ঢাকা ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
English

ইব্রাহিম রাইসি শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখেছেন: জি এম কাদের

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
ইব্রাহিম রাইসি শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখেছেন: জি এম কাদের

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের। 

সোমবার (২০ মে) এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনির প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। 

শোকবার্তায় জি এম কাদের বলেন, ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু সংবাদে আমরা স্তম্ভিত ও শোকাভিভূত। এমন হৃদয়বিদারক সংবাদ মেনে নেওয়া সহজ নয়।

তিনি বলেন, ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জীবনের শেষমুহুর্ত পর্যন্ত দেশ ও জনগনের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অসাম্যান্য অবদান রেখেছেন। তার কর্মের মাঝেই অমর হয়ে থাকবেন ইব্রাহিম রাইসি। শুধু ইরান নয়, মধ্যপ্রাচ্যের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় ইব্রাহিম রাইসি অক্ষয় হয়ে থাকবেন। ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে যে শুন্যতা সৃষ্টি হলো তা সহসাই পূরণ হবার নয়।

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

সংস্কার করে তারপরেই নির্বাচন দিতে হবে: আখতার হোসেন

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
সংস্কার করে তারপরেই নির্বাচন দিতে হবে: আখতার হোসেন
ছবি: খবরের কাগজ

সংস্কার করে তারপরেই নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব শেখ আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে হাসিনা পালিয়েছে কিন্তু তার সিস্টেম রয়ে গেছে। চাঁদার জন্য ঢাকায় একজনকে পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রামপালে এখন ঘের দখল চলে। কোথাকার কোন পালিয়ে থাকা নেতারা ঘেরের দখল নিতে চায়। 

শনিবার (১২ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১২তম দিনে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

আখতার আরও বলেন, বাংলাদেশে যদি কেউ ঘের দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, কমিশন এর রাজনীতি করতে চায় বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে হাসিনাকে বিদায় করেছে সেভাবে তাদেরও বিদায় করবে। রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ এর নামে মানুষদের জলবায়ু সংকটে ফেলা হয়েছে। মোংলা বন্দর নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। সামনের বাংলাদেশ এ যেনো কোনো গুম খুন না হয় সে জন্য সবক্ষেত্রে সংস্কার দরকার। একটি দল মনে করে শুধু নির্বাচন হলেই সব সংস্কার হয়ে যাবে। হাসিনাও তাই মনে করত। প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংস্কার করা না হয়, পুলিশকে যদি নিরপেক্ষ না করা যায় শুধুমাত্র নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র সম্ভব নয়। সংস্কার করে তারপরেই নির্বাচন দিতে হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, 'এসি রুমে বসে তারা বলে বাংলাদেশের মানুষ সংষ্কার বোঝে না, আমরা তাদের হুঁশিয়ারি দিতে চাই। আমরা রাজপথে নেমেছি। লড়াই শুরু হয়ে গেছে। আমাদের নতুন খেলা খেলতে হবে। পুরাতন বন্দোবস্তের সাথে আমরা নেই। যারা পুরাতন বন্দোবস্ত, চাঁদাবাজি, লুটপাটে ফিরতে চায় তাদের আপনারা লাল কার্ড দেখাবেন।' 

ফয়লা বাজারে আয়োজিত পথসভায় সারজিস আলম বলেন, 'চাঁদাবাজদের উৎপাত এখনো কমে নাই, খুনখারাপি শুরু হয়েছে। পাথর দিয়ে থেতলে মারার মত আইয়াম এ জাহেলিয়াত শুরু হয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়েছে। আমরা স্পষ্ট করে আপনাদেরকে বলি, আমাদের লড়াই অব্যাহত আছে। এবং এ লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।'

রামপালের এ কর্মসূচি শেষে বাগেরহাটের হযরত খানজাহান (রাহ.) এর মাজার জিয়ারত করবেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন তারা। পরে বাগেরহাটে দলীয় কার্যালয়ে উদ্বোধন শেষে শহরের রেলরোড এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেবেন তারা।

রিফাত/মেহেদী/

নির্বাসিত থেকেও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন শক্ত হাতে চালিয়ে গেছেন তারেক রহমান: এম এ সালাম

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
নির্বাসিত থেকেও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন শক্ত হাতে চালিয়ে গেছেন তারেক রহমান: এম এ সালাম
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম বলেছেন, 'গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের পতাকাবাহী তারেক রহমান তার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব দিয়ে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত থেকেও বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন শক্ত হাতে চালিয়ে গেছেন।'

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দীর্ঘ আন্দোলন এবং দেশের মানুষের প্রতি তার (তারেক রহমান) ভালোবাসার অবিচল আস্থা তাকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। তাই তারই নেতৃত্বে মূলত গড়ে ওঠে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে উঠে এবং হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে এক ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম তৈরি করে'। 

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সিলেটের রোজভিউ হোটেলে তার উদ্যোগে সিলেটে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান: আগামীর বাংলাদেশ ও তারেক রহমান' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার সালাম বলেন, তারেক রহমানের অগ্নিঝরা বক্তব্যে উঠে আসে বেশ কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্লোগান। যেমন, 'টেইক ব্যাক বাংলাদেশ, যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ,বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফায়ছালা হবে রাজপথে'। অবশেষে সেটাই হয়েছে। পরিশেষে, 'দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ'-এই স্লোগানেই শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের দাবানল শহর থেকে গ্রামে-গঞ্জে, স্কুল থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের পটভূমি চূড়ান্ত রূপ নেয়। অতঃপর ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দলমতকে ঐক্যবদ্ধ করে যুগপৎ আন্দোলনের ডাক দেন তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, 'মূলত এভাবেই তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনের ভীত রচিত হয় এবং ২০২৪ -এর জুলাইয়ে অতীতের সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বেই তারেক রহমানকে মহানায়কে পরিণত করেছে।' 

ব্যারিস্টার সালাম বলেন,' তারেক রহমান এই দীর্ঘ লড়াইয়ের পরই জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ ও খুনি হাসিনার কবল থেকে দেশ ও দেশের আপামর জনগণকে মুক্ত করেছেন। এই আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। তাই আজকে এটি সময়ের দাবি গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার যারা হয়েছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের সম্মানজনক পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।' 

কবি ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিত অপির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ব্যারিস্টার এম এ সালামের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন দেশ টিভির সিলেট প্রতিনিধি খালেদ আহমদ। 

মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী ও বিএনপি নেতা এম ইলিয়াছ আলীর সহধর্মিনী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সচিব প্রফেসর মামুন আকবর চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ সিলেটের আহ্বায়ক ডাক্তার শামীমুর রহমান, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মোজাম্মেল হক, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস উন নূর, সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য ফয়সল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে পুলিশের গুলিতে নিহত মেধাবী সাংবাদিক এটিএম তুরাব ও সিলেট -৩ আসনের অন্তর্গত সব জুলাই যোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

মেহেদী/

তবে কি ধরে নেব, মবের পেছনে সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম
তবে কি ধরে নেব, মবের পেছনে সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

বিভিন্নভাবে মব সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর পেছনে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে কি না— এই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কি তবে ধরে নেব, যারা বিভিন্নভাবে মব সৃষ্টি করে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে, প্রশাসনের কোনো প্রশ্রয় আছে।’

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর হোটেল লেকশোরে গণঅভ্যুত্থানের শহিদ ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি ৮-৯ মাস আগেই বলেছি, অদৃশ্য শত্রু আছে। ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে সেই অদৃশ্য শত্রু। আজকে আমাদের দেখতে হবে, কারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে দাঁড়ায়। আমাদের সত্যিকারভাবে খুঁজে বের করতে হবে কারা বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আজ, গতকাল, গত পরশু বা ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং কারা নেয়নি এ বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।’

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘সরকারকে আমরা বারবার বলেছি, অন্যায়কারী যে-ই হোক, আমরা প্রশ্রয় দেব না। তাদের (সরকার) দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জানমালের হেফাজত করা। সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন, তারা কেন প্রশ্রয় দিচ্ছে?’

মিটফোর্ডের ঘটনা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, যাকে আমরা স্ক্রিনে দেখেছি, যে হত্যা করছে, তাকে কেন সরকার এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেনি। আমরা কি তবে ধরে নেব, যারা বিভিন্নভাবে মব সৃষ্টি করে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে, প্রশাসনের কোনো প্রশ্রয় আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে অন্যায় করবে, সে অন্যায়কারী, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে দেশের প্রচলিত আইনে। অন্যায়কারী কোনো দলের লোক হতে পারে না। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কিছু হচ্ছে। আমরা খেয়াল করছি, কারা একটি সুস্থ পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’

 

মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর শুদ্ধি অভিযানের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর শুদ্ধি অভিযানের সিদ্ধান্ত বিএনপির
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

মিটফোর্ডের ঘটনার ভিডিও ব্যাপক প্রচারের পর শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করে যেসব স্লোগানে দেওয়া হয়েছে তাকে পরিকল্পিত মনে করছেন বিএনপির নেতারা।

কেউ কেউ ফেসবুকেও তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করে পোস্ট দিয়েছেন, যা নিয়ে দলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার আভাস পাওয়া গেছে দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে।

এনসিপি নেতা সারজিস আলম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আপনার দলের নেতাকর্মী নামক কতিপয় নরপিশাচকে সামলান, জনাব তারেক রহমান। যে নিয়মে আওয়ামী লীগের করা হত্যার দায় খুনী হাসিনার উপর বর্তায়, সেই একই নিয়মে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের করা খুনের দায় আপনার উপরেও বর্তায়.....।’

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ‘দায় চাপানোর নোংরা পুরানো রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে কেউ কেউ ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন’ বলে তারা মনে করেন।

‘কিন্তু এটাও সত্যি, কিছু ঘটলে সাথে সাথে বিএনপিকে জড়িয়ে প্রচার শুরু হয়। অনেক ঘটনা পরে ভুলও প্রমাণিত হয়,’ বলছিলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘খুলনায় যুবদল কর্মীকে হত্যা কিংবা মসজিদে ইমামকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনাগুলো নিয়ে কিন্তু সেভাবে কাউকে কথা বলতে দেখা যায় না।’

প্রসঙ্গত, খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার। ওইদিনই চাঁদপুর শহরের প্রফেসরপাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুর রহমানকে জুমার নামাজের পর মসজিদের ভেতরেই কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

তারপরেও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি একটি বিশাল দল এবং এখানে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসলেই তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

‘দল হিসেবে আমাদের যা ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আছে সেটা আমরা নিচ্ছি। সরকারকেও সহযোগিতা করছি। নিজেরা পুলিশের হাতে দিয়েছি এমন উদাহরণও আছে। দল হিসেবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। সেটি তো করছি। সরকারের দায়িত্ব আইনি ব্যবস্থা নেওয়া,’ বলছিলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযানের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তাতে জেলা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দেখা হবে কারও রেকর্ড খারাপ কি না। এ ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অগ্রিম ব্যবস্থা দল থেকে নেওয়া যায় কি না সেটিও পর্যালোচনা করা হবে।

ওদিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে’।

তিনি লিখেছেন, ‘এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ এর ধারা ১০ এর অধীনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

সংস্কারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পিআর পদ্ধতিই একমাত্র উপায়: রেজাউল করীম

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
সংস্কারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পিআর পদ্ধতিই একমাত্র উপায়: রেজাউল করীম
ফাইল ছবি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা নিশ্চিত ও টেকসই করার একমাত্র উপায় হল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) নির্বাচন।

জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্যে না পৌঁছানোয় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার চাপে পড়ে সংস্কারে রাজি হলেও পরবর্তীতে রাজনৈতিক সরকার সেই সংস্কার বহাল রাখবে কিনা তা নিয়ে এখনই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।’ 

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং জাতীয় নির্বাচনের পদ্ধতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমাদ আব্দুল কাদের, জনতা পার্টি বাংলাদেশ- এর মহাসচিব গোলাম সারোয়ার মিলনসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে রেজাউল করীম বলেন, ‘২০০৮ সালে ৪৯ শতাংশ ভোট পাওয়া সত্ত্বেও সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছে। বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতি বহাল থাকলে একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা আছে। তাই যদি হয় তাহলে সংস্কারের সব চেষ্টা ভেস্তে যেতে পারে। তখন একক দলের সিদ্ধান্তে আইনসম্মতভাবেই আমাদের সংস্কার চিন্তার মৃত্যু ঘটবে। বর্তমান নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার চিন্তাকে হত্যার সুযোগ তৈরি করে দেবে।’

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা যারা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই তারাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। এই জুলাই মাসের মধ্যে আমরা জুলাই ডিক্লেয়ারেশন চাই।’ 

জয়ন্ত/মেহেদী/