নেত্রকোনায় বাজার এবং আড়তে নিত্যপণ্যের দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং হচ্ছে না বলে দাবি নিম্নআয়ের মানুষের। তারা চায় সুষ্ঠু বাজার মনিটরিং।
নেত্রকোনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম চলছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে। জেলা প্রশাসন সপ্তাহে দু-একবার অভিযান পরিচালনা করলেও তা অনেকটাই গতিহীন। এ অবস্থায় জেলার সাধারণ মানুষ চায় কঠোর বাজার নজরদারি।
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিজেদের জনবলের ঘাটতিসহ সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। লোকবল সংকটের কারণে জেলা সদরের বাইরে অভিযান চালানো হয় ধীরগতিতে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা। এজন্য একদিকে যেমন ব্যবসায়ী নেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি প্রয়োজন সচেতন মহলের সহযোগিতা।
সম্প্রতি সরকার কয়েকটি নিত্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও সঠিক মনিটরিং না থাকায় অতিরিক্ত দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন নিত্যপণ্য।
নিম্নআয়ের ভোক্তাদের দাবি, দায়সারাভাবে অভিযান চলায় নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপণ্যের বাজারদর। ফলে দিশাহারা এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের ক্রেতারা।
এদিকে, দায়সারাভাবে ভোক্তা অধিকারের কার্যক্রম চলায় ভোক্তার অধিকার রক্ষায় জেলা প্রশাসনকে আরও কার্যকরী ভূমিকার রাখার আহ্বান জেলা নাগরিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের।
জেলা শহরের বড়বাজার রোডে অবস্থিত আখড়ার মোড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, তরকারি, মসলার একই বাজারে ভিন্ন দাম। সব দোকানে সরকার নির্ধারিত মূল্যতালিকা নেই। ফলে বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দামে পণ্য বিক্রি করছেন।
এ বাজারের ক্রেতা ভ্যানচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আছি বিপদে। সরকারি মূল্যতালিকা সব দোকানে নেই। একই জাতের দেশি আলু এ বাজারে ৫০ টাকা, এমনকি দোকানভেদে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে।’
জেলা ভোক্তা অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সরকার খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাজার মনিটরিং জোরদার ও কার্যকরী করতে হলে বাজার মনিটরিং সেল গঠনের বিকল্প নেই। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে আরও সচেতন হতে হবে।’
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ রহমান খবরের কাগজকে জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের মাধ্যমে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়া বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে থাকেন। তবে এ মনিটরিং আরও শক্তিশালী করতে ব্যবসায়ী নেতা ও সচেতন মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন।