ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

স্বল্প খরচে পড়াশোনা শেষে স্থায়ী হওয়ার দারুণ সুযোগ স্পেনে

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
স্বল্প খরচে পড়াশোনা শেষে স্থায়ী হওয়ার দারুণ সুযোগ স্পেনে
টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদ ছবি: সংগৃহীত

বিচিত্র সংস্কৃতি আর উন্নত অর্থনীতির দেশ স্পেন অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর কাছে স্বপ্নের দেশ। আর হবেই না বা কেন, যেখানে খোদ আমেরিকা থেকে শিক্ষার্থীরা যেখানে যায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে আশা করি আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন দেশের স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের মতো আপনারও যদি স্বপ্ন থাকে স্প্যানিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার, স্পেনে ঠাঁই পাওয়ার, তবে আজকের এই লেখা আপনার জন্য। 

কেন স্পেনে পড়তে যাবেন?
ইউরোপের দেশ স্পেনের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। পশ্চিম ইউরোপের শেনজেনভুক্ত দেশ স্পেনের ভাষা স্প্যানিশ, মুদ্রা ইউরো আর রাজধানী মাদ্রিদ। সারা বিশ্বে পৃথিবীর অন্যতম উন্নত অর্থনীতির দেশ স্পেন। তাই এ দেশ আপনাকে এনে দিতে পারে সাফল্য।   

কোর্স খোঁজা ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
প্রতি বছর সারা বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্পেনের মোট ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে আসেন। স্পেনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে। দেশটিতে শুধু স্প্যানিশ ভাষায় পড়ানো হয় এমন না, ইংরেজি ভাষায়ও পাঠ দান করা হয়ে থাকে। ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি সব প্রোগ্রামই ইংরেজি ভাষায় করার সুযোগ আছে। কিন্তু যদি আপনার স্প্যানিশ ভাষা জানা থাকে তাহলে আপনার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মোচন আরও সহজ হবে।
 
স্পেনে পড়তে যাওয়ার জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা
স্পেনে ব্যাচেলর পড়তে যাওয়ার জন্য এইচএসসি পাস, মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং পিএইচডি করার জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি। এরপর আপনার দরকার হবে ভাষাগত দক্ষতার। আপনি ইংরেজি ভাষায় কোর্স করতে চাইলে আপনাকে IELTS-এ ন্যূনতম ৫.৫/৬.০ স্কোর পেতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এই স্কোর পরিবর্তিত হয়। আর আপনি যদি স্প্যানিশ ভাষায় কোর্স নিতে চান তাহলে আপনাকে স্প্যানিশে আপনার B1/B2 বা DELE (Diploma of Spanish as a Foreign Language) Intermediate বা DELE B1/B2 থাকতে হবে।
উল্লেখ্য যে, স্প্যানিশ ভাষায় সরাসরি ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীকে স্প্যানিশ ভাষায় ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীরা তিন ধাপে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির আবেদন করতে পারে।
প্রথম ধাপে স্নাতক কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয়, যা সাধারণত বছরের শুরুর (ফেব্রুয়ারি-জুন) দিকে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়।
দ্বিতীয় ধাপে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয়, যা সাধারণত বছরের মাঝখানের (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) দিকে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়।
তৃতীয় ধাপে গবেষণামূলক/PhD কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয়, যা সাধারণত এপ্রিল-অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়।
স্পেনে দুই ধরনের মাস্টার্স কোর্স আছে: একটি অফিসিয়াল মাস্টার্স, যা স্পেনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনুমোদিত আর দ্বিতীয়টি হলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত ও অফার করা মাস্টার্স প্রোগ্রাম, যা তুলনামূলক ব্যয়বহুল। মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আপনার ব্যাচেলরের মার্ক্স স্পেনের সমতুল্য স্কেলে রূপান্তর করিয়ে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দরকার পড়বে তার তালিকা নিচে দেওয়া হলো-
১। সব একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট (স্পেনের স্কেলে রূপান্তর করা) 
২। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার
৩। সিভি
৪। পাসপোর্টের কপি ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৫। আবেদন ফি পরিশোধের প্রমাণ

আপনার ডকুমেন্টস সবকিছু ঠিক থাকলে, দু-এক মাসের মধ্যে আপনাকে মেইল করে জানিয়ে দেওয়া হবে। অ্যাকসেপ্টেন্স লেটার আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আবেদন কনফার্ম করার জন্য টিউশন ফির পুরোটা বা আংশিক অংশ বিশ্ববিদ্যালয়রে প্রদত্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতে হবে। টিউশনের ফির কতটুকু অংশ জমা দিতে হবে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন হতে পারে। এই টিউশন ফি (আংশিক/ পূর্ণ) জমা দেওয়ার পরে, বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে অ্যাকপ্টেন্স লেটারের হার্ডকপি ও ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র পাঠাবে।

পড়াশোনার খরচ ও বৃত্তি
স্পেনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে আপনার বার্ষিক ফি দিতে হবে ৬,০০-১,২৮০ ইউরো। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হলে বার্ষিক ফির পরিমাণ হবে ৫,৫০০-১৮,০০০ ইউরো পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই টিউশন ফির তারতম্য হয়ে থাকে। ইউরোপের বাইরের দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি ক্রেডিট ৫৫-৮০ ইউরো হয়ে থাকে আর মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে প্রতি ক্রেডিটের ফি হয়ে থাকে ২২-৩৬ ইউরো। 
স্পেনের পাবলিক ও প্রাইভেট সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে বৃত্তির সুবিধা। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে বৃত্তির খবরা-খবর জেনে নেওয়া ভালো। 

স্পেনের আবাসন ব্যবস্থা
স্পেনে আপনি কোথায় আছেন সেটার ওপর নির্ভর করবে আপনাকে আবাসন বাবদ কত খরচ করতে হবে। মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার মতো শহরে থাকতে আপনাকে ৩৫০-৯০০ ইউরো দিতে হতে পারে শেয়ারড ফ্ল্যাটের জন্য। কিন্তু আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে সালামাঙ্কা, স্যান্টিয়াগো ডি কম্পোসটেলা ও গ্রানাডা শহরে থাকেন আপনি ৩০০ ইউরোতে আপনার ফ্ল্যাট পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয়, অন্যান্য খরচও এখানে কম। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলেও আবেদন করতে পারেন। দ্রুত আবেদন করলে আপনার হোস্টেলে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, ভিসার জন্য আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে হাউজিং কন্ট্রাক্ট ডকুমেন্টস।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
স্পেনের ভিসা পেতে আপনার সময় লাগবে তিন মাসের বেশি, তাই আগে থেকেই আপনাকে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভিসা পাওয়ার প্রথম ধাপে আপনাকে ঢাকা স্পেনের দূতাবাস থেকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে নিচের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে- 
http://www.exteriores.gob.es/embajadas/dhaka/es/Paginas/inicio.aspx
আপনি সব কাগজ নিয়ে সময়মতো এম্বেসিতে উপস্থিত হয়ে ডকুমেন্টস দাখিল করবেন। যদি সব ডকুমেন্টস ঠিক থাকে, তাহলে ভিসা ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে রসিদসহ সব ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট নিচে দেওয়া হলো-
১। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো অফার লেটার
২। সব সত্যায়িত ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সনদ
৩। পাসপোর্ট ও ফটোগ্রাফ
৪। সিভি, মোটিভেশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার
৫। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক সচ্ছলতার ডকুমেন্টস
৬। IELTS / DELE B1-B2-এর সনদ
৭। হাউজিং সার্টিফিকেট/ ডকুমেন্টস  
১১। ফ্লাইট বুকিং টিকিট
১২। স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)

খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ
স্পেনে একজন বিদেশি শিক্ষার্থী সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পান। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, খণ্ডকালীন কাজের টাকায় নিজের খরচ চালানো সম্ভব হলেও টিউশন ফি দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।

স্পেনে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
স্পেনে উচ্চশিক্ষারত বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষা সমাপ্তির পর স্পেনে একটি চাকরি খোঁজার জন্য অথবা নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রকল্প তৈরি/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে সর্বোচ্চ ১২ মাস স্পেনে থাকার অনুমতি পান। এখানে পাঁচ বছর থাকার পর অস্থায়ী বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকে। তবে এজন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে যেমন- সফলভাবে স্পেনে কোর্স শেষ করতে হবে, স্বাস্থ্যবিমা থাকতে হবে এবং চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত চলার মতো আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র থাকা লাগবে। আর টানা ১০ বছর থাকার পর, আপনি স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সূত্র: studyspice.com

লেখক: শিক্ষার্থী, স্পেন

/রিয়াজ

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি, পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি, পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কেন্দ্র হিসেবে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

সভায় উপাচার্য বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের যেন কোনো প্রকার ভোগান্তি না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা পরিবহন, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসনের বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি।’ 

যাতায়াতে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনপুলের বাস বরাদ্দ থাকবে। যানজট নিরসনে চৌমুহনী ও সোনাপুর মোড়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

উপাচার্য জানান, হোটেল ও যানবাহনের ভাড়াবৃদ্ধি রোধে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে স্থানীয় কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট রোধে পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অভিভাবকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ও প্যান্ডেলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সভায় উপাচার্য তার সাম্প্রতিক তুরস্ক সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, তুরস্কের আলানিয়া আলাদিন কেকুবাত বিশ্ববিদ্যালয়, আঙ্কারা ইয়েলদেরেম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিদে ওমর হলিসদেমির বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিনিময়, যৌথ গবেষণা, ভাষা কোর্স ও উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি আরও জানান, অস্তিম তেখনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের এক-তৃতীয়াংশ টিউশন ফি মওকুফের ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে এবং শিগগিরই MoU স্বাক্ষর হবে।

ভর্তি পরীক্ষার দিন নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্যাম্পাসে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত থাকবে। মেডিকেল সেন্টারে জরুরি চিকিৎসাসেবা, অ্যাম্বুলেন্স ও ভিজিল্যান্স টিম প্রস্তুত থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সহায়ক টিম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।

সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে উপাচার্য বলেন, ‘আপনাদের পরামর্শ ও সমর্থনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. গাজী মো. মহসিন, প্রক্টর এ এফ এম আরিফুর রহমান, আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাইয়ুম মাসুদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

কাউসার/তাওফিক/

মার্কিন কোম্পানি ও যবিপ্রবির ন্যানো সার উদ্ভাবকের মধ্যে চুক্তি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
মার্কিন কোম্পানি ও যবিপ্রবির ন্যানো সার উদ্ভাবকের মধ্যে চুক্তি
ড. ফ্রেডেরিক কেন্ডিরগি ও ড. জাভেদ হোসেন খান। ছবি: সংগৃহীত

ন্যানো স্যারের উদ্ভাবক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ল্যাবরেটরি অব ন্যানো বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং (NAME Lab)-এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. জাভেদ হোসেন খান ও মার্কিন (USA) জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোলা বায়োর (Kulabio) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় কোলা বায়ো যবিপ্রবির NAME Lab থেকে ন্যানো সারের প্রযুক্তি গ্রহণ করবেন এবং তারাও তাদের জৈব প্রযুক্তি NAME Lab এর সঙ্গে ভাগ করবেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল,২০২৫) মার্কিন কোম্পানি কোলা বায়োর (Kulabio) পক্ষে ড. ফ্রেডেরিক কেন্ডিরগি (ভিপি অব ইনোভেশন অ্যান্ড ম্যানুফেক্সারিং) এবং NAME Lab এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ন্যানো সারের উদ্ভাবক ড. জাভেদ হোসেন খান এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি অনুসারে কোলা বায়ো NAME ল্যাবরেটরি, যবিপ্রবি থেকে ন্যানো সারের প্রযুক্তি গ্রহণ করার পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছর একসঙ্গে কাজ করবেন। 

এ বিষয় ন্যানো সারের উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. জাভেদ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা মার্কিন জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোলা বায়োর (Kulabio) সঙ্গে চুক্তি করেছি। তারা আমাদের ন্যানো সারের প্রযুক্তি নিবেন এবং তাদের জৈব প্রযুক্তি ও আমাদের সঙ্গে ভাগ করবেন। সম্প্রতি আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে (Boston) কোলা বায়োর কারখানা পরিদর্শন করেছি এবং এর সভাপতি ড. হ্যারিসন ইউনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেছি। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ন্যানো সার প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী। এ ছাড়া তারা দ্রুত আমাদের ল্যাবরেটরি পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন।’ 

ড. জাভেদ হোসেন খান দীর্ঘ ৭ বছরের প্রচেষ্ঠায় ন্যানো ইউরিয়া তৈরি করেছেন যা ৪ হাজার ২০০ টাকার গতানুগতিক ইউরিয়া সারের পরিবর্তে ব্যবহার করলে খরচ হবে মাত্র ২৩০ টাকা। তার এ গবেষণার ফলাফল ইতোমধ্যে আমেরিকার বহু গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

মোতালেব/সুমন/

কুয়েটের ভিসি-প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি, অনশন ভেঙে আনন্দ মিছিল

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৬ এএম
কুয়েটের ভিসি-প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি, অনশন ভেঙে আনন্দ মিছিল
ছবি : খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) ড. মুহাম্মাদ মাছুদ ও প্রো-ভিসি ড. শেখ শরিফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘ ৫৭ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১টার পরে তারা অনশন ভাঙেন।

এর আগে রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ভিসি, প্রো-ভিসির অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

অব্যাহতির খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিনিধিরা। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন।

এদিকে কুয়েট সংকট নিরসনে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, কুয়েটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি, প্রো-ভিসিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।

অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষা কমসূচিতে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনা ঘটে। এরপরই ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ২৩ এপ্রিল সিন্ডিকেটের সভায় সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে বিকেল থেকে ছাত্রদের ছয়টি ও ছাত্রীদের একটি হল খুলে দেওয়া হয়। আগামী ৪মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মাকসুদ রহমান/অমিয়/

গণহত্যার বিচার ও আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি ইনকিলাবমঞ্চের সমাবেশ শুক্রবার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
ইনকিলাবমঞ্চের সমাবেশ শুক্রবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যের নিয়ে রাজধানীর শাহবাগে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শহিদি সমাবেশ করবে ইনকিলাব মঞ্চ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সংস্কারের নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মিটিং করে যাচ্ছে, কিন্তু গণহত্যার বিচারের চেয়ে জরুরি বাংলাদেশে আর কী রয়েছে? কথা বলতে বলতে জুলাই আসতে আর দুই মাস বাকি। শত সমালোচনার পরও এই সরকারের ডান হাত ধরে রেখেছি, যাতে তারা এই গণহত্যার বিচার করতে পারে।’

কর্মসূচি ঘোষণা করে হাদি আরও বলেন, ‘শুক্রবার বেলা ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আমরা শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সমাবেশ করব। এটি আমাদের কোনো কর্মসূচি নয়, এটি শহিদ পরিবারের কর্মসূচি। বিচারের দাবিতে তারা যদি সংসদ ভবন, যমুনা অভিমুখে বা শাহবাগেই অবস্থান করতে চান, আমরা তা-ই করব।’

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

পিএসসি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি চাকরিপ্রত্যাশীদের

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
পিএসসি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি চাকরিপ্রত্যাশীদের
ছবি: খবরের কাগজ

পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সংস্কারের ৮ দফা দাবিতে ‘লং ওয়াক টু রিফর্ম পিএসসি’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করেছে একদল সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী। দাবি বাস্তবায়নের দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অনুষ্ঠিত ওই কর্মসূচিতে ওই হুঁশিয়ারি দেন। এতে অংশ নেওয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘পিএসসিকে সংস্কার করার এটি উপযুক্ত সময়। তাই অবিলম্বে পিএসসি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমরা আঠারোতে ও চব্বিশে আন্দোলন করেছি। তারপরও পিএসসির সংস্কার হয় নাই। অনেক রাজনৈতি দল অনেক সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু বেকারদের নিয়ে কেউ কথা বলতে চায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো মানতে হবে নয়তো রাজপথ থেকে ফিরব না। সেই সঙ্গে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।’

কর্মসূচি থেকে ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- প্রশ্নফাঁস রোধে কার্যকর ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক ভোগান্তি দূর করা, ৪৫তম বিসিএস থেকেই মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০-তে করা, পরীক্ষার্থীদের জন্য ক্যাডার রি-চয়েসের সুযোগ রাখা, নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ভাইভায় উত্তীর্ণ সকলের চাকরি নিশ্চিত করা, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের গতি বাড়ানো, মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে কমিশনের সদস্যদের উপস্থিতিতে খাতা দেখার ব্যবস্থা এবং দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে কমিশনের সদস্য সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জনে উন্নীত করা।

/আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ