ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধের ২ বছর বদলে গেছে চিরচেনা রূপ

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪১ এএম
বদলে গেছে চিরচেনা রূপ
দোনেৎস্ক অঞ্চলে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দুই বছর পূর্তি আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি)। গত দুই বছরে এই যুদ্ধ পাল্টে দিয়েছে বিশ্বের ভূরাজনীতি ও অর্থনীতির চিরচেনা রূপ। পরিবর্তন এসেছে ইউরোপের সুরক্ষা চিন্তাভাবনাতেও। আকারে বড় হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো। যুদ্ধের মাশুল গুনতে হচ্ছে ভৌগোলিকভাবে দূরে থাকা রাষ্ট্রগুলোকেও। তবে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধের সূত্রপাত হলেও এখনো সেই জোটে ঠাঁই মেলেনি তাদের।

ইউক্রেনের জন্য এ যুদ্ধ নিয়ে এসেছে বিপর্যয়। তাদের জনসাধারণ মারা যাচ্ছে, অবকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে। এমনকি ভূখণ্ডের কিছু অংশের দখলও হারিয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ইউক্রেনবিষয়ক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ মিশন (এইচআরএমএমইউ) জানায়, জানুয়ারি পর্যন্ত দুই বছরের যুদ্ধে ইউক্রেনের ১০ হাজার ৩৭৮ জন বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৬০টি শিশুও আছে। এ ছাড়া ওই সময় পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬৬২ জন। 

অন্যদিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী থেকে দাবি করা হয়, যুদ্ধে ইউক্রেনের অন্তত সাড়ে ৩ লাখ সেনা মারা গেছে। তবে নিজেদের পক্ষে হতাহতের কোনো সঠিক হিসাব না দিলেও যুদ্ধের দৈনন্দিন হিসাব অনুপাতে বিবিসি জানায়, রুশ সেনা নিহতের সংখ্যা ১ লাখের বেশি। এসব হিসাবের পরও হতাহতের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে দুই পক্ষেরই।  

নিউইয়র্ক টাইমসের চলতি মাসের এক প্রতিবেদন বলছে, যুদ্ধে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতিও কম নয়। বিপুল সৈন্য মারা গেছে। কিন্তু তারা তা নিয়ে সেভাবে মুখ খুলছে না। অনেক রুশ নাগরিকও এ নিয়ে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধে রাশিয়ার সেনা মারা গেছে প্রায় ৬০ হাজার। আহত হয়েছেন ৩ লাখের মতো।

রয়টার্সের গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এ যুদ্ধ শুরু করেছিল ৩ হাজার ৩০০ ট্যাংক নিয়ে। সেগুলোর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি ধ্বংস হয়ে গেছে।

পশ্চিমাদের মনোযোগে ঘাটতি

এসব ডামাডোলের মধ্যেই পশ্চিমা দেশগুলোর একক মনোযোগ হারিয়েছে ইউক্রেন। গাজা যুদ্ধের কারণে সেদিকেও ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তাদের। ইসরায়েলের পক্ষে কথা বলা, গাজায় সহায়তা পাঠানো নিয়েই বেশি সরব হতে দেখা গেছে পশ্চিমা দেশগুলোকে।
 
অন্যদিকে গত দুই বছরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারকে আরও স্থিতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলেছে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, রাশিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৈশ্বিক জিডিপির গড় হারের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। দেশটির মজুরি বেড়েছে। গতিশীল হয়েছে রুশ অর্থনীতি। সব মিলিয়ে আরও শক্ত হয়েছে পুতিনের অবস্থান।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস আটকে দিয়েছে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ হওয়া ছয় হাজার কোটি ডলারের সহায়তা তহবিল। আধুনিক অস্ত্র পাওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ধরনা দিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। কিন্তু তাদের এ আবেদনে সেভাবে সায় দিচ্ছে না জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র। 
ইউক্রেন দুই বছর ধরেই রাশিয়াকে নিজ মাটি থেকে হটানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সরবরাহ, কৌশল ও অর্জন– সবই কিছুটা কমেছে প্রথম বছরের তুলনায়। 

ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিতে বাধা

যুদ্ধের আগে ইউক্রেনকে বলা হতো ‘ইউরোপের রুটির ঝুড়ি’। এ দেশটি থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে গম, যব, বার্লি, ভুট্টা, সূর্যমুখী ফুলের তেল সরবরাহ হতো। রাশিয়ার আক্রমণের আগে বিশ্বের ৪০ কোটির বেশি মানুষ ইউক্রেনীয় সরবরাহের ওপর নির্ভর করত। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পরপরই হঠাৎ প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে যায় তেল ও শস্যের দাম। সে সময় কৃষ্ণসাগর বন্দর রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ দিয়ে অবরুদ্ধ ছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে শস্য রপ্তানি বন্ধ থাকে কয়েক মাস। সে সময় অস্থিতিশীলতা বাড়তে শুরু করে বিশ্ববাজারে।

পরের বছরের জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শস্যচুক্তি হয়। ওই চুক্তির আওতায় বিশ্ববাজারে ইউক্রেনের শস্য সরবরাহ নিরাপদে অব্যাহত রাখার ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। 

এর প্রায় এক বছর পর গত বছরের জুলাইয়ে ওই চুক্তি থেকে সরে আসে রাশিয়া। সে সময় ইউক্রেনের হাতে পথ খোলা ছিল দুটি। এক. প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়া ও পোল্যান্ডের ওপর দিয়ে শস্য সরবরাহ করা। দুই. দানিয়ুব নদীর মাধ্যমে মধ্য ইউরোপে শস্য পাঠানো। 

বিশেষজ্ঞরা সে সময় বলেছিলেন, স্থলপথে প্রতিবেশী দেশের ওপর দিয়ে রপ্তানি করলে দেশগুলোর বাজার শস্যে সয়লাব হতে পারে ও সেখানকার কৃষকরা অসন্তুষ্ট হতে পারেন। বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। দিন কয়েক আগেও পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান নিতে দেখা গেছে ক্ষুব্ধ পোলিশ কৃষকদের। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা।

জ্বালানির দামে অস্থিরতা

ইউক্রেন যুদ্ধ বাস্তবতায় শুরু থেকেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছিল পশ্চিমা দেশগুলো। এসবের জেরে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে জ্বালানির দাম। সে অবস্থা এখনো বিদ্যমান। জ্বালানির মূল্য পুরো বিশ্বেই বেড়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে সার থেকে শুরু করে পরিবহন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে। 

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমাসহ সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলারের। তবে গোটা বিশ্বের মূল্যস্ফীতির দায় একা ইউক্রেন যুদ্ধের না হলেও এতে বিষয়টির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রেখেছে মূলত সরবরাহসংকট ও ডলারের দাম। প্রায় সব দেশকেই ডলারের বিপরীতে নিজ মুদ্রার মান কমাতে হয়েছে। 

রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর বেশ কটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ। সেসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস থেকে সহায়তা প্যাকেজ ছাড়, আধুনিক অস্ত্র পাওয়া, গাজার যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। 

এ বছর রাশিয়াতেও নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ধরেই নেওয়া হচ্ছে, আবারও পুতিনকে দেখা যাবে ক্ষমতায়। সম্প্রতি রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও কট্টর পুতিন সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু হয়েছে দেশটির মেরু অঞ্চলের কারাগারে। তাই পুতিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন বেগবান হবে, না মুখ থুবড়ে পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। 

এসবের মধ্যে নতুন করে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমারা। গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার পাঁচ শরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

 

কুয়েতের নতুন যুবরাজ সাবাহ খালেদ আল-সাবাহ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
কুয়েতের নতুন যুবরাজ সাবাহ খালেদ আল-সাবাহ
কুয়েতের নতুন ক্রাউন প্রিন্স শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-মুবারক আল-সাবাহ। ছবি: সংগৃহীত

কুয়েতের নতুন ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-মুবারক আল-সাবাহকে নিয়োগ করেছেন দেশটির আমির শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-সাবাহ।

শনিবার (১ জুন) কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কুনা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ১৯৬৪ সালের ৪নং আইন (আমিরির উত্তরাধিকারসংক্রান্ত) বিবেচনা ও সংবিধান পর্যালোচনা করে ১৫ মে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য আমির আদেশ জারি করেন। একই আইনে ১০ মে মন্ত্রিসভা গঠনের আদেশ দেওয়া হয় ও ১২ মে মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।

আইনের অনুচ্ছেদ ১ অনুসারে শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-মুবারক আল-সাবাহকে নতুন যুবরাজ ঘোষণা করা হয় এবং অনুচ্ছেদ নং ২ অসুসারে প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে যথাযথ সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রীপরিষদে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

সিকিমে বিধানসভা নির্বাচনে ক্রান্তিধারী মোর্চার জয়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
সিকিমে বিধানসভা নির্বাচনে ক্রান্তিধারী মোর্চার জয়
ছবি : সংগৃহীত

হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ভারতের সিকিম রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা। দলটি ৩২টি আসনের মধ্যে ৩০টিতেই জয়লাভ করেছে। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি।

আর সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট পেয়েছে দুটি আসন।

রবিবার (২ জুন) ভোট গণনা করা হয়।

জানা যায়, সিকিমের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত তারিখের দুদিন আগেই বিধানসভার ভোট গণনা করা হয়। তবে লোকসভার ভোট গণনা হবে আগামী ৪ জুন।

২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করেছিল সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা। ১৭টি আসন জিতে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল। তখন ১৫টি আসনে জিতেছিল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা ৩২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তাছাড়া বিজেপি লড়ে ৩১টি আসনে, সিটিজেন অ্যাকশন পার্টি- সিকিম ৩০টি আসনে ও কংগ্রেস ১২টি আসনে লড়াই করেছে।

অমিয়/

অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়
ছবি : সংগৃহীত

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যে অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি মোট ৪৭টি আসনে জয়লাভ করেছে।

রবিবার (২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ফলাফলের তথ্য জানায় হিন্দুস্তান টাইমস।

রাজ্যটির বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত তারিখের দুদিন আগেই এ নির্বাচনের ভোট গণনা করা হয়।

ভোট গণনার পর দেখা যায় ৬০টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি ৪৭টি, এনপিইপি ৫টি, কংগ্রেস একটি ও অন্যান্য দল ৭টি আসনে জয়লাভ করে।

রবিবার (২ জুন) শুধু বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা করা হয়। অরুণাচলের দুটি লোকসভা কেন্দ্রের (অরুণাচল পূর্ব এবং অরুণাচল পশ্চিম) ভোট গণনা হবে আগামী মঙ্গলবার (৪ জুন)।

সংবিধান অনুযায়ী ২ জুনের মধ্যে নতুন বিধানসভা গঠন করতে হবে।

অরুণাচল প্রদেশে মোট বিধানসভার আসন ৬০টি হলেও এবার ৫০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১০টি আসবে আগেই জিতে গেছেন শাসকদল বিজেপি। এর মধ্যে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেন রয়েছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, রাজ্যের ২৫টি জেলা সদর দপ্তরের ৪০টি কেন্দ্রে ভোটগণনা হয়।

অরুণাচল প্রদেশে ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৪১টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। জনতা দল পেয়েছিল সাতটি আসন। আর ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) পাঁচটি, কংগ্রেস চারটি, পিপলস পার্টি অব অরুণাচল একটি আসন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছিল দুটি আসনে।

অমিয়/

সিকিম বিধানসভায় এগিয়ে ক্রান্তিধারী মোর্চা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১২:১১ পিএম
সিকিম বিধানসভায় এগিয়ে ক্রান্তিধারী মোর্চা
ছবি : সংগৃহীত

হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ভারতের সিকিম রাজ্যে শুরু হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের গণনা। ভোট গণনায় সকাল ১০টায় দেখা যায়, সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনে এগিয়ে আছে। এই রাজ্যে বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার ১৭।

রবিবার (২ জুন) সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হয়।

জানা যায়, অরুণাচল প্রদেশের মতোই সিকিমের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ ২ জুন। সেজন্য লোকসভা নির্বাচনের ভোটের সঙ্গে আগামী ৪ জুন বিধানসভার ভোট গণনা হওয়ার কথা থাকলেও আজই সিকিমের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তবে লোকসভার ভোট গণনা হবে আগামী ৪ জুন।

মাত্র একটি আসনে এগিয়ে আছে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। কংগ্রেস বা বিজেপির এখনও কোনো আসনে ভালো ফলের খবর নেই।

ভারতের সংবাদপত্র হিন্দুস্থান টাইমস জানায়, বারফুং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথম রাউন্ডের গণনার শেষে পিছিয়ে আছেন ভারতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিকশাল দর্জি ভুটিয়া।

রিনাক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এগিয়ে আছেন প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।

তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চালিং পিছিয়ে আছেন পোকলোক-কামরাং থেকে।

২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করেছিল সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা। ১৭টি আসন জিতে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল। তখন ১৫টি আসনে জিতেছিল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠনে আশাবাদী সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা।

সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা ৩২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাছাড়া বিজেপি লড়েছে ৩১টি আসনে, সিটিজেন অ্যাকশন পার্টি- সিকিম ৩০টি আসনে ও কংগ্রেস ১২টি আসনে লড়াই করেছে।

অমিয়/

শেখ মুজিবকে নিয়ে ইমরানের পোস্ট, তদন্ত করবে পাকিস্তান

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১০:৫০ এএম
শেখ মুজিবকে নিয়ে ইমরানের পোস্ট, তদন্ত করবে পাকিস্তান
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘প্রকৃত দেশদ্রোহী জেনারেল ইয়াহিয়া নাকি শেখ মুজিবুর রহমান, তা জানতে হামুদ উর রহমানের প্রতিবেদনটি প্রত্যেক পাকিস্তানির পড়া উচিত।’

শনিবার (১ জুন) দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্কিত এই পোস্টের জন্য পাকিস্তানের তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সাইবার ক্রাইম টিম গত বৃহস্পতিবার ইমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তদন্ত এগিয়ে নিতে সংস্থাটি ওই দিন রাতেই আদিয়ালা কারাগারে পৌঁছায়; তবে ইমরান তাদের দেখা দেননি।

আদিয়ালা কারাগার সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সম্পর্কে এফআইএর তদন্তের অংশ হতে অস্বীকার করেন। তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, আইনজীবীদের উপস্থিতিতেই সব প্রশ্নের জবাব দেবেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে  ইমরান খানকে মুখ বন্ধ রাখতে হবে। আমি মনে করি, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা উত্তেজনা বাড়াতে চান।’ 

পাকিস্তানের জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধ একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটি একটি ট্র্যাজেডি। ইমরান খান এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু এর পরও বিষয়টি নিয়ে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ইমরান খানের প্রতি আমার পরামর্শ হলো, তিনি দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করতে না চাইলে যেন নিজের মুখ বন্ধ রাখেন।’ 

অন্যদিকে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গওহর আলী খান বলেছেন, ‘এই পোস্টের সঙ্গে ইমরানের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তিনি তার অ্যাকাউন্টে আপলোড করা পোস্টগুলো দেখেননি।’

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে পরাজিত হয় পশ্চিম পাকিস্তান।  স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম হয় বাংলাদেশের। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি হামুদ উর রহমানকে প্রধান করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একটি কমিশন গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ইসলামাবাদের দূরত্ব এবং এ যুদ্ধের কারণ অনুসন্ধান ছিল এই কমিশনের মূল দায়িত্ব। সূত্র: দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল ও জিও নিউজ