ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট আজ। দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩টি রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোট হবে। ওই ১৩টি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও জম্মু-কাশ্মীর।
দ্বিতীয় দফা ভোটের লড়াইয়ে মাঠে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীকে দেখা যাবে। তাদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, শশি থারুর, নবনীত রানা, হেমা মালিনী, অরুণ গোভিল ও প্রহ্লাদ জোশির মতো প্রার্থীরা।
গত এক সপ্তাহ ধরেই ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। সভা সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় পাল্টাপাল্টি কাঁদা ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটেছে। অনেক জায়গায় নির্বাচনি বিধি ভঙ্গের অভিযোগও উঠেছে।
জবাব চেয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসকে নির্বাচন কমিশনের চিঠি
এরকম অভিযোগেরই জবাব চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিজেপি ও কংগ্রেসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। মূল অভিযোগ নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে থাকলেও তাদের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি চিঠিতে। কেন করা হয়নি সে বিষয়টি নিয়েও এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন পর্যবেক্ষকরা।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবর বলছে, কংগ্রেস ও বিজেপির সভাপতিকে নোটিশ পাঠিয়ে দুই দলের দুই তারকা প্রচারককে সাবধান করতে বলেছে কমিশন। মোদি ও রাহুলকে ঠিক কী বলে সাবধান করা হয়েছে, সেটিও আবার পাল্টা চিঠি লিখে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। কমিশনের চিঠিতে বিজেপি ও কংগ্রেস দল এবং দলের তারকা প্রচারকদের দায়িত্বও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মোদি ও রাহুল দুজনের বিরুদ্ধেই সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কমিশনে এ নিয়ে অভিযোগও জমা পড়েছে। গত রবিবার প্রচারণায় রাজস্থানের একটি জনসমাবেশে যোগ দেন মোদি। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ তুলেন, কংগ্রেস নির্বাচনি ইশতিহারে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এরপর গত সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে গিয়ে মোদি বলেন, কংগ্রেসের নজর আপনার সম্পত্তির ওপর রয়েছে। ক্ষমতায় এলে তারা মা-বোনদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী হায়দারাবাদে বক্তব্য রাখার সময় বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে, তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখা হবে।
বিজেপি ও কংগ্রেস একে অন্যের মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশনে। রাহুলের বিরুদ্ধে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করার অভিযোগও তুলেছিল বিজেপি।
নির্বাচন কমিশন সেসব অভিযোগের জেরেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি পাঠিয়ে আগামী ২৯ এপ্রিল বেলা ১১টার মধ্যে জবাব দিতে বলেছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার পত্রিকা