ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

ইরান না ইসরায়েল, কে এগিয়ে সমরশক্তিতে

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০০ এএম
ইরান না ইসরায়েল, কে এগিয়ে সমরশক্তিতে
সমরাস্ত্র। ছবি : সংগৃহীত

গাজায় হামলা শুরুর পর বিভিন্ন ইস্যুতে ইতোমধ্যে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। অনেক সমর বিশ্লেষক দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। আর সত্যিই যুদ্ধ হয়- তাহলে এটি আধুনিক সমরাস্ত্রের এক ভয়াবহ প্রদর্শনী হয়ে উঠতে পারে। কারণ দুই দেশের কাছেই রয়েছে শক্তিশালী অস্ত্রের ভাণ্ডার। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্যমতে, সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের থেকে তিন ধাপ এগিয়ে আছে ইরান। তালিকায় থাকা ১৪৫টি দেশের মধ্যে ইরানের অবস্থান ১৪তম, অন্যদিকে ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম। 

দুই দেশের জনসংখ্যার তুলনা
ইরানের মোট জনসংখ্যা ৮ কোটি ৭৫ লাখ, এর মধ্যে সামরিক বাহিনীকে সেবা দিতে সক্ষম জনসংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ। অন্যদিকে ইসরায়েলের জন্যসংখ্যা মাত্র ৯০ লাখ এবং সামরিক সেবা দিতে সক্ষম জনসংখ্যা ৩১ লাখ।

সেনা সংখ্যায় এগিয়ে ইরান
ইরানের সামরিক বাহিনীতে কর্মরত সেনা সংখ্যা ৬ লাখ ১০ হাজার, ইসরায়েলের নিয়মিত সামরিক বাহিনীতে সেনা রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার। তবে ৪ লাখ ৬৫ হাজার সেনা নিয়ে রিজার্ভ ফোর্সে সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে ইসরায়েল। বিপরীতে ইরানের রিজার্ভ সেনা সংখ্যা ৩ লাখ ৫০ হাজার। এ ছাড়া ইরানের রয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার সেনার বড় আধাসামরিক বাহিনী, সেখানে ইসরায়েলের আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৩৫ হাজার। 

সামরিক বাজেটে এগিয়ে ইসরায়েল 
আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ ও উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজন সামরিক বরাদ্দ। বাজেটের দিক থেকে ইরানের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে ইসরায়েল। সবশেষ অর্থবছরে ইরানের সামরিক বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৯৯৫ কোটি মার্কিন ডলার, অন্যদিকে ইসরায়েলের বাজেট ছিল ২ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার। এ ছাড়া বৈদেশিক রিজার্ভেও এগিয়ে রয়েছে ইসরায়েল। 

বিমান বাহিনীতে এগিয়ে ইসরায়েল 
আধুনিক যুদ্ধে বিমান সেনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তারাই সাধারণত প্রথম আক্রমণ পরিচালনা করে। আর বিমান বাহিনীর দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইসরায়েল। তাদের বিমান বাহিনীর এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যা ৬১২টি। এর মধ্যে ২৪১টি যুদ্ধবিমান। ইসরায়েলের বিমানবহরে রয়েছে পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ ও চতুর্থ প্রজন্মের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এ ছাড়া রয়েছে অ্যাপাচির মতো অ্যাটাক হেলিকপ্টার। অন্যদিকে ইরানের বিমান বাহিনী ইসরায়েলের তুলনায় খুবই দুর্বল। তাদের বহরে পঞ্চম প্রজন্মের কোনো যুদ্ধবিমানই নেই। দেশটির বিমান বাহিনীর সার্ভিসে থাকা সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমানটি হলো রুশ নির্মিত মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। 

স্থলবাহিনীর সমরাস্ত্রে এগিয়ে ইরান
স্থলযুদ্ধে ট্যাংক কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের অগ্রভাগেই থাকে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে ট্যাংক রয়েছে ১ হাজার ৯৯৬টি। ইসরায়েলের কাছে ট্যাংক রয়েছে ১ হাজার ৩৭০টি। ইরানের সাঁজোয়া যানের সংখ্যা ৬৫ হাজারের বেশি এবং ইসরায়েলের সাঁজোয়া যান ৪৩ হাজারের বেশি। এ ছাড়া ইরানের কাছে থাকা সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি কামানের সংখ্যা ৫৮০টি, টাওয়েড আর্টিলারি কামান রয়েছে ২ হাজার ৫০টি ও মোবাইল রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ৭৭৫টি। অন্যদিকে ইসরায়েলের কাছে রয়েছে ৬৫০টি সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি কামান। টাওয়েড আর্টিলারি কামান রয়েছে ৩০০টি ও মোবাইল রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ১৫০টি।

নৌ সরঞ্জামে এগিয়ে ইরান 
ইরানের নৌবহরে মোট সমুদ্রযান রয়েছে ১০১টি। ইসরায়েলের রয়েছে ৬৭টি। ইরানের সাবমেরিন রয়েছে ১৯টি এবং ইসরায়েলের রয়েছে মাত্র ৫টি। ইরানের ফ্রিগেট রয়েছে ৭টি। ইসরায়েলের কাছে কোনো ফ্রিগ্রেট নেই। ইরানের কাছে কর্ভেট রয়েছে ৩টি, বিপরীতে ইসরায়েলের কাছে রয়েছে ৭টি কর্ভেট। ইরানের একটি মাইন ওয়্যারফেয়ার জাহাজও আছে, তবে ইসরায়েলের কাছে এমন কোনো জাহাজ নেই। এ ছাড়া দুই দেশের কারও কাছেই কোনো বিমানবাহী রণতরী নেই। 

দুই দেশের কৌশলগত অস্ত্র 
ইসরায়েলের কাছে পরমাণু বোমা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে তেলআবিব কখনোই তা স্বীকার করে না। বিপরীতে ইরানের কাছে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই। কিন্তু ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো মনে করে, তেহরানের পারমাণবিক উচ্চাভিলাস রয়েছে। তবে ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র না থাকলেও ধারণা করা হয়- দেশটি কামিকাজি ড্রোন ও বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের বিশাল মজুত গড়ে তুলেছে। 

দুই দেশের মিত্ররা
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ পশ্চিমা প্রায় সব দেশেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে থাকে। এই দেশগুলোই মূলত ইসরায়েলে সমরাস্ত্র সরবরাহ করে। এ ছাড়া জর্ডান, আরব আমিরাত, তুরস্কের মতো মুসলিম দেশের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে তেলআবিবের। বিপরীতে ইরানকে সমর্থন দিয়ে থাকে রাশিয়া ও চীন। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তারা প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও কৌশলগত কিছু অস্ত্র এই দুই দেশ থেকেও কিনে থাকে তেহরান। এ ছাড়া ইয়েমেন, ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননে তাদের সশস্ত্র মিত্র গোষ্ঠী রয়েছে। সূত্র: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার

কুয়েতের নতুন যুবরাজ সাবাহ খালেদ আল-সাবাহ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
কুয়েতের নতুন যুবরাজ সাবাহ খালেদ আল-সাবাহ
কুয়েতের নতুন ক্রাউন প্রিন্স শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-মুবারক আল-সাবাহ। ছবি: সংগৃহীত

কুয়েতের নতুন ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-মুবারক আল-সাবাহকে নিয়োগ করেছেন দেশটির আমির শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-সাবাহ।

শনিবার (১ জুন) কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কুনা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ১৯৬৪ সালের ৪নং আইন (আমিরির উত্তরাধিকারসংক্রান্ত) বিবেচনা ও সংবিধান পর্যালোচনা করে ১৫ মে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য আমির আদেশ জারি করেন। একই আইনে ১০ মে মন্ত্রিসভা গঠনের আদেশ দেওয়া হয় ও ১২ মে মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।

আইনের অনুচ্ছেদ ১ অনুসারে শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-মুবারক আল-সাবাহকে নতুন যুবরাজ ঘোষণা করা হয় এবং অনুচ্ছেদ নং ২ অসুসারে প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে যথাযথ সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রীপরিষদে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

সিকিমে বিধানসভা নির্বাচনে ক্রান্তিধারী মোর্চার জয়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
সিকিমে বিধানসভা নির্বাচনে ক্রান্তিধারী মোর্চার জয়
ছবি : সংগৃহীত

হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ভারতের সিকিম রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা। দলটি ৩২টি আসনের মধ্যে ৩০টিতেই জয়লাভ করেছে। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি।

আর সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট পেয়েছে দুটি আসন।

রবিবার (২ জুন) ভোট গণনা করা হয়।

জানা যায়, সিকিমের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত তারিখের দুদিন আগেই বিধানসভার ভোট গণনা করা হয়। তবে লোকসভার ভোট গণনা হবে আগামী ৪ জুন।

২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করেছিল সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা। ১৭টি আসন জিতে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল। তখন ১৫টি আসনে জিতেছিল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা ৩২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তাছাড়া বিজেপি লড়ে ৩১টি আসনে, সিটিজেন অ্যাকশন পার্টি- সিকিম ৩০টি আসনে ও কংগ্রেস ১২টি আসনে লড়াই করেছে।

অমিয়/

অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়
ছবি : সংগৃহীত

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যে অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি মোট ৪৭টি আসনে জয়লাভ করেছে।

রবিবার (২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ফলাফলের তথ্য জানায় হিন্দুস্তান টাইমস।

রাজ্যটির বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত তারিখের দুদিন আগেই এ নির্বাচনের ভোট গণনা করা হয়।

ভোট গণনার পর দেখা যায় ৬০টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি ৪৭টি, এনপিইপি ৫টি, কংগ্রেস একটি ও অন্যান্য দল ৭টি আসনে জয়লাভ করে।

রবিবার (২ জুন) শুধু বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা করা হয়। অরুণাচলের দুটি লোকসভা কেন্দ্রের (অরুণাচল পূর্ব এবং অরুণাচল পশ্চিম) ভোট গণনা হবে আগামী মঙ্গলবার (৪ জুন)।

সংবিধান অনুযায়ী ২ জুনের মধ্যে নতুন বিধানসভা গঠন করতে হবে।

অরুণাচল প্রদেশে মোট বিধানসভার আসন ৬০টি হলেও এবার ৫০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১০টি আসবে আগেই জিতে গেছেন শাসকদল বিজেপি। এর মধ্যে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেন রয়েছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, রাজ্যের ২৫টি জেলা সদর দপ্তরের ৪০টি কেন্দ্রে ভোটগণনা হয়।

অরুণাচল প্রদেশে ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৪১টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। জনতা দল পেয়েছিল সাতটি আসন। আর ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) পাঁচটি, কংগ্রেস চারটি, পিপলস পার্টি অব অরুণাচল একটি আসন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছিল দুটি আসনে।

অমিয়/

সিকিম বিধানসভায় এগিয়ে ক্রান্তিধারী মোর্চা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১২:১১ পিএম
সিকিম বিধানসভায় এগিয়ে ক্রান্তিধারী মোর্চা
ছবি : সংগৃহীত

হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ভারতের সিকিম রাজ্যে শুরু হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের গণনা। ভোট গণনায় সকাল ১০টায় দেখা যায়, সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনে এগিয়ে আছে। এই রাজ্যে বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার ১৭।

রবিবার (২ জুন) সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হয়।

জানা যায়, অরুণাচল প্রদেশের মতোই সিকিমের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ ২ জুন। সেজন্য লোকসভা নির্বাচনের ভোটের সঙ্গে আগামী ৪ জুন বিধানসভার ভোট গণনা হওয়ার কথা থাকলেও আজই সিকিমের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তবে লোকসভার ভোট গণনা হবে আগামী ৪ জুন।

মাত্র একটি আসনে এগিয়ে আছে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। কংগ্রেস বা বিজেপির এখনও কোনো আসনে ভালো ফলের খবর নেই।

ভারতের সংবাদপত্র হিন্দুস্থান টাইমস জানায়, বারফুং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথম রাউন্ডের গণনার শেষে পিছিয়ে আছেন ভারতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিকশাল দর্জি ভুটিয়া।

রিনাক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এগিয়ে আছেন প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।

তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চালিং পিছিয়ে আছেন পোকলোক-কামরাং থেকে।

২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করেছিল সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা। ১৭টি আসন জিতে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল। তখন ১৫টি আসনে জিতেছিল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠনে আশাবাদী সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা।

সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও সিকিম ক্রান্তিধারী মোর্চা ৩২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাছাড়া বিজেপি লড়েছে ৩১টি আসনে, সিটিজেন অ্যাকশন পার্টি- সিকিম ৩০টি আসনে ও কংগ্রেস ১২টি আসনে লড়াই করেছে।

অমিয়/

শেখ মুজিবকে নিয়ে ইমরানের পোস্ট, তদন্ত করবে পাকিস্তান

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১০:৫০ এএম
শেখ মুজিবকে নিয়ে ইমরানের পোস্ট, তদন্ত করবে পাকিস্তান
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘প্রকৃত দেশদ্রোহী জেনারেল ইয়াহিয়া নাকি শেখ মুজিবুর রহমান, তা জানতে হামুদ উর রহমানের প্রতিবেদনটি প্রত্যেক পাকিস্তানির পড়া উচিত।’

শনিবার (১ জুন) দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্কিত এই পোস্টের জন্য পাকিস্তানের তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সাইবার ক্রাইম টিম গত বৃহস্পতিবার ইমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তদন্ত এগিয়ে নিতে সংস্থাটি ওই দিন রাতেই আদিয়ালা কারাগারে পৌঁছায়; তবে ইমরান তাদের দেখা দেননি।

আদিয়ালা কারাগার সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সম্পর্কে এফআইএর তদন্তের অংশ হতে অস্বীকার করেন। তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, আইনজীবীদের উপস্থিতিতেই সব প্রশ্নের জবাব দেবেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে  ইমরান খানকে মুখ বন্ধ রাখতে হবে। আমি মনে করি, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা উত্তেজনা বাড়াতে চান।’ 

পাকিস্তানের জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধ একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটি একটি ট্র্যাজেডি। ইমরান খান এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু এর পরও বিষয়টি নিয়ে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ইমরান খানের প্রতি আমার পরামর্শ হলো, তিনি দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করতে না চাইলে যেন নিজের মুখ বন্ধ রাখেন।’ 

অন্যদিকে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গওহর আলী খান বলেছেন, ‘এই পোস্টের সঙ্গে ইমরানের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তিনি তার অ্যাকাউন্টে আপলোড করা পোস্টগুলো দেখেননি।’

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে পরাজিত হয় পশ্চিম পাকিস্তান।  স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম হয় বাংলাদেশের। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি হামুদ উর রহমানকে প্রধান করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একটি কমিশন গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ইসলামাবাদের দূরত্ব এবং এ যুদ্ধের কারণ অনুসন্ধান ছিল এই কমিশনের মূল দায়িত্ব। সূত্র: দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল ও জিও নিউজ