ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন: অস্ট্রেলিয়ার সিনেটরদ্বয়

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন: অস্ট্রেলিয়ার সিনেটরদ্বয়
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

মেলবোর্নে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে অভিবাসী, শরণার্থী এবং বহুসংস্কৃতির সম্প্রদায়ের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন গ্রিনস পার্টির সিনেটর ডেভিড স্যুব্রিজ, সিনেটর স্টেপ হডগিন্স মে। এই আলোচনায় অভিবাসী পরিবারের পুনর্মিলন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর এবং ন্যায়সঙ্গত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, মোরল্যান্ড শহরের প্রাক্তন মেয়র ও ভিক্টোরিয়া গ্রীনস পার্টির দলীয় প্রধান উইলস ফেডারেল আসনের প্রার্থী সামান্থা রাত্নম, অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধ করার দাবিও তুলে ধরেন। 

সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জনাব রাশেদুল হকের উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সাথে আলাপে, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক নীতিমালার ভিত্তিতে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে কার্যকর মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণে  গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

তারা মনে করেন, এই সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন, যা জনগণের মতামত ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (ভিক্টোরিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত) আশিক মালেক বিপুলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অস্ট্রেলিয়া শাখার সহ-সভাপতি আরিফ খান, যুগ্ম সচিব ওমর শরীফ শিহান, বিএনপি ভিক্টোরিয়ার নেতা আগা আরেফিন, শিক্ষাবিদ ডঃ কামাল মাহমুদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছেসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার আহবায়ক রহমত উল ইসলাম এবং যুবনেতা সারফেন আহমেদ সাকিব।

সিফাত/

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রেজ্যুলেশন গৃহীত

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রেজ্যুলেশন গৃহীত
বাংলাদেশ, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনামের সমন্বয়ে গঠিত কোর গ্রুপের পক্ষে বাংলাদেশ এ নেগোসিয়েশনে নেতৃত্ব দেয়। রেজ্যুলেশনটি কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে জীবন, স্বাস্থ্য, আবাসস্থল, সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের গতিপথ হুমকির মুখে’ - জেনেভাতে অনুষ্ঠিত মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৯তম অধিবেশনে ‘মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন’ সংক্রান্ত রেজ্যুলেশন গৃহীত হওয়ার প্রাক্কালে প্রদত্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।

বাংলাদেশ, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনামের সমন্বয়ে গঠিত কোর গ্রুপের পক্ষে বাংলাদেশ এ নেগোসিয়েশনে নেতৃত্ব দেয়। রেজ্যুলেশনটি কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

বুধবার (৯ জুলাই) মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৯তম অধিবেশনে এ রেজ্যুলেশনটি গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

রাষ্ট্রদূত তারেক আরও বলেন যে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং জলবায়ু তহবিলের মধ্যকার বিদ্যমান বিরাট ব্যবধান এ রেজ্যুলেশনে প্রতিফলিত হয়েছে। গৃহীত রেজ্যুলেশনটিতে জলবায়ূ অর্থায়ন এবং এর বাস্তবায়নের বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করে তা সমাধানের লক্ষ্যে সম্ভাব্য কার্যকরী পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষত উন্নয়নশীল বিশ্বের সদস্য রাষ্ট্রগুলির জন্য জলবায়ু তহবিল প্রাপ্তির সুযোগ সহজীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে ।

তিনি বলেন, এ রেজ্যুলেশনের সবচেয়ে উল্লখযোগ্য দিক হল, এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন, বর্ধিত, উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নের উপায় খুঁজে বের করার পাশাপাশি প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে। তদুপরি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ঋণগ্রস্ত দেশসমূহের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য উন্নত দেশসমূহ তথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এ রেজ্যুলেশনে প্রথমবারের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতি এবং সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবেলার জন্য উপযুক্ত প্রতিকার এবং ক্ষতিপূরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, উক্ত রেজ্যুলেশনের নেগোসিয়েশনে বাংলাদেশের অবদান সদস্য রাষ্ট্রসমূহের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। এটি জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশের নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকার স্বীকৃতি। এ বার্ষিক রেজ্যুলেশনে জাতিসংঘের মহাসচিবকে পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ এবং সব মানুষের জন্য মানবাধিকারের পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ এবং বাধাঁগুলি কার্যকরভাবে দূর করার লক্ষ্যে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৬৩তম অধিবেশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

মেহেদী/

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব’

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব’
ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশ সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা এবং তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য দ্রুত একটি অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব।’ 

জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৯তম অধিবেশনে আজ বিকেলে ওআইসির উদ্যোগে উত্থাপিত ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজ্যুলুশন গৃহীত হওয়ার শুরুতে মানবাধিকার পরিষদে তিনি এসব কথা বলেন।

রাখাইনে মায়ানমার সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মির মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান সংঘাত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে বলে বাংলাদেশের বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। 

এ সময় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মানবাধিকার পরিষদকে অবহিত করে উল্লেখ করেন, রাখাইন রাজ্যে চলমান হত্যাযজ্ঞ, নিপীড়ন এবং সহিংসতা এড়াতে শুধু ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

এ ছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা বিষয়ে আয়োজিতব্য উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানকল্পে বাস্তবমুখী এবং সময়াবদ্ধ সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান অধিবেশনে মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কিত রেজল্যুশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রেজল্যুশনে রোহিঙ্গাদের জন্য ক্রমহ্রাসমান মানবিক সহায়তার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অধিকতর দায়িত্বগ্রহণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। 

এ ছাড়া এতে জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট অন্য সংস্থাগুলোকে রাখাইনে নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়।

রেজল্যুশনটিতে রাখাইনে বিচারহীনতা ও দায়মুক্তির সংস্কৃতি অবসানের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের সব স্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের অংশগ্রহণ এবং অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনকাঠামো স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়।

গত ১৬ জুন শুরু হওয়া জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৯তম অধিবেশন আগামী ৯ জুলাই  সমাপ্ত হবে। 

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

মেক্সিকোতে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী ও ঈদ পুনর্মিলনী

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
মেক্সিকোতে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী ও ঈদ পুনর্মিলনী
ছবি: সংগৃহীত

মেক্সিকোর বাংলাদেশ দূতাবাস রবিবার (২৯ জুন) এক অনন্য সাংস্কৃতিক সম্মিলনের আয়োজন করেছে। যেখানে একত্রে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী, পাশাপাশি ঈদুল আজহা পরবর্তী পুনর্মিলনী।

দূতাবাসের এই বিশেষ আয়োজনে মেক্সিকো প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সূচনাপর্বে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে রাষ্ট্রদূত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কবিতা ‘১৪০০ সাল’ আবৃত্তি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ পাঠ করে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেন। তার কাব্যিক উপস্থাপনা অনুষ্ঠানকে দেয় এক ভিন্ন মাত্রা।

সাংস্কৃতিক পর্বের বিশেষ আকর্ষণ ছিল দুই ক্ষুদে শিল্পীর মনোমুগ্ধকর বাংলা গান পরিবেশনা। তাদের সুরেলা কণ্ঠ উপস্থিত সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল বাংলাদেশ-মেক্সিকো কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দূতাবাসের উদ্যোগে আগামী দিনে আয়োজিতব্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেন এবং উপস্থিত সবাইকে এসব আয়োজনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানান।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও মিষ্টান্ন দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণকে সাজানো হয়েছিল বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির রূপে, যা উপস্থিত সবার মধ্যে বাংলাদেশের একটি আবহ সৃষ্টি করে।

অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রবাসে বসবাস করেও আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে চলেছি। এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমরা ল্যাটিন আমেরিকায় বেড়ে ওঠা প্রজন্মের মাঝে বাংলার চেতনা ও মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে চাই।’

সালমান/

মেলবোর্ন জাতীয়তাবাদী দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
মেলবোর্ন জাতীয়তাবাদী দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভা
মেলবোর্ন জাতীয়তাবাদী দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভায় দলের নেতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবীর পলের মেলবোর্ন গমন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার উদ্যোগে মতবিনিময় সভা আয়োজিত হয়।

গত রবিবার (১৫) জুন সন্ধ্যায় মেলবোর্নের মধুমতি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি আরিফ খানের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার সদস্য সচিব আব্দুল রব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেজাউল কবীর পল। তিনি তার বক্তব্যে যুবদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলন-সংগ্রামের রূপরেখা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রথমেই আমি অস্ট্রেলিয়া বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল-সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। তারা ব্যস্ত প্রবাসজীবনের মাঝেও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এই পর্বে একাত্ম হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসে থেকে অস্ট্রেলিয়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো বিগত ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অস্ট্রেলিয়া বিএনপির নেতৃত্বে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মাঝে বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যুবদলকে আরও সংগঠিত, সক্রিয় ও দৃঢ়চেতা হতে হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক নেতাকর্মী বক্তব্য রাখেন এবং নিজেদের পরিচয় তুলে ধরেন। সবার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, বর্তমান রাজনৈতিক পরিচয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি প্রথম ভালবাসার মুহূর্তগুলো স্থান পায় সবার বক্তব্যে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি আরিফ খান, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমর শরীফ শিহান, সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ বদিউজ্জামান শিপন, বিএনপি নেতা রাশিদুল আমিন মুনির, বিএনপি নেতা ওমর, যুবদল নেতা শাকিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার আহ্বায়ক মো. রহমত উল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেন এলান, যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর কবির চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ সরকার নিলয়, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, সদস্য খাইরুল সাদমান, সদস্য মির্জা সাইফুল ইসলাম এবং মনিরুল ইসলাম-সহ আরও অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

মাতৃভাষায় সাংবাদিকতা বিস্তারে সার্ক দেশগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১০:৫০ এএম
আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম
মাতৃভাষায় সাংবাদিকতা বিস্তারে সার্ক দেশগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান
ছবি: সংগৃহীত

মাতৃভাষায় সাংবাদিকতার সুরক্ষা ও বিকাশে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। 

দুই দিনব্যাপী ‘মাতৃভাষায় সাংবাদিকতা’বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে গৃহীত সাত দফা ঘোষণার মাধ্যমে ‘কাঠমান্ডু ডিক্লারেশনে’ এ আহ্বান জানানো হয়।

ঘোষণাপত্রে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের নীতিগত অঙ্গীকার ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। স্থানীয় ও আদিবাসী ভাষাভিত্তিক গণমাধ্যমের বিকাশ ও টিকে থাকার জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত ভাষায় সাংবাদিকতাকে সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসব সম্প্রদায় যেন নিজেদের কথা বলার ও প্রাসঙ্গিক তথ্য পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত প্ল্যাটফর্ম পায়, তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

ন্যাশনাল ফোরাম অব নিউয়ার জার্নালিস্টসের (এনএফএনজে) উদ্যোগে এবং সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম (এসজেএফ) ও ফেডারেশন অব নেপাল ইন্ডিজেনাস জার্নালিস্টসের (ফনিজ) সহায়তায় অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সার্ক অঞ্চল থেকে আসা সাংবাদিকরা অংশ নেন।

সম্মেলনটি শুক্রবার (১৩ জুন) উদ্বোধন করেন নেপালের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার দেবরাজ ঘিমিরে এবং শনিবার (১৪ জুন) সমাপ্তি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যপুর থিমি মিউনিসিপ্যালিটির মেয়র সুরেন্দ্র শ্রেষ্ঠ।

ঘোষণায় মাতৃভাষাভিত্তিক সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং ফেলোশিপ আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি মাতৃভাষাভিত্তিক সাংবাদিকতায় অর্থায়ন, কারিগরি সহায়তা ও দক্ষতা উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে মেয়র সুরেন্দ্র শ্রেষ্ঠ বলেন, এই সম্মেলন মাতৃভাষা সাংবাদিকতা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

অনুষ্ঠানে সার্ক জার্নালিস্টস ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজু লামা সম্মেলনের গৃহীত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সমর্থন কামনা করেন।

ফনিজ সভাপতি লাকি চৌধুরী, এসজেএফের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. আবদুর রহমান (বাংলাদেশ), বিহার চ্যাপ্টারের সভাপতি ড. শশী ভূষণ কুমার, সম্মেলন সমন্বয়ক সুনীল মহার্জন এবং এনএফএনজের মহাসচিব কেকে মানান্ধর তাদের বক্তব্যে মাতৃভাষায় সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো সার্কভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে এবং জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোসহ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে।

পপি/