মৌলভীবাজারের জুড়ীতে কিশোরী কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সামছুজ্জামান রানু মহালদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ধর্ষণে সহযোগিতায় কিশোরীর মাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে সোমবার বিকেলে জুড়ী থানায় মামলা করে ওই কিশোরী। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলো- জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামসুজ্জামান (৬০), কিশোরীর মা (৪০) ও উপজেলার এক বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৪০)।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর মা প্রায় তিন মাস আগে শামসুজ্জামানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে যান। বাসায় শামসুজ্জামান একা থাকেন। তার দুই স্ত্রীর একজন যুক্তরাষ্ট্রে এবং আরেকজন সিলেটে থাকেন। এদিকে বাসার মালিকের পরামর্শে কিশোরীর মা কাজে সহযোগিতার জন্য মাসখানেক আগে মেয়েকে সেখানে নিয়ে যান। এ সময় মালিক মেয়েকে ধর্ষণ করেন। কিশোরী তার মাকে ঘটনাটি জানালেও মা চুপ থাকেন। এরপর ওই বাসা থেকে কিশোরী পালিয়ে অন্যত্র কাজে চলে যায়। শামসুজ্জামান পরে শফিকুলের সহযোগিতায় আবারও কিশোরীকে খুঁজে বের করে আনেন। বাসায় যাওয়ার পর তার ওপর আর নির্যাতন চালানো হবে না বলে মালিক কথা দেন। কিন্তু গত ১ মার্চ আবারও তিনি কিশোরীকে কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর কিশোরী বাসা থেকে আবারও পালিয়ে যায়।
জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক মিয়া বলেন, আইনে যা হওয়ার তা হবে। কেউ অপকর্ম করলে এর দায়ভার দল বহন করবে না।
মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলক পুরকায়স্থ/জোবাইদা/অমিয়/