বাংলাদেশের ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনটি ক্যাটাগরিতে দেশসেরা হয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। সম্প্রতি স্পেনভিত্তিক ‘সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাঙ্কিং’ তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কিত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
এর আগে, ‘সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাঙ্কিং-২০২৩’ এ জলজ বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল সিকৃবি। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি জলজ বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়লেও অন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
প্রকাশিত বিষয়ভিত্তিক র্যাঙ্কিংয়ে দেশের ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদ্ভাবনী বা ইনোভেশন সেক্টরে প্রথম, ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বায়োকেমিস্ট্রি, জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিষয়ে এবং ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইনফেকশাস ডিজিজ বিষয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে গবেষণায় সামগ্রিক র্যাঙ্কিংয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। এ ছাড়া কৃষি ও জীববিজ্ঞানবিষয়ক অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম স্থান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় স্থান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে। কৃষিবিষয়ক র্যাঙ্কিংয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তম স্থানে রয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন ধারণা উদ্ভাবনসহ অন্য গবেষণা সেক্টরে ভালো করছে। এটা আমাদের জন্য আনন্দের ও গৌরবের। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার হার বাড়ছে। আগে সরকারি অর্থায়নে এক বছর মেয়াদের প্রকল্প ছিল। পরে গবেষণায় ভালো ফল পাওয়ার জন্য আমরা তিন বছর মেয়াদি প্রকল্প করেছি।’
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, উৎপাদন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ চাহিদা মেটাতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে সিকৃবি উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আরও জোরদার করতে নতুন ল্যাব স্থাপনসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। আমরা ল্যাবগুলোকে নতুন একটা প্রকল্পের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি, এতে গবেষণার হার আরও বাড়ানো যাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণায় মনোনিবেশ করায় আজকের এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। গবেষণাগুলোকে মাঠপর্যায়ে পৌঁছে দেশের উন্নয়নে কাজ করাই এখন মূল উদ্দেশ্য।’
সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাঙ্কিং (এসআইআর) ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে। এসআইআর একটি স্পেনভিত্তিক গবেষণা সংগঠন।