চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে জেলা আবহাওয়া অফিস। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। বিশেষ করে সকালে কাজের সন্ধানে বের হয়ে শ্রমিকরা কষ্ট পাচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা ও আলুখেত রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কর্মে বের হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণে রাস্তা ও পাড়া-মহল্লায় আগুন পোহাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুভাস চন্দ্র সাহা বলেন, বোরো ধানের বীজতলা ও আলুখেত রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া, সম্ভব হলে চারা রাতের বেলা ঢেকে দেওয়া, বীজতলায় সেচ দিয়ে পরদিন সকালে পানি বের করে দেওয়া এবং বীজতলা লাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আলুখেতে আগামধসা ও নাবিধসা ছত্রাক যাতে না লাগে, সে জন্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
হারুন নামে এক রিকশাচালক বলেন, খুব সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। তেমন যাত্রী পাচ্ছি না। ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীতে বাইরে কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। শীতে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে।
তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা হাসপাতালে ভিড় করছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, তীব্র শীতে রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগই শিশু রোগী। গত ১০ দিনে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আফজালুল/ইন্দ্রজিৎ/সালমান/