ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ভিন্ন আয়োজনে ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’-এর মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
ভিন্ন আয়োজনে ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’-এর মোড়ক উন্মোচন
‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করছেন আবুল হায়াত ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা। ছবি:

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার ও পরিচালক আবুল হায়াত। গত ৮ সেপ্টেম্বর নিজের ৮০ বছরে পা রেখেছেন এ গুণী অভিনেতা। এ দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি মঞ্চনাটক থেকে চলচ্চিত্র, লেখক থেকে পরিচালক সব জায়গায় বাংলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। নিজের কর্মময় ৮ দশককে গ্রন্থাবদ্ধ করেছেন এই জীবন্ত নক্ষত্র। নিজের আত্মজীবনীর নাম রেখেছেন 'রবি পথ-কর্মময় ৮০'।

শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে এক বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন হয়। অভিনেতার নানা অভিজ্ঞতা, গল্প ও ঘটনা নিয়ে ‘রবি পথ’ বইটি লেখা। প্রায় দশ বছর ধরে পরম যত্নসহকারে বইটি লিখেছেন বলে জানান তিনি। আবুল হায়াতের ডাক নাম রবি। ডাক নামেই নিজের আত্মজীবনীর নাম রাখা হয়েছে বলে জানান এ অভিনেতা।

মোড়ক উন্মোচনের আগে বইটির বিভিন্ন ভাগ থেকে অতিথিদের সামনে পড়ে শোনান নাট্যাঙ্গানের পরিচিতমুখেরা। তাদের মধ্যে ছিলেন আজাদ আবুল কালাম, অপি করিম, দীপা খন্দকার, রওনক হাসান, ইন্তেখাব প্রমুখ। 

গভীর মনোযোগসহকারে উপস্থিত সবাই আবুল হায়াতের লেখা কথাগুলো শুনছিলেন, আর গভীরভাবে মোহিত হচ্ছিলেন। গ্রামে বেড়ে উঠা থেকে শুরু করে শহরের লেখাপড়ার জীবনের গল্প শুনে মনে হচ্ছিল এ গল্প শুধু আবুল হায়াতের একার নয়। সবাই যেন কোনো না কোনোভাবে গল্পের মধ্যে নিজেদের খুঁজে পাচ্ছিলেন। 

গল্পপাঠের ফাঁকে ফাঁকে আবুল হায়াৎকে নিয়ে স্মৃতি চারণ করেন আমন্ত্রিত গুণীজনেরা। উপস্থিত ছিলেন মামুনুর রশিদ, নওয়াজিশ খান, সারা জাকের মতো পদকপ্রাপ্ত নাট্যকার ও শিল্পীরাও। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তারিক আনাম খান, নরেশে ভুঁইয়া, আবুল হায়াতের দুই কন্যা বিপাশা হায়াৎ, নাতাশা হায়াত প্রমুখ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

অভিনয় শিল্পী সঙ্গের ব্যানারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অপি করিম। 

গুণীজনদের কথা ও গল্পপাঠ শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে নিজের আত্মজীবনের মোড়ক উন্মোচন করেন আবুল হায়াৎ। এরপর জীবনসঙ্গীনি মাহফুজা খাতুন শিরিন ও দুই মেয়ে বিপাশা হায়াত ও নাতাশা হায়াতকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন আবুল হায়াত, আবেগঘন কথা বলেন দর্শকদের উদ্দেশ্যে। 

নিজের আত্মজীবনী সম্পর্কে আবুল হায়াত বলেন, ‘বইটা কেন লিখেছি, এর কোনো জবাব নেই। ১০ বছর ধরে লিখেছি, বইটা পড়লেও সবাই তা টের পাবেন। আমি নিজেও তো অনেকের বই পড়েছি। ভাবলাম, লিখি না, আমার জীবনেও তো অনেক ঘটনা আছে। বই লেখার ক্ষেত্রে যে ঘটনা আমাকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে, মুর্শিদাবাদ থেকে একটি পরিবার চট্টগ্রামে এল শুধু টেবিলে বসে একটা দাগ টানার কারণে। যখন বলা হলো, এটা হিন্দুস্তান, এটা পাকিস্তান। তার কারণে আমার মা-বাবা একটা দেশ ছেড়ে আরেকটা দেশে এলেন। বোঝালেন যে এটা তোমার দেশ না, ওটা তোমার দেশ। প্রথমত, সেখান থেকে কষ্টটা, ক্ষতটা আমি আমার লেখায় ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছি। তারপর আমি যে তিন বছর বয়সে এলাম, এরপর বড় হলাম—সেই বিষয়গুলো লিখতে লিখতে মনে হলো, বাকি জীবনটা লিখে ফেলি। এরপর অনেকবার ফেলে রেখেছি, অবহেলা করেছি। এক পাতা লিখেছি, ছিঁড়ে ফেলেছি। দশ পাতা লিখেছি। তারপরও পড়ে ছিল বহুদিন। বিপাশা নিয়মিত বলত লেখার ব্যাপারে। আমি বলেছিলাম, আমার জীবনী কে পড়বে? তখন বিপাশা বলেছিল, তুমি তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ লেখক। তোমার জীবনী তোমার চেয়ে ভালো কেউ লিখতে পারবে না। আমি চাই, তোমার জীবনীটা লেখা হোক। এটা মনে হয়েছে, হ্যাঁ, তাই তো, আমার জীবনী আমার চেয়ে ভালো আর কে লিখবে। আমিও তারপর ভাবলাম, লিখি। এরপর তিথি (বইটির প্রকাশক) যখন বলল, ‘আমি ছাপাব।’ তখন তাড়াতাড়ি লেখা শেষ করলাম। ভেবেছি আর সময় পাব কি না। এভাবেই লেখা হলো।’

গুণী এ অভিনেতা গত ৩ বছর যাবৎ ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করছেন। স্ত্রী শিরিন হায়াতকে কাছে টেনে কান্নাজড়িত কন্ঠে শোনালেন অসুস্থতা ও ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করার গল্প। 

তিনি বলেন, ‘আজ থেকে তিন বছর আগে চিকিৎসক বললেন, আমার ক্যান্সার হয়েছে। আমি জানতে পারলাম, আমি ক্যান্সার রোগী। হাসপাতাল থেকে বাসা পর্যন্ত আর কথা বলতে পারিনি। পুরো রাস্তা আসার সময় তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। রাতে খাওয়া দাওয়া করে আমি শুয়ে ছিলাম। অন্ধকারে একা কাঁদছি। হঠাৎ টের পেলাম, উনি পাশে এসে শুয়েছেন। আমি তখনো নিঃশব্দে কাঁদছি। হঠাৎ ওনার একটা হাত আমার গায়ে এসে পড়ল। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম। তখন উনি বললেন, ‘আল্লাহ তায়ালা এই রোগটা তোমাকে কেন দিল, আমাকে দেখতে পেল না?’ বলেই হাউমাউ করে কেঁদে আমাকে জড়িয়ে ধরল। সারাটা জীবন আমার সঙ্গে, আমার দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, আনন্দ সবকিছুতে সে। আজকে আমি এই যে তিনটা বছর ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছি, শুধু তাঁর কারণে। সে আমার সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা, আমাকে শিখিয়েছে, আই এম অ্যা ফাইটার।’

আবুল হায়াত যখন এসব কথা বলছিলেন তখন পুরো মিলায়তনটা কেমন জানি ভারী হয়ে উঠল। শুধু মঞ্চে আবুল হায়াতের সাথে তার পরিবার কাঁদছিলো এমন নয়, এ কান্না স্পর্শ করেছিল উপস্থিত সকলকে। সবাই দাঁড়িয়ে জীবনের এ লড়াইয়ে অভিনতাকে জানালেন অভিবাদন, করতালি দিয়ে জোগালেন সাহস। অভিনেতাও বললেন, ‘আমি শেষ দিন পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন।’
 হাসান

দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অপূর্ব-ফারিণ ও পাভেল

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি  অপূর্ব-ফারিণ ও পাভেল
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ এবং সাইদুর রহমান পাভেল। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ জিন্দা পার্কে আলোচিত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘হাউ সুইট’ ওয়েব ফিল্মের শুটিং করছিলেন জনপ্রিয় তারকা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ এবং সাইদুর রহমান পাভেল। শুটিং চলাকালীন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এই তিন তারকা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন পরিচালক কাজল আরেফিন অমি নিজেই। গতকাল ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে শুটিংয়ের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা।

নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের হাউ সুইটের একটি দৃশ্য শুটিংয়ের সময় দুর্ভাগ্যবশত স্কুটি দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় পাভেল, তাসনিয়া ফারিণ এবং অপূর্ব ভাই কিছুটা আহত হয়।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতালে এলে ডাক্তার নিশ্চিত করেন পাভেল, ফারিণ এবং অপূর্ব ভাই এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। আপাতত তারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। খুব দ্রুত আমরা স্বাভাবিকভাবে কাজে ফিরতে পারব। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সিনেমাটির শুটিং। রোমান্টিক-কমেডি জনরার এ সিনেমাটির মধ্য দিয়ে পাঁচ বছর পর একসঙ্গে কাজ করছেন অপূর্ব ও অমি। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করছেন বাচ্চু, শিমুল শর্মা প্রমুখ।

কাজটি প্রসঙ্গে পরিচালক আগেই বলেছিলেন, ‘চমচম খেলে যেমন মিষ্টি অনুভব হয়, এই গল্পটি দেখার সময় দর্শকদের সেই অনুভূতি হবে। আর এ ধরনের কাজে অপূর্ব ভাই ছাড়া কারও নাম মাথায় আসেনি। তাছাড়া ফারিণের সঙ্গে আমার বোঝাপড়া অনেক ভালো। সে রোমান্টিক, সিরিয়াস দুই চরিত্রেই ভালো করে। আশা করছি দর্শক দারুণ কিছু পেতে যাচ্ছে।’

হাসান

রাহাত ফতেহ আলীর কনসার্ট স্টেডিয়ামের ভাড়া নেবে না সেনাবাহিনী

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
স্টেডিয়ামের ভাড়া নেবে না সেনাবাহিনী
রাহাত ফতেহ আলী খান। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে ‘ইকোস অব রেভোল্যুশন’ শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করেছে। ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এর আয়োজন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। এই কনসার্ট থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ শহিদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা কল্যাণমূলক সংস্থা ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দান করা হবে।

এই কনসার্টে গাইতে আসছেন পাকিস্তানের খ্যাতিমান সংগীততারকা রাহাত ফতেহ আলী খান। আগামী ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্টে সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে গাইবেন এই শিল্পী। 

এবার শোনা গেল, এই আয়োজনে ভেন্যু অর্থাৎ আর্মি স্টেডিয়ামের ভাড়া নিচ্ছেন না সেনাবাহিনী। যেহেতু কনসার্টটির উদ্দেশ্য আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারকে সহায়তার মহৎ কিছু, সেক্ষেত্রে আর্মি স্টেডিয়ামের সম্পূর্ণ ভাড়া মওকুফ হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। কনসার্ট থেকে আয়কৃত যে পরিমাণ অর্থ জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রদান করা যেত, ভেন্যু ভাড়া মওকুফ হওয়ায় তার চেয়ে বেশি অর্থ প্রদান করতে পারবে বলে আশা করছে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। তারা এও বলেছে, এক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরও বিশাল কন্ট্রিবিউশন যুক্ত হলো, যা ভবিষ্যতে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
এদিকে গত সোমবার রাত থেকে চ্যারিটি কনসার্ট ‘ইকোস অব রেভোল্যুশন’-এর টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকিট বিক্রি চলবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত। মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে কনসার্টের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কনসার্টের টিকিট ক্রয়ের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে করা হচ্ছে। 

রাহাত ফাতেহ আলী খানের কনসার্টের টিকিটের মূল্য ১০ হাজার, ৪ হাজার ৫০০ এবং ২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কনসার্টে আরও গাইবেন দেশীয় ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, আফটারম্যাথ এবং সিলসিলার শিল্পীরা। এর বাইরে র‌্যাপসংগীতশিল্পী শেজান ও হান্নানের পরিবেশনাও থাকবে। সংগীত ছাড়াও কনসার্ট ইভেন্টে জুলাই বিপ্লবসংক্রান্ত গ্রাফিতি প্রদর্শনী, মঞ্চ নাটক এবং মুগ্ধ ওয়াটার জোনসহ আরও বিভিন্ন কর্নার থাকবে।

হাসান

গ্রেপ্তারের পর জামিন পেলেন আল্লু আর্জুন

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
গ্রেপ্তারের পর জামিন পেলেন আল্লু আর্জুন
আল্লু আর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ‘পুষ্পা-২’ সিনেমার প্রিমিয়ারে কয়েক দিন আগে হায়দরাবাদে এক নারী অনুরাগীর মৃত্যু হওয়ায় তার নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। এ মামলায় চিক্কাদপল্লি পুলিশের একটি দল জুবলি হিলের বাসা থেকে গতকাল গ্রেপ্তার করেন এই অভিনেতাকে। 

সর্বশেষ জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর চিক্কাদপল্লি থানা থেকে মেডিকেল চেকআপের জন্য আল্লুকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর নামপালি আদালত অভিনেতা আল্লু অর্জুনের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা-২’র প্রিমিয়ারে আল্লু অর্জুনকে দেখতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে এক নারী ভক্তের মৃত্যু হয়। সেই মর্মান্তিক খবরে শোকাহত হয়েছিলেন আল্লু নিজেও। মৃত ওই নারী ভক্তের পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি অর্থ সাহায্যও দিয়েছিলেন সুপারস্টার এই অভিনেতা। পাশাপাশি মৃত নারীর ৯ বছরের সন্তানও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল, তারও চিকিৎসার ভার নিয়েছেন দক্ষিণী এই সুপারস্টার। এর পরও এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হলো আল্লু অর্জুনকে। 

হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ‘তদন্ত চলছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সবার বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মৃত ওই নারী ভক্তের স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে পুলিশ। এফআইআরের কপি অনুযায়ী, অভিযোগকারীর নাম ভাস্কর মাগুদামপল্লি। অভিযোগপত্রে ভাস্কর জানিয়েছেন, তিনি তার স্ত্রী, ৯ বছরের ছেলে এবং ৮ বছরের কন্যাকে নিয়ে ‘পুষ্পা ২’র প্রিমিয়ারে গিয়েছিলেন। রাত ৯টা ১০ মিনিটে তারা টিকিট কেটে ছবি দেখতে হলে ঢুকেছিলেন। প্রেক্ষাগৃহে ছিল অতিরিক্ত ভিড়। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে আল্লু প্রেক্ষাগৃহে আসেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন কর্তৃপক্ষ। অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীরা ভিড় সরানোর চেষ্টা করেন। এই সময় ধাক্কাধাক্কি হয়। রেবতী এবং তার পুত্র সাই তেজ প্রেক্ষাগৃহের নিচের ব্যালকনিতে ছিলেন। তারা শ্বাস নিতে পারছিলেন না। দমবন্ধ হয়ে আসছিল মা এবং পুত্রের। দুজনই ভিড়ের মধ্যে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রেবতীর মৃত্যু হয়। শিশুটিকে দুর্গাবাই দেশমুখ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নিয়ে যাওয়া হয় কেআইএমএস হাসপাতালে। অভিযোগ, আগে থেকে পর্যাপ্ত পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থা ছাড়াই অভিনেতা হলে চলে এসেছিলেন। প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষও ভিড় নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্ত করেননি। এর ভিত্তিতে পুলিশকে পদক্ষেপের অনুরোধ করেন মৃতের স্বামী।

অভিযোগের ভিত্তিতে আল্লু অর্জুন এবং নিরাপত্তারক্ষীসহ তার টিম ও সন্ধ্যা থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর করে হায়দরাবাদ পুলিশ। ভারতীয় আইন ১০৫, ১১৮ (১), ৩ (৫) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘পুষ্পা ২’ সিনেমা মুক্তির আগেই নতুন নতুন রেকর্ড গড়েছে। মুক্তির পর তো ভারতীয় সিনেমার সব রেকর্ড যেন তছনছ করে দিয়েছে ছবিটি। এতে সুকুমার পরিচালিত এই ছবিতে আল্লু অর্জুনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভারতের জাতীয় ক্রাশখ্যাত নায়িকা রাশমিকা মান্দানা। সিনেমার আইটেম গানে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন দক্ষিণী সিনেমার আরেক নায়িকা শ্রীলীলা।

হাসান

আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার
দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

হায়দ্রাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে পদতলিত হয়ে নারীর মৃত্যুতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তার হন এই বিখ্যাত অভিনেতা। ছিক্কাডপালি পুলিশের একটি দল জুবলি হিলের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে।

৪ ডিসেম্বর অর্জুন অভিনীত ব্যয়বহুল সিনেমা ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর শুভমুক্তি অনুষ্ঠানে পদতলিত হয়ে প্রাণ হারান ৩৯ বছর বয়সী রেবতি। এই দুর্ঘটনায় তার ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যেই তাকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

৪ ডিসেম্বর ভক্তদের চমকে দিতে কোনো ঘোষণা না দিয়েই থিয়েটারে উপস্থিত হলে অর্জুনের দিকে ছুটে আসেন তারা।
তবে ভিড়ে নিঃশ্বাস আটকে ও আঘাত পেয়ে রেবতি প্রাণ হারান। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। 

রেবতির ছেলেও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন অর্জুন।

তিনি  বলেন, ‘ভক্তদের ভালোবাসা সব তারকাই চায়। তবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরও জরুরি।’

দুর্ঘটনার পর আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তাকর্মী ও সন্ধ্যা থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে স্থানীয় প্রশাসন। 

তাদের অভিযোগ এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না চাইলে অর্জুনের নিরাপত্তাদল আগে থেকেই তার উপস্থিতির বিষয়ে জানিয়ে রাখতে পারতো।

পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় থিয়েটারের কর্মচারীদেরও আটক করেছে পুলিশ।

এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে পুষ্পা ২ সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা মাইথ্রি মুভি মেকার্স।

এই ঘটনার পর ভারতের বড় অনুষ্ঠানগুলোতে ভিড় সামলানোর ক্ষেত্রে আয়োজকদের অবহেলা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র: দ্য গালফ নিউজ

নাইমুর/অমিয়/

আসছে অর্ণবের প্রথম বই ‘হোক কলরব’

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১০ পিএম
আসছে অর্ণবের প্রথম বই ‘হোক কলরব’
শায়ান চৌধুরী অর্ণব। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শায়ান চৌধুরী অর্ণব। দুই বাংলাতেই সমানতালে জনপ্রিয় তিনি। একজন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী হিসেবে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন অর্ণব। তার গানের ক্যারিয়ার দীর্ঘ হলেও এবার প্রথম বই প্রকাশ করতে যাচ্ছেন এই তারকা।

আসছে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে অর্ণবের প্রথম বই ‘হোক কলরব’। বইটি প্রকাশ করছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কিংবদন্তি পাবলিকেশন। আর এই বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন চিত্রশিল্পী স্বপন চৌধুরী। টাইপোগ্রাফি করেছেন আইয়ুব আল আমিন।

বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৩৫০ টাকা। তবে রকমারিতে প্রি-অর্ডারে থাকছে ২৫% ছাড়। এরই মধ্যে বইটির প্রি-অর্ডারও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বইটিতে অর্ণবের লেখা জনপ্রিয় গান এবং সেসব গান নির্মাণের পেছনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এক মলাটেই বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় লেখাগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রকাশক অঞ্জন হাসান পবন গণমাধ্যমকে জানান, ‘অর্ণবকে সবাই গায়ক হিসেবেই চেনেন। এবার সেই গায়ক লেখক হিসেবে হাজির হচ্ছেন। এটি তার প্রথম বই। আশা করছি গানের মতই অর্ণবের এই বইটিও সবার ভালো লাগবে।’

উল্লেখ্য, ব্যান্ডের পাশাপাশি এককভাবে অর্ণবের ৬টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। ২০০৫ সালে প্রথম একক স্টুডিও অ্যালবাম ‘চাইনা ভাবিস’ বাজারে আসে। দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘হোক কলরব’ আসে ২০০৬ সালে। এরপর পর্যায়ক্রমে ‘ডুব’, ‘রোদ বলেছে হবে’, ‘আধেক ঘুমে’, রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘খুব ডুব’ ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় ‘অন্ধ শহর’।

হাসান

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });