ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘প্রকৃত দেশদ্রোহী জেনারেল ইয়াহিয়া নাকি শেখ মুজিবুর রহমান, তা জানতে হামুদ উর রহমানের প্রতিবেদনটি প্রত্যেক পাকিস্তানির পড়া উচিত।’
শনিবার (১ জুন) দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্কিত এই পোস্টের জন্য পাকিস্তানের তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সাইবার ক্রাইম টিম গত বৃহস্পতিবার ইমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তদন্ত এগিয়ে নিতে সংস্থাটি ওই দিন রাতেই আদিয়ালা কারাগারে পৌঁছায়; তবে ইমরান তাদের দেখা দেননি।
আদিয়ালা কারাগার সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সম্পর্কে এফআইএর তদন্তের অংশ হতে অস্বীকার করেন। তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, আইনজীবীদের উপস্থিতিতেই সব প্রশ্নের জবাব দেবেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে ইমরান খানকে মুখ বন্ধ রাখতে হবে। আমি মনে করি, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা উত্তেজনা বাড়াতে চান।’
পাকিস্তানের জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধ একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটি একটি ট্র্যাজেডি। ইমরান খান এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু এর পরও বিষয়টি নিয়ে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ইমরান খানের প্রতি আমার পরামর্শ হলো, তিনি দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করতে না চাইলে যেন নিজের মুখ বন্ধ রাখেন।’
অন্যদিকে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গওহর আলী খান বলেছেন, ‘এই পোস্টের সঙ্গে ইমরানের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তিনি তার অ্যাকাউন্টে আপলোড করা পোস্টগুলো দেখেননি।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে পরাজিত হয় পশ্চিম পাকিস্তান। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম হয় বাংলাদেশের। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি হামুদ উর রহমানকে প্রধান করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একটি কমিশন গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ইসলামাবাদের দূরত্ব এবং এ যুদ্ধের কারণ অনুসন্ধান ছিল এই কমিশনের মূল দায়িত্ব। সূত্র: দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল ও জিও নিউজ