্থ ১
আমরণ অনশনে বসা ঢাবির শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির দুই শিক্ষার্থী। এবার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আরও দুইজন শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, বলে দাবি ওই শিক্ষার্থীদের। ওই শিক্ষার্থীদের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত না হচ্ছে তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা ওই শিক্ষার্থীরা অনশনে বসেছেন। একজন অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েছেন। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক ও ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের আবু সাঈদ। এর মধ্যে ওমর ফারুক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি তাদের। এছাড়া শনিবার সংহতি জানিয়ে অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল ওয়াহেদ এবং ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান।

জানা যায়, শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঢাবি শিক্ষার্থীদের গ্রুপ শিক্ষার্থী সংসদে স্ট্যাটাস দেন পরে অনেক শিক্ষার্থীই সংহতি জানান। এর মধ্যে সাঈদও অনশনে বসার ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেন। এদের সঙ্গে শনিবার ওয়াহেদ ও ফজলুরও অনসনে বসেন।

আবু সাঈদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিচার না করা হচ্ছে, আমরা এখান থেকে সরছি না। আমরা চাই, অবিলম্বে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার দাবি নিশ্চিত করা। এখন পর্যন্ত শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যার আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাছাড়া কেউই আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।’

একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওমর ফারুক ভাই কিছুটা অসুস্থ। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি না মানা হচ্ছে, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো আশ্বাস না দিচ্ছেন, আমরা আমাদের অনশন চালিয়ে যাব।’

এদিকে শনিবার অনশনে বসা আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘তাদের দাবি যৌক্তিক এবং এই দাবির প্রতি আমাদেরও সমর্থন রয়েছে। আমরা দুই বন্ধু আজ সংহতি জানিয়ে তাদের সঙ্গে অনশনে বসেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মানা হচ্ছে, আমরা কেউ এখান থেকে উঠছি না।’

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

জবির 'বি' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম
জবির 'বি' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে 'বি' ইউনিটের (কলা ও আইন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিন শিফটে (সকাল ৯টা, দুপুর ১টা, বিকেল ৪টা) এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এই ইউনিটে আসন সংখ্যা ৭৮৫টি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকা গভ. মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বি-ইউনিটের (কলা ও আইন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৪২ হাজার ৯৭৪ জন পরীক্ষার্থীর জন্য আসন বিন্যাস করা হয়। ১ম ও ২য় প্রতি শিফটে ১৫ হাজার ১৩৮ জন করে এবং ৩য় শিফটে ১২ হাজার ৬৯৮ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়। ১ম ‍শিফটে ৮৭ শতাংশ, ২য় শিফটে ৮৬ শতাংশ ও তৃতীয় শিফটে প্রায় ৭৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই তিন শিফটের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো ছিলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও পরিবেশ সন্তোষজনক ছিলো এবং পরীক্ষা আয়োজনে সফলতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

পরীক্ষায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নের জন্য ছিলো ২৪ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ছিলো ৪৮ নম্বর। পরীক্ষার বিষয় ছিলো বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান।

এর আগে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জবির 'ডি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এবং 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

 

মুজাহিদ/মেহেদী/

বিজ্ঞান ইউনিট দিয়ে শেষ হলো ঢাবির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
বিজ্ঞান ইউনিট দিয়ে শেষ হলো ঢাবির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাসসহ দেশের অন্য ৭টি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেন, ‘বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৭৮ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছে। অত্যন্ত কঠোর প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। তবে তাদের অন্যান্য পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহযোগিতা করবে। ভর্তির সুযোগ না পেলে শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই মানসিক ট্রমার শিকার না হয়, এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।’

প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রশ্নফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যেটি ঘটেছে সেটি দেখার জন্য আমরা সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছি। মূখ্য সমন্বয়কের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আমাদের যে কমিটি কাজ করে, সেই কমিটি গত পুরো সপ্তাহ যাবত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ছাত্রদের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংরক্ষণ করে বিষয়টি যেন সমাধান করা হয়। সমাধান প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে, প্রায় কাজ শেষ করে ফেলেছেন। আমরা পূর্ণ আশ্বস্ত করতে চাই, ছাত্রদের পূর্ণ স্বার্থ রক্ষা করা হবে।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞান ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৯৬টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১১জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এবছর বিজ্ঞান ইউনিটে বিজ্ঞান শাখা থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৮ জন, মানবিক শাখা থেকে ৭ হাজার ৯০ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৮৭৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৯৬টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখার জন্য ১ হাজার ৮২০টি, মানবিক শাখার জন্য ৫১ টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ২৫ টি আসন রয়েছে।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

বেরোবিতে ফলাফল প্রকাশে গড়িমসির অভিযোগ অধ্যাপক তাজুলের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
বেরোবিতে ফলাফল প্রকাশে গড়িমসির অভিযোগ অধ্যাপক তাজুলের বিরুদ্ধে
অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলামের অসহযোগিতা এবং পরীক্ষার নাম্বার জমা না দেওয়ায় স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের (১২ তম ব্যাচের) পরীক্ষার ফলাফল আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। চার বছরে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় ৫ বছরেরও স্নাতক শেষ হয়নি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এতে শিক্ষার্থীরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বিভাগের মধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রায় বেশির ভাগ বিভাগের অনার্স শেষ হয়ে মার্স্টাসও সমাপ্তির পথে। সেখানে গণিত বিভাগের ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী যোগদানের পর সাড়ে চার মাসে সেমিস্টার শেষ করার ঘোষণা দেন এবং সকল বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে মিটিং করে সবাইকে সাড়ে চার মাসের মধ্যে সেমিস্টার শেষ করার নির্দেশও দেন তিনি। তার পরও সাড়ে ৫ মাসেও সেমিস্টার এবং রেজাল্ট নিয়ে একজন শিক্ষকের গড়িমসিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার জন্য অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়কে প্রধান করে, অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন এবং সহকারী অধ্যাপক মোসা. জেসমিন নাহারকে নিয়ে পরীক্ষা কমিটি গঠিত হয়।

পরীক্ষা কমিটির সূত্র জানায়, পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও উপাচার্যের নির্দেশক্রমে সেশনজট কমানোর জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব পরীক্ষা শেষ করে এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত মেনে সব শিক্ষক পরীক্ষার খাতা ও ফলাফল যথাসময়ে জমা দিলেও অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলামের হাইড্রোডায়নামিক্স কোর্সের খাতা জমা না দেওয়ায় ফলাফল ঝুলে আছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই কন্টিনিউয়াস মার্কস শিক্ষার্থীদের দেখানোর কথা থাকলেও সেই মার্কসও দেখাননি এই শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একটি কোর্সে কমপক্ষে ৩০টি ১ দশমিক ৫ ঘণ্টাব্যাপী ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ক্লাস না নিয়ে শীতকালীন অবকাশের সময় মাত্র ১৩/১৪ টি ক্লাস নিয়েই কোর্স শেষ করে দেন অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে গণিত বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, রেজাল্ট দিতে গড়িমসি করাতে চাকরির আবেদন করতে পারছেন না তারা। সব স্যারই খাতা কেটে জমা দিলেও তাজুল স্যার এখনো তাদের কন্টিনিউয়াস মার্ক দেননি। এ বিষয়ে তারা ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার ওনার সঙ্গে দেখা করলেও উনি শুধু আশ্বাস দিয়েই যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন উপাচার্য যোগদানের পর থেকেই ড. তাজুল ইসলাম উপাচার্য দপ্তরেই বেশি সময় কাটান।

এদিকে, দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা জানান, অন্যান্য কোর্সের শিক্ষকরা ক্লাস প্রায় শেষ করে মিড, ইনকোর্স ও প্রেজেন্টেশন শেষ করলেও ড. তাজুল ম্যাথ (ল্যাব -২)-এর কোনো পরীক্ষা এখন নেননি। ফলে তারা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া ওই ব্যাচের আগের সেমিস্টারের পরীক্ষা গত বছরের অক্টোবরে শেষ হলেও এখন ফলাফল আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ নেত্রীর পরীক্ষা না দিয়ে ফলাফল পাওয়া কাণ্ডে জড়িত অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট চাইলে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায় জানান, সব শিক্ষকই খাতা কাটা শেষ করে খাতা জমা দিয়েছেন। শুধু তাজুল স্যারের হাইড্রো ডায়নামিক্স খাতা এখনো পাইনি। তার জন্য রেজাল্ট দিতে দেরি হচ্ছে। এদিকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করতে রেজাল্ট চাচ্ছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম বলেন, 'আমি ওদের (১২ ব্যাচের) পরীক্ষা শেষ করেই তো ওদের সঙ্গে শিক্ষা সফরে গেছিলাম। খাতা দেখার জন্য তো সময় লাগবে।'

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. তানজিউল ইসলাম জীবন বলেন, 'এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও পরীক্ষা কমিটি ভালো বলতে পারেন। এ বিষয়গুলো ওনাদের হাতে।'

গাজী আজম হোসেন/জোবাইদা/