রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘তথ্যযুদ্ধ’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, এর মধ্য দিয়ে জার্মানির ভেতরে বিভক্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। কয়েকদিন আগে জার্মানির সামরিক কর্মকর্তাদের বৈঠকের এক অডিও প্রকাশিত হয়েছে। ওই ঘটনার পর প্রথম কোনো মন্তব্য এল প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
রাশিয়ার গণমাধ্যম গত শুক্রবার ৩৮ মিনিট দীর্ঘ একটি অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করে। ওই অডিও রেকর্ডিংয়ের জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের আলোচনা ছিল। তারা ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র সহায়তা ও কিয়েভের সেতুতে সম্ভাব্য হামলা নিয়ে আলাপ করছিলেন। মস্কোর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে ব্যাখ্যা দাবি করেছেন।
গত শনিবার জার্মানি দাবি করে, এটি আড়িপাতার ঘটনা এবং এ নিয়ে তদন্ত করছেন তারা। পরে রবিবার জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, ‘এ ঘটনা হস্তক্ষেপ ও আলোচনা প্রকাশের চেয়েও বেশি কিছু। এটি পুতিনের চালানো তথ্যযুদ্ধ। এটি হাইব্রিড ভুল তথ্য আক্রমণ। এটি বিভক্তির ব্যাপার। আমাদের একত্রিত হওয়াকে ভাঙার চেষ্টা।’
ক্রেমলিন বরাবরই ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এর আগেও অন্য দেশের পক্ষ থেকে এ রকম অভিযোগ তোলা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। ফাঁস হওয়া ফোনকলে কিয়েভকে টাউরুস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে শোনা গেছে। কিয়েভ দীর্ঘদিন ধরেই ওই ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে আসছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বছর কিয়েভ সামরিক সহায়তা চাওয়া আগের তুলনায় বাড়িয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রায়ই ইউক্রেনীয় সেনাদের অস্ত্র ও রসদ স্বল্পতার মুখে পড়তে হচ্ছে। গত শনিবার জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ওই কল ফাঁসের ঘটনাকে ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছেন। সূত্র: গার্ডিয়ান