খুলনার ঈদের কেনাকাটায় এবার তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানি আঘানূর থ্রি-পিস, সাদাবাহার, মারিয়াবি ও ভারতের দিল্লি বুটিকস্, আলিয়া কাট, নায়রা কুর্তি।
খুলনা নিউ মার্কেট শপিং কমপ্লেক্স, রেলওয়ে মার্কেট, ডাকবাংলা, জলিল টাওয়ার মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানেই নতুন নতুন ডিজাইন ও বাহারি নামের থ্রি-পিস সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।
নিউ মার্কেটের খুলনা এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ জানান, এবার পাকিস্তানি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। পাকিস্তানি আঘানূর সুপার হিট করেছে। পাশাপাশি ভারতীয় বিভিন্ন থ্রি-পিসও বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি থ্রি-পিস সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা, ভারতীয় ব্র্যান্ড ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা ও ভারতীয় বুটিকসের পোশাক ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুলনা শপিং কমপ্লেক্সের বিসমিল্লাহ ফেব্রিক্সের বিক্রেতা আলম হোসেন জানান, পাকিস্তানি ও ভারতের থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানি আঘানূর, সাদাবাহার। পছন্দের তালিকায় আছে দেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের থ্রি-পিস।
কলেজছাত্রী সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘কয়েকটি দোকান ঘুরেছি। পছন্দ হচ্ছে, আবার হচ্ছে না। তবে পাকিস্তানি কামিজের প্রতি আগ্রহটা বেশি। দিল্লি বুটিকস ও দেশীয় ব্র্যান্ডের থ্রি-পিস দেখেছি। গত বছরের তুলনায় থ্রি-পিসের দাম বেশি।’
খুলনা নিউ মার্কেটে আসা নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিন বাদল জানান, রোজার শুরুর দিকে পোশাকের দোকানে তেমন ভিড় না থাকলেও এখন পা ফেলারও উপায় নেই। সকাল থেকে বিকেল অব্দি আবার সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলতে থাকে। এবার দাম একটু বেশি হলেও ভালো মানের পোশাক এনেছেন বিক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নূরস, আঘানূর, মারিয়াবি, সাদাবাহার, ছানাছাফিনা ও জামাল কুদু নামের থ্রি-পিস। এ ছাড়া আলিয়া কাট, পার্সি, তাওয়াক্কাল, বিন হামির, অর্গানজা, নায়রা, ঘারারা ও সারারা নামের থ্রি-পিস ভালো বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, করোনার প্রভাবসহ বিভিন্ন কারণে গত কয়েক বছর পোশাকের বাজারে ভালো ব্যবসা হয়নি। ফলে এবার ঈদে বড় বাজেট নিয়ে ভালোমানের পোশাক সংগ্রহ করেছেন বিক্রেতারা। এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের আগ্রহ ও বেচাবিক্রি সন্তোষজনক।