বিশ্ববাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পোশাকশিল্পের সক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারের নীতি সহায়তা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)। সচিবালয়ে গত মঙ্গলবার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিজিএমইএর প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক মো. ইমরানুর রহমান, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. আশিকুর রহমান (তুহিন), শামস মাহমুদ, মো. নুরুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর ও মো. রেজাউল আলম (মিরু)।
বৈঠকে বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান বলেন, তীব্র ভূরাজনৈতিক সংকট এবং এর প্রভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যে সৃষ্ট অস্থিরতার প্রভাবে পোশাকশিল্প এক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে ভোক্তাদের পোশাকের চাহিদা ও পোশাকের ওপর ব্যয় কমেছে। এর বিপরীতে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়পর্যায়ে সৃষ্ট বিভিন্ন কারণে শিল্পের ব্যয় বহু গুণ বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে শিল্পকে টেকসই করতে ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে নীতি সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে ব্যবসায় সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোকে আরও দ্রুততর এবং সহজতর করা- বিশেষ করে আমদানিকৃত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি দ্রুত খালাসসহ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো সহজ করাও অত্যাবশ্যক।
এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ যত সহায়ক হবে, রপ্তানি খাতে তত বেশি সাফল্য আসবে এবং দেশের অর্থনীতি এটার একটা বড় সুফল লাভ করবে। এর পাশাপাশি তিনি রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য সহায়ক রাজস্ব নীতিমালা, শিল্পে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর জোর দেন।
বৈঠকে এলডিসি পরবর্তী সময়ে পোশাকখাতের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়। এ বিষয়ে এস এম মান্নান (কচি) বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে ২০২৬ সালের পর থেকে বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা আর থাকবে না। তাই অন্তত ২০২৬ পর্যন্ত আমরা যদি বিভিন্ন নীতি সহায়তার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ বাড়াতে পারি, সেটি হবে আমাদের জন্য সময়োপযোগী কৌশল।’
বিজিএমইএ সভাপতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ফুড রেশনিং চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। তিনি সার্বিকভাবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ধারা সুরক্ষিত রাখতে তৈরি পোশাক খাতের সুরক্ষা এবং রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রগুলোতে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ইসমাঈল/