ঢাকা ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রোববার, ০৮ জুন ২০২৫
English

আবুধাবিতে বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
আবুধাবিতে বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা
নিহত মহিন উদ্দিন লিটন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে মহিন উদ্দিন লিটন (৪২) নামে এক বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ ইউনিয়নে। 

গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় সে দেশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আল খাতাম নামক স্থানে কর্মস্থলের পাশে লিটনকে কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

নিহত মহিন উদ্দিন লিটন সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শ্যামেরগাঁও গ্রামের মো. আবদুস ছালামের ছেলে। বাড়িতে তার স্ত্রী, এক মেয়ে, দুই ছেলে ও মা-ভাইয়েরা রয়েছেন।

নিহতের ছেলে আশরাফুল ইসলাম রিমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাড়ে তিন বছর আগে আমার বাবা পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে ভিজিট ভিসায় দুবাই যান। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনি শহরের বাইরে মাজরায় (কৃষি খামার) কাজ করতেন। শুক্রবার বিকেলে কে বা কারা আমার বাবাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে শনিবার তিনি মারা যান। আমি বাবা হত্যার বিচার চাই।’

নিহতের স্ত্রী নাছিমা আক্তার বলেন, ‘শুক্রবারের পর থেকে আমার স্বামীর মোবাইল বন্ধ এবং কোনো খোঁজখবর না পেয়ে সেখানে অবস্থান করা আমার ভাই জাহিদুল ইসলাম টিটুকে খবর নিতে বলি। তিনি গিয়ে জানতে পারেন দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এখন আমি অবুঝ শিশুদের নিয়ে কোথায় যাব, কীভাবে বিচার পাব। আমার স্বামীর লাশ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা চাই।’

বিজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন কাজাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘মহিন উদ্দিন লিটন অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সরকারি সহযোগিতায় তার লাশ দেশে আনার দাবি জানাই।’ 

সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো কেউ আমাদের জানায়নি। তবে আমরা দেশে এবং বিদেশে খোঁজখবর নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’

সুইডেনে ঈদুল আজহা: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর প্রবাসজীবন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
সুইডেনে ঈদুল আজহা: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর প্রবাসজীবন
ছবি: জামান সরকার

সুইডেনজুড়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।

শুক্রবার (৬ জুন) দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আনন্দ ও ত্যাগের এই দিনে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমবেত হন নামাজের কাতারে।

সুইডেন, এক সময়কার ভাইকিং সভ্যতার আধুনিক উত্তরসূরি, আজ ইউরোপের অন্যতম শান্তিপূর্ণ, মানবিক ও উন্নত রাষ্ট্র। আর এই দেশের হৃদয়ে অবস্থিত স্টকহোম - বিশ্বের অন্যতম পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও জলময় নগরী।

চমৎকার নকশায় গড়া এই শহরটি একদিকে যেমন ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ, তেমনি প্রযুক্তি, পরিবেশসচেতনতা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও অনন্য এক মডেল।

সেই স্টকহোমেই আমি এবার প্রথমবারের মতো ঈদ উদযাপন করছি, যা আমার ৩৬ বছরের প্রবাস জীবনে এক নতুন ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

গ্রীষ্মের মেঘলা আকাশ, হালকা ঠান্ডা হাওয়া আর স্নিগ্ধ সকাল - সব মিলিয়ে ঈদের দিনটিকে ঘিরে ছিল এক ভিন্ন অনুভব।

বাংলাদেশি প্রবাসীদের উপস্থিতিতে স্টকহোমের ব্রেদেং, সিস্তা, ফিতিয়া, সেরহোলম্যান ও হালুনদার বিভিন্ন মসজিদ ও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পরিণত হয় ঈদের মিলনমেলায়।

নামাজ শেষে কোলাকুলি, ছোটদের উচ্ছ্বাস, আর রঙিন পোশাকে সজ্জিত মুসল্লিদের ঢল যেন এক মুহূর্তে বাংলাদেশকে টেনে আনে এই দূর উত্তর ইউরোপে।

আমি ঈদের নামাজ আদায় করি স্টকহোমের ব্রেদেং মসজিদে। আমার সঙ্গে ছিলেন সুইডেনে ৪১ বছর ধরে বসবাসরত অভিজ্ঞ প্রবাসী শরীফ আহমেদ লস্কর, যিনি সুইডেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির একজন শ্রদ্ধেয় নাম।

তিনি বলেন, ‘প্রবাসে থেকেও আমরা আমাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রেখেছি। ঈদ আমাদের আত্মিক বন্ধনের উপলক্ষ, যেখানে আমরা আবারও একে অপরের আপনজন হয়ে উঠি।’

ঈদের দিন দেখা হয় মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু ভাইয়ের সঙ্গে। যিনি সুইডেনে ৩৭ বছর ধরে বসবাস করছেন এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সবচেয়ে পরিচিত ও শ্রদ্ধেয় মুখ।

তিনি বলেন, ‘এই ঈদে আমি দোয়া করি - বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন শান্তি, নিরাপত্তা ও ভালোবাসায় ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। সেইসঙ্গে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসুক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সামাজিক সুবিচার।’

সত্যিই, প্রবাসে থেকেও ঈদের এমন আনন্দময় পরিবেশ শুধু হৃদয়েই নয়, গেঁথে থাকে স্মৃতির গভীরে। এই উৎসবের উষ্ণতা, মানুষের ভালোবাসা আর মুহূর্তের আবেগ - সব মিলিয়ে এটি হয়ে ওঠে প্রবাসজীবনের সবচেয়ে মধুর স্মৃতিগুলোর একটি। সবাইকে ঈদ মোবারক।

অমিয়/

অস্ট্রেলিয়ায় জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
অস্ট্রেলিয়ায় জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখা, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি আরিফ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সম্পাদক ওমর শরীফ শিহান এবং ভিক্টোরিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জনাব আব্দুল রব। দোয়া পরিচালনা করেন বিএনপি নেতা হাফেজ মাহমুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং সাহসী রাষ্ট্রনায়ক। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশবিরোধী একটি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি শহিদ হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার ও ‘জেড ফোর্স’-এর প্রধান হিসেবে তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি এ.এফ.এম. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ধর্মভীরু মুসলমান। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ অন্তর্ভুক্ত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে পুনর্গঠন, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার এবং ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রের ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রাখেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি শহিদ জিয়ার রেখে যাওয়া আদর্শিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। আজকের এই দিনে আমরা তার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই-অনতিবিলম্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পুনর্গঠনই হবে শহিদ জিয়ার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা। অস্ট্রেলিয়াতে থেকেও আমাদের অঙ্গসংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে ইনশাআল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফেরদৌস অমি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের রূপকার। তিনি খাল খনন, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি বিপ্লব ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে একটি উৎপাদনমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ অর্জনের যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, তা আজও জাতির জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। জিয়াউর রহমান কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের স্থপতি।

সভাপতির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি আরিফ খান বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন আদর্শবাদী পথপ্রদর্শক। তার নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আজও আমাদের পথ দেখায়।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জালাল (কুমু) আহমেদ, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি ড. মো. শাহাব উদ্দিন, নিউজিল্যান্ড বিএনপির সহ-সভাপতি সাঈদ আহমেদ, অস্ট্রেলিয়া যুবদলের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ভিক্টোরিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রহমত-উল-ইসলাম, সাবেক সচিব ড. এ.কে.এম. জাহাঙ্গীর, ভিক্টোরিয়ার স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. তেলাল খান, রাশেদুল আমিন (মনির), রাশেদ সরকার, আব্দুল জলিল, মিলন খন্দকার, এবং ভিক্টোরিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেন এলেন।

আলোচনায় বক্তারা শহিদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ ও দেশের জন্য তার অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

 

 

মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসে গণশুনানি অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ৩১ মে ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসে গণশুনানি অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামায় আনন্দঘন পরিবেশে বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সরোয়ার এনডিসির সভাপতিত্বে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৩০ মে) মানামায় বাংলাদেশে দূতাবাসের হল রুমে এ গণশুনানি হয়।

এ অনুষ্ঠানে সাধারণ প্রবাসীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

গণশুনানিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সরোয়ার তার বক্তব্যে গণশুনানিতে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘গণশুনানির মাধ্যমে দূতাবাস সরাসরি প্রবাসী কর্মীদের সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। দূতাবাসের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে প্রবাসীদের গঠনমূলক পরামর্শ দূতাবাসের সেবার মানকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

এ ছাড়া কোনো সমস্যা হলে দূতাবাসের অফিসারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কথা বলেন তিনি। এ সময় রাষ্ট্রদূত সবাইকে বাহরাইনের আইন-কানুন মেনে চলা এবং বৈধভাবে এই দেশে অবস্থান করার অনুরোধ জানান তিনি। বিদেশের মাটিতে কারও দ্বারা যেন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।

এ গণশুনানিতে যোগদানের জন্য দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রবাসীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাহরাইনে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শতাধিক প্রবাসী এই অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রবাসীরা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতের কাছে সরাসরি তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

এ সময় দূতাবাসের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রশ্নের তাৎক্ষণিক সমাধান দিয়েছেন। বাহরাইনে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার দূতাবাস গণশুনানির আয়োজন করবে। প্রবাসীরা তাদের প্রস্তাবনা, মতামত, অভিযোগ, পরামর্শ সরাসরি ই-মেইলে ([email protected]) পাঠাতে পারবেন।

সুমন/

দুবাইয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম
দুবাইয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু
নিহত মো. বাবু

দুবাইয়ে কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মো. বাবু (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) সকালে (দুবাইয়ের স্থানীয় সময়) ইলেকট্রিক কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কাজের সময় ড্রিল মেশিন চালাতে গিয়ে হঠাৎ শর্টসার্কিট হলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত মো. বাবু ফটিকছড়ি উপজেলার দৌলতপুর ৫নং ওয়ার্ডের মৃত মো. জমিলের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে বাবু ছিলেন বড়।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবুর এই অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবার ও এলাকাজুড়ে।

পরিবারের সদস্যরা প্রবাসে থাকা বাবুর মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

নাজমুল/মেহেদী/

বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে নববর্ষ উদযাপন

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে নববর্ষ উদযাপন
মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন

বাহরাইনের মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার  (১৬ মে) এ উপলক্ষে বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য দূতাবাসের হল রুম, আঙিনা, প্রবেশদ্বার বর্ণিল রং, রঙিন কাগজ, বেলুন, ফেস্টুন, পোস্টার, ফুল, নকশিকাঁথা ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়। 

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কবি-সাহিত্যিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষার্থী ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐতিহ্যবাহী রঙিন পোষাক, তাদের আবেগ, ভালবাসা ও হৈ-হুল্লোড়ে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠান হয়ে উঠে প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর। 

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে দূতাবাস ও বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে পাঁচটি স্টল বসানো হয়। যেখানে অতিথিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী দেশীয় পিঠা, পায়েস, চটপটিসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনের জন্য দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাহরাইনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সরোয়ার, এনডিসি উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। 

এ সময় তিনি ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষ্যে যারা উপস্থিত হয়েছেন সবাইকে স্বাগত জানান। 

নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার ও ঐতিহ্যকে পরিচয় করানোর জন্য এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তিনি। 

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “যারা আজকের এই ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন অনেকই হয়তো দীর্ঘ দিন ধরে বাহরাইনে বসবাস করছেন। এ দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সামাজিক জীবনব্যবস্থা সর্ম্পকে অবগত আছেন। বাহরাইনের সমাজ ও সভ্যতাকে সম্মান করে এ দেশের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে হবে। পাশাপাশি বাহরাইনের আইন- কানুনের প্রতিও সব প্রবাসীকে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বিদেশের মাটিতে যেন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা শিশু-কিশোর ও প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

এতে শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতিসহ কবিতা, বক্তৃতা, নৃত্য পরিবেশন করেন, যা উপস্থিত অতিথিদেরকে বিমোহিত করে। 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দূতাবাসের পক্ষ থেকে অতিথিদেরকে পিঠা, পায়েস, মিষ্টি ও দেশীয় খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়। প্রায় তিন শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে দূতাবাসে উপস্থিত হন।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/