
চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডিপসিক নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। বেশ কিছু দেশে এই এআই নিষিদ্ধও করা হয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রশাসনিক কাজে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া ডিপসিক নিরাপত্তায় খুঁত থাকা নিয়ে এআই বিশেষজ্ঞদের কঠোর সমালোচনার শিকার হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন ব্যয় তুলনামূলক কম হওয়ার পরও এআই সেবা বেশ ভালোই দেয় ডিপসিক। এতদসত্ত্বেও, খ্যাতির উল্টোপিঠ দেখছে এই চীনা প্রতিষ্ঠান। চীনে অবস্থিত সার্ভারে বিদেশি ব্যবহারকারীদের তথ্য সংরক্ষণ করছে ডিপসিক- অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।
এ প্রসঙ্গে স্ট্রাইডার টেক্নলজির গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স্ ডিরেক্টর টিম খাং বলেন, ‘তথ্য সংরক্ষণের বিষয়ে স্বচ্ছ প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি তারা (ডিপসিক কর্তৃপক্ষ)। চীনে সংরক্ষিত তথ্য কী কাজে লাগাবে- বিষয়টি স্পষ্ট করেনি ডিপসিক।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা ফার্ম নাওসিকিউর পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, ব্যবহারকারীদের তথ্যে নিরাপত্তা বলয় রাখেনি ডিপসিক। এনক্রিপশন করা তথ্যেও পুরোনো প্রযুক্তি ব্যবহারে তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি প্রবল।
এ ছাড়া ডিপসিকের ক্লাউড ডাটাবেজের দুর্বল নিরাপত্তার বিষয়ে জানিয়েছে নিউ ইয়র্কের সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান উইজ সিকিউরিটি।
জৈবরাসায়নিক জীবানু তৈরিতে ডিপসিক ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে এর নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি ফার্মের সমন্বিত পরীক্ষায় দেখা যায়, নিরাপত্তার বিষয়ে ডিপসিক ১০০ শতাংশ ব্যর্থ। বিপরীতে ওপেন এআই-এর চ্যাটজিপিটির বিফল হার ২৬ শতাংশ।
এ পরিস্থিতি নিরাপত্তা শঙ্কায় ডিপসিকে নিষেধাজ্ঞা জারির ধারবাহিক ঘোষণা দেখা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
নাইমুর/