ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

রমজানের আলোয় উদ্ভাসিত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
রমজানের আলোয় উদ্ভাসিত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ছবি: কাউসার আহমেদ

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ মাস নিয়ে আসে বিশেষ আমেজ। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসেও রমজান মাসের আগমনে শিক্ষার্থীদের মাঝে এসেছে ইতিবাচক বেশ কিছু পরিবর্তন। ধর্মীয় চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও ইবাদতে।

শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার পরপরই নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয় এক অন্য রকম পরিবেশ। সাধারণত রাতের বেলা যেখানে আড্ডা, হইহুল্লোড় বা নানাবিধ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম দেখা যায়, সেখানে এখন অধিকাংশ শিক্ষার্থী বেশি সময় কাটাচ্ছেন ইবাদত-বন্দেগিতে।

রমজানের শুরু থেকেই নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদে শিক্ষার্থীদের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রথম তারাবির নামাজ থেকেই মসজিদের প্রতিটি কাতার পূর্ণ হয়ে যায়। নামাজের পাশাপাশি কোরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অনেকে।
রমজানে ক্যাম্পাসের চেনা দৃশ্যে পরিবর্তন এসেছে। সাধারণ সময়ের মতো সকালবেলা টং দোকানগুলোতে নাশতার আয়োজন বা শিক্ষার্থীদের আড্ডার দৃশ্য নেই। এর বদলে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ইফতার সামগ্রীর পসরা বসে। শান্তি নিকেতন, পকেট গেট ও আশপাশের দোকানে পাওয়া যায় মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি ও শরবতসহ নানা খাবার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনগুলোর কর্মচারীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন সাহরি প্রস্তুতিতে। এক ক্যান্টিনকর্মী জানান, ‘সাহরির সময় শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে খাবার প্রস্তুত করা হয়। শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই সব আয়োজন করা হয়।’
রমজানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সময়েও পরিবর্তন এসেছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস চলায় শিক্ষক ও কর্মচারীরা স্বস্তিতে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে পারছেন।

শান্তি নিকেতনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা ও কোলাহলের চিত্রও বদলেছে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই বেশি সময় দিচ্ছেন নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও ক্লাসে। সন্ধ্যা নামলে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, ময়না দ্বীপ ও হলের আঙিনায় শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে বসে ইফতার করেন। অনেক জায়গায় গণ-ইফতারের আয়োজন করা হয়, যেখানে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শফিউল আলম হিমেল বলেন, ‘রমজানে ক্যাম্পাসের পরিবেশ পুরোপুরি বদলে যায়। সবাই নামাজ ও ইবাদতের দিকে মনোযোগী হয়। বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে ইফতার করাটা অন্যরকম অনুভূতি দেয়।’

আরেক শিক্ষার্থী রেজুয়ানা সুলতানা অনামিকা বলেন, ‘এই সময় আমাদের জন্য খুবই বিশেষ হিসেবে বিবেচিত। ক্লাস, পড়াশোনার পাশাপাশি রমজানের আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। ক্যাম্পাসেও ইবাদতের সুন্দর পরিবেশ আছে, যা আমাদের উৎসাহিত করে।’
রমজানের সংযমের শিক্ষা নিয়ে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে জীবন পরিচালনার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীরা ইবাদতের পরিবেশ বজায় রাখছেন। সবার একটাই প্রার্থনা—আল্লাহ যেন এই মাসের প্রতিটি সওয়াব ও বরকত দান করেন।

/রিয়াজ

ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ, সরকারকে প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ, সরকারকে প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান
ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে দুর্যোগ গবেষণা প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে ওয়েক আপ কল অন আর্থ কোয়েক শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা। ছবি: খবরের কাগজ

সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মায়ানমার ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ভারতের আসামে ভূমিকম্পের পর ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের ভূমিকম্পের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে সেটির এপিসেন্টার যেখানেই হোক না কেন বিশেষ করে দেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। এজন্য ভূমিকম্প মোকাবিলায় ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে সরকারের প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম রিসোর্স কক্ষে দুর্যোগ গবেষণা প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের (ডিআরটিএমসি) আয়োজনে ওয়েক আপ কল অন আর্থ কোয়েক শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া বক্তারা প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। 

মতবিনিময়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মায়ানমারের ভূমিকম্পের আলোকে বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ঝুঁকি, প্রস্তুতি ও জরুরি কর্মপদ্ধতি ওই মতবিনিময়ে বক্তাদের বক্তব্যে ওঠে আসে। এছাড়া ভূমিকম্প নিয়ে ইতোপূর্বে গবেষণা, প্রকাশনা ও মূল্যায়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি থাকলেও বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও অধিকতর কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বক্তারা। যা ভূমিকম্প দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশকে বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো ঝুঁকিপূর্ণ শহরগুলোর প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি লাঘব করতে পারে এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং কমিউনিটি পর্যায় থেকে সরকারি নীতি নির্ধারকদের সম্মিলিতভাবে ভূমিকম্প দুর্যোগ মোকাবিলার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ও ডিআরটিএমসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ভূমিকম্প নিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকলেও গত সাত-আট বছর যাবত ভূমিকম্পের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে একেবারেই নিরব। কেননা রোহিঙ্গা, করোনাসহ নানা ইস্যুতে সেটি চাপা পড়ে যায় কিন্তু মায়ানমারে ভূমিকম্পের পর আমাদের বেশ ভাবিয়ে তুলেছে কেননা ১০০ বছরের টাইমলাইনে একটা ভূমিকম্প হতে পারে। এখন ভূমিকম্পের এপিসেন্টার যেখানেই হোক, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই, মাঠ পর্যায় থেকে সরকার পর্যন্ত যেন অবিলম্বে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ে ক্ষুদ্রমেয়াদি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়।’

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস। এছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জার্মান রেডক্রস বাংলাদেশ, একশন এগেইনস্ট হাঙ্গার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, একশন এইড বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ব্র্যাক, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি, নলেজ ক্র্যাফট বাংলাদেশ, ইউনাইটেড পারপাস, পাওয়ার পার্টিসিপেশন সেন্টার, সেভ দ্যা চিলড্রেন, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউ এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

/আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

জুলাইয়ে ঢাবিতে হামলার তথ্য সংগ্রহে ৩৫ সদস্যের ছায়া তদন্ত কমিটি

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম
জুলাইয়ে ঢাবিতে হামলার তথ্য সংগ্রহে ৩৫ সদস্যের ছায়া তদন্ত কমিটি
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করতে একদল শিক্ষার্থী ৩৫ সদস্যের একটি ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এই কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। পরে এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে হস্তান্তর করবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহমেদ রিফাত। 

তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১২৮ জনকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে ৬ জন ঢাবির শিক্ষার্থী নন। অথচ প্রত্যক্ষদর্শী ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শত শত শিক্ষার্থী হামলায় অংশ নেয়। সেই তুলনায় মাত্র ১২৮ জনের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্তি প্রহসনের শামিল।’

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তালিকায় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের মতো প্রমাণিত হামলাকারীর নাম আসেনি। অথচ এমন অনেকের নাম এসেছে যারা হামলায় অংশই নেয়নি। এতে তদন্ত প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’

রিফাত আরও বলেন, ‘এই ছায়া তদন্ত কমিটির মূলকাজ হবে হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। আমরা আগামী এক মাসের মধ্যে সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ করব এবং তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটির কাছে হস্তান্তর করব।’

আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গেছে। অনেক তথ্যপ্রমাণ ইতোমধ্যে হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ চিত্র সংরক্ষণ করাই আমাদের এই কমিটি গঠনের মূল উদ্দেশ্য।’

ছায়া তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে একটি গুগল ফর্ম চালু করেছে এবং শিগগিরই একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেবে, যেখানে প্রত্যক্ষদর্শীরা তথ্য জমা দিতে পারবেন। কমিটির সদস্যরা প্রতিটি বিভাগ ও অনুষদ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবেন বলে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সরদার নাদিম মাহমুদ শুভ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রওনক জাহান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাজিমুদ্দিন সাইফসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের বাণিজ্য ও অ-বাণিজ্য গ্রুপে যথাক্রমে ৩৫ দশমিক ১৬ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর বাণিজ্য গ্রুপে ৭৭.৫০ ও অ-বাণিজ্য গ্রুপে ৬০.২৫।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বি ইউনিটে সর্বমোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪২ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে বাণিজ্য গ্রুপে ১৭ হাজার ৬৮৪ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২১৮ জন  এবং অ-বাণিজ্য গ্রুপে ১৭ হাজার ৪০৩ জনের মধ্যে ৯৫০ জন উত্তীর্ণ হয়। অ-বাণিজ্য গ্রুপে বিজ্ঞান শাখায় ৬১৮ ও মানবিক শাখায় ৩৩২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। উভয় গ্রুপ মিলিয়ে গড় পাশের হার ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ । পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর বাণিজ্য গ্রুপে ৭৭.৫০ ও অ-বাণিজ্য গ্রুপে ৬০.২৫।

উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিটভুক্ত ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ৬টি বিভাগ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট এই ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ৫৫৯ টি। যার মধ্যে বাণিজ্য গ্রুপে ৩৬৭ টি, অ-বাণিজ্য গ্রুপে বিজ্ঞান শাখায় ১৬৬ টি ও মানবিক শাখায় ২৬ টি। রাবির ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট https://application.ru.ac.bd/ তে লগইন করে ভর্তিচ্ছুরা নিজ নিজ ফলাফল দেখতে পারবেন।

এস আই সুমন/মাহফুজ

 

বিগত ১৫ বছরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জবির ছাত্র নেতাদের

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
বিগত ১৫ বছরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জবির ছাত্র নেতাদের
নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ কয়েকটি দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: খবরের কাগজ

বিগত ১৫ বছরে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ ও তিন কার্যদিবসের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) এর নীতিমালা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান নেতারা।

এ সময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা কিশোর সাম্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সিফাত হাসানসহ সংগঠন দুটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তাদের দাবিগুলো হলো- ফ্যাসিস্ট হামলাকারী ও ইন্ধনদাতাদের বিচারের আওতায় আনা, আহত শিক্ষার্থীদের সকল অ্যাকাডেমিক ফি মওকুফ, গত ১৫ বছরে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন ও অগ্রগতির প্রকাশ এবং ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সকল দূর্নীতির শ্বেতপত্র উপস্থাপন, শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন, আবাসন বৃত্তি প্রদান ও আনুপাতিক বাজেট বরাদ্দকরণ, সমাবর্তন আয়েজন এবং তিন কর্মদিবসের মধ্যে জকসুর নীতিমালা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবি শাখার মুখপাত্র নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার শিক্ষার্থীরা। তবুও যথাযথ প্রতিকার পাচ্ছে না তারা। আমাদের উত্থাপিত দাবিসমূহের পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন এবং প্রশাসনের সর্বশেষ উদ্যোগের ভিত্তিতে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত ৫ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে আসছে। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি বা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। 

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জকসুর জন্য অনেক সময় দিয়েছি। আমরা আর সময় দিতে চাই না। আমাদের দাবি না মানা হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ যৌথভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দাবি আদায় করে নেবে। এ ছাড়া আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগামী সোমবার শিক্ষার্থীদের আবাসন, ফ্যাসিস্টিদের বিচারের ও জকসু নির্বাচনের দাবিতে পোস্টারিং করব। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করব।

লিখিত বক্তব্যে কিশোর সাম্য বলেন, উল্লেখিত সকল দাবির বাস্তবায়ন না হলে আমরা বৃহত্তর ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, দায়িত্বশীলতা ও শিক্ষার্থী স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করুন।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

 

পড়াশোনায় সফল হতে ৪টি বিষয় মেনে চলুন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০০ পিএম
পড়াশোনায় সফল হতে ৪টি বিষয় মেনে চলুন
ছবি: সংগৃহীত

সমাজের কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন যে, সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রতিভা এবং দক্ষতায় উন্নতি করা সম্ভব না। এই বিশ্বাসের মানুষ মূলত জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে পছন্দ করে। কোনো প্রচেষ্টা থাকে না এদের মধ্যে। অন্যদিকে আর এক শ্রেণি বিশ্বাস করে- কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জীবনে উন্নতি ঘটানো সম্ভব। এরা জীবনের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যায়। অবশেষে তারা এর সুফলও পায়।

আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্বাস ধারণের মাধ্যমে শিক্ষাগত জীবনে এবং পরবর্তী সময়ে পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন খুব সহজে। এজন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় ভালোভাবে চর্চা করতে হবে।

ইতিবাচক মনোভাব গ্রহণ করুন
ড. ডুইকের মতে, একজন মানুষ যেকোনো সময়, এমনকি এখনই ইতিবাচক মনোভাব গ্রহণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে তার পরামর্শ হলো, নিজেকে নিজে ইতিবাচক মনোভাবের কথা বলতে থাকা বিশেষ করে যখন মন নেতিবাচক চিন্তা করে। উদাহরণস্বরূপ, ‘আমি কখনোই পরীক্ষায় ভালো করতে পারব না’ বলার পরিবর্তে বলুন, ‘অনেক মানুষের জন্য পরীক্ষায় ভালো করা সহজ নয়, কিন্তু আমি ভালো পরীক্ষার্থী হওয়ার চেষ্টা করব।’

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
আপনি কী অর্জন করতে চান সেটা যদি আপনি না জানেন তাহলে কীভাবে সফলতা পাবেন? তাই প্রথমে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেটাতে দৃঢ় থাকুন। মনে রাখবেন, পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ে বিশ্বাসী ব্যক্তি সব সময় ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে দেখে এবং একই সঙ্গে সেই লক্ষ্যে কাজ করে ফলাফল নিজের পক্ষে নিয়ে আসে।

লক্ষ্যকে ভুলে যাবেন না
আপনার লক্ষ্যকে মনে রাখুন। যেটা আপনাকে কাজ করতে মানসিক শক্তি ও উৎসাহ জোগাবে। যেমন আপনি যদি চিকিৎসক হতে চান তাহলে আপনি বড় কোনো চিকিৎসকের ছবি পড়ার টেবিলের সামনে রাখতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন মনীষীর উক্তি বা স্টিকি নোট ব্যবহার করে নিজেকে নির্দিষ্ট কাজে শক্তভাবে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে।

সাফল্যের জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করুন
ড. ডুইকের মতে, নিজের সিদ্ধান্ত বা কাজের প্রশংসা করার মাধ্যমে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা যেতে পারে। যেমন- ‘তুমি ভালো কাজ করেছ বা তুমি খুব কঠোর পরিশ্রম করেছ’ নিজেকে এমন ধরনের প্রশংসা করাটা ভীষণ জরুরি। আপনার সাফল্য অবশ্যই উদযাপন করবেন তবে এতে বেশি সময় ধরে স্থির থাকবেন না। শুধু নিজেকে বোঝান, যদি চেষ্টা করেন তবে আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পারবেন। লেখক: শিক্ষার্থী, এমএম কলেজ, যশোর

/রিয়াজ