ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

এইচএসসি পাসের সনদ তিন বছরেও মেলেনি ২০ শিক্ষার্থীর

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
এইচএসসি পাসের সনদ তিন বছরেও মেলেনি ২০ শিক্ষার্থীর

উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান সিলেটের বিশ্বনাথের তাহিয়া। কিন্তু শিক্ষা ভিসায় দেশের বাইরে কোনো দেশে আবেদনই করতে পারছেন না তিনি। কারণ ২০২০ সালে তিনি এইচএসসি পাস করলেও এখনো সেই সনদ হাতে পাননি। 

তাহিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘২০২০ সালে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আশুগঞ্জ আদর্শ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আমি এইচএসসি পাস করেছি। এরপর আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মার্কশিট দেওয়া হলে আমি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজে স্নাতকে ভর্তি হই। আমি চেয়েছিলাম যেহেতু এখন সুযোগ আছে তাই উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করব। কিন্তু আমার এইএসসি পাশের সনদ না থাকায় আবেদন করতে পারছি না।’

তাহিয়ার মতো আশুগঞ্জ আদর্শ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা ২০ জন শিক্ষার্থী একই ধরনের বিড়ম্বনায় পড়েছেন। জানা যায়, স্কুল থেকে কলেজে রূপ নেওয়ার পর ২০২০ সালে প্রথম আশুগঞ্জ আদর্শ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসির প্রথম ব্যাচে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করানো হয়। ওই ব্যাচে ছিলেন ২০ জন শিক্ষার্থী। তখন করোনাকাল থাকায় পরীক্ষা গ্রহণ না করে সবাইকে পাস করে দেওয়া হয়। এরপর বোর্ডের দেওয়া মার্কশিট শিক্ষার্থীদের দেয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শিক্ষার্থীদের বোর্ডের সার্টিফিকেট দিতে পারেনি আশুগঞ্জ আদর্শ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।

সনদ না পাওয়া এক শিক্ষার্থীর বড় ভাই রফিকুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘বহুবার আমরা প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা সার্টিফিকেট আসেনি, এলে দেব এরকম কথা বলে সময়ক্ষেপণ করছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য আমার বোনকে বিদেশে পাঠানোর চিন্তা ছিল। কিন্তু সার্টিফিকেট না পাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি।’

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ আদর্শ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেন্টু আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের কলেজ শাখার কেন্দ্র ছিল বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে। তাই ওই কলেজ থেকেই আমাদের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা ২০২০ সালের আমাদের প্রথম ব্যাচের ২০ শিক্ষার্থীর কাউকেই সার্টিফিকেট দেয়নি। তাই আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বিশ্বনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। কিন্তু তারা আমাদের পরিষ্কার করে কিছু বলছে না।’ 

বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক মো. রোকনুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, ‘ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বলতেছেন তাদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমাদের অফিস কতৃর্পক্ষ বলছে তারা দিয়েছে। এখন তারা যদি নিয়ে থাকেন তাহলেতো অবশ্যই রিসিভকপি থাকবে আমাদের কাছে। এরপর আমি অফিস সহকারীর সঙ্গে নিজেও খুঁজেছি। কিন্তু তারা যে সার্টিফিকেট রিসিভ করেছে ওই খাতাটিও পাইনি। এদিকে গত বন্যায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠে কোমর সমান। স্টিলের আলমেরিগুলোর তিন তাক পর্যন্ত পানি উঠেছিল। ওইসময় অনেক কাগজপত্র নষ্ট হয়েছে। তখন হয়তো এই সার্টিফিকেটগুলো নষ্ট হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য এই সার্টিফিকেটগুলো গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখন এটা আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব বোর্ডে আবার আবেদন করে সার্টিফিকেটগুলো তোলা। এজন্য কিছু নিয়ম আছে। এখন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কিনা আমি জানি না।’ 

বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মানিক মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘তাদের বলেছি আমি বিগত দুই বছর দায়িত্বে ছিলাম। আমার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ তারা করেনি। তারা আমার অফিসে যোগাযোগ করেছে কিন্তু আমাকে জানায়নি।’

মোংলায় পাচার হওয়া ২১৭ ব্যারেল জ্বালানি তেল জব্দ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
মোংলায় পাচার হওয়া ২১৭ ব্যারেল জ্বালানি তেল জব্দ
ছবি : খবরের কাগজ

মোংলা বন্দরে অবস্থান একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (১ জুন) গভীর রাতে পৌর শহরের ১নং লেবার জেটি এলাকা থেকে কোস্ট গার্ড এই তেল জব্দ করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। 

কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. মুনতাসির ইবনে মাহাসীন জানান, মোংলা বন্দরে অবস্থানরত পানামা পতাকাবাহী 'ইয়াস স্কাই' জাহাজ থেকে ২১৭ ব্যারেল জ্বালানি তেল পাচার হয়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড মোংলা শহরের অভিযান চালায়। পরে ১নং লেবার জেটি থেকে এই তেল জব্দ করেন তারা। তবে এ সময় এর সঙ্গে জড়িত কাউকে না পাওয়ায় আটক করা যায়নি। পরে জব্দকৃত এই তেল মোংলা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে মোংলা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষের জয়েন্ট কমিশনার (জেসি) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, মো. বেল্লাল হোসেন নামধারী কাস্টমস ভেন্ডার লাইসন্স মেসার্স এবি সিদ্দিকের অনুকূলে এই তেল নামানো হয়েছে। এ বিষয়ে ওই ব্যক্তিকে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ২২৪ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, মোংলা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ থেকে পাচার বা চুরি রোধসহ নিরাপত্তার বিষয়ে নদীতে কোস্ট গার্ডের টহলে থাকার কথা। কিন্তু তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই ঘটনা ঘটলো, তাদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কী না সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে, কারা জড়িত। এরপরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এদিকে গোয়ান্দা সংস্থার একাধিক লোক বলেছেন, বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ থেকে বাজার পার্টির জনৈক কালাম ও ইউসুফ এই দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তেল পাচার করে আসছে। শনিবার জব্দ হওয়া তেলও তারা পাচার করে এনেছেন। তবে তারা সব সময়ই রহস্যজনক কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। 

রিফাত/এমএ/

ফটিকছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
ফটিকছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

চট্টগ্রামে ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে রেদাশা মারমা (২৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। সে ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী বলে জানা গেছে।

শনিবার (১ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ছাইল্লাচ্ছর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত রেদাশার মা সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন। 

নিহত রেদাশা মারমা উপজেলার কাঞ্চননগরের ছাইল্লাচ্ছর এলাকার নেদাক্কা মারমার ছেলে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ছাইল্লাচ্ছরে রেদাশে মারমা নামে এক ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের ইউনিটের সমন্বয়ক রবিন চাকমার নেতৃত্বাধীন একটি সশস্ত্র দল। এ সময় নিহত রেদাশে মারমার মা গুরুতর আহত হন।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ততক্ষণে ওই ব্যক্তির লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। এলাকাবাসী পুলিশকে না জানিয়ে তাদের নিয়ম অনুযায়ী পুড়িয়ে ফেলে। সংগঠন থেকে বের হওয়ায় রেদাশা মারমা নামে ইউপিডিএফ-এর ওই কর্মীকে মেরে ফেলা হয় বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি বলে জানান তিনি। 

কোম্পানীগঞ্জে ‘বারকি ডুবাও’ কাণ্ড, ক্ষতিপূরণ ও বিচার দাবিতে আলটিমেটাম

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
কোম্পানীগঞ্জে ‘বারকি ডুবাও’ কাণ্ড, ক্ষতিপূরণ ও বিচার দাবিতে আলটিমেটাম
রবিবার বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ‘বারকি বাঁচাও’ আন্দোলনের সমাবেশ হয়। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দের নির্দেশে বারকি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনার বিচার দাবি করেছেন বারকি শ্রমিকরা।

ক্ষতিগ্রস্ত বারকি নৌকার ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবিতে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়ে শ্রমিকরা বলেছেন, বন্যাকবলিত হওয়ার সময় কথিত পাথর চুরির অপবাদে বারকি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া চরম অমানবিকতা। এ রকম অমানবিক ঘটনার জন্য দায়ী কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওকে দুঃখ প্রকাশ করে বারকি শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে এ দাবি মানা না হলে বারকি চলাচল অধ্যুষিত এলাকা কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

রবিবার (২ জুন) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদের সেতুর পূর্বপাড়ে ‘বারকি বাঁচাও’ আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। 

আন্দোলনের সভাপতি ও প্রবীণ বারকি শ্রমিক ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নবগঠিত সংগঠনের উপদেষ্টা আবুল হোসেন, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি কবির হোসেন, সহসভাপতি আসাদ মিয়া, বারকি বাঁচাও আন্দোলনের সদস্যসচিব মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, গোয়াইনঘাট উপজেলা খেলাফত মজলিশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাসান আহমদ, পাথর ব্যবসায়ী মইনুদ্দিন মিলন, কোম্পানীগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের এমরান আলী, বিশিষ্ট মুরব্বি ইমাম হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের রমজান আলী, বারকি শ্রমিক সুরুজ আলী, ব্যবসায়ী ইয়াসিন আলী, আবদুল হাসিম, মালিক মিয়া, হেলাল আহমদ, রাজীব আহমদ, আমির আলী, বাবুল মিয়া, উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, যুবদল নেতা শরীফ আহমদ প্রমুখ।

সংগঠন থেকে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ধলাই নদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দের নির্দেশে বারকি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বন্যাকবলিত হওয়ার মধ্যে এ রকম কাণ্ডকে অমানবিক বলে মন্তব্য করছেন অনেকে। এ ঘটনাটি নিয়ে শনিবার (১ জুন) খবরের কাগজের অনলাইন ও ছাপা সংস্করণে ‘ইউএনওর বারকি ডুবাও কাণ্ডে তোলপাড়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। 

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বারকি শ্রমিকরা জরুরি সভা করে বারকি বাঁচাও আন্দোলন নামে একটি আঞ্চলিক আন্দোলনের নতুন সংগঠন করেন। সংগঠনটির প্রথম সমাবেশ ছিল এটি।

এর আগে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ধলাই নদের বারকি শ্রমিকসহ পেশাজীবী বিভিন্ন ব্যক্তিকে নিয়ে ১০১ সদস্যের বারকি বাঁচাও আন্দোলনের কমিটি গঠন করা হয়। আন্দোলনের ব্যানারে প্রথম কর্মসূচি হিসেবে ধলাই নদের এপার-ওপারে মানববন্ধনের আদলে বারকি-বন্ধন করার ঘোষণা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শুধু সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, এ ঘটনার আগে ইউএনওকে বহনকারী ইঞ্জিন নৌকা আরও দুটো বারকি নৌকা ডুবিয়েছে। এর আগে আরও একাধিক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বন্যাকবলিত হওয়ার সময়ে ধলাই নদে পাহাড়ি ঢল নামার দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার মধ্যে বারকি নৌকা ডুবানোয় শ্রমিকদের মৃত্যুর শঙ্কা ছিল। আমরা এ ঘটনাটি হত্যাচেষ্টা হিসেবে দেখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাই। পাশাপাশি আগামী ৫ জুনের মধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি। না হলে আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

 

‘নিখোঁজ হলে সন্ধান চাই, খুন হলে মরদেহ চাই’

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
‘নিখোঁজ হলে সন্ধান চাই, খুন হলে মরদেহ চাই’
ছবি : খবরের কাগজ

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিদিনই তার নির্বাচনি এলাকা কালীগঞ্জে চলছে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি। 

রবিবার (২ জুন) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সড়কে মানববন্ধন করেছে দলটি। পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠাণ্ডু। মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগের সব অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে নেতারা বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি এমপি আনার খুন হলে তার মরদেহ চাই, আর নিখোঁজ হলে সন্ধান চাই।’ 

কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান ওদু, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন, ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল ইসলাম মন্টু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শমসেরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও পৌর কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

রাঙ্গাবালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩ জনের প্রার্থীতা বাতিল

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
রাঙ্গাবালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩ জনের প্রার্থীতা বাতিল
ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রবিবার (২ জুন) নির্বাচন কমিশনের শুনানি শেষে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। 

তিনি বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন প্রার্থীর শুনানি শেষে প্রার্থিতা বাতিল করেছে কমিশন।

তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেগম ফেরদৌসী।

এর আগে, গত ৩১ মে নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের হয়েছে অভিযোগ এনে ইসিতে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। 

ইসি জানায়, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট নামক স্থানে ও চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এমপি এই তিন জনকে প্যানেল করে অবৈধ ভাবে প্রকাশ্যে ভোট চেয়েছেন। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২২ অনুসারে নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন। সেজন্য তাদের আজ ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছিল। আজ তারা হাজির হলে শুনানি শেষে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করে কমিশন।

এছাড়াও শুক্রবার (৩১ মে) রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডা গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ এবং ত্রাণ বিতরণে যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমান। ওইসময়ে প্রতিমন্ত্রীকে বহনকারী স্পিডবোটে প্রটোকলে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তার পাশে বসেই ইউএনওর কাঁধে মাথা রেখে রেস্ট নিতে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনকে।

এর আগেও গত ১০ মে (শুক্রবার) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদের বিতর্কিত চেয়ারম্যান মু. সাইদুজ্জামান মামুনের পদত্যাগ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নানান নাটকীয়তার আশ্রয় নিয়েছিলো। যা নিয়ে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে ইউএনও মামুনের সন্দেজনক অবৈধ সখ্যতার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে ইউএনও বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

হাসিবুর রহমান/এমএ/